রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮

বিয়োগিনীর বৃত্তকলি

পরবাস্তব স্বপ্নে অালেয়া দুলছে অার দুলছে
অবেলার নিশুতি ঝলমলে নিঃসঙ্গ তারাটি,
আমার ভুতুড়ে সত্ত্বার ভিতরে ঢোকে কথা তার
মাঝরাতের শিতল পরশে সে অামি একাকার।

অালেয়ায় হারাই তার বিবর্তনের মাঝে
ধিকি ধিকি অলীকে, অম্বরের শেষপ্রান্তে
কৃষ্ণগহ্বরে যদি কখনো বা হারিয়ে যাই
বিলকুল অাফসোস নেই অার তাতে।

ইচ্ছে করে তাঁরার ছোট্ট সুমধূর কন্ঠস্বর শুনি
ছুই অালোক সিন্ধুর ঝলঝলে একরতি রশ্মি।
বিয়োগিনীর বৃত্তকলি তার অাঙ্গিনায় গেয়ে উঠে
বৃত্তের অাবর্তে ছড়ায় ধ্বণি রেখার শেষ প্রান্তে।

কেবলি কি জৈবিক অান্দোলনে দিশেহারা তুমি?
প্রেমের শেষ প্রান্তে বীজাণু ছাড়া কিই বা অাছে?
শুধুই কি বিস্ফারিত হয় হিত জাতের অনুকণা?
নাকি পরজীবী বংশধারায় ভবে কশেরুহীন ছায়া?

নিষ্প্রাণ গলিত লাশের মতই অামার হাড়গোড়
নিসাড় দেহে নিয়ে বিচ্ছিন্ন হবো তোমার হতে।
অতঃপর বিগ ব্যং এর মতো মনের দূরত্ব বাড়ে
দিনশেষে পাবেনা অার ঝড়ে পড়া উল্কার মাঝে।

এখন বন্ধনের সবগুলো গিট ইশ্বর কর্তৃক পরিত্যক্ত
ক্রমশ সে অন্তে মিশে অাবছায়ায় বিস্ময়কর ভাবে।
কিংবা অনিবার ক্রন্দন তার বিনম্র হাসিতে দেখবে 
চিহ্ন পাবে তোমার সমাধি সৌধে সেই অামাকে।

হয়তো ডাক শুনবে অাবার পথচারীদের ভিড়ে
কাঁক ডাকা ভোরে বা নিস্তব্দ জনশূন্য পরিবেশে।
অথবা মুক্তির নগ্ন যাত্রায়, অস্থির জনতার ভিড়ে
নতুবা অস্তিত্ব হারিয়ে ফিরবে নিখোজের মাঝে।

তৃষ্ণার্ত বালিকার সারাটা পথ বইতে হবে একা
তুমি চিহ্নহীন পথে  হাটবে,
অামি নির্লিপ্ত নয়নে দেখবো ওপাড় হতে।

পথরেখা সময়হীন ঘড়ির কাটায় থমকে থাকবে
তুমি অাসবে, মিশবে মহাকালের মাঝে,
এ বুকের শেষ প্রান্তে অবশেষে!

পৌছাতে অতীতে

তাঁরাদের নামতা ধরে  নিস্তব্ধতার গহীনে
সময় অাবার অবেলায় দ্বারে কড়া নাড়ে।
বৃদ্ধ সময়ের সেই বৃথা চেষ্টাই সার তবে
বর্তমান পিছে ফেলে পৌছাতে অতীতে!

বৃদ্ধ সময়ের অতীত অাজ বিষম জীর্ণ 
রিক্তের বেদনায় অপেক্ষা মহাকালের।
তার কালের প্রতি একটুক্ষণের ভিক্ষে 
যদিবা ছুতে পারে সবুজ গাঁয়ের দেশে!

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...