গোধূলির বেলায় পানকৌড়ি
লাল দিগন্তের নিড়ে ফেরে।
বক শালিকের হিরণ দোলায়
রোদের ঝিলিক হেসে ওঠে।
ফুলকুড়ির ঐ নাড়ীর টানে
মেঘের বুকে কেতন ওঠে।
প্রভাত ফেরীর দীপ্ত রংয়ে
ফুল কাননে স্বপন উড়ে।
খোয়াবি চিত্তের কষ্টি পাথরে
মুক্তি তোরণে কিঙ্কর ভেঙ্গে।
অরুণের ডানায় রোদ্র মেখে
সংগ্রামে মুখর বাঙ্গালী প্রাণে।
শৃঙ্খল ভাঙ্গার বিল্পবী ডাকে
শোষিত মজলুম জেগে ওঠে।
বাংলার মায়ের শপথ নিয়ে
স্বাধীনতার প্রাণ গর্জে ওঠে।
বাংলা মায়ের ধুলো মাটি বায়ু
বিস্তৃত ঐ পদ্মা মেঘনা যমুনা।
মুক্তির জয়গানে মুখরিত রব
টেকনাফ হতে তেঁতুলিয়া।
অতঃপর-
হায়েনার বিষাক্ত দন্ত লাল
বাংলা রমনীর গতর লাল।
হায়েনার তাজা বুলেট লাল
দামাল ছেলের জামা লাল।
চির সবুজের বুক ফুটো হয়
ওরা সবাই ছোটে মুক্ত পানে।
রক্তস্নাত মেঠো পথ পেড়িয়ে
আছড়ে পরে বঙ্গোপসাগরে।
চিরসবুজের লাল তিলক হতে
গলগলিয়ে বের হয়ে আসে মুক্তি।
লোনাজলে টকটকে লহু মিশে
সমুদ্র ভেদে ওঠে লোহিত জ্যোতি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন