বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮

কাছে আসার চিহ্ন

উদ্বেল গহিন বেলায় নিশুতির স্বপ্নঘোরে 
তার যামিনী  হাসির ঢেউ জোয়ারে মিশে।
অালাপন  করি  তাঁর ভাবী স্মৃতির সাথে
অামি শুনে যাই তাঁর ঝংকার বিরান পথে।

অামি হারাই ঠিক তার ধ্বনিরাগের মাঝে
ঐ ধ্বনির কেন্দ্রস্থলে গতিশুন্য পরিভ্রমন।
অামি  মিশে যাই  তোমার চিবুকের স্পর্শে
অামি অাটকে থাকি ঠিক ব্যাঁঞ্জনের মাঝে।

সন্ধ্যা সাঁঝে পদ্মজলের প্রতীক্ষা তাঁর ছায়ায়
খুজে ফিরে সে দীপ্ত রাত্র, নৈঃশব্দ্যের ধাঁধায়।
তার প্রিয় বুলি, প্রতিটি বচন  হয়  স্তবের গান

এনেছি দেখ দুই জনমের  গোলাপ অফুরান।

অামার সকল প্রতিলিপি অাজ প্রাণ পায়
সখি বিরাজ করি তোমার চোখের তারায়।
প্রদীপের আলোয় তোমার রূপ তুলে রাখি
কপাটিকা খুলে দেখো সাড়া ঘরে কার ছবি।

তোমার মুক্তকেশের বায়ু এসে হারায় কাজলে
নাকফুলের মুক্তো  দ্যুতি  ছরিয়ে  পরে অাননে
সমীরণের প্রতিটি কণা  ছরিয়ে পরে মহাবিশ্বে
এই বসুন্ধরা কতই না ছোট প্রিয়তমার চোখে!

জলধী পারে বেলাভূমির নিড়ে গড়ি অন্বয়
বালুকাবেলায় হয় সন্ধি স্নিগ্ধ হাসনাহেনায়।
রোদের ছটায় স্নান করি, খোল প্রবেশদ্বার
পূর্ণ করো প্রীতির মায়ায় অামাদের সংসার।

দুই ঠোট উপর সৌভাগ্য মিশে ওষ্ঠগুলের রং
সে রঙের স্ফুটনে ঐশ্বর্যের গন্ধ মিশে বারুদে।
সুরভিত হয় সবুজের এই বিশ্ব প্রতিটি পরতে
অামি রবি  অাঁকি তার ভূচিত্র প্রতিটি কোণে।

অামি দিয়েছি একরতি অনুরাগ  রক্তের মধ্য
তার আত্মায় রেখেছি লুকিয়ে এক বিন্দু সত্য।
রেখেছি কয়েক দানা খুদ  'সত্য' বাঁচবে বলে
উড়েছে বিহগ রোদের নেশায় তার অাগমনে।

হে প্রিয়, তুমি অাসবে অামার 'সত্য' নিয়ে
গোধূলীর রং তার বুকে মেখে-
অনেক প্রতিশ্রুতি নিয়ে তুমি ফিরে আসবে,
সূর্য ডুবে গেলে ।

সেটাই হবে অামাদের কাছে  আসার চিহ্ন!

শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮

সে অামার পাহারায় থাকে!

অরুণের মতোই উদোম অামি
নগ্ন অামার অনুরঁজিত পৃথিবী।
নিরুত্তাপহীন অবকাশ নিরিবিলি
একাকী ক্ষণ গুনি  নিথর মনে।

অামি অামার পাহারায় থেকে!

গোপন চাবুকের আঘাত সংযমী মনে
মৃত্তির ধুকধুকানিতে নীর ফুঁসে  ওঠে।
অাশান্ত রাতের নোলক বয় বিপরীতে
পাল্টা-স্রোতে হারাই নৈঃশব্দের তীরে

অামি অামার পাহারায় থেকে!

তোমার বুকের ঝালরে অাকাশ বিনিদ্র
হিমেল ছায়ায় শ্যামল চাদর বুকে নিয়ে।
প্রহর গুনি তার ডানা ঝাপটানোর পথে
শ্রবণহীন ঝরনার একমুঠো হাসি মেখে।

অামি অামার পাহারায় থেকে!

চাঁদ এসে ছুয়ে যায় তার ভেসেচলা ছায়া
প্রবেশ করে শিরায়, উপশিরায় বা রক্তে।
কিংবা অাতসবাজির স্ফুলিঙ্গ ছরিয়ে পরে
তার পাতলা স্বচ্ছ রেশমি বসনের নিচে।

অামি তাঁর পাহারায় থেকে!

তার অবারিত কোমল বিন্যাসের উপর
অামার গ্রহ-নক্ষত্ররাজি অধিষ্ঠান করে।
তার স্নেহে সুমেরীয় অাবর্ত ভেসে চলে
শান্তনু কুমেরুর শৈত্যের অধীর প্রবাহে।

অামি তাঁর পাহারায় থেকে!

সে কর্বুর  হয়ে  রাঙ্গিয়ে  যায় এই চৈতন্যে
রাত্রির সবটুকু  ঘ্রাণ  মিশে  উত্তাল  বুকে।
অনুভব করি অামর্শের দোল গভীরভাবে
অামি স্বর্গীয় অাবেশে বেঁচে থাকি কেননা-

সে অামার পাহারায় থাকে!

রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮

যে ছিলো পৃথিবী সৃষ্টির আগে।

#যে_ছিলো_পৃথিবী_সৃষ্টির_আগে।

যদি অনুভূতির রঙ আরো হয় বিষন্ন
যদি অঙ্গুলি আর না পায় দেহ স্পর্শ
যদি নয়নের কোণে আরো অশ্রু জমে
যদি অধর দু'টি আরো তিরতির করে।

তবু মনের আয়নার তাঁকে সুধাই—
সব কিছু কি ঠিকই আছে?

যদি ডাকি আবার যৌনতার বাঁকে
যদি আবারও চাই কামনার রুপে,
যদি তখনও তাঁর রক্ত না হয় উষ্ণ 
যদি যৌনাঙ্গ রয় নিথর ধ্বজভঙ্গ ।

তবু ঘুমচোখা দেহে তাঁকে বলি - 
সব কিছু কি ঠিকই আছে?

যদি হারাই কোন কলঙ্কের মাঝে
যদি লিপ্সা বিলি বাজারীর খাঁজে,
যদি বিরহ মাখি  তাঁর দরদী মুখে
যদি অনল সিঁধি তাঁর বিমল মনে।

তবু অদৃশ্য চিত্রপটে তাঁকে বলি -
সব কিছু কি ঠিকই আছে?

সে আমার খলতার তীব্রতা নয়
সে আমার দ্যোতন আত্মবিশ্বাস।
সে আমার দাম্ভিক অহমিকা নয়
সে আমার অনিঃশেষ ঠিকানা।

আমি দেখেছি তাঁর নিষ্পাপ সুরৎ
জরিয়ে এক চিলতে মিহি কাপড়ে।
তাঁর বিটপী মালা চষে বেরিয়েছি
যে ছিলো পৃথিবী সৃষ্টির আগে!

সহসা আমি নিখোঁজ হবো মহাকালে
তবু খেপাটে আত্মা চাইবে তাঁর যোনি।
অতৃপ্ত শিশ্ন, যৌনতায় খুঁজবে তখনো- 
যে ছিলো পৃথিবী সৃষ্টির আগে!

পুরোবতী দ্রাবণ

একটি হলুদ পাখি ডালে হাসিখুসি
তার হাসি গলে যায় ডানার পরতে
এভাবেই তো গলে যাই তোমার চিত্তে।

দেখো চোখের উপরে মিষ্টি রোদ-
দোলনার মতো হেলে দুলে।

ষড়ঋতুর সবটায় পাবে অনুভূতির ঘ্রাণ
এভাবেই তুমি ও আমি পুরোবতী দ্রাবণ
এভাবেই তো বেঁচে আছি অপরাপর মনন।

দেখো আত্মা দাউ দাউ করে জ্বলে-
দেহের উত্তাপ বায়ুতে মিশে।

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...