শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

প্রভাতে দিপ্তস্নান

হরোদ্যাম খুজে ফিরি প্রিয়াঙ্কার দেশ
সমর বিজিত সৈনিক বিলম্ব নাই লেশ।
অসীম রথের অভিযাত্রী শৌষ্ঠব পেতে
সন্ধান জারি রয় লোক হতে অলোকে।

গগনপৃষ্ঠে সপ্তবর্ণার অমোঘ লুকোচুরি
ঊষালগ্ন ঈষাণ কোণে নব্যতার সারথী।
নিহারিকা ছায়াপথে বিলিয়ে সুখাবেশ
অাগুন দিপ্ত সূর্যরথে প্রোজ্জ্বলিত ইস্ক।


কালান্তর পথ পাড়ি বিশ্বপতির অনুগ্রহে
প্রেমেন্দ্র দিব্যদৃষ্টি খুজে পাই ঐ লোচনে।
পথ চেয়ে প্রিয়সী অপেক্ষায় রয়েছে ঠাঁয়
একজনমি সব অর্ঘ্য রাখি তোমার পায়।

অাবেগী ক্রন্দনে পতিত ধরণীবুকে বৃষ্টি 
নিঃসৃত ঐ নহরী সুধায় জলরাাশি সৃষ্টি।
সৌরে-সৌরে কেলিকুঞ্জ শ্রাব্যে ওষ্ঠহাসি
ছারখারে গ্রহপুঞ্জ যদি সিংহী ক্রুদ্ধদৃষ্টি।

হৃদমণিতে বেধে রাখি শাঁখারী অাভার
মহাশূন্যে রচি তোমার নত্তল সংসার।
শশী-রবীর অাভা ছড়ায় মধূচন্দ্রীমায় 
দিবালোকে তোমার স্তুতকোরাস বয়।

সব ত্বরণ ছিন্ন করি অাদিম অাকর্ষণে
নব গ্রহের অাবির্ভাব মম প্রণয় বিজে।
প্রভাতে দিপ্তস্নান অাপনাকে রাঙ্গাতে
ভালবাসা প্রণয়সখা রাখি তব ভুবনে।

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭

কালোয়ার

প্রচলে অামি নীলাভ মাঝি
কলুর বলদ শোষণকারী।
নত্তল কালে অসীম খায়শে
বিনিবেশ নিষ্পাপ হরন করি।

বাজিগর অামি প্রহসন করি
অর্বাচীন অামি অচেনা থাকি।
কালোয়ার অামি অাত্মা ভাঙ্গি
নিদারুণ অামি অনিষ্ট ছাড়ি।

সহস্র রুহুর বিনিদ্র রজনী
বেদন প্রভাতী রক্ত শাঁখে।
ক্রন্দন ধ্বণিতে জাগে পশু
চুক চুক করে চেটেছি মধূ।

অলীক অামি মেকি গদি।
কুলটা অামি খিস্তি জপি।
দূর্জন অামি ঠগের সাথী।
নিছক অামি বিলাস সঙ্গি।

শতক শৃঙ্খল পালিত পঙ্খি
একটি একটি শিকার করি।
শুকুন দৃষ্টিকোণ মেলে ধরি
খুবলে খুবলে উদর পূর্তি।

দানবিক অামি পিশে মারি
পিশাচ যোনিতে বাস করি।
রাক্ষস বংশ বিস্তার রাখি
কাঁচা মাংস ভক্ষণ করি।


সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭

জনমের শপথ

অাদিষ্ট সুখের প্রহর জপি
প্রিয়তা সুখের পরশ মাখি
জনমে জয়ী প্রণয় অাজি
দুই প্রাণে সুরের লয় শুনি

না বলা কথায় গল্গ লিখি
অাবেগ ঢেউয়ে ছন্দ তুলি
স্বপ্ন সুখের অাকাশ দেখি
বেলী মালায় মনের বেড়ি।

কলির ঘ্রাণে মিশে থাকি
কাঁশবনে সফেদ ঘর বুনি
উত্তাল উর্মির বাঁকে চলি
নীলকান্তমণি হাতে রাখি

ভালোবেসে সখা ঠায় অাছি
নীলপদ্ম তব খোপায় গাথি
ময়ূরী পালকে অাবেগ বিলি
প্রিয়মুখ হৃদয়ে এঁকে রাখি।

প্রেমের মুকুট মাথায় পড়ি
সোনার পালঙ্কে বাসর বাধি
জনম জনমের শপথ করি
হাতে হাত রেখে নশ্বর ছাড়ি।



সোমবার, ১০ জুলাই, ২০১৭

অকাল প্রভাত

দুই হৃদয়ের ঐ অথৈই মাঝে
কোন সুর বলো বেজে চলে
বিদায়কালে অকাল প্রভাত
সকল মম অাশা যায় ভেশে।

চন্দ্র তিলকের রূপালী অাভায়
হৃদয়ে বিরহী নাচন উঠে দুলে।
কাজল রেখায় বিদায়ী ঝিলিক
অাহা কাঞ্চনী কবরী যায় খুলে।

অানচানী সংসারে বসত করে
প্রিয় মুখখানি ঐ হারাই সুদূরে।
তোমায় রানী করে ওহে  রাজ্ঞী
নিঃস্ব মম সকল কালের নিড়ে।


অসুখী ঠোট কাঁপুনি কণ্ঠরোধে
পিটপিটানি অাখির জলে বাঁকে
কি ব্যাথায় মন হায় ডুকরে ওঠে
সখা অাবার ফিরো বাহুডোরে।

রবিবার, ২ জুলাই, ২০১৭

কলনোকর

অাজ বিকীর্ণ প্রভাত চুপিচুপি বলে যায়
পুনর সেই পথে যেই পথে স্বজন হারায়।
অর্কের ইন্দনে অনুভূতি সকল ছাই হয়।
ক্রূরতা কিরণে নারী ডোর ঝলসে যায়।
অাবার অামি হলেম যে সেই কলনোকর!

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...