মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০

আশার বসতি

হে প্রিয় নবীন অভিরুপ
পুর্বপুরুষের অনন্য সৃষ্টি।
অনুরাগে রেখো আচ্ছন্ন
বিমোহে আশার বসতি।

প্রজন্মান্তরে দীপ জ্বেলে যাই
অগ্নি অমরাবতীর ললাটিকায়।
বেঁচে থাকি তাহার হাস্যকোণে
ফিরে আসি পুনঃ জাতিস্মরে।

বসুন্ধরা


শিখর হতে শিকরে
পল্লবী হতে মাটিতে


বেলা অবেলায় সময়ের ভেলা
ফেলে আসি স্মৃতির বসুন্ধরা!

সুতোর টানে


কলঙ্কিত মেঘমেদুরী বর্ষণে
ধোঁয়াচ্ছন্ন সফেদ অাকাশ।
তোমাদের এই লোকালয়
ছেড়ে যাবো বলে-
অনেকবার ভেবেছি!

তবু মহাকালে মহামায়ায়
বিস্মৃতির কোন খেয়ালে-
কোন সে সুতোর টানে-
আবার তোমার প্রেমে পড়েছি।
ফিরেছি বারংবার!

নিজস্ব ভূমি


তোমার-আমার নিজস্ব ভূমি
দুঃখ তাড়ায় হেসে,

তুমি আর আমি এখানেই রবো
সারাবেলা ভালোবেসে।

সহসা


সহসাই সব বাধন ছিড়ে
ডুবে যাই গভীরে।

অব্যক্ত বুলি ছড়িয়ে-
আকাশের গভীরে।

বিচ্ছিন্ন বদ্বীপ

সহসা স্মৃতির কোণায় কখনো সখনো
ঐ নিষ্পাপ মুখগুলো আমাদের মুখোমুখি

ভেসে উঠে, ফিসফিস করে কি বলে ওরা?
হেসে ওঠে খিলখিলিয়ে!

আমরা কি এখনো তাই?
যেমনটা ছিলাম অাগে!

নাকি নিষ্ঠুর কালের গারদে
আমরা সবাই কয়েদী-
'বিচ্ছিন্ন বদ্বীপে'।

অনাবিল শান্তি


"সুখের মগডালে আমার ছোট্ট নীড়
তার সর্ব কোনায় ছোট্ট ছানার ছোয়া,

ক্লান্ত আমায় অার করে না ক্লান্তি
আমার নীড়ে আছে অনাবিল শান্তি।"
.

আত্মার টান


একটুখানি বিরতি এই কর্ম জীবনে-
হাফ ছেড়ে বাঁচার সেকি দৈব মানে!

কোন সে পুলক আমায় টানে ধীরে?
এটাই কি তবে বেঁচে থাকার মানে!

অসুখ

অালেয়ার পিছে ছুঁটে চলা অামি
তোমাদের উঠোন ধারায় ভিজবো।
মরচে ধরা দেহ হতে মুক্তি পাবো
বর্ষণে সিক্ত হয়ে হবে পুনঃজন্ম।

শাশ্বত পথ


এই সুখ, তো এই ক্লেশ
এই হাসি, তো এই কান্না।
এক চরিতের সিদ্ধিতে
আগে পিছে কত্তো বাধা!

হে মানব-
ছড়িয়ে দাও পথে পথে
যত আলো অাছে দেহে।

কালের বুকে এঁকে যাও-
তোমার প্রতিটি পদরেখা।

এটাই শাশ্বত অমোঘ পথ
এক জীবনের সকল মানে।
আহা, চির সৌম্যর নবজন্ম-
অন্তের এক উত্তম বিয়োগে!

স্মৃতি

শীত প্রভাতের কোমল রোদ্দুর-
শালিকের ডানায় ভেসে অাসে,
একমুঠো অনুভূতি ছড়িয়ে
সহসাই বিলীন হয় স্মৃতিতে।

নীল সমুদ্রের দ্বীপে

তুমি নীলাদ্রীকে ছুয়ে দিতেই সহসাই জল হেসে উঠবে খিলখিলিয়ে-
যেন সেই শৈশবের উচ্ছল হাসি আর অকৃত্রিম সরলতা!

হঠাৎই এক রাশিজল তোমার বুকে আছড়ে পড়তেই
শিহরিত হবে তোমার মন-
যেন সেই বয়ঃসন্ধিনকালে প্রথম ভাল লাগার অব্যক্ত অনুভূতি!


বাধভাঙ্গা উল্লাসে তলিয়ে জলকেলি খেলবে তোমার দেহ
যেন প্রথম যৌবনে কুড়িটি রক্তপদ্ম তুলে আনার গল্প!

গোধূলির অস্তগামী সূর্যের সবটুকু রক্তে তুমি হবে রঞ্জিত-
যেন বিচ্ছেদ কাতর অভিমানী প্রেমিকার নিরব অশ্রুধারা!

নীল সমুদ্রের দ্বীপে তুমি হবে বিচ্ছিন্ন
আবার আমায় ফিরে পেতে!

অনুভূতির ডায়াসপোরা!

ক্ষুদ্র দিবসের সায়হ্নে-
সকল অনুভূতির ডায়াসপোরা!
দক্ষিণা সুবাসের বিচ্ছেদ হয়
বিরহী আত্মা থমকে থাকে।
তবু বলে যাই-
ভাল থাকুক সবাই.....

মহাকবির 'বাংলাদেশ' কবিতা


হে মহানায়ক-
১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ
টঙ্গীপাড়ায় এলো তুমি মানবতার কথা বলতে।
সহস্র বছরের বঞ্চিত বাঙ্গালির দুঃখে মুছতে
তুমি এলে মুক্তির ত্রাতা হয়ে।


হে যুগশ্রেষ্ঠ কবি-
সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর সবটুকু নিষ্পাপ ধারণ করে
তুমি উপহার দিলে মহান "বাংলাদেশ" কবিতা!
তোমার কীর্তির পথে ছিলনা ফুল কিংবা দিশা
সে পথে ছিল রক্ত, কারাগার, মৃত্যুর বিভীষিকা।

হে ধ্রপদী কবি-
কবিতায় তুমি বলেছ বিশ্ব মানবের মুক্তি
তোমার কবিতায় জেগে উঠল ঘুমন্ত জাতি।
কালের ধ্রুবতারা দেখেনি হিমালয়ের শির,
দেখেছে তোমার কবিতা, করেছে বিনম্র স্তুতি।

হে রাজনীতির কবি,
কবিতায় তুমি লিখলে "স্বদেশী আন্দোলন"
তুমি লিখলে অখন্ড-বাংলা, দাঙ্গার বিরূদ্ধচারন।
৫২ এর আন্দোলনে লিখলে কবিতার অভিধা।
একেএকে কবিতার দ্রোহে রচিত হলো-
জাতির মুক্তির সনদ,গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা।

হে স্বাধীনতার প্রতীক,
কবিতার শ্রেষ্ঠাংশে তুমি লিখলে-
দাবায় রাখতে পারবা না!
বজ্রকণ্ঠে কবিতায় বললে-
"এবারের সংগ্রাম, অামাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।"

হে মুক্তির কবি,
তুমি উপহার দিয়েছো মুক্তিযুদ্ধের মহাকাব্য
কাব্যের প্রচ্ছদে লিখেছ-
'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি'।
ভূমিকায় বলেছ-
চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল, নিম্নে উতলা ধরণী-তল।
পরিবৃত্তে এঁকেছ-
অর্জিত মহান বিজয়ের 'লাল কেতন'।

হে ক্ষণজন্মা কবি,
কবিতার বিনাশে শকুনেরা করেছে তোমার অন্তর্ধান
৩২ নম্বরের সিঁড়ি বেয়ে রূধি নেমেছে বঙ্গোপসাগরে;
অসমাপ্ত কবিতার বুকে লঙ্ঘিছো তব মৃত্যুপ্রাণ
তবু হে কবি, তোমার রচিত "বাংলাদেশ" সূর্যের চেয়েও দীপ্যমান!

হে মহান পিতা,
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ তুমি, শ্রেষ্ঠ তোমার সৃষ্টি
সারাবিশ্বের বিস্ময় মানব, অমর মৃত্যুঞ্জয়ী।
ভূলোক দ্যূলোক গগন কাপিয়া উচ্চারিত নাম
হে বঙ্গবীর! উদ্ধত শির! শেখ মুজিবুর রহমান!

মুজিবের নামে শপথ-
বাংলাদেশ কবিতা মহাবিশ্ব করিবে জয়
বিশ্ব-সমাজ রইবে চেয়ে অবাক বিষ্ময়।
ধরণীর বুকে রচিত হবে-মুজিব সন্তান শ্রেষ্ঠ
সেটাই হবে অসমাপ্ত কবিতার সুন্দর সমাপ্ত।
শ্রেষ্ঠদের শ্রেষ্ঠ আসনে থাকবে বঙ্গবন্ধু তুমি,
মহাকাল প্রীতিতে জপবে তোমার কীর্তিনামা।
বিশ্ববাসী উর্ধ্ব করিবে মহান পিতার নিশান
সর্বদলের মিছিলে থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম।
মুজিব মানে স্বাধীনতা, মুজিব মানে মানবতা
মুজিব মানে প্রগতিশীল, মুজিব মানে সমতা।
মুজিব মানে বাংলাদেশ, মুজিব মানে বিশ্বনেতা
মহাকাল স্বরিবে তোমার 'বাংলাদেশ' কবিতা।

হে মহামানব,
তুমি ইতিহাস, তুমি বিশ্ব ঐতিহ্য, মানবতার তোরণ
অবিনশ্বর তুমি মহাকালের বুকে-
তুমি ছিলে, তুমি আছ, তুমি থাকবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!

করোনা



চিরচেনা শহরের ধূসর রং-
নির্লিপ্ত সকল মায়ার বাধন।
তবু বয়ে যায় জীবন তরী-
মুখরিত জীবনের আহবান।

জীবন



এক জীবনের ঢের উমেদ
বেঁচে থাকে মানব আত্মায়।
ছুটতে চায় সে ভূলোক-দ্যুলোক
তবু শৃঙ্খলে সবই মায়ায়।
কাম্য, তোমায় কত্তো অনুরক্তি!
তুমি কখনো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি-
আবার কখনো বা নিরন্তর অপূর্ণতা,
অথবা কষ্টে-সৃষ্টের অমোঘ সফলতা।
জীবন, তুমি কতো মধুর!
শাশ্বত চক্রে প্রিয় সুর।
বর্তমানে তুমি সুন্দরতম
স্মৃতিতে তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ।
অনাগতে তুমি প্রাণ সঞ্জীবনী
আহারে জীবন- "তোমায় ভালবাসি"!

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...