শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ইচ্ছে সপ্ন ৫

হাতে হাত ছুয়ে,
নয়নে নয়ন রেখে
প্রতিজ্ঞা করতে।

শিশুর ন্যায় ঠোট ফুলিয়ে 

তোমার বুকে মাথা রেখে

ওড়নায় চক্ষু মুদে, অার

ব্যাকুলভাবে কর্নকুহরে বলতে-

রাঙ্গা বউ!

ভালবাসায় মাথায় হাত বুলাও।
ঘুম পাড়াও অামায়-
তোমাকে সপ্নে একটু ছুয়ে দেখি।"

ইচ্ছে সপ্ন ৪

অকারনে অভিমান
ঝগড়া করতে
রাগ অার খুনসূটিতে

বিরক্ত করতে

প্রফুল্ল বদনের নথ নাড়া
হাসি দেখতে
গোলাপি ঠোটের

লাল লিপিস্টিক হতে

নোলক হয়ে প্রশ্বাসে

মিশে যেতে
দুল হয়ে চলনে

ঝংকার তুলতে

হার হয়ে হৃদয়খানি

ছুয়ে দিতে
চুড়ি হয়ে দুহাত

বেধে রাখতে

নুপুর হতে পেলব

পায়ে ধ্রুপদি সৃষ্টিতে
চাদর হয়ে অঙ্গে

জরিয়ে থাকতে।

ইচ্ছে সপ্ন ৩

বিষাধের নীল ভেঙ্গে
নীল অাকাশ হতে
তব হাতেরর নাটাই সুতা অার

পতং হয়ে উড়তে

অবসাদের যাতনা ভেদে

ছন্দময়ী স্পদন্দন হতে
গরল ছিন্ন করে

অমিয়ের পেয়ালা হতে

অব্যক্ত কথামালার

উপন্যাস সৃষ্টিতে।
তোমার দৃষ্টিতে

অামার প্রতিফলন দেখতে

বাতায়ন বৃষ্টিতে প্রিয়ার 

অঞ্চল উড়াতে
নিশীতে দুজনাতে

 তারাগুলো গুনতে

ময়ূর পালঙ্কের

মধূচন্দ্রিমা সাজাতে।

ইচ্ছে সপ্ন ২


ছোট্ট গল্পের পার্শ্ব চরিত্র থেকে
কেন্দ্রিয় চরিত্র হতে
হুমায়নের হিমু হয়ে

রবিন্দ্রনাথের লাবণ্যকে ভালবাসতে

সুহাস্য বদনে মোটা চশমার

অাড়ালে শাহারূখ হতে
বীরবেশে মেদযুক্ত অববয়ে

সালমান হতে

অসম্ভবকে সম্ভব করতে

অনন্ত জলিল হতে
টেকো মাথায় মাথা দুলিয়ে
অনীলের ঝাকাস হতে

খর্ব দেহে সিনাটান করে

ব্রাড পিট হতে।
সাধারন মানব বেশে

অতিমানব হৃতিক হতে।

ইচ্ছে সপ্ন ১

কালাত্তীর্ণ অতিক্রান্তে
তোমাতে চিরঞ্জীব হতে।
শ্রাবণের মেঘমালায়
প্রিয়দিবাকর হতে

অমাবশ্যায় শিখা
অর্নিবান হতে
চৌত্রের তপ্তে কৃষ্ণচূড়ার
লাল ছায়া হতে

পৌষের কনকনেতে
জোষ্ঠের উষ্ণ হতে
কার্তিকের অনিশ্চয়তায়
শরতের কাশফুল হতে

অাষাড়ের বন্যায়
ফাল্গুনি ফুল হতে
বর্ষার ঘনঘটায়
অগ্রহায়নের নবান্ন হতে

ভাদ্রের কালভেদ্রে
বৈশাখী মেলা হতে,
মাঘের শুষ্কতায়
অাশ্বিনের রক্তজবা হতে

ষরঋতুর বারমাসে
তেরো পার্বণ হতে।

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বসন্ত

পলাশ ফুলের রক্তিম মেলা
প্রভাত অাজ অাপন রাঙ্গা।
অাম্র কাননে মুকুলের দোলা।
অাজ অাকাশে হলদে ছোয়া!

গাঁদা কুড়ির অন্তিম বরণ।
অলির মুহু ঘ্রাণের ব্যাপন।
জারুলে হলদে পাখির নাচন
দঃক্ষিণ প্রবাহে প্রাণ সঞ্জিবন।

কোকিলের অাজ প্রাণের সুর
সবুজের ঐকতান কি সুমধুর।
দিবস বাঁকে দিবাকরের যৌবন
রাত নিশিতে তাঁরার অালোরন।

দিঘলীর কেশে গাঁদার খোপা
পলাশ রাঙ্গা পায়ে অালতা।
বাসন্তী শাড়িতে অঙ্গ ঢাকা
পেলব হাতে চুড়ির মায়া।

রমনীর গলে বেলীর গন্ধ
পায়ে বাজে নুপুরের ছন্দ।
রক্তের হোলি গোলাপী ঠোটে
ভাগ্য টিকায় তিলক অাঁকে।

প্রিয়তায় বুকে মাথা গুজি
রেখ করে চির বসন্তসখী।
অাজ যে ফাল্গুন প্রিয়তম!
হলুদ প্রেমে জাগে অানন্দ।

প্রোজ্জ্বল ইস্ক সপি নত শিরে
এক জীবন বিসর্জন ঐ বুকে।
অর্ঘ পদ্মমুখে অর্পন বসন্তী ভালবাসা
হৃদয় সপে ঠাঁয় হলুদ পাঞ্জাবীওয়ালা।

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সৌভাগ্যের অবতার


অালেয়ার বেশে তুমি নয় সত্য  

ধারন করতে হৃদে সবকিছু মন্দ।
তবু সঞ্জীবনী মৃতে, অকট্য শাশ্বত 
অবতার তুমি অামার সৌভাগ্য।

তোমার  অামার যুদ্ধ রহে নিরব

ধ্বনিত হয় না প্রাণ পৃথিবীতে।
অাবার অামাদের মিলন বাসর
বহিঃগমন হয় না সংসারকুলে।

তোমার অামার দন্দ ঠান্ডা

ব্যাপন হয় না বায়ুমন্ডলে।
অাবার অামাদের সন্ধিমালা
দৃশ্যমান রয় না ধরনীতলে।

খেলাচ্চলেই হও নিষ্ঠুর ও অমঙ্গল

নিছকই তুমি নমনীয় অথবা ভঙ্গুর।
বেহুদাই খেলো মরণ বাজি ও জুয়া
অকারনে অঙ্গার অথবা ব্যর্থ কান্না।

পঙ্কিল ভালবাসায় তো মধুর বানী

পূত মহব্বতে তো কুৎসিত গালি।
বিচ্ছিন্নতায় তো একত্রের প্রেষণা
বন্ধনে অাবার ছিন্নতার কুমন্ত্রণা।

তবে ফিরিয়ে দাও সজিবতা

যেখানে কেবল তোমারি গান।
সাগরে বাড়িয়ে দাও সুনীল
যা শুধুমাত্র তোমারি দান।

তুমি অাবার অামাকে পাবে

ঐ  সুখী অাত্মার মাঝে।
তুমি অাবার ঢেউ এ মিলাবে
ঐ প্রশস্ত বাহুর ডোরে।

চেয়ে দেখো বিস্তর জলরাশি

ছুয়ে দেখ রোদের ফুলকি।
দেহে মাখো শীতল প্রবাহ
ভেসে অাসো বিসৃত মহাশুন্য।

ঐ প্রশ্বাসে অামি পাল তুলি

অব্যক্ত কহুতে অামি ফিরে অাসি।
অদৃশ্য দৃষ্টিতে অামি ভেসে উঠি
বেহুশ মনে অামি উদ্রেক করি।

ঐ বক্ষভাগে শিয়র ঠেঁকি

সাজাই ভালোবাসা, ছন্দ।
হম এখন সময় সদাই করা
শুধু সুখ, অার শুধূই অানন্দ!

বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সাদার_মাঝে_কালো

নতুন ভোরের নবদিগন্তে
রাঙ্গা প্রভাত সুবাস খোজে।
শীতেরা এসে জাপটে ধরে
বসন্তরা সব লুকিয়ে থাকে।

সপ্তবর্নার এই মায়ার জালে
অাকাশ গোধূলীর রং খোজে।
কালো মেঘ এসে ডেকে ফেলে
দিবাকর শুধু ঝিমিয়ে পরে।

অাসমানী সুবজে এই জীবন্তে
প্রাণরা বাঁচার অাকুতি করে।
ছলনারা এসে গ্রাস করে
অনুভূতি গুলো নিথর থাকে।

হলুদ বেগুনির এই সময়পথে
হৃদয়েরা অাত্মার খোরাক খুজে।
ভুলেরা নিরবে গরল ঢালে
ভালবাসা সকল ডুকরে ওঠে।

সাদা কালোর এই সংসারে
ছায়ারা অালোর প্রহর গুনে।
মরীচিকা এসে ভুলে রাখে
অালোরা শুধু নিশ্চুপ থাকে।

লাল নীল এই  শহরে
দুঃখীরা স্বপ্ন বুনে চলে।
মিথ্যেরা সব নেয় কিনে
পতিতরা শুধু চেয়ে দেখে।

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

জীবন্ত স্বপ্ন (মাত্রাবৃত্ত)

যখন নামে অাকাশ ধরা তলে
যেথায় পাখি ডাকে সুরের তালে।
যখন রাতের নিকশ মুছে দিনে
যেথায় ফুলেল সুবাস মেলে ভোরে।

যখন চাদের অালোর গল্প চলে
যেথায় জোনাকি সাঁঝে জ্বলে নিভে।
যখন নিরব গোধূলীর রং সাজে
যেথায় পাখিরা ফিরে অাপন নিড়ে।

যখন অমিলরা সব সামনে অাসে
যেথায় বিরহের অাভাস ঘুরে ফিরে।
যখন কল্পনা সকল অাড়ি বাধে
যেথায় গল্প নিজেরা হারিয়ে স্মৃতিতে ।

যখন হৃদয় মাঝে বাঁশি বাজে
যেথায় ঠোটের কোণে দুঃখ হাসে।
যখন সপ্ন ছায়ায় প্রিয় খোজে
যেথায় সখির মায়ায় অশ্রু ঝড়ে।

যখন সুখেরা সবাই খুসি হয়
যেথায় প্রেমী প্রেম ফিরে পায়।
যখন সপ্ন অাবার জীবন্ত হয়
যেথায় অাবার তাদের মিলন হয়।

বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

উদ্বেল বসন্ত

বসন্ত দুয়ারে অাগমনী হেঁকেছে
দক্ষিণ পবনের স্বপ্নছোয়ায়।
কোকিল অাজি গাইতে নেঁমেছে
বাঘ কাপুনির রূপকথায়।

শিশির ডগায় রামধনু সেঁজেছে
কুয়াশা বিলীনের ঋতুকলায়।
লেপের তলে অাগুন বিঁধেছে
শীত মামার অন্তিমসময়।

ফুল কাননে উল্লাস মেঁতেছে
প্রজাপতি নৃত্যের ছন্দমায়ায়।
ওলিতে ভ্রমর নায়তে ডুঁবেছে
পরাগ রেনুর কর্মলীলায়।

মাঘের অাকাশে বান ডেঁকেছে
সবুজ কুচির কথামালায়।
ফাল্গুনী তার খোপায় গেঁথেছে
পলাশ রাঙ্গার রক্তছায়ায়।

বালিকা পায়ে অালতা মেঁখেছে
নুপুর কিঙ্কণের ভালবাসায়।
রাঙাবউ চোখে কাজল দিঁয়েছে
হৃদয় হরণের ভালবাসায়।

বাসন্তী কপালে টিপ সেঁঠেছে
হলুদ শাড়ীর জড়ানো মায়ায়।
সকল হিমু নিরুদ্দেশ হঁয়েছে
রূপাদের সেই উঠোনতলায়।

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...