মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

-: কবিতার প্যারাডক্স :-

তুমি আছ, আমি আছি, আমরা আছি
অথবা কেউ নেই, সবাই শূন্যে
কালের প্রতিটি পাতা হয়তোবা সাজানো 
সৃষ্টধরের নিপুণ তুলির আঁচরে।

এই ধরো ত্রিমাত্রিক কাগুজে পোকার মতোই
নির্দিষ্ট আবর্তে আমার জীবন,
আর তুমি থাক দশমাত্রিক জগতের অসীম বলয়ে
যেখানে ইচ্ছে তোমার বিচরণ।

বলতো কবিতা-

আমি বাদে আর কয়টা মাত্রায় তুমি আসো?
ঐসব মাত্রায় সবাই কি আমার মতোই বিনিদ্র?
তারাই বা কয়মাত্রিক কবিতার পূজারী?
চার, পাঁচ, ছয়, সাত নাকি আরো বেশী?

এককোষী অনুজীব হতে বহুকোষী বৃহদাকার
তোমার অন্তিকে সব হয় অস্তিত্ত্বহীন অনুজীব
বিস্মৃত গোলক আর মহাকালের মহামায়ায়
কবিতা তুমি বিলীয়মান হও প্যারাডক্স ধাঁধায়।

কবিতা, জানি তুমি আবার আসবে-

অদৃষ্ট কালে তুমি আসবে এই পরমাত্রিক হৃদয়ে
এবার আসবে অন্য এক পরবাস্তব কবিতা হয়ে।
সেদিন আমার বিচরন হবে দশমাত্রিক অসীম বলয়ে
আর হয়ত তুমি থাকবে ত্রিমাত্রিক জড় বস্তুর খাঁজে।

সেদিন তোমার কশেরুকাবিহীন অস্তিত্বে
হামাগুড়ি দিয়ে তোমার দেহের ঘ্রাণ নিবো।
সেদিন ত্রিমাত্রিক তুমি, আমায় ছুঁয়ে দিতেই
হারিয়ে যাবো তোমার চোখের প্যারাডক্সে।

আহা কবিতা!
বাস্তব আর পরাবস্তবতার মায়াজালে
আমরা এত কাছে, তবু কতই না দূরে!

সেদিন আমাদের কুটাভাসে-

আমি হবো বিচ্ছিন্ন, আবার আমিই আচ্ছন্ন।
আমি হবো সুস্থির, আবার আমিই অস্থির।
আমি হবো ক্ষুদ্র, আবার আমিই ব্রহ্মাণ্ড।
আমি হবো তুমি, আবার তুমিই আমি!

কোন মন্তব্য নেই:

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...