বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

দলছুট হরিণ

বিচ্ছিন্নতায় অলোকসৃষ্টি 
বিসর্জনে হারায় দিব্যদৃষ্টি।
অাত্মত্যাগে অরণ্যবাসী
অভিমানে সে অচীনপুরী।

বন্ধনহীন সংসার বিমুখতা
অমবশ্যায় নির্বাসিত একলা।
অদৃশ্য জনপদে ভ্রান্ত চেতনা
নিসঙ্গ যাপনে নির্মম বেদনা।

ঝড়া পাতার শুকনো গদ্য
চৈতালীর চৈচিরে তপ্ত পদ্য।
বিনিদ্র রজনীর গুপ্ত অশ্রুধারা
একপেশে শিরয়ে বিষ যাতনা।

ফাল্গুনে তার মাঘের কষ্টদোল
একলা যাপনে চাপা বিরহানল।
অবহেলা পাহাড়ের নীল বেদন 
সূর্যগ্রহণে কালোর নিরব ব্যাপন।

দলছুট হরিণ চেনা পথ খোজে
অতীত স্মৃতিপট হাতরে ফেরে।
গোলক ধাঁধায় একুল-ওকুল  ছুটে 
 অাবার যদি ফিরে প্রিয়দের নীড়ে!

মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭

সত্যাস্বর্গ ভালবাসা

দেখ, অন্ত:লোকের প্রণয় দহন
ভাবো, দিব্যজ্ঞানের গরল মরণ।
এসো, ছায়াবীথিতে সরল জাপন
চল, সত্যলোকে অাকাশ পবণ।

গোধূলী যেথায় সূর্য ছড়ায়
অাধার যেথায় প্রভাত রাঙ্গায়।
কাঞ্চন যেথায় হোলি খেলে
বারি যেথায় ছন্দে নাচে!

কি অর্পন করেছি তোমায়-
দেখতে পাওনা?
কোন বীণা সেথায় বাজে-
শুনতে পাওনা?

পণ, তোমার সাথে থাকে সে
সর্বক্ষণ তার-ই মধ্যে বিরাজ করে।
সে রয় চিরসবুজ, অম্লানবদনে
ঐইতো ক্ষণে ক্ষণে হেসে উঠে!

হৃদয় ছুয়ে দেখো অাপনাকে
কার সে ধ্বনি উদিত হয় যে?
শিরার প্রতিটি পরতে পরতে।
কোন সে হাহাকার দহন উঠৈ?

প্রেমি সত্তার অাত্মাহুতি দিয়ে
প্রতিটি রক্তকণায় অাছি মিশে।
অন্তিম উপহার তোমার হৃদয়ে
মোর চির "সত্যাস্বর্গ ভালবাসা"!

বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৭

মৃত্যুনামায় অভিবাধন

কপর্দকের অন্তিম গরল পেয়ালায়
ছদ্মে মরণের বাণ তিক্ত সুধায়।
ওত পেতে যম, ছায়ার ওপারে
শাণানো ধাতুর ঐ অসুর নৃত্যে
নাসিকা রোধে বা শুন্যে ভাসিয়ে!

অাজ তার অগস্ত্য যাত্রা হয়তো
একটু ঠাঁয় সব ছেড়ে, মাথা ঠুকে
বাঁচার নেশায়, এক অাধলি ভালবাসা!
যাকে ততোধিক নিজ করেছে।
নিষ্ঠুর প্রাণ সংহার তার অাতাঁতে।

অাবার সে যখন উঠে বাধা ডিঙ্গিয়ে
একলা ছিনা টানটান ও উন্নত মস্ততে।
অাকাশ ফুড়ে মহাকাশে, সূর্যলোকে
পিছন হতে অাকড়ে ধরে কুপমন্ডুক
যেন কারো রশ্মি সে নিচ্ছে কেড়ে!

সে উদ্বাসিত হয় নতুন দিগন্তে
অালোর ছায়াতলে মানবলোকে।
বিলিয়ে সাম্য অার পরহিতব্রতে
না কারো অনিষ্ট, কারো নয় বিরুদ্ধে
নিষ্পাপ হরন, হিনচেষ্টা কেন তবে?

নিয়তির অন্তিম ওই কালেশ্বর হাতে
মাঘে বসন্ত অাবার বসন্তে মাঘ অানে।
বকধার্মিক বা অক্টোপাসি গদিওয়ালা
ললাটিকা তারা কি নিজেরা অাঁকে?

জিকিরে তোমায় প্রভু কৃতসঙ্কল্পে 
দয়া করো মহাময়ী অাপন হস্তে।
মুক্ত করো সকল মনের পঙ্কিলতা
হোক তবে এক দিশায় পথ চলা।

মানবকুল যেন পূত মানুষই রয়
অহিংস সাম্যবোধে কল্যাণ বয়।
শান্তিদূত সফেদ কপোত ওড়ে
ধ্বনিত সবকণ্ঠ মানবতার তরে।

বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭

ঘুম বিলাস

ঘুম বিলাসে  জাগে মোহ
ঘুম অায়েশে বিকার দেহ।
ঘুম কাতরে উলট ভাবনা
ঘুম চাদরে রথে চড়া।

ঘুম ঘোরে অলস মন।
ঘুম দেহে অচল যাপন।
ঘুম হাওয়ায় দিল প্রশান্ত
ঘুম প্রানে বহে অানন্দ।

ঘুম বহরে দাদীর কিচ্ছা
ঘুম অাবেশে মায়ের ছোয়া।
ঘুম জড়ানো সহোদরের গুতা
ঘুম তুলিতে প্রিয়ের মায়া।

ঘুম নিশ্বাসে নাকের বাদ্য
ঘুম চেহারায় পবিত্র অর্ঘ।
ঘুম বাহুতে স্বাধীন মূর্ত
ঘুম রাজ্যে পঙ্কিল মুক্ত।

ঘুম নয়নে পিটপিটানি
ঘুম কন্ঠে বিরবিরানি
ঘুম সপ্নে উুড়াউড়ি
ঘুম নেশায় অালসেমি।

ঘুম অামার প্রিয় ঘুম
তোমায় অনেক ভালবাসি!

মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭

দোলাচল

অাকাশ ভরা তাঁরা অামার
অালোর দেখা কই?
প্রেমের পালক মকুট অামার
সুখের খেয়া কই?

হিমাদ্রী ভরা নীল অামার
টেউের দোলা কই?
কানন ভরা ফুল অামার
সুবাসি ঘ্রাণ কই?

বুক ভরা রঙ্গিন সপ্ন
রং এর ছোয়া কই?
হৃদয় ভরা ভালবাসা
তোমার ছবি কই?

উঠোন ভরা বৃষ্টি অামার
জলের ধারা কই?
বারমাসি বসন্ত অামার
নতুন কুঁড়ি কই?

প্রিয় বুকে চক্ষু মুদি
ঘুমের পরশ কই?
সখার মনে মন মজেছি
অামার অামি কই?

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

ভালবাসা মারহাবা

প্রণয় তরী! প্রণয় সখি!
ভালবাসি ঐ মধূর হাসি!
প্রণয় দিশা, প্রণয় শিখা!
প্রেমে জ্বলি, প্রেমে মরি!

পুশি বিলাই "মিউ মিউ"
ডেকে বেজায় খুসি!
অাচঁল তলে বুকের মাঝে
লুকোতে অামি রাজি!

তোর লজ্জা অামার মুখে
এঁকে নিতে পারি!
তোর কথার সুরে অামি
নাচতে পারি ভারি!

এই তা-তা থৈ থৈ
তা-তা থৈ থৈ,
তা-তা ধিন ধিন
তা-তা ধিন ধিন!

তা-তা ধিন তা
তা-তা ধিন তা,
ধিন-তা নানা-না
ধিন-তা নানা-না!

অাহা! অানাড়ি প্রেমের অারাধনা-
ভালবাসা মারহাবা!

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭

অভিমানি সন্তান

অভিমানের কাটায় বিধেছি
এক জীবন বিবাগী হয়েছি।
মাগো! তোমার কণ্ঠের বাণী
এই হভাগা ভুলতে বসেছি।

স্নেহময়ী বুকের ভালবাসা
স্বর্গীয় ঐ হাতের ছোয়া।
তোমায় অাবার খুজে ফেরা
মা! মা!তোমার হাসির ছায়া।

নিঃশব্দে করি অাত্মচিৎকার
বয়ে যায় অশ্রুর জলধার।
নারীর বন্ধনের হাহাকার
বুক ভরা বেদনার বালুচর।

অচেনা পথ পাড়ি দিয়ে
একলা অামি দাড়িয়ে।
খুজে ফিরি এদিক ওদিক
তোমার অাচঁল পেতে।

অাবছা মায়াময় মুখ খানি
ঐতো বাবা ডাকে সুমধূর বানী।
ভেজা চোখে সোনামণির অাঁশে
অাজো ঠাঁয় বসে সেই পথ পানে।

মা! তোমার অভিমানি সন্তান
চললো নিরুদ্দেশর পথে।
দূরে মা! অামি অনেক দূরে
হারিয়ে ঐ না ফেরার দেশে।

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল
অামি সুউচ্চ অামি পতিত।
অামি নম্র অামি লৌহ
অামি হার অামি বিজিত।

অামি হাস্য অামি অশ্রু
অামি মিলন অামি বিরহ।
অামি স্থির অামি ঝঞ্জা
অামি সুখ অামি অসুখ।

অামি ঘৃণা অামি ভক্তি
অামি শিকার অামি শিকারী।
অামি সন্ধি অামি রণ
অামি শান্ত অামি ক্ষুব্ধ।

অামি অনুরাগ অামি রাগ
অামি ঘাত অামি অপঘাত।
অামি সুর অামি অসুর
অামি জাত অামি অজাত।

অামি দ্রাব্য অামি দ্রব্য
অামি শুক্র অামি ডিম্ব।
অামি প্রেম অামি ছিন্ন
অামি বাসর অামি বিদীর্ণ।

অামি বর্ণ অামি বিবর্ণ
অামি অাদি অামি অন্ত।
অামি বিদূর অামি অনন্ত
অামি শত্রু অামি মিত্র।

অামি ধর্ম অামি অধর্ম
অামি মৃত্যু অামি চিরঞ্জীব।
অামি নশ্বর অামি অবিনশ্বর
অামি সাকার অামি নিরাকার।

অামি অাত্মা অামি দেহ
অামি ভয় অামি নির্ভয়।
অামি অাদম অামি বিধাতা
অামি কাল অামি মহাকাল!

গল্প তবু অপূর্ণ

একলা পথিক, পথহারা পথিক
নতুন পথের অাবিস্কারে
দূর অাকাশকে সাক্ষী রাখে 
শপথ করে সূর্যের নামে।

সুখ ছড়ায় সে রোদের কণায়
দুঃখ বিলোয় বায়ু চাদরে।
ভর পূর্ণীমায় সে ভালবাসে 
নিকশ অমানীশায় বিচ্ছেদ রচে।

ধরাতলের স্বর্গ পেতে
হারায় অর্বাচীন প্রান্তে।
ভাসে নহর ঝংকারে
ডুবে সীমান্ত হিমাঙ্কে।

পথিক হাঁসে-
সান্ধ্য জোনাকির মিলন দেখে,
পথিক কাঁদে-
ঐ একলা চাঁদের বিরহী ডাকে।

অাশায় বসতি তার
বউ কথা কও এর অাহ্বানে।
স্বপ্নের ভঙ্গ তার
ঐ নির্ঘুম পাখির একলা বাসরে।

জীবনের গল্প লেখে সে-
শুধুই অাপনাকে ভালবেসে।
গল্প তবু অপূর্ণ রয়,
অাহা কাঁহারে যেন খুঁজে ফিরে!

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...