বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

মৌন বাসর

মম রবি অাজি কোন কোণে ধাঁয়
ওগো বাতায়নবর্তিনী ভালবাসি তোমায়!
হারাই হৃদয় মোরা সুদূর দেশে
মৌন বাসর অলোক পাড়ে

অায়না বন্ধন

রক্তকমল টিপ নন্দী ললাটে 
অায়না বন্ধন নবীন হৃদয়ে,
অাজি বাদল মুখর বাতায়নে
সখার বদন একেঁছি চোখে।

মায়াডোরে

কি মায়াডোরে বুনেছ এ হিয়া?
অাহা, কত্তো সুখে বেধেছ সখা।
কি খেয়ালে অামি তুমিতে মজি?
সখা, জানি অাজি তাহা জানি;
ভালবাসা, ভালবাসো, ভালবাসি!

জাতিস্মরে

প্রজন্মান্তরে দীপ জ্বেলে যাই
অগ্নি অমরাবতীর ললাটিকায়।
বেঁচে থাকি তাহার হাস্যকোণে
ফিরে অাসি পুনঃ জাতিস্মরে

ডায়াসপোরা

অামার অামি ডায়াসপোরা,
তোমার গহিনে চমক তোলা।
অামার অামি বিষম একলা
তোমার হদয়ের পবন দোলা।

হোমো সাসের

বরজ ক্ষেতে নরকী বুনন
উর্বর পলিতে মরণ রসায়ন।
'শান্তি জয়ী'-র রোহিঙ্গার প্রাণনাশ
পূণ্যি লভে 'হোমো সাসের' অাবির্ভাব।

তিমিরে শপথ

রোজা নামচায় অালুনি স্মাণ
প্রভাত রাঙ্গাতে দীপ্ত ম্লাণ।
অষ্ঠপ্রহর তক্কে মিছি ভাবনা
তিমিরে শপথ নিরবে শুক্লা।

স্বপ্ন

চলকে চলেছি বাঁকে বাঁকে
জলেতে ভেসেছি উর্মি তলে।
খেয়ালে গেয়েছি সুরে লয়ে
প্রভাতে মেখেছি স্বপ্ন গা'য়ে।

বাধন বর

ফিরছি অাবার কলের জীবনে
হইতে কলনোকর!
মিশে যাই অাবার ইট পাথরে
ফেলে বাধন বর!

অস্তাচলের ধোকায়

বিহ্বল নিশীথিনীর অম্ল জটলা,
পবন পুত্রের ধরত্রীকন্যায় অপেক্ষা।
অস্তাচলের ধোকায় উলট ভাবনা,
এতদূর পেরিয়ে নিসঙ্গ একলা।

নাকের নোলকে

বাতায়নে ভেসেছি খেয়ালে
সখি তোমারি বাসনা মিলাতে
অাহা কি ঢং এ বাধিয়েছ
তোমার নাকের নোলকে।

মা

মা অামার মা
স্নেহের বাধন গড়া।
মা অামার মা
অালোয় জগত ভরা।
মা অামার মা
নাড়ির টানে ফেরা।
মা অামার মা
শান্তির অাচল ছায়া।

অালোকের অন্তঃপুরে

রাত্রির পরিপঙ্খতায় সূর্য
অালো ছড়ায় ভোরে।
ছায়ারা অাবার হৃদয়ে ঘুমায়,
অালোকের অন্তঃপুরে।

রূপালী স্নান

পলাশ রাঙ্গার গোপন চাদর
তমালিকা! তব বচনে তপ্ত অাদর।
জোছনা কুমারীর রূপালী স্নান
তিলোত্তমা! তব ঝিলিকে সকলি ম্লান।

নিরন্তর ঢেউ

বিহ্বল মনে উঠা নিরন্তর ঢেউ
অপূর্ণ ধ্বণি যোগে অপলক কেউ।
সুখের ঠায়ে নিথর কনক গর্ভে 
বহে অমিয় ধারা ললাট নেত্রে।

হৃদয়ের নদী

সূর্যের রূপার রঙে ঝলমল করিছে প্রহর
নিম্নে দিকচিহ্নহীন সুপ্তি মগ্ন মেঘের প্রান্তর
সেখানে ঘাসের পাতা ঘুমের মত
অজস্র পাতার ফাঁকে
হৃদয়ের নদী হয় চাঁদ নেমে আসে

টুনাটুনি সংসার

হিমাদ্রী নীল বুনো শালিকের চোখে
অশান্ত কল্লোলময় বিপ্লবী বাতায়নে।
ধরণী স্বপ্নে চড়ুইভাতি মিটিমিটি জ্বলে
শিশিরধৌত জোনাকির স্বল্প অাগমনে।
অাধার মুছে ফেলে রাত জাগা পাখি
রূপার চাঁদ অার বিস্তৃত স্মৃতির মাঝে।
অামের মুকুল হারায় কুয়াশার চাদরে
শূন্যের দেয়ালে টুনাটুনি সংসার বাঁধে।

বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে



যেখানে দুই নদীর একটি ঢেউ......
যেখানে বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে ডেকেছিলো কেউ।

গোধূলীর নিড়ে!

সোনালী স্বর্ণের তাপদহনে দীপ্ত পুড়ে ছাই হয়
নোনাজলের নপুংসকতায় দরিয়া যৌবন হারায়।
কালরাতের কালোছায়ার অাধার হারিয়ে য়ায়
হিমবায়ুর দাপটে ঘুমচোখা পরিযায়ী পথ হারায়।
বৃদ্ধ খেয়ায় মাঝিমাল্লা পাড়ি দেয় কুয়াশার বাঁকে
পরিত্যাক্ত বীরাঙ্গনার ছেড়া কাপড় ফিরে পেতে।
তবু শিমুল তার নিযুত পল্লবপুঞ্জ মেলে ধরে শূন্যে
যদি সুখ-সারির বিকেল ফিরে গোধূলীর নিড়ে!

স্বর্গের ছায়ায়!

জীর্ণতা অামার ঝরে যায়..... 
অনাবিল সংসারের মায়ায় 
অনিন্দ্য সুন্দরের অপেক্ষা-
স্বর্গের ছায়ায়!

নব্য প্রতীক্ষায়

কুয়াশার চাদরে অাঁকা নবোঢ়ার পৌষ সজ্জা
তাঁর মুক্তোমাখা শিশিরের চোখে তাঁরার মেলা।
প্রভাত ফেরী কানে পরেছে ঘুম কুমারীর দুল
পাখপাখালির ডানায় ভেঙ্গেছে রবিরশ্মির ভুল।
ইন্দ্র বায়ুর জোয়ারে মেঘ অাসে জলধির পানে
উদধির এক রতি নীলকান্ত সে নারীতে বাধে।
জাদুর ছোয়ায় রুপালী বিন্দুর প্রাণ হেসে ওঠে
নব্য প্রতীক্ষায় মহাকাল অপেক্ষার প্রহর গুনে।

ছলরশ্মি

প্রচ্ছন্ন ইশারায় বলেছি অর্থের স্বীয় গাম্ভীর্যতা
অব্যক্ত অালাপনে সাজিয়েছি নিরব উপত্যকা।
কল্পনার অভ্যন্তরে ঘুমিয়ে অামার স্বপ্ন অনুভব
বাস্তবের আড়ালেই লুকিয়ে অামি পরাবাস্তব।
অাকাশের ওপারে অামি হেটে চলি ছায়াপথে
সুমেরু রাজ্যে মধুরতম অভিযান আমার মনে।
শ্বেত ছায়ায় সময়ের সুগন্ধ ফুলগাছের ডাল
এই যে চাঁদের ছলরশ্মি! মনে রেখ চিরকাল।

মাঘ অাসবে বলে!

সাদা কালোর মাঝে কুহেলীর
একটি শিশিরবিন্দুর প্রতীক্ষা।
মাঘ অাসবে বলে!

মেঘের ওপাড়ে

কুয়াশার নিঃসঙ্গ রাতে
বন্ধুর বাঁকে ভয়ংকর আতংকে;
সুদূরের পথিক অন্তহীন পথ ধরে
বিরানহীন পথে হাঁটে আর হাঁটে।
হাঁটতে হাঁটতে জোড়া চোখ
উপযোগের সন্ধান করে;
নিগূঢ় চিন্তায় অার বিষণ্ণ অবয়বে
চোখ রাখে কেবল মেঘের ওপাড়ে।

নিঃস্ব অাবাসে

পরিযায়ী বুনোহাঁসের ফেরার টানে
অংশুমালী নেমে অাসে ধরণীগর্ভে।
তবু হিমানির কুহক তাকে বশ করে
তীব্র অসুখের গন্ধ মনে লেগে থাকে।
নিশ্চুপ ঢেউের ললাটে কলঙ্ক মাখা
রক্তপদ্মের পরাগে অদৃষ্ট বিভীষিকা।
অাজ হিম-বায়ু-চাঁদ ডুবে নিথর জলে
তাঁরা-রা তাই ফিরে যায় নিঃস্ব অাবাসে।

তার ভূচিত্র

দু ঠোটের উপর সৌভাগ্য মিশে ওষ্ঠগুলের রং
সে রঙের স্ফুটনে ঐশ্বর্যের গন্ধ মিশে বারুদে।
সুরভিত হয় সবুজের এই বিশ্ব প্রতিটি পরতে
অামি রবি অাঁকি তার ভূচিত্র প্রতিটি কোণে।

হুতাশনের অাহ্বানে

বেহালার তারে তুলেছি অনুরাগী ধ্বণি
অবগাহনে দিয়েছি পাড়ি চাঁদের সিঁড়ি।
সপিয়া অঙ্গার মনের অঞ্জলী হাসিমুখে 
জ্বালিয়েছি হৃদয় হুতাশনের অাহ্বানে।

ত্রিভুবন বিমানবন্দরে

১৭ টি প্রাণে অবধি ইসরাফিলের ফুৎকার
কুহরে প্রতিক্ষণ মৃতগামীর অাত্মচিৎকার।
একে একে ঝলসে যায় ৫০ টি তাজা প্রাণ
হিমালয়ী কন্যার ত্রিভুবন বিমানবন্দরে।
স্তব্ধ নেপাল অার কেপে ওঠে পর্বতমালায়
সাথে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের বুকে-
পুড়ে খাক হয় ১৬ কোটির বাংলাদেশ।

প্রিয়তম ভালোবাসি

যার অংকগুলি ছিল তাকে নিয়ে,
যার অস্তিত্ব শুধূ তার স্তবে -
তবু সে ছিল তার অগোচরে!
এক বিন্দু কষ্ট যে কখনো দেয়নি,
তবুও সে তাকে কখনো বলেনি-
প্রিয়তম ভালোবাসি!

বলির রক্তে

নর পশুর জ্বলন্ত লিপ্সায়
ফনা তুলে রাক্ষুসে গোখরা
নীল বিষ নিমেষে ছড়ায়
নিষ্পাপ দেহের অবয়বে।
বালিকার জড় দেহ গলে পড়ে
লক্ষ শহীদের অাত্মার উপর
বাংলার দামাল ছেলে জন্য-
বলির রক্তে রাঙ্গে বাংলাদেশ!

তুই রাজাকার

এরা বলে কোটার সংস্কার
ওরা বলে তোরা রাজাকার!
শেখ মুজিবের সন্তানেরা -
অাজ রাজাকারের বাচ্চা!
১% বাংলার ৯৯% রাজাকার
তুই রাজাকার সব রাজাকার!

শুভ নববর্ষ

প্রভাতী পান্তা ভাতে কাচা লঙ্কা
সরষে ইলিশের ঘ্রাণে মাতোয়ারা।
বাঙ্গলীর ঘরে ঘরে পহেলার প্রাণ
ধুয়ে মুছে সাফ হয় মনের ঝঞ্জাল।
শুভ নববর্ষ ১৪২৫।

গর্বিত বাঙ্গলী

অগ্নি স্নানে শুদ্ধ করি
মম হৃদয় হেরী।
বৈশাখের ঐ রুদ্র ঝড়ে
ভাসাই মনের কালি।
মঙ্গল জলে শুচি হই
ফেলে পাপের ঝুড়ি।
মম বাংলা হিয়ায় একতারা সুর
অামি গর্বিত বাঙ্গলী।

মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

পথ

বায়ুর পিঠে পথ চলে অন্য পথে
যে পথে মর্ মর্ নিঃশব্দ ঝংঙ্কার।
যে পথে হয়না ঝরা পাতার কথা
যে পথ গোপনে রাখে বিশ্বমাতা।

যে পথে কেউ দেখেনি  তাঁরকা
যে পথে কেউ লেখেনি কবিতা।
যে পথে পথ  হাটেনি কোনদিন
পথ খুজে চলে সে পথের দিশা।

গোধূলীর বাঁকে বিরানভূমি পথ ধরে
এক পশলা বৃষ্টিজলের পতনোল্লাশ।
মেঘের গাঁয়ে পূর্ণ চন্দ্রের ছুটির ঘন্টা
তাই সন্ধ্যা তাঁরার অাজ উঠতে মানা।

কাশফুলের বনে তার সকল কথা
বিলিয়ে কষ্টা গাথা মৃত্তিকার বুকে।
গহিন বনে একালা পথ হেটে চলে
অপর প্রান্তের অপেক্ষা যুগে যুগে।

নৈশব্দ ঝাউবনের স্মাত পল্লবে মতোই
জলের দ্যূতি পথচিবুকে অাছড়ে পড়ে।
সর্ সর্ ধারা অার ছলাৎ কিঙ্কিণী সুরে
মুক্তধারা বয়ে চলে গহিনের শেষপ্রান্তে।

পথের জীবন্ত চিত্রপঠ মৃত্তিকা বুকে
পথ চিত্র অাঁকে তার জলের ললাটে।
বিন্দু কণার বিরামহীন অভিযাত্রায়
পথের বজ্রমুঠি বিজয় কেতন ওড়ে।

অাবার পথ ওঠে বায়ুর পিঠে
নতুন অালোক পথের সন্ধানে।
এভাবে অাবার অন্য কোথাও
পথ অার পথের দেখা মেলে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮

শ্রেষ্ঠ অতুলা

অামার অস্থিরতা, তোমার ঈর্ষা
অামার খ্যাপমী, তোমার লজ্জা
ব্যক্ত  অব্যক্ত  সমুদয়  অনুভূতি
ঢেউ তোলে ধমনীর রক্তস্রোতে।

দ্বিপ্রহের ছায়ায় একবিন্দু আলো 
কৃষ্ণনিশায় তুমি  উজ্জ্বল নক্ষত্র।
বৈক্লব্যে তার অানয়ন নীড়ে প্রশান্তি  
মম দৈন্যতায় সে নিষ্কৃতির কাণ্ডারি।

পুরাঘটিত মহকালের ন্যায়
শ্রেষ্ঠ অতুলা, তুমি এ দুয়ারে।
অপেক্ষায় সে যন্ত্রণা অার নয়
যে যন্ত্রণায় মর্ম ডুকরে উঠে।

সমীরণের ঐ আঙুল ছুঁয়ে 
তুমি অাবার এসেছ স্পর্শে।
রেখেছি সহস্র স্বপ্ন মালা
দেখ, তোমার অধিকারে।

মম অস্তিত্ব তাকে তুলে দিয়ে
অাজ তৃপ্ত  মনের নগ্ন উল্লাস। 
তার দাপটে ছিড়ে অনন্য প্রাণ
সানাইড হৃদয়ে গরিমা জম্মে।

শত সহস্র শতাব্দী বেঁচে থাকি
অাামাদের স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে।
মিশে থাকি প্রতিটি ধূলিকণায়
পরিভ্রমণ করি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে।

নক্ষত্রে রশ্মিজালে প্রতিদিন
ছরিয়ে পড়ি  বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে।
সে রশ্মি খুজে ফিরে তোমায় 
তোমায় খুঁজে পাই জান্নাতে।

দেখি তুমি বেশ অাছো
অামার দেওয়া রক্তের সাথে।
সহস্র স্বপ্ন জাল বুনছো 
অামাদের অাগামীকে ঘিরে।

প্রতিক্ষণে খুজে  নিই তোমায়
শত সহস্র  স্বপ্নলোকের মাঝে।
ফিরে পাই পৌরুষদিপ্ত কামনায় 
বা নতুন লেখা  কোন কবিতায়। 

মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮

কেন ১লা মে বিপ্লবী?


শিকাগো, ১লা মে ১৮৮৬, তিন লক্ষ-
কণ্ঠে স্লোগান, নেমে আসে রাজপথে
ওদের সরল চিত্তে ছিল- শাশ্বত সাম্য,
বজ্রমুঠে গাইতি- শাবল, আর কিছু প্রশ্ন।

কবে বিনাশ হবে বুর্জোয়াঁর ঠাকুরালি?
কবে হবে ওদের নিপীড়নের সমাপ্তি?
কবে অস্ত যাবে এই বৈষম্যের বিধি? 
কবে পাবে শ্রমিক তাঁর ন্যায্য মজুরি?

ফিনিক্সের মতোই জেগে ওঠে ওরা
লাখো কণ্ঠে প্রকম্পিত হয় রাজপথ-

"রোজ আট ঘন্টা কাজের দাবী,
ন্যায্য শ্রমের চাই ন্যায্য মজুরি।"
"সাম্যবাদী  নিশান তুলে ধরো
জালিমের জুলুম রোধ করো।"
.................................................

নিপীড়কের নীল নকসার চক্রান্তে
বিপ্লবী মিছিলে গুলি চলে- ঠাঁ ঠাঁ, ঠাঁ ঠাঁ।
বিপ্লবীরা দৃপ্ত কণ্ঠে কবিতা বলে চলে
বিদ্রোহী কবি ওরা, এক চুলও না নড়ে।

সেদিন এগারো জন বিপ্লবী কবির-
রূধির ঢেউ আছরে পরে চৌদিগন্তে।
ওদের উষ্ণ রক্তে জাগ্রত হয় সাম্যবাদ
আত্মা ঠাঁই নেয় বিশ্বজননীর জঠরে।

প্রহসন মঞ্চে ছয় তেজীর ফাঁসি হলো 
কাণ্ডারী কবি দিলো জাগ্রত আত্মাহুতি।
............................................................

শহীদ কবির অজর কাব্যের ঐকতানে 
শোষকের তখক- প্রাসাদ কেঁপে উঠে।

অতঃপর তাঁবেদার বাধ্য হয় কুর্ণিসে
মহাকালে গাঁথা হয় সাম্যের নবধারা।
'সবার উপর মানুষ সত্য' এই রবে
আবৃত হয় একসুরে 'মহান ১লা মে'।

ফিরে আসে চেতনায় বিপ্লবী ১লা মে
ফিরে আসে কোটি সংগ্রামী কবিকণ্ঠ।
বিপ্লবী কবিরা এক সুরে গেঁয়ে ওঠে
"দুনিয়ার মজদুর এক হও!"

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...