শিকাগো, ১লা মে ১৮৮৬, তিন লক্ষ-
কণ্ঠে স্লোগান, নেমে আসে রাজপথে।
ওদের সরল চিত্তে ছিল- শাশ্বত সাম্য,
বজ্রমুঠে গাইতি- শাবল, আর কিছু প্রশ্ন।
কবে বিনাশ হবে বুর্জোয়াঁর ঠাকুরালি?
কবে হবে ওদের নিপীড়নের সমাপ্তি?
কবে অস্ত যাবে এই বৈষম্যের বিধি?
কবে পাবে শ্রমিক তাঁর ন্যায্য মজুরি?
ফিনিক্সের মতোই জেগে ওঠে ওরা
লাখো কণ্ঠে প্রকম্পিত হয় রাজপথ-
"রোজ আট ঘন্টা কাজের দাবী,
ন্যায্য শ্রমের চাই ন্যায্য মজুরি।"
"সাম্যবাদী নিশান তুলে ধরো
জালিমের জুলুম রোধ করো।"
.................................................
নিপীড়কের নীল নকসার চক্রান্তে
বিপ্লবী মিছিলে গুলি চলে- ঠাঁ ঠাঁ, ঠাঁ ঠাঁ।
বিপ্লবীরা দৃপ্ত কণ্ঠে কবিতা বলে চলে
বিদ্রোহী কবি ওরা, এক চুলও না নড়ে।
সেদিন এগারো জন বিপ্লবী কবির-
রূধির ঢেউ আছরে পরে চৌদিগন্তে।
ওদের উষ্ণ রক্তে জাগ্রত হয় সাম্যবাদ
আত্মা ঠাঁই নেয় বিশ্বজননীর জঠরে।
প্রহসন মঞ্চে ছয় তেজীর ফাঁসি হলো
কাণ্ডারী কবি দিলো জাগ্রত আত্মাহুতি।
............................................................
শহীদ কবির অজর কাব্যের ঐকতানে
শোষকের তখক- প্রাসাদ কেঁপে উঠে।
অতঃপর তাঁবেদার বাধ্য হয় কুর্ণিসে
মহাকালে গাঁথা হয় সাম্যের নবধারা।
'সবার উপর মানুষ সত্য' এই রবে
আবৃত হয় একসুরে 'মহান ১লা মে'।
ফিরে আসে চেতনায় বিপ্লবী ১লা মে
ফিরে আসে কোটি সংগ্রামী কবিকণ্ঠ।
বিপ্লবী কবিরা এক সুরে গেঁয়ে ওঠে
"দুনিয়ার মজদুর এক হও!"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন