শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ঋতের মূলমন্ত্র

দূর হোক সকল মনের কালো
জিতুক সুপ্ত নবীন স্বপ্নগুলো।
মুছে যাক সকল অশুভ কলঙ্ক
ফিরে অাসুক সকল সুখগুলো।

ব্যাহতি হোক নিষ্ঠুর অন্যায়
জয় হোক শুধূ  সত্য ধারায়।
কাটুক সকল মনের অাধার
নবচেতনে ঐশ্বর্য বাধুক ঘর।

ধূয়ে যাক সব নৈরাশ্য কালি
ছুয়ে যাক মনে অাশার বাতি।
জ্ঞানে হোক পথ অালোকিত
মননে বাজুক ঋতের মূলমন্ত্র। 

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

পাহারায় থেকে

প্রিয় সঙ্গোপনের তিন দোলনে
শাপমোচনের পথে যায় এগিয়ে,
নিঃশব্দ নিশ্বাসের দৈবী ছায়ায়
অলীক হৃদয় ভেসে যায় তীরে।
প্রিয় অন্তঃশিলার সুপ্তি চমকে
অবিমিশ্র চেতনায় পায় ফিরে,
নিশ্চিত অনন্তের ঐশী কুঠরি
খোয়াব গড়ে উষসীর নয়নে।
এঁকে অপরের পাহারায় থেকে.......

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

অস্তগামীর রং

গোধূলীর বেলাভূমিতে এসেছি 
তাঁর বুকের হ্রদে ডুবসাতার দিতে
অাধারের একমুটো কালো ছটায়অ
অস্তগামীর রং-এ সে এই বুকে।

সে এসেছিল নিরবতা ভেঙ্গে 
মহাকাল পরে মনোরঙ্গিনী হয়ে
স্তব্ধ হৃদে অবসানের প্রতিক্ষা
এক অপূর্ব কামনার সোভায়।

রক্তমেঘ, সান্ধ্যের অালপনায় 
বালুচরে এঁকেছি তাঁর প্রিয়মুখ,
হৃদয় ছুয়েছি হৃদয় দিয়েছি
কোন গোধূলী সন্ধ্যার তীরে।

শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮

কালপুরুষ

অাজকের চন্দ্রগ্রহণে অামার শনিগ্রহ
তার নিরব চূর্ণ আলোক কণায়-
মেঘের মহাপ্লাবণ; অঝোর ধারায় ঝরে
বৃষ্টি হয়ে মিশে যায় তোমার অাঙ্গিনায়।

অামি এক পতিত কালপুরুষ
মিশে যাই মহাকাশের মহাকালে।
ফিরে অাসবো বলে-
বৃষ্টিহীন কোন এক চন্দ্রগ্রহণে!

অামি কালপুরুষ-
স্বপ্নের সেই সিঁড়ি ভেঙ্গে
অাবার হবো আলোড়িত
মহাকালের অবাধ স্রোতে।

তোমার দ্রোহের অনলে!

এদেশের বুকে আবার আঠারো নেমে আসে

জুলাই ২৯, ২০১৮ রোববার, দুপুর ১২ঃ৩০।
রাক্ষুসে পঙ্গ পালের রক্তাক্ত  গড্ডলিকায় 
রমিজ উদ্দিনের শিক্ষার্থীর না ফেরার অপেক্ষা!

সাথে সাথে কোটি সন্তান সমস্বরে  বলে-
'মা তুমি আমার জন্য আর অপেক্ষা করো না,
আমি আর ঘরে ফিরবো না’!

পরিবহন খাতের বেপরোয়া দৌরাত্ম্যে 
রাষ্ট্রীয় তথকের যখন নির্লজ্জ অপভ্রষ্ট!
তখন মিম ও  রাজিব পিষানো দেহ আকুতি করে-
‘মা, ওরা বাস আর দেওয়ালটার মাঝখানে 
আমার জন্য জায়গা রাখল না’।

দূর্নীতির ঝান্ডা আর ক্ষমতার বড়াইয়ে 

যেখানে অপশাসনই হয় আইন!
সেই শৃঙ্খল ভেঙ্গে আজ রব ওঠে- 
"যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, 
যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তবে তুমি বাংলাদেশ’!

বুর্জোয়াঁ আর পাচাটাদের দাপটে

যেখানে মেকী সোনায় সয়লাব!
সেই মাটিতে আজ কোটি সোনারা গর্জে ওঠে-
‘মুজিব কোটে মুজিবকেই মানায়, চামচাকে না’!

রাজনৈতিক বাগড়ায় সুবিচার সোনার হরিণ
যেখানে নৈমিত্ত হয় অধিকার লঙ্ঘন!

সেই বৃত্তের বাইরে আজ নিষ্পাপ মুখে বুলি- 
 ‘4G স্পিড নেটওয়ার্ক নয়, 
4G স্পিড বিচার ব্যবস্থা চাই’!

হীরক রাজার যন্তর-মন্তর কলের মন্ত্রে 

যে দেশে চলতে হয় বন্ধ চোখে, মেকি হেসে
সেই রাজ্যে আজ নবচেতনায় রব হঠে-
‘আমরা ৯ টাকায় ১ জিবি চাই নানিরাপদ সড়ক চাই’!

ডিজিটাল গোয়েবলসীয়ে ব্যর্থতা ঢাকার অপচেষ্টা

যেমন, বাংলাদেশে মাত্র ৪.২ শতাংশ বেকারত্ব!
র তাতেই নবপ্রজন্ম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর-
‘বি দ্য চেঞ্জমেকার টুডে অর বি দ্য ভিকটিম টুমরো’!

স্বাধীনতার সাতচল্লিশে ট্রাফিকের টুপাইস 

মাদক ও অপরাধের হয় অবাধ বিচরন।
তাই কোমলমতি প্রাণে বাজে অনাদরি বাণী- 
‘ছাত্রদের আপাতত রাস্তা সামলাতে দিন,
মন্ত্রী-পুলিশদের স্কুলে পাঠান শিক্ষিত করতে’!

পুলিশ উৎকোচ ও মেরুকেন্দ্রিক শাসনে 

র সনদবিহীন চাকলে আমলার শোডাউন!
তাই স্কুল পড়ুয়া সন্তানের মুখে একি কথা শুনি !
‘পুলিশ আংকেল, চা-সিগারেটের জন্য টিফিনের টাকা দিয়ে দিচ্ছি। তবু এসব গাড়ি চালাতে দিয়েন না’!

রাজিবের বিচ্ছিন্ন হাত, চলন্ত বাসে ধর্ষণ 
ওদের হাতের ময়লা
আহত ছাত্রকে নদীতে ফেলতে ওদের বুক কাঁপে না!
তাই বাংলা হৃদয়ের   জ ন্যায্য দাবী-
গে ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই না, নিরাপদ সড়ক চাই’!


জনগনের রাজস্বে ওরা কোটি টাকার গাড়ী দাপায় 

লাল ফিতার জগতে তাদের খাইখাই স্বভাব!
এবার বালিতে মুখ লুকানো উঠপাখি মানুষ হয়-
'জনপ্রতিনিধিদের সপ্তাহে অন্তত তিনদিন গণপরিবহনে যাতায়াত করতে হবে’!

দেখো, এদেশের বুকে আবার আঠারো নেমে আসে

এদেশ তাদের, এরাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ!
ঠারোর হৃদয়ে আজ প্রাণের দাবী-
‘সড়কে হত্যার একমাত্র শাস্তি, ফাঁসি চাই’।

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮

সুরেণু ঝড়

তোমার হৃদয়ের সবটুকু লাল
অার অামার দ্রোহের অনল।
এক রন্ধ্র অার এক পুষ্পরথে
একক নবীন সূর্যের অাগমন।

শুধূ চেয়েছি তাকে বিমুগ্ধ মনে
দেখি সর্বনাশা ঐ অাখি কোণে।
অামারি শিরার প্রতিটি কণায়
তার সুরেণু ঝড় মাদল তালে।

বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

মৌন বাসর

মম রবি অাজি কোন কোণে ধাঁয়
ওগো বাতায়নবর্তিনী ভালবাসি তোমায়!
হারাই হৃদয় মোরা সুদূর দেশে
মৌন বাসর অলোক পাড়ে

অায়না বন্ধন

রক্তকমল টিপ নন্দী ললাটে 
অায়না বন্ধন নবীন হৃদয়ে,
অাজি বাদল মুখর বাতায়নে
সখার বদন একেঁছি চোখে।

মায়াডোরে

কি মায়াডোরে বুনেছ এ হিয়া?
অাহা, কত্তো সুখে বেধেছ সখা।
কি খেয়ালে অামি তুমিতে মজি?
সখা, জানি অাজি তাহা জানি;
ভালবাসা, ভালবাসো, ভালবাসি!

জাতিস্মরে

প্রজন্মান্তরে দীপ জ্বেলে যাই
অগ্নি অমরাবতীর ললাটিকায়।
বেঁচে থাকি তাহার হাস্যকোণে
ফিরে অাসি পুনঃ জাতিস্মরে

ডায়াসপোরা

অামার অামি ডায়াসপোরা,
তোমার গহিনে চমক তোলা।
অামার অামি বিষম একলা
তোমার হদয়ের পবন দোলা।

হোমো সাসের

বরজ ক্ষেতে নরকী বুনন
উর্বর পলিতে মরণ রসায়ন।
'শান্তি জয়ী'-র রোহিঙ্গার প্রাণনাশ
পূণ্যি লভে 'হোমো সাসের' অাবির্ভাব।

তিমিরে শপথ

রোজা নামচায় অালুনি স্মাণ
প্রভাত রাঙ্গাতে দীপ্ত ম্লাণ।
অষ্ঠপ্রহর তক্কে মিছি ভাবনা
তিমিরে শপথ নিরবে শুক্লা।

স্বপ্ন

চলকে চলেছি বাঁকে বাঁকে
জলেতে ভেসেছি উর্মি তলে।
খেয়ালে গেয়েছি সুরে লয়ে
প্রভাতে মেখেছি স্বপ্ন গা'য়ে।

বাধন বর

ফিরছি অাবার কলের জীবনে
হইতে কলনোকর!
মিশে যাই অাবার ইট পাথরে
ফেলে বাধন বর!

অস্তাচলের ধোকায়

বিহ্বল নিশীথিনীর অম্ল জটলা,
পবন পুত্রের ধরত্রীকন্যায় অপেক্ষা।
অস্তাচলের ধোকায় উলট ভাবনা,
এতদূর পেরিয়ে নিসঙ্গ একলা।

নাকের নোলকে

বাতায়নে ভেসেছি খেয়ালে
সখি তোমারি বাসনা মিলাতে
অাহা কি ঢং এ বাধিয়েছ
তোমার নাকের নোলকে।

মা

মা অামার মা
স্নেহের বাধন গড়া।
মা অামার মা
অালোয় জগত ভরা।
মা অামার মা
নাড়ির টানে ফেরা।
মা অামার মা
শান্তির অাচল ছায়া।

অালোকের অন্তঃপুরে

রাত্রির পরিপঙ্খতায় সূর্য
অালো ছড়ায় ভোরে।
ছায়ারা অাবার হৃদয়ে ঘুমায়,
অালোকের অন্তঃপুরে।

রূপালী স্নান

পলাশ রাঙ্গার গোপন চাদর
তমালিকা! তব বচনে তপ্ত অাদর।
জোছনা কুমারীর রূপালী স্নান
তিলোত্তমা! তব ঝিলিকে সকলি ম্লান।

নিরন্তর ঢেউ

বিহ্বল মনে উঠা নিরন্তর ঢেউ
অপূর্ণ ধ্বণি যোগে অপলক কেউ।
সুখের ঠায়ে নিথর কনক গর্ভে 
বহে অমিয় ধারা ললাট নেত্রে।

হৃদয়ের নদী

সূর্যের রূপার রঙে ঝলমল করিছে প্রহর
নিম্নে দিকচিহ্নহীন সুপ্তি মগ্ন মেঘের প্রান্তর
সেখানে ঘাসের পাতা ঘুমের মত
অজস্র পাতার ফাঁকে
হৃদয়ের নদী হয় চাঁদ নেমে আসে

টুনাটুনি সংসার

হিমাদ্রী নীল বুনো শালিকের চোখে
অশান্ত কল্লোলময় বিপ্লবী বাতায়নে।
ধরণী স্বপ্নে চড়ুইভাতি মিটিমিটি জ্বলে
শিশিরধৌত জোনাকির স্বল্প অাগমনে।
অাধার মুছে ফেলে রাত জাগা পাখি
রূপার চাঁদ অার বিস্তৃত স্মৃতির মাঝে।
অামের মুকুল হারায় কুয়াশার চাদরে
শূন্যের দেয়ালে টুনাটুনি সংসার বাঁধে।

বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে



যেখানে দুই নদীর একটি ঢেউ......
যেখানে বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে ডেকেছিলো কেউ।

গোধূলীর নিড়ে!

সোনালী স্বর্ণের তাপদহনে দীপ্ত পুড়ে ছাই হয়
নোনাজলের নপুংসকতায় দরিয়া যৌবন হারায়।
কালরাতের কালোছায়ার অাধার হারিয়ে য়ায়
হিমবায়ুর দাপটে ঘুমচোখা পরিযায়ী পথ হারায়।
বৃদ্ধ খেয়ায় মাঝিমাল্লা পাড়ি দেয় কুয়াশার বাঁকে
পরিত্যাক্ত বীরাঙ্গনার ছেড়া কাপড় ফিরে পেতে।
তবু শিমুল তার নিযুত পল্লবপুঞ্জ মেলে ধরে শূন্যে
যদি সুখ-সারির বিকেল ফিরে গোধূলীর নিড়ে!

স্বর্গের ছায়ায়!

জীর্ণতা অামার ঝরে যায়..... 
অনাবিল সংসারের মায়ায় 
অনিন্দ্য সুন্দরের অপেক্ষা-
স্বর্গের ছায়ায়!

নব্য প্রতীক্ষায়

কুয়াশার চাদরে অাঁকা নবোঢ়ার পৌষ সজ্জা
তাঁর মুক্তোমাখা শিশিরের চোখে তাঁরার মেলা।
প্রভাত ফেরী কানে পরেছে ঘুম কুমারীর দুল
পাখপাখালির ডানায় ভেঙ্গেছে রবিরশ্মির ভুল।
ইন্দ্র বায়ুর জোয়ারে মেঘ অাসে জলধির পানে
উদধির এক রতি নীলকান্ত সে নারীতে বাধে।
জাদুর ছোয়ায় রুপালী বিন্দুর প্রাণ হেসে ওঠে
নব্য প্রতীক্ষায় মহাকাল অপেক্ষার প্রহর গুনে।

ছলরশ্মি

প্রচ্ছন্ন ইশারায় বলেছি অর্থের স্বীয় গাম্ভীর্যতা
অব্যক্ত অালাপনে সাজিয়েছি নিরব উপত্যকা।
কল্পনার অভ্যন্তরে ঘুমিয়ে অামার স্বপ্ন অনুভব
বাস্তবের আড়ালেই লুকিয়ে অামি পরাবাস্তব।
অাকাশের ওপারে অামি হেটে চলি ছায়াপথে
সুমেরু রাজ্যে মধুরতম অভিযান আমার মনে।
শ্বেত ছায়ায় সময়ের সুগন্ধ ফুলগাছের ডাল
এই যে চাঁদের ছলরশ্মি! মনে রেখ চিরকাল।

মাঘ অাসবে বলে!

সাদা কালোর মাঝে কুহেলীর
একটি শিশিরবিন্দুর প্রতীক্ষা।
মাঘ অাসবে বলে!

মেঘের ওপাড়ে

কুয়াশার নিঃসঙ্গ রাতে
বন্ধুর বাঁকে ভয়ংকর আতংকে;
সুদূরের পথিক অন্তহীন পথ ধরে
বিরানহীন পথে হাঁটে আর হাঁটে।
হাঁটতে হাঁটতে জোড়া চোখ
উপযোগের সন্ধান করে;
নিগূঢ় চিন্তায় অার বিষণ্ণ অবয়বে
চোখ রাখে কেবল মেঘের ওপাড়ে।

নিঃস্ব অাবাসে

পরিযায়ী বুনোহাঁসের ফেরার টানে
অংশুমালী নেমে অাসে ধরণীগর্ভে।
তবু হিমানির কুহক তাকে বশ করে
তীব্র অসুখের গন্ধ মনে লেগে থাকে।
নিশ্চুপ ঢেউের ললাটে কলঙ্ক মাখা
রক্তপদ্মের পরাগে অদৃষ্ট বিভীষিকা।
অাজ হিম-বায়ু-চাঁদ ডুবে নিথর জলে
তাঁরা-রা তাই ফিরে যায় নিঃস্ব অাবাসে।

তার ভূচিত্র

দু ঠোটের উপর সৌভাগ্য মিশে ওষ্ঠগুলের রং
সে রঙের স্ফুটনে ঐশ্বর্যের গন্ধ মিশে বারুদে।
সুরভিত হয় সবুজের এই বিশ্ব প্রতিটি পরতে
অামি রবি অাঁকি তার ভূচিত্র প্রতিটি কোণে।

হুতাশনের অাহ্বানে

বেহালার তারে তুলেছি অনুরাগী ধ্বণি
অবগাহনে দিয়েছি পাড়ি চাঁদের সিঁড়ি।
সপিয়া অঙ্গার মনের অঞ্জলী হাসিমুখে 
জ্বালিয়েছি হৃদয় হুতাশনের অাহ্বানে।

ত্রিভুবন বিমানবন্দরে

১৭ টি প্রাণে অবধি ইসরাফিলের ফুৎকার
কুহরে প্রতিক্ষণ মৃতগামীর অাত্মচিৎকার।
একে একে ঝলসে যায় ৫০ টি তাজা প্রাণ
হিমালয়ী কন্যার ত্রিভুবন বিমানবন্দরে।
স্তব্ধ নেপাল অার কেপে ওঠে পর্বতমালায়
সাথে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের বুকে-
পুড়ে খাক হয় ১৬ কোটির বাংলাদেশ।

প্রিয়তম ভালোবাসি

যার অংকগুলি ছিল তাকে নিয়ে,
যার অস্তিত্ব শুধূ তার স্তবে -
তবু সে ছিল তার অগোচরে!
এক বিন্দু কষ্ট যে কখনো দেয়নি,
তবুও সে তাকে কখনো বলেনি-
প্রিয়তম ভালোবাসি!

বলির রক্তে

নর পশুর জ্বলন্ত লিপ্সায়
ফনা তুলে রাক্ষুসে গোখরা
নীল বিষ নিমেষে ছড়ায়
নিষ্পাপ দেহের অবয়বে।
বালিকার জড় দেহ গলে পড়ে
লক্ষ শহীদের অাত্মার উপর
বাংলার দামাল ছেলে জন্য-
বলির রক্তে রাঙ্গে বাংলাদেশ!

তুই রাজাকার

এরা বলে কোটার সংস্কার
ওরা বলে তোরা রাজাকার!
শেখ মুজিবের সন্তানেরা -
অাজ রাজাকারের বাচ্চা!
১% বাংলার ৯৯% রাজাকার
তুই রাজাকার সব রাজাকার!

শুভ নববর্ষ

প্রভাতী পান্তা ভাতে কাচা লঙ্কা
সরষে ইলিশের ঘ্রাণে মাতোয়ারা।
বাঙ্গলীর ঘরে ঘরে পহেলার প্রাণ
ধুয়ে মুছে সাফ হয় মনের ঝঞ্জাল।
শুভ নববর্ষ ১৪২৫।

গর্বিত বাঙ্গলী

অগ্নি স্নানে শুদ্ধ করি
মম হৃদয় হেরী।
বৈশাখের ঐ রুদ্র ঝড়ে
ভাসাই মনের কালি।
মঙ্গল জলে শুচি হই
ফেলে পাপের ঝুড়ি।
মম বাংলা হিয়ায় একতারা সুর
অামি গর্বিত বাঙ্গলী।

মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

পথ

বায়ুর পিঠে পথ চলে অন্য পথে
যে পথে মর্ মর্ নিঃশব্দ ঝংঙ্কার।
যে পথে হয়না ঝরা পাতার কথা
যে পথ গোপনে রাখে বিশ্বমাতা।

যে পথে কেউ দেখেনি  তাঁরকা
যে পথে কেউ লেখেনি কবিতা।
যে পথে পথ  হাটেনি কোনদিন
পথ খুজে চলে সে পথের দিশা।

গোধূলীর বাঁকে বিরানভূমি পথ ধরে
এক পশলা বৃষ্টিজলের পতনোল্লাশ।
মেঘের গাঁয়ে পূর্ণ চন্দ্রের ছুটির ঘন্টা
তাই সন্ধ্যা তাঁরার অাজ উঠতে মানা।

কাশফুলের বনে তার সকল কথা
বিলিয়ে কষ্টা গাথা মৃত্তিকার বুকে।
গহিন বনে একালা পথ হেটে চলে
অপর প্রান্তের অপেক্ষা যুগে যুগে।

নৈশব্দ ঝাউবনের স্মাত পল্লবে মতোই
জলের দ্যূতি পথচিবুকে অাছড়ে পড়ে।
সর্ সর্ ধারা অার ছলাৎ কিঙ্কিণী সুরে
মুক্তধারা বয়ে চলে গহিনের শেষপ্রান্তে।

পথের জীবন্ত চিত্রপঠ মৃত্তিকা বুকে
পথ চিত্র অাঁকে তার জলের ললাটে।
বিন্দু কণার বিরামহীন অভিযাত্রায়
পথের বজ্রমুঠি বিজয় কেতন ওড়ে।

অাবার পথ ওঠে বায়ুর পিঠে
নতুন অালোক পথের সন্ধানে।
এভাবে অাবার অন্য কোথাও
পথ অার পথের দেখা মেলে।

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...