শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭

প্রশ্নবোধক

তুমি কি অামায় নিয়ে যাবে?
অরণ্যের নিশ্চুপ নিবিড় ছায়াতলে।
তুমি কি অামায় কথা দিবে?
হিমাদ্রী পার হয়ে নায়াগ্রায় ভাসতে।

তুমি কি অামায় প্রদীপ দিবে?
অাধার দূরে ঠেলে অালো জ্বালাতে।
তুমি কি অামায় জোছনা দিবে?
নরম চাদরে শীতল পরশ বিছাতে।

তুমি কি অামায় ভালবাসবে?
সাত পাহাড়ের সব সবুজের মতো।
তুমি কি অামায় প্রণয় দিবে?
সাত অাকাশের সব নীলের মতো।

তুমি কি অামায় অাসঙ্গ দিবে?
তপ্তকাঞ্চনে মিহি পরশ বুলাতে।
তুমি কি অামার লালসা হবে?
শুক্রাণু ডিম্বানু নিষিক্ত হতে।




বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭

পেয়েছি তোমায়

সপ্নের মহাপ্রাচীর ভেঙ্গে
বর্তমানে এসেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

হিমাঙ্কের শীতল ভেঙ্গে
উষ্ণতায় রেখেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মহাকর্ষের ত্বরণ ভেঙ্গে
অন্তঃশূন্যে বেধেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

শতদলের অয়ন ভেঙ্গে
হৃদমাজারে ঠাই দিয়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

নিরেট অশ্মরী খন্ডনে
নির্ঝরে সিক্ত করেছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

বিয়োগ তকলিফ ছেদে
ইন্দ্রধনু রংয়ে রাঙ্গিয়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

সৌভাগ্যের অবতার হয়ে
অমরায় বসত গড়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মৃতে জীবন সঞ্জীবনী হয়ে
অমীয় সুধায় অমর করেছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭

অন্যন্যা

গোলাপী ওষ্ঠের মায়াবী হাসিতে
প্রিয়া  লজ্জাবতী লাজুকলতা।
চিবুক ছড়ানো সুখের মিষ্টি দূতিতে
প্রিয়া ভরা পূর্ণিমায় মধূচন্দ্রিমা।

দিঘল ছড়ানো ঐ বাহারী কেশে
প্রিয়া  কালো মেঘের বসতভিটা।
হরিণ লোচনের ঐ তীব্র চাহনীতে
প্রিয়া  কোটি প্রেমির ঘুম কাড়া।

যৌবনের তানপুরায় নিতম্বিনী উর্মি
প্রিয়া  জলকেলির বাহারি দূতি।
সুডৌল বক্ষে ঐ পর্বতের হাতছানি
প্রিয়া তপ্তকাঞ্চনে রঙ্গিন বাড়ি।

কামনার এিভুজে প্রবাহ স্রোতস্বিনী
প্রিয়া বাসর শয্যায় কামরানী।
নত্তল যৌবন উদরে উর্বর বীজ বুনি
প্রিয়া নবীন প্রাণের গর্বধারিনী।

পেলব অঙ্গে লতানো লাউের ডগা
প্রিয়ার চলনে নাগিনীর ছটা।
মিহি কাপড়ের ফাঁকে যৌবনের তাড়া
প্রিয়ার শাঁখ শাড়িতে তুমি অন্যন্যা।

রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭

স্নেহের দাদী

সবুজ রংচং প্রকৃতির অলিন্দ
অাম কাঠালের ঘ্রাণে অাকণ্ঠ।
ঝুমঝুম বৃষ্টি বলে যায় কানে
অায় ফিরে অায় নারীর ডোরে।

দমকা হাওয়ায় বৃষ্টিজল লুটোপুটি
অাষাড়ে ধারার গুমোট ঝলকানি।
দেখ তোর কিচ্ছা কথক কি সুধায়
কি হেতু স্নেহ ক্ষুধায় ডানা ঝাপটায়।

দাদীর মুখের সুমধূর ডাক
ভুলে গেছি কোন খেয়ালে।
অাদুরে কণ্ঠে বিরহ ক্রন্ধন
গেথে রয় তার মনে মনে।

মিঞা ভাই, বড় ভাই, রাঙ্গা ভাই
বিধেছে দাদী অারো কতো ডাকে
শিশুতোষ মনে এঁকে যায় তার
নীল অন্তিম গোধূলীর পানে।

করেছে মহান উত্তর পরুষকে
দুহাতে জাপটে অাগলে রেখে।
জীবন সাহ্নয়ে বিষের বাশি
একলা শুয়ে কণ্টক শিয়ের।

কেউ দেয় না একমুঠো ভালবাসা
কেউ না শোনে অার তার কথা।
কেউ রয় না পাশে গল্প শোনার
কিচ্ছা গুলো  অাজ ভিষন একলা।

অার কতদিন ডাকবে তুমি
মান অভিমানের তোমার সুরে?
অার কতোদিন থাকবে তুমি
সকল পাষাণ হৃদয় মাঝে?

কতোকাল দেখবো তোমায়
কঠিন অসুখ সংসার মাঝে?
কতো সুখে থাকবে তুমি
ব্যাথ্যাহীন ওপার জনমে।

ফরিয়াদ তোমায় খোদা
ক্ষমা করো দাদীর গুনাহ।
মাফ করো সকল অনাচার
হোক বেহেস্তের ঠিকানা।

ভালবাসি বু তোমায়
ক্ষমা করো নাতি রে।
ভালবাসা রইল তোমার
রাখবো বুকের মাঝে।

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭

বিষাধ সিন্ধু

বদন পানে ঠায় নীলিম নয়ন
খুজে ফেরা ঐ পথের পবন।
অলস মনে অাধার জাপন
অাকাশ কুসুম রোদের মরণ।

অমাবশ্যায় রচে চন্দ্র স্নান
এবরো থেবরো ক্লেশ মন।
দ্বিধায় সময় গরল পুষণ
জীবন নাশে সুখের অাগুন।

ঠুনকো দেহে ব্যাথার প্রবহণ
অানমোনা রয় সকল স্বপন।
অাত্মা কলের নিষ্পাপ হরন
নিষেক রতির সলিল জারণ।

বিদূর রজনীর একলা চলন
প্রণয় তরীর নিরব অনশন।
ছায়াগুলি সব দুর পলায়ন
তাঁরা অালোর ক্ষীণ বিচ্ছুরণ।

নিকর মেঘের কালির ব্যাপন
অাশায় বসতির অকাল পতন।
জোনাক জ্বলা হৃদয় জ্বলন
সপ্ত সিন্ধুর বিষাদ ধারন।

মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭

কতদূর ভালবাসা

ঝুমুর ঝুমুর ছন্দে চলি
অাজি নাচে ময়ূর হিয়া।
স্বপন তরে রোদের বদন
ইস, কি চমকের খেলা!

ঝরঝরা ঐ মাদল সুরে
শ্যামের বাশি বাতায়নে
সখি কি শুনে যাই, কানে কানে
অাহা কি বলে যাই, মনে মনে।

সুধাই প্রিয় অাপন খেয়ালে
ভালবাসা রয় মোর অাখরে
শিয়র পাতি তোমার বুকে
জনম জনম বেধেছি মনে।

অারো ভালবাসো হে রানী
দাও গো সব দয়া তোমারি।
ভালবেসে পোড়া দেহ জ্বালি
তুমি হৃদয়ের অালোক বাতি।

সুধাই অামার মনের রানী
অার কতদূর সুখের পাখি?
বলো কতদূর স্বপন বাড়ি!
অার কতদূর পথের পাড়ি!

শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭

স্বপনের দুয়ারে

বারিধারায় ভিজেছি হিয়া
সখি তোমারে খুজে পাইতে।
অাহা কি সং এ সেজেছি গো
তোমারি স্বপনের দুয়ারে।

দীপ্তস্নান মেখেছি সর্বাঙ্গে
সখি তোমারি প্রেমে মজিতে
অাহা কি রং এ রাঙ্গিয়েছ
তোমার হৃদয়ের অন্দরে।

বাতায়নে ভেসেছি খেয়ালে
সখি তোমারি বাসনা মিলাতে
অাহা কি ঢং এ বাধিয়েছ
তোমার নাকের নোলকে।


মজেছি ভুবনে স্বপন তরি
ভাসাই কুলের নাইকো দাড়ি।



মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০১৭

বিরহের সাক্ষী

ঝুমঝুম বৃষ্টিজলে বিরহ পতন
ঝরঝর ধ্বণিতে অানমোনা মন।
চেয়েছিলেম তোমার হৃদয় ছুতে
মেঘের বৃষ্টি কণা তাই যাই ছুয়ে।

ভালবাসি বলেছিলেম কানে কানে
চিবুক ভিজিয়ে তোমার অাখিজলে।
দুহাতে রেখো এক অাজলা বৃষ্টি ধরে
সাক্ষী রবে তোমার অামার বিরহে!

সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭

কলঙ্গ বৃষ্টি

অাকাশ বাড়ির সপ্ততলে
মেঘ গুরগুরে বন্দীধারা।
মুক্তি গানে দুঃখ সাড়া

বাঁধ ভাঙ্গা ঐ মুষলধারা।

বক্ষপটে শিখা বহ্নিমান
বাক্য হারায় তিলে তিলে।
কষ্টজীবীর হিয়া নিখোজ 
পোড়া বুকে ঢেকুর তোলে।

বজ্র ঝিলিকে চিড় মণ্ডল
হাপরে অঙ্গার অবনী রানী
কৃষ্ণপক্ষের রোল পড়েছে
তাঁরায় তাঁরায় জনম অাড়ি।

শিখার খোজে ঝিঁ ঝিঁ পোকা
অনল ঝাপটানো অাত্মাহুতি
অপেক্ষার তরে বিষের বাশি
সুখ মরীচিকায় অমিল বাড়ি।

ব্যাপন সকল নীল বেদন
কৃষ্ণনীলে অাকাশ পবন।
প্রমোদ কপাট রুদ্ধদ্বারে
অনির্বাণ চিতা অবগাহন।

একালা বেদন গরল মরণ
সুখের নিখোজ বৃন্দাবন
গঙ্গাজলে ভাসিয়ে দুকুল
বধির ছলে মৌন জাপন

সপ্ন শালিকের নবজন্ম
দুলে ওঠে সুখ শতদল।
বৃষ্টি'নায়ে ভাসাই কলঙ্ক
বিন্দু বিন্দু অাখিজল।

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...