শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬

নিয়তি

অাশায় বসতি সুসময় তরে
দিগন্তে মিলায় সে অন্য ললাটে।
তোমার নিস্তব্ধতা জীবন প্রবাহে
জীবন বয়ে চলে অন্যের দ্বারে।

তুমি চাঁদের অপেক্ষায় থাকো
তবু চাঁদ হারায় তাঁর অসময়ে।
তুমি দেখ অাকাশের নীলছায়া
তবু ফিরে পায় গহীন অমানীশা।

তোমার মন শিশু এখনো 
তবু অাজ বৃদ্ধ চুলগুলো।
তুমি অাছ সেই অতীতকে নিয়ে
অার সবাই চলে যায় ভবিষ্যৎতে।

তুমি হাসো অাগের মতই
তবু স্বর হয়ে যায় জড়ানো।
সপ্ন এখন অার ছোয় না তাকে
যদিও অাগের মতই সপ্ন বুনো।

তুমি সুখ খোজ মনের মাঝে
মন পরে রয় ঐ কোন সুদূরে।
সুন্দর ভবিষ্যতে তোমার অপেক্ষা
তবু সে রয়ে যায় পূর্বের সাদামাটা।

তাইতো ভেবে দেখ বন্ধু,
তুমি থাকবে কি অতীতে
নাকি যাবে নিয়তির সাথে-
'মৃত্যুর অন্তিম ছায়াবিথীতে'?

তুমি মরীচিকা

নীল নভোঃ নিল ছায়া
শান্ত বারি তরঙ্গে।
তব সনে রহিনু পরে
সুনীল অাবেশে।

অদূরে বসন্তের সহস্র ফুলকলি
ফুটেছে বারি তটে।
দক্ষিনা বাসাতে ফুলগুলি
যেন পেখম তুলে নাচে।

মোদের সঙ্গী বলাকা হয়ে
উর্মি নাচিছে রঙ্গে।
পবন প্রেমের শিহরনে
মন উঠেছে ভরে।

নব ঢংয়ে নব ছন্দে
চলেছি খেয়ায় নব তরঙ্গে
আহা কি আনন্দ চাহিতে
তোমায় বিভোর হয়ে।

মোরা এক বন্ধন
এক অাত্মা করে পণ
শিয়রে গেলাম তব কোলে
করে প্রেম সুধা পান।

গভীর সে নিদ্রায় রহিনু পরে
গভীর অচেতনে,
অজানা তৃপ্ত সুখে
সর্গীয় অমীয়ের অাবেশে।

নিদ্রা ঘোর ভঙ্গে হঠাৎ হিমশিহরন
দেখি চক্ষু মেলে,
গভীর অমানিশায় অকূল দরিয়ায়
অামি একা রয়েছি পরে।

অাছে বিরহী খেয়া,
নেই প্রাণপ্রিয় প্রিয়তমা।
মোরে অকূলে ফেলে
সে ভীড়েছে কূলেতে ।

অকূল দরিয়ায় উত্তাল হয়ছে
মহাভীমের ভয়ঙ্কর ভর।
সিডর রক্তচক্ষু অার
অাইলা সুনামির ঝড়।

তরী ডুবেছে অকূল পাথারে
অামার জীবন সাঙ্গ করে।
বিরহী প্রেমিক যাচ্ছি এক সমুদ্র
কষ্ট বুকে নিয়ে।

প্রিয়তমা, তুমি ছিলে এই
চোখের তাঁরা
প্রিয়তমা, তুমি রবে ঐ
চোখের তাঁরা।

তবুও অাফসোছে হাঁসফাঁসে-
এ হৃদয়ে বলে এ কি কথা?

তুমি রং করা পুতুল
বাইরে রূপেরর অাভা।
তোমার মনের মাঝে
ভিষন কালো-
'তুমি মরীচিকা'।

আহবান

ভালবাসার পবন অামায় বলে কানে কানে,
প্রিয়তমা বধূ অামার অাসবে অারো কাছে।

হৃদয়ের নীলাকাশে সপ্ন পাখি উরে
প্রিয়তমার সুবাস অামার লাগলো প্রাণেতে।
সেই অাকাশে সাজিয়েছি মূয়ুরী বাসর,
প্রিয়তমা অাসবে কাছে , করবে অামায় অাদর।


পূর্নীমার সবটুকু অালো তোমার সাদা মুখের দ্যুতি,
সাক্ষী সকল চাঁদ তাঁরা তুমি অামার সাথী।
ঐ রূপের কসম প্রিয় ভালবাসি তোমায়,
তুমি বিনে কেমনে বাঁচি একটাই তো ভয়।

ভালবাসার নদী অামার ভাসাবে অাজ ভেলায়,
প্রেম সাম্পানে পাড়ি দিবো দূর অজানায়।



দক্ষিণার বাসাতে তোমার নীল অাঁচল উড়ে,
তাই না দেখে বউ কথা কও মিষ্টি সুর তুলে।
প্রভাতের সবটুকু লাল তোমার মুখের হাসি,
তাই না দেখে পুষ্প কানন লাঁজে মরি মরি।

ভালবাসার ফুলগো তুমি অামার কাছে অাসো,
রাখবো তোমায় বুকের ভিতর, বাসবো অারো ভালো।

বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

রহস্য

যে সমৃদ্ধির ভাগ্য মানুষ সদাইের অাসায় ছুটে বেড়ায়,
এক ঝলেকের ভেলকি দেখেই ভাবে সে অর্জন করেছে।

যে সপ্নের অন্ত মানুষ খুজে বেড়ায়,
এক চিলতে সুখ পেলেই ভাবে তাকে খুজে পেয়েছ।

যে আকর্ষনে মানুষ পূর্ব পশ্চিম চষে বেড়ায়,
এক মুঠো অালো পেলেই ভাবে সে সফল হয়েছে।

যে রহস্য মানুষ সারা জীবন খুজে বেড়ায়,
অঙ্গতার বশিভূত হয়ে ভাবে তাকে খুজে পেয়েছে।

অামরা অাপনাকে হারিয়ে যখন পৃথিবীর ব্যস্ততায় যাই ডুবে
কাজের মাঝে সুখ অার দুঃখের ব্যবধান যাই ভুলে।

তখন বাস্তবতায় মিশে একসময়ের জুরুরি রহস্য নিষ্প্রয়োজন হয়ে যায়
যখন সূর্য পৌছে যায় তার সর্বোচ্চ  উচ্চতায়।

অার তখনই সে রহস্য অামাদের সামনে উন্মেচিত হতে থাকে,
যখন রহস্য জীবনের কাছে অর্থহীনতার মানে।

অামারা মানুষ ভাবি এটা অলৌকিক ঘটনার প্রতিফলন
যখন জীবনে রক্তের বন্ধন লৌকিকতায় অাস্ফালন।

যখন সে রহস্য নিন্তান্ত বর্নহীন হয়ে অামাদের কাছে দেয় ধরা,
তখন নিজের স্বার্থে সেই রহস্য কে লুকিয়ে ফেলি, সাঙ্গ করে সাঁড়া।

ঠিক যেমন নিশাচরেরা সত্য অালোয় অাপনাকে লুকিয়ে রাখে,
অার অাধার অাসতেই হিংস্রতায় ধেয়ে অাসে।

ঠিক যেমন লজ্জাবতী লতা নীরবতায়  উদ্বাসিত হয়,
অার কোলাহল কম্পনে ছুয়ে দিলে অাপনাকে হারায়।

ঠিক যেমন পুষ্প কানন অাধারে নিজেকে গুটিয়ে নেয়,
অাবার সকালে সে  সবার মাঝে সুবাস নিয়ে প্রস্ফুটিত হয়।

ঠিক যেমন রাতের অাকাশে তাঁরারা পিছু ছোটে,
অাবার দিবাকরের যাতনায় হারিয়ে যায় মহাকাশে।

অার তখনি ছায়াগুলো অামদের  পিছু ছেড়ে দেয়,
যখন জীবন তার জীবনের অর্থ খুজে পায়।

অার রহস্যকে অামারা তখনি অনুধাবন করতে পারি,
যখনি জীবন ভরহীন, দেহবিহীন, সংগাহীনতায় রূপে রহস্যে দেয় পাড়ি।

বাধাহীন অনন্ত জীবন অার নতুন একটি পৃথিবীর অাবাস,
যখন দূর হয়ে যায় ব্যথা, বিরহ ও  সব অন্ধকারের বিষাদ।

তখন তপ্তহীন সূর্য তাঁহার অালো নিয়ে অামাদের হাতে দেয় ধরা
হে পথিক, এটাই সময় সব দ্বিধা দ্বন্দ দূর করার, সবকিছু নতুনরূপে অারম্ভ করা।


নিজেকে খুজে ফেরা

মনুষ্য জীবন বরই অদ্ভুত, নিগূর সংগাহীন তত্ব
রহস্য তখন অন্তঃপুরে, যখন সে খুজে বেড়ায় প্রানান্ত।

যবে নিশ্চিতে বেখায়াল হয় ব্যস্ততার লাগি,
অপ্রত্যাশিত রহস্য অাপনা অাপনি বহিঃপুরে ভাসি।

রাত্রির গভীরতায়  অাপন ছায়াগুলোর পরিধী বাড়ে হৃদয়ে,
সমষ্টি হয় অতীতের কষ্টছায়ায় যোজ্ঞ উৎসব বিরহে।

অন্ধকারের কালো পৃথীবিতে মিলিয়ে যায় অশ্রুসমূহ,
অাপনজনাদের বিচ্ছেদ স্মৃতিচারণে অার্তনাদ মস্তিষ্ক।

শত সুখস্মৃতির মৃত্যু হয়  একটি কষ্টের অাবহে,
নির্ঘুম রাতে নিস্তব্ধতার বিনাস হয় ক্রন্ধন স্বরে।

রাত্রির পরিপঙ্খতায় সূর্য অালো ছরায় ভোরে ,
ছায়াগুলো অাবার হৃদয়ে ঘুমায়, অালোকের অন্তঃপুরে।

মধ্যগগনে সূর্যের অালোয় বিশ্বময় অালোকিত,
ব্যস্ততায় মনের নিশব্দতা ভাঙ্গে দ্বিধাময়তার পরাভূত।

হে অন্ধকারের সহযাত্রী, হে এক পর্বত কষ্ট বয়ে বেড়ানো হৃদয়
হে প্রথিক তুমি অদ্যবধি অচেনা,
 অার একবার ভাল করে চিনে নাও নিজেকে
বেছে নাও অাপন ঠিকানা।

এই ঝলমলে মধ্য গগনের দিবাকরে যা কিছু দেখছ, 
এগুলো তুমি, তোমার সত্যি অাজ সম্মুখে ভুমিষ্ঠ।

এখন সময় কালো ছায়াকে ঝলসে দেওয়ার,
দ্বিধাকে ঝেড়ে ফেলে অামাকে নুতন করে খুজে পাওয়ার।

বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬

ভালবাসা হারিয়ে গেছ

ছিলে তুমি কল্পনায়, নাই অার বাস্তবতায়
ছিলে তুমি চোখের তারায়, নাই অার দৃষ্টিসীমায়।

ছিলে তুমি ফাল্গুনে , নাই অার পৌষে
ছিলে তুমি হাসির মাঝে, নাই অার বিরহে।

ছিলে তুমি প্রেমী হয়ে, নাই অার প্রেমে,
ছিলে তুমি সুখ হয়ে, নাই অার অসুখে।

ছিলে তুমি হৃদয় মাঝে, নাই অার অস্তিত্বে
ছিলে তুমি স্পন্দনে, নাই অার স্পর্শে।

ছিলে তুমি অামার সীমানায়, নাই অার সীমারেখায়
ছিলে তুমি প্রেম অাত্মায়, নাই অার ভালবাসায়।

ছিলে তুমি অামার ঠোটে, নাই অার স্বরে
ছিলে তুমি অামার রূপে, নাই অার জীবনে।

ভালবাসা তুমি হারিয়েছ, ভালবাসা তুমি মিলিয়েছ-
'জন্মান্তরে'।

মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬

অখ্যাত যুবকের ভালবাসা

অখ্যাত প্রাগঐতিহাসিক যুগে এক নদীর বির্সজনে বিবাদ,
নব্য চর নব্য জঞ্জাল নব্য গ্রামে ক্ষ্যাতের অাবাদ।

তখন থেকে অদ্যবধি বদলেছে সবকিছু, পরিবর্তন মনুষ্য প্রজন্মে,

দিকবিদিক ছরিয়ে তারা অাজ বিশ্বময়, ভালবাসার জয়ে।

এক অখ্যাত যুবক পারি দেয় ইমারতের শহরে,
তার সপ্ন চিন্তা বাস্তবে রূপ দেবার প্রয়াসে।

প্রতিকী যুবক কঠিন ইমারতের মাঝে ভালবাসা খোজার চেষ্টা,
দিনন্ত ইট ভাংগে, তৈরি করে মাটির ঘর ও শীতল পাটির বিছানা।

সে পায় এক নারী, জয় করে তার মনটি,
ভালবাসা সত্যি হয়, 
তাকে ঘিরে সকল সপ্ন জাল বুনে দিন বয়ে যায়।

সে প্রিয়তমাকে  দিয়েছে তার সবচেয়ে সুন্দর মনটি,
প্রেম হয়েছে বায়ুর মতো  উন্মুক্ত, অার ভালবাসা জলন্ত অগ্নিগীরি।

হৃদয় নিংড়ে সব ভালবাসা তাকে দিয়েছে
তার সকল প্রার্থনা তার নামে উৎর্সগ করেছে।

লক্ষ কোটি ইর্ষাকারীর অাত্মায় অাগুন জ্বালিয়ে তাকে চেয়েছে
সবাইকে ইশ্বার্নিত করে শুধামাত্র তাকেই পথিক ভালবেসেছে।

এক সময়ে প্রিয়তমা তাকে বাঁচার সপ্নে বিভোর রেখেছে,
মাথায় হাত , চোখে চোখ  অার হৃদয় হৃদয় রেখে ভালবাসার প্রতিজ্ঞা করেছে। 

অথচ সরল হৃদয় বোঝেনি সে ধোকা খেয়েছ,
প্রিয়তমা তার নয় সে মোটেও, ধিক্কারে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

দিন যখন পরন্তে, সূর্য যখন হেলে পরেছে পশ্চিম দিগন্তে,
প্রিয়তমা চিনিয়েছ তার অাসল রূপ, ভালবাসার মানে।

এই ক্ষ্যাত গেয়ো ছোকরা অার ভালবাসা কি বোঝে?
এদের ভালবাসা বলতে বুনো জন্তুর কাম ছাড়া অার কিছু অাছে?

ভালবাসা অাছে মানলাম,  সে তো রিক্সাওয়ালার ও থাকে, তাই কি ভালবাসা?
কি সম্পদ অাছে তোমার, কি বা যৌগ্যতা তোমার ভালবাসার?

এরা কি সভ্য অামাদের মতো, পাড়াগাঁয়ের কি সভ্য মানুষ থাকে?
উচু ইমারত অার উচু মানুষের ভালবাসার সাথে কি ওর তুলনা চলে?

হে গেয়ো মানুষ, নিজের অবস্থান জানো

হে অসভ্য ক্ষ্যাত, অাগে নিজের গায়ের গন্ধ দূর করো।

গেয়ো মানুষ! অসমতায় ভালবাসা হয় না,
তোমার অনুভূতিকে ভালবাসা ও বলে না।

অপরিপক্ষ চিন্তা অার দূর্লভ সপ্নের প্রতিফলন মাত্র।

তুৃমি নেই বলে

তুমি চলে গেছ তাই অামার বসন্ত ও চলে গেছে,
হৃদয়ের জুরে এখন মেঘলা অাকাশ খেলা করে।

তুমি ভুলে গেছ তাই সপ্নগুলো গুমরে মরে,
দৃষ্টিজুরে এখন বিরহী ঝর্না বয়ে চলে।

তুমি ভুলে গেছ তাই স্মৃতিগুলো তোমায় খুজে ফিরে,
সময়বৃত্তের নিষ্ঠুর খেয়ালে নিজকে অবাঞ্চিত করে তোলে।

তুমি নেই বলে মধ্যরাতের তাঁরারা অামাকে ভুলে গেছে,
তুমি বিহীন চারিধারে অমানিশা বসত করে।

তুমি হারিয়েছ বলে সুখ অামায় দিয়েছে অাড়ি,
দুঃখ এসে ভর করছে করে অামায় বন্দী।

তুমি নিখোজ হয়েছ ভালবাসাও হয়েছে নিখোজ,
বাস্তুহারা বেদুইন হয়ে করে যাই তোমার খোজ।

খুজে ফিরে নিরন্তর এই পাগল প্রেমিক যবে প্রাণ বিরজমান।

মিথ্যার বসতি

সময়কালে কে সাক্ষী রেখে,
বুকভরা নিশ্বাসের প্রাণ দোলকে,
হাতে হাত রেখে বলেছিলে প্রিয়তমা,
কখনো ছেড়ে যাবে না।

জোসনায় শিতলতা অঙ্গে মেখে,
অাবছা অালোর মিষ্টি হাসিতে,
এক সাথে চন্দ্রপানে তাকিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলে,
অামাকে ভুলে যাবে না।

জলেকেলিতে পা ডুবিয়ে,
একে অন্যের ছোয়াছুয়িতে,
কানে কানে চুপটি করে বলেছিলে,
ভালবাসা হারিয়ে যেও না।

তবে কি তুমি মিথ্যা ছিলে,
নাকি অামি নিজেই মিথ্যা হয়ে বসত করেছি তোমার সাথে?
প্রশ্ন করে অার লাভ  কি বলো-
উত্তর অবান্তর।

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬

নষ্ট যৌবনের বিকৃত আর্তনাদ

হে  সুদর্শনা রমনী , অপরূপার আধার
যশ প্রলুদ্ধের হাতছানিতে,
সর্পীল ছন্দে, সরুলতার ঢং এ
বিটপী অঙ্গমালা প্রস্ফুটন করে
এক চিলতে সচ্ছ বস্ত্রফিতা পরিধানে
লজ্জাকে পরাভূতে করে
নীল পর্দায়, অন্তজালে, এলইডি তে
তোকে চোখ জুরিয়ে দেখা ও গেলার সুজোগ পেয়েছি-
ক্ষুধার্ত আমি, কাম রাক্ষস, নর জানোয়ার।

তোর মাতালিনী মগ্নে, মায়াবী মায়ার  জালে,
এই সুপ্ত কামকে জাগ্রত করে।
তুই নিজেকে পণ্যরূপে সমার্পন করে
নাজায়েজ ফায়দায় প্রিয়মুখ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা।

এই কোমল হৃদয়কে কামার্ত হয়
ঐ ভরাট অঙ্গের ভেলকি দেখে।
এই শিতল শরীর উষ্ণ হয়,
তোর বিকৃত সব রঙ্গলীলায়। 
শান্ত হরিণটি হয়ে যায় নেকরে
কি কুৎসিত এই দেহের কামনা।

স্বার্থপর পুজিপতিরা তোকে মেরুদন্ডহীন করে
মুনাফা আর মোটা অংকের মায়াজালে
নগ্নরূপে বিকিয়ে অন্ধকারের রাজত্বে
দাসী করে দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দী করেছে।

রাত ফুরালেই তারাই মহামানব-
লিঙ্গের সুষম বন্টনে গলাবাজি,
আধুনিকতা র ফ্যাশনের ধোয়া তুলে
নগ্নতাকে 'র্ট' করার অপচেষ্টা।
শিল্পকলার নামে চলছে ফষ্টিনষ্টি।
বাধ সাধলেই আমি গোরা, ক্ষ্যাত,
মুক্তমনা নই ইত্যাদি, ইত্যাদি।

কোমলমতি নবপ্রজন্মের কিশোরের দৃষ্টিতে জ হায়েনার চাহনী
সুস্থ মস্তিস্ক থেকে অসুস্থ বিকৃত মানসিক রোগী
মখুভর্তি বিশাক্ত লালা র হাতের নিশপিশানি
ভিড়ের মাঝে কাঁচা মাংসের লোভে ধেয়ে সে বীর্যের হাতছানি।

হে নীল পর্দা র অন্তজালের বেশ্যা,
হে পুজিপতি ধুনিক মানুষ,
হে মুনাফালোভী মুখোশধারী-
নগ্নতা যদি ধুনিকতা ও ফ্যাশন হয়,
তবে ধর্ষণ কি শারীরিক চর্চা হতে পারে না?

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...