সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬

কথোপকথন

হ্যালো বন্ধু, শুনতে পাচ্ছিস? হ্যা অামি তোকেই বলছি।
কোন ভনিতা নয়, এইবার চট জলদি উত্তর দিবি।
কি বল্লি? সময় নাই! বিজি? চুপ পাজি কোথাকার! ফাইজালামি করিস!
না এখনই! অার কোন কথা নয়, উত্তর চাই সত্যি সত্যি।

তো প্রশ্ন শুরু করি? রেডি, ওয়ান, টু, থ্রী......

তোর অাত্মার কোন পাশে অামি বসত করি?
তোর কোন হাঁসির ঠোটে অামি মিশে থাকি?

তোর কোন চেতনায় ঘোরে অামায় ঘিরে রাখিস?
তোর কোন বুকে কেমন করে অামায় লালন করিস?

কি ঝিম মারছিস কেন? তারপর বল-
তোর কোন অাকাশের কোন কোণে অামার ছবি রাখিস?
তোর কোন সপ্তবর্ণার কোন রং অামার দেহে মাখিস?

তোর কোন অনুরাগে অামার অাবেগ মাখা অাছে?
তোর দুঃখের কোন স্তরে অামার কলঙ্ক লেখা অাছে?

অারে অস্থির হচ্ছিস কেন? ভেবে বল-
তোর কোন কান্নার রোলে অামি ঝরে পরি?
তোর চোখের কোন দৃষ্টিতে অামি ভেসে উঠি?

তোর প্রশ্বাসের কোন প্রবাহে অামি ছুটে চলি?
তোর স্মৃতির কোন অংশে অামি বিচরন করি?

অামার চোখের দিকে তাঁকিয়ে বল-
তোর কোন বাগানের ফুল হয়ে কোন সুবাসে ভাসি?
তোর কোন ঋতুর সঙ্গী হয়ে চারিধারে থাকি?

তোর কোন নক্ষত্রের তাঁরা হয়ে তোর হৃদয়ে জ্বলি?
তোর কোন পূর্ণমার অালো হয়ে নিশী জেগে থাকি?

একটু ধর্য্য ধর ঘুম কুমারী, এই তো হয়ে এলো!
তোর কোন সপ্নের কুমার হয়ে তোর হাত ধরি?
তোর কোন নিদ্রায় চুপিচুপি তোর দেহে অাসি?

তোর কোন নদীর বুকে অামি ব্যাকুল সাতার করি?
তোর জীবনের কোন ভূমিকায় অামি রোল করি?

শেষ দুইটি প্রশ্ন, জানতে খুবই ইচ্ছে-
তোর কাছে অামার অনুভুতির নাম বা মানে কি?
সেটা কি সত্যি ভালবাসা, নাকি নিছক সহমর্মিতা?

শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

তুই কি অামার বন্ধূ হবি?

তুই যদি একবার বলিস অাকাশ ভালবাসি
তোকে নিয়ে দিবো অামি এক নীলাকাশ পাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস বাঁচতে ভালবাসি,
তোকে নিয়ে দিবো অামি এক মহাকাল পাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস নদী ভালবাসি,
তোর জন্য নিরন্তর অামি বইবো নিরবধি।

তুই যদি একবার বলিস ঝড়না ভালবাসি,
তোর জন্য জলধারা হয়ে তোর পায়ে পড়ি।

তুই যদি একবার বলিস পাহাড় ভালবাসি,
তোর জন্য হিমালয় হয়ে সপ্ন দিবো পাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস সমুদ্র ভালবাসি,
তোর জন্য মহাসাগর হয়ে তোর বুকে ভাসি।

তুই যদি একবার বলিস চাঁদমামা ভালবাসি,
তোর জন্য ধরায় বানাবো জোঁসনা মাখা বাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস প্রভাত ভালবাসি
তোর জন্য প্রভাকর হয়ে থাকবো অামি ভারী।

তুই যদি একবার বলিস বৃষ্টি ভালবাসি,
তোর জন্য জলকণা হয়ে ভেজাবো তোর শাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস গোধূলী ভালবাসি,
তোর জন্য বানাবো অামি লাল পাহাড়ি শাড়ি।

তুই যদি একবার বলিা কাঁশফুল ভালবাসি,
তোর জন্য সারা মাসে শরৎ রবে জারি।

তুই যদি একবার বলিস বর্ষা ভালবাসি,
তোর জানালায় বারিপাত হয়ে শ্রাবণ হয়ে পড়ি।

তুই যদি একবার বলিস শীত ভালবাসি,
তোর কৃষ্ণ চুলে শীতলা বায়ু হয়ে আমি উড়ি।

তুই যদি একবার বলিস গল্প ভালবাসি,
তোর জন্য হয়ে যাবো হাজার গল্পের ঝুড়ি।

তুই যদি একবার বলিস কাব্য ভালবাসি,
তোর জন্য হয়ে যাবো বিশ্বসেরা কবি।

তুই যদি একবার বলিস গান ভালবাসি,
তোর জন্য হয়ে যাবো প্রেমের কন্ঠশিল্পী।

তুই যদি একবার বলিস যুদ্ধ ভালবাসি,
তোর জন্য হাজার যুদ্ধে লড়তে রাজি অাছি।

তুই যদি একবার বলিস বেড়াতে ভালবাসি,
তোকে নিয়ে যাবো অামি সৌরজগত ছাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস ঝগড়া ভালবাসি,
তোর সাথে খেলবো অামি অাড়ির লুকোচুরি।

তুই যদি একবার বলিস কার্টুন ভালবাসি,
তোর জন্য কার্টুন হয়ে করবো তোকে খুসি।

তুই যদি একবার বলিস ক্লাউন ভালবাসি,
তোর জন্য জোকার হয়ে দাড়াবো অামি দিব্যি।

তুই যদি একবার বলিস বাঁচাল ভালবাসি,
তোর জন্য বকবকানিতে হবো অামি বাগ্মী।

তুই যদি একবার বলিস সুবাস ভালবাসি,
তোর জন্য ফুল হয়ে তোর উঠোনে অাসি।

তুই যদি বলিস একবার অামি তোর শান
শুধূ তোর জন্য অামি হয়ে যাবো সুপারম্যান।

বালিকা তুই যদি একবার দিস অামায় একটি হাঁসি,
দেখবি তোর পায়ে রাখবো হাজারো নীলকান্তমণি।

বালিকা তুই যদি একবার বলিস তোমাকে ভালবাসি,
তবে মহাবিশ্বের প্রতিটি কোণে লিখে দিব তোকে ভালবাসি।

প্রিয় বালিকা! যদি তুই একবার বলিস ফুসমন্তর,
অামার দূর হয়ে যায় সব শঙ্কা, যাদুটোনা, ভয়-ডর।

বালিকা তুই  লক্ষী বালিকা, তোর দেখানো পথে অামি হাটি,
তুই অামার অালোক অাধার, তুই তে বাঁচি  অাবার তুই তে মরি।

তুই অামার হাজার জনমের এক ভালবাসা, সৈভাগ্যের চাবি
বালিকা! এই বালিকা! সত্যি করে বলতো, তুই কি অামার বন্ধূ হবি?

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬

পিপীলিকা নিধন



দৈত্য তোর পায়ের তলে পিপীলিকা যায় পিষে,
তোর যাতনায় পিঁপড়া ছানা বেঁচে থাকে ধুকে ধুকে।

দৈত্য তোর দেহের বলে আঘাত করিস শীর্ণ বুকে
দৈত্য তোর রিপুর তোড়ে, পিপীলিকা মরে মরে

তুই মনে পুষিস-  শক্তের ভক্ত নরমের যম, জোর যার মুল্লুক তার
তুই ভুলে গেছিস- জীবে সেবিছে যে, সেবিছে ইশ্বর।
 
বর্মী ভিক্কু তোর দ্বারা বৈদ্যনীতির হিন রূপান্তর
বিজাতীয় হত্যায় সর্গলাভ নতুবা ভাগা দেশান্তর।

আজ শ্বাশত জীব হত্যা মহাপাপ মুসলমান ছাড়া
মার মার কাট কাট লুটে নে যত পারিস ক্ষুধা মেটা।

বুদ্ধশিশু রোহিঙ্গা পিঁপড়ার রক্ত উল্লাসে মাতে,
স্ববর্গবাসী বুদ্ধদেব তোর রঙ্গ দেখে হতাশ হয়ে

বাঙ্গালী নব্য ধারায় ধর্মান্ধ উগ্র মানুষের বাড়ন্ত
পুথিমালা আর সিদুরের বোঝা মাথা নিয়ে মালায়ন জাত সন্তন্ত্র।

জাত ধর্মে মুজাহিদের মুখোশ পড়ে  জবাই, নিপীড়নের হিরিক
হিন্দু, বৈদ্ধ, সাউতাল, চাকমার  হাহাকারে বিদীর্ন দিকবিদিক।

শান্তির ধর্ম বুকে নিয়ে অাগুন লাগাস নাঙ্গা দেহে,
অাল্লাহ তোর খেলা দেখে তাকিয়ে রয় ঘৃণার চোখে।

নাৎসিদের কোন ধর্মে ইহুদি নিধন বিধি আছে
আবার ফিলিস্থিনীর লাশে বুকে ইজরাইলি নিশান উড়ে।

নাস্তিকের দোহাই দিয়ে ইন্দোনেশিয় বুজুর্গ তুই মারলি লক্ষ সন্তান
আবার জাতীয়তাবাদীর হায়েনা হয়ে করলি শিকার বসনিয়ার প্রাণ। 

যীশুর পুত্রের মুখোশ রূপে, বিভেদ ছড়াস দিকে দিকে
সর্গলোকে যীশু বসে তোর কীর্তি দেখে লাজে মরে।

ইসলামকে জাদুঘরে রেখে শিয়া-সুন্নি  জিহাদ করে,
কাদিয়ানি-মওদুদির সাফাই গাইতে লক্ষ কোটি মুসলিম মরে।
 
লক্ষ হিন্দু-মুসলিম প্রাণ সংহার দ্বিজাতিতত্বের বিষে 
বিজাতীয় হত্যা সব অাজো উপমহাদেশের  রন্ধ্রে রন্ধ্রে।  

রাম-কৃষ্ণের ভক্ত বেশে, ধর্ম গরুর রক্ষক সেজে অজাত-কুজাতের বলি
ইন্দ্রলোকে দেবগন বিষাদে জ্বলে  নিছক মনুষ্য সৃষ্টির লাগি।

বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ তুই বুনো নিগ্রো নিধন করিস
মহাপুরুষ কালো তুই সাদার উপর থুঃ থুঃ ফেলিস।

স্বর্গলোকের বাসিন্দা ভেবে পশিমারা বেজায় সুখে
পশ্চিমা শয়তানের  বেজন্মা ভেবে পূর্ব তুই আছিস মজে ।

দৈত্য বলিস, বাছা ভাবলে এত নিরানন্দ  তবে বাঁচা  
বাঘে ছুলে অাঠার ঘা, অার অামি ছুলে মরণ ঘা।

দৈত্য এলোসুখ ফুরালোপিঁপড়া ঘুমালো, হিংসে এলো দেশে
খুবলে নিল, চিড়ে খেল, পিষে মারল দৈত্য দলের বিষে।

পিঁপড়ার জায়গায় আসন গেড়ে তাকেই মারে শেষে
ক্ষমতাবানেরা ঘর ভেঙ্গেছে, মাটি কেড়েছে, চাঁন্দা দিবে কিসে?

অধর্ম  নহে, শ্বাশত সংখ্যালঘু ধরনীলোকে নিঃষ্পেষিত!
অপ রাজনীতি চরিতার্থাতের লাগি অপব্যাখ্যায় ধর্ম নৃশংস।

ক্ষমতার গদি  দীর্ঘের তরে ধর্মকে করে পুজি
বিপন্ন মানবতায় সাঙ্গ হয় শ্বাশত, মজলুমের হাহাজারি।

নৃশংসতা নহে ধর্মমিথ্যায় কভু হয় না  ধর্ম
দৈত্যের কোন নাহি ধর্ম, নৃশংস-মিথ্যা তার বর্ণ

দৈত্য হে! এক পলকে জুড়াবে সবধিকিধিকি জীবন বাতি,
কাহার লাগি বড়াই দৈত্য, কিসের হেতু মারিস পিঁপড়ে নাহি বুঝ অাসি।

রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

ভালবাসা অতীত

সপ্ন সারথী!
পাশের থাকার পণ করে অাত্মাদ্বয় অাপনাদের করেছিলো সমর্পন।

চন্দমুখী প্রিয়তম!
মায়াময় মুখখানিতে একেঁ ছিলো এক প্রান্তর রূপালী হাসি।

কৃষ্ণাচোক্ষি অন্যন্যা!
জাদুমাখা চোখে জমিয়ে ছিলো হিমাদ্রীর সবটুকু নীল।

দয়াময়ী ভালবাসা!
প্রশস্থ ও তুলতুলে বুকে চেয়েছিলো এক চন্দ্রীয় বাসর।

সহচারী বন্ধূ!
দৃঢ় ও পেলবী হাত র্স্পশে বেঁধে ছিলো একমুখী জীবনপথ।

বাঁচিবার প্রেরণা!
এক পৃথিবী বির্সজন দিয়ে করেছিলো অামরন প্রতিজ্ঞা।

অাজন্ম সহচর!
পরস্পরকে সাক্ষী রেখে একরাশ সপ্নের অালোক নিয়ে বলেছিলো 'ভালবাসি'।

তবে কি হলো, ভালবাসা কেন দ্ধিধায়?
কেনই বা সপ্নগুলো অার দেয়না ধরা?
কেনই বা সাঁঝের মায়ায় সন্ধ্যা তাঁরা লুকিয়ে থাকে?
কেনই বা ছুয়াছুয়িতে শিতলতার অাহ্ববান?

বিশ্বাস নাহি যবে অনাস্থা প্রবাহের সুর
সমাধানের পাশ কেটে তর্কেতর্কে বহুদূর।
ভালবাসায় তবে লাভ-ক্ষতির অংক কসা
সন্দেহের অারম্ভ, সম্পর্ক কুড়ে খায় ঘুন পোকা।

পিঁপড়ায় খায় পরিত্যাক্ত মিলন মধূ, মহোৎসবে ভারী
বসন্তের কোকিল কণ্ঠসুরে ভাংগনের কলকাঠি  নাড়ি।

ভালবাসার সূর্য্যি মধ্য গগন না পেরতেই বিদায়ী অস্ত, 
পূর্ণচন্দ্রের চন্দ্রগ্রহণ, জোছনালোকে অসহায় পরাজিত।

ব্যথাতুর অাত্মার ব্যাপন, ছরিয়ে পড়ে দূর দিগন্তে,
ভালবাসা অতীত হয়ে মিলে স্মৃতির পাতায়, ইতিহাসে।

অশ্রুসিক্ত গঙ্গাজলের উর্ধ্বপাতনে কষ্টকণিকা কালো মেঘে মিশে
বৃষ্টি অাজি তাই বাধ সেধেছে ভাসবে সে শূন্যে, ক্লেশ হয়ে।

শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

কল্পিত ভালবাসা

বিসৃত স্মৃতিচারণের অন্তঃপুরের নির্মম অাহুতি
কল্পিত অবাচ্যে একমুঠো সুখের হাজার মিনতি,

প্রেমময় অাবহ  ফিরে পাওয়ার সজ্জল প্রার্থনা
ভালবাসি প্রাণে, যৌবনা ভালবাসা ছুয়ে দেয়া

নির্মেঘ সপ্ম অাকাশে অদৃষ্ট মেঘের লুকোচুরি
অসীম বিপরীত প্রান্তরেখায় সুপ্ত ভালবাসার ইতি

অাবছা অাধারে ধ্রুব তাঁরার বিরহ লুটোপুটি
নিশ্চলা বায়ু কোণে থেমে থেমে বিচ্ছেদের অাহাজারি

নিথর হিম হিমাদ্রীর মুক্তির উষ্ণতায় অার্তনাদ
কাবৈশাখীর প্রয়ল ঝড়ে বিরহিনীর বিলাপ

সপ্নগলোর ভয়ার্ত রাঙ্গানিতে নিদ্রার বিলোপ
ভগ্ন হৃদয়ের নিরব ক্রন্ধনে চক্ষু ঝরনার সংকট

অাবর্তমান অতীতে ফিরে যাবার হাহাকার,
শান্তিজলে জোয়ারের লাগি অস্থিরতায় বিকার

দুহৃদয়ে ভালবাসা অানয়নে দীর্ঘকাল অপেক্ষা,
কল্পিত ভালবাসা কল্পনায় বাস, বাস্তবতায় অনিহা

হায়রে ভালবাসা! নিষ্ফলা ভালবাসা! কল্পিত ভালবাসা!

শূন্যতায় সৌন্দর্য

আমি ভরহীন ভাসমান মনু্ষ্য বা তার পরাবাস্তবের ছায়া
আমি একই সাথে প্রাণহীন বা প্রাণ সঞ্চারে আচ্ছন্ন মায়া।

আমি দেখি সপ্তবর্ণার বাইরে আরো কত রং!
সব রং যেন জীবিত প্রাণের ঢং!
তারা তাদের মাঝে বলে কত কথা!
কোন রং নৃত্যের ছন্দে দশদিগন্তে ছোটে!
কোন রং নিষ্পলক নয়নে অবিরাম কাঁদে!
কোনটা ভাবনাহীন অট্টহাসি আবার কেউ বা সুক্ষ্মদর্শী মুচকি হাঁসে!
কোন রং আবার অভিমান্য ঠোট ফুলিয়ে বসে থাকে!


আমি বাস করি ধরাতলে বা মহাশূন্যের অসীম শূন্যতায়
একই সাথে জন্ম ও মৃত্যু কে উপভোগ করে আমার সহবস্থান নিরন্তরতায় ।

আমার বিচরন হয়তবা কোন মনুষ্য মাতৃজঠরে
বা অবিরত গমন নিষ্পাপ প্রেমির অছেদন নিন্মাঙ্গে।
অথবা কোন যৌবন মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ষিতা গ্রহাণুপুঞ্জে
আবদ্ধ অতল কৃষ্ণ গহ্বরে কালো মায়ার বাধনে।
হয়ত কোন নিহারিকার বা কলঙ্কীত ধূপছায়ার গতিপথে
অথবা অশীররী ছায়াপথ হতে ধ্রুব নক্ষত্রপথে।
আমি বিবর্জিত ভরশূন্য দুষ্প্রাপ্য পদার্থ,
মহাকর্ষজ ত্বরণ আমায় স্পর্শ করে না।

প্রাণহীন ও প্রাণময় আত্মায় দিন-রাত্রির সন্ধিক্ষণে বিচরন
নিরাকার দেহে নেশাপ্রবণ ধূপছায়ায় ঝাঝালো গন্ধের ব্যাপন।

না আমার দেহকোষে আছে নিউক্লিয়াস
বা তাতে ঘূর্ণিয়মান ইলেক্ট্রোন পরমাণু কণা,
অথবা ধমনী ও শিরায় লোহিত কণার  উপস্থিতি।
না আমি কোন স্বপ্নঘোরে থাকি বা কোন সপ্নকে মারি
না আমি জৈবিক কোন ক্রিয়ায় বাঁচি বা মরি।
ক্ষনস্থায়ী আদম বা অমর ভিনগ্রহের সন্তান আমি
জাগতিক ও মহাজাগতিকে সমান্তরালে বয়ে চলি।

আত্মহনন বা আত্মজাতে প্রেমমুক্ত অববয়ে নির্বিকার চাহনি
অদৃশ্য শূন্যে ছায়াহীন বসত আবার অসংঙ্গায়িত দৃষ্টিপটে পার্থিবের উপস্থিতি।

আমি একই সাথে জান্নাত ও জাহান্নামের পথে হাটি
আমিই সমভাবে স্বর্গের নহরে ভাসি ও নরকের আগুনে জ্বলি
প্রাণ অবিনাসে সন্ধি করি বাস্তব ও পরবাস্তবের সাথে।
অতীতে কে ভবিষ্যতে আর বর্তমানকে অতীতে ধাবমানের মাধ্যমে
উলটপালটের বাইস্কোপ দেখাই প্রকৃতিজাতের উপাদানকে।
আমি স্থির বিন্দু থেকে বিচরন করি বর্ধিত অনুগামী রেখায়
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি ও ধ্বংসের মাঝে মজি জন্ম ও মৃত্যু খেলায়।

বর্ণহীন অদৃশ্য রংয়ের মায়াজালে অঙ্কিত আমি শূন্য চিত্রপটে
বাষ্পীয় জলের মতই ক্ষণিকে মিলাই সীমাহীন অদৃশ্য কল্পে।

আমি অন্তিম সুখের তীব্রতায় ভংয়কর দূরারোগ্য অসুখ
আমি নিষ্পাপ হাসির অধরে আকন্ঠ কষ্ঠের কান্না
আমি চিরন্তন সুস্থতার অন্তরালে চরম মানসিক পীড়া।
আমি চীরসৌন্দর্যের প্রতিরূপে কুৎসিত বিষাক্ত লালা
আমি  দয়াপরবশের মায়ায় নিষ্ঠুর অবতারের ছায়া।
আমি ভূলোক-দূলোকে অসীম বিচরনে খুজি আনন্দ
আমি শুন্য, সৃষ্টিধরে আমি শুন্য, শূন্যতায় আমার সৌন্দর্য!

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি

ইন্দ্রপুরী রানী!

ইন্দ্রিয় মায়ায় অাচ্ছন্ন করেছ প্রেমিক হৃদয়,
মর্তের ধরায় তোমার অাগমনে প্রাণকুল অাত্মহারায়।

সর্গলোকে অাবাস তোমার,অারধ্য ইন্দ্র পিরিতি,
মহব্বত জাদু দৃষ্টিতে করেছ অলোকের ব্যপ্তি।


অমরাবতী প্রিয়তমা!

তোমায় ভালবাসতে সহস্র মহাকাল বাচিঁ মরি,
নিরন্তর পুনঃজন্মে ভালবাসার রথ অসীম জারি।

মিষ্টি রূপের মায়ার বাধনে প্রেমিক স্পন্দন হাহাজারি,
দিবাকর- শশাধর সাক্ষী প্রিয়তম, তোমাকে অনেক ভালবাসি।


লাস্যময়ী অপ্সরা!

তব সুবাসে ধরনী পুষ্পকলি অাহা কি লাজে  মরি,
তব রূপেরমোহে সূয়াপর শুক্লপক্ষ চন্দ্রের অাড়ি।

তব বচনে অাহা লাজবাব পাখির স্তব্ধ কলকাকলি,
তব ছন্দে ময়ুরপঙ্খি নৃত্য ভুলিয়া লাজুক লুকোচুরি।


হূর জান্নাতি!

অলোকের প্রেম হয়েছে অমর তব প্রেম সুধায়,
প্রিয়তমায় ভালবেসে জয় হয়েছে প্রেমিক অাত্মায়।

সতন্ত্র প্রেমিক  নিঃস্ব কি দিবে তোমার চরণে,
প্রিয়তম তোমায় ভালবাসি শপথ মম প্রেমে।

হে ইন্দ্রানী!
প্রেমিক হৃদয়ের অাজন্ম প্রতিক্ষা তোমায় ভালবেসে,
সকল ইবাদত তব নামে, অর্ঘমাল্য সপি তোমার চরনে।

তোমায় ভালবেসে পিরিতে মরণ বারং বার মরি,
মরিতে বহুত সুখ প্রেমেতে, ভালবাসি! ভালবাসি!ভালবাসি!

বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬

অাহা কি ভালবাসি!

রাঙ্গাত বদন কন্যা,
লাল কৃষ্ণচূড়ার লজ্জানত হাঁসিমুখ-
অাহা কি ভালবাসি!

যৌবনারম্ভা কিশোরী বালিকা!
বালিকাসখির নম্রমুখের নথ নাড়া হাসি-
অাহা কি ভালবাসি! 

সুবাসিনী পেলব কচি ডগা,
কুমারীব্রতে নিরন্তর অস্থিরতায় অসুখী-
অাহা কি ভালবাসি!

ডাগর আঁখিতে কৃষ্ণমায়া,
অনুঢ়া প্রিয়ার নেশাপ্রবণ চাহনি-
অাহা কি ভালবাসি!

চিকনা ওষ্ঠধরে মায়াবী অাহ্ববান
ষোড়শী কণ্ঠির সুরের ঝংকার-
অাহা কি ভালবাসি!

বিটপী মালার হাসফাসানি
যুবতীর যৌবনায় বহমান কলকলি-
অাহা কি ভালবাসি!

অাধার কালোর কেশবীথি,
রমনীর দিঘল সর্পী বেনীর বাহারি-
অাহা কি ভালবাসি!

সফেদ হাতের উষ্ণ অাদর,
প্রিয়সখার মোহিনী অালিঙ্গন-
অাহা কি ভালবাসি!

রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৬

কবি, প্রেম ও কল্পনাশক্তি

সব কবিগণই কি প্রেমিকের প্রতিচ্ছবি? কবি হতে গেলে প্রেমিক হওয়া কি পূর্বশর্ত? প্রেমিক না হলে কি তাকে কবি বলা যায় না? নাকি কবি মনে প্রেম না প্রেমের ঐকতান না বাজলে ছন্দ উৎপন্ন হয় না অথবা কাব্য সৃষ্টি হয় না? একজন কবিকে মূল্যায়ন করতে ও তার কাব্য কে বিশ্লেষন করতে গেলে তার মনের ভাবনা এমনকি কবিতার অর্থের সাথে তার ব্যক্তিগত জীবনকেও জড়ানো হয়। তখন কবিতা মাধ্যমে কবির চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য মূল্যায়নে সবাই হতব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে কবির আসল ব্যক্তিত্ব আড়ালে পরে কবি মনের কল্পনাই বাস্তবতা হিসেবে সবার সম্মুখে ধরা দেয়। সেই বিবেচনায় একজন কবি মাত্রই বহুপ্রেমিক, কপট, চরিত্রহীন, যৌনকাতর এমনকি মিথ্যাবাদী বলতেও ছাড়েন না অনেকে।

প্রকৃতপক্ষে,  কবি হওয়ার ক্ষেত্রে প্রেম, প্রেমিক/প্রেমিকা উপকরনসমূহ গৌন। তাই কবি হতে হলে প্রেমিক হতে হবে এর কোন অর্থ নেই। তাছাড়া কবি হওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হলো কবির "অমিত কল্পনাশক্তি" আর তাঁর সেই কল্পনাগুলোকে লেখ্যরূপে নিয়ে আসার "ক্ষমতা"। সৃষ্টির শুরু হতে সকল নর নারী কাওকে না কাওকে ভালবেসেছে, কিন্তুু কবি হয়েছে কয়জন? আসলে কবি যা লেখে তাহা অধিকাংশই নিখাদ কল্পনার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

তবে অনেকেই এ ব্যাপারে  একমত নাও হতে পারেন। কারন তাঁদের যুক্তি প্রেম ছাড়া  কাব্য রচনা অসম্ভব। তাঁরা বলে থাকেন প্রেম শুধু নারীর প্রতিই প্রেম নয়, প্রেম অবিনশ্বর, ছায়াহীন, ভিন্ন রূপি। প্রতিউত্তরে আবার প্রশ্নও করে বসেন যে- "অমিত কল্পনাশক্তি অনেকের আছে, কিন্তু তাদের কয়জন কবি ছিল বা হয়েছে  কয়জন? কিন্তু যারা কবি ছিল বা আছে তারা সবাই প্রেমিক, কবিতার প্রেমিক, ছন্দের প্রেমিক।"

সেক্ষেত্রে ইহা স্পষ্ট করে বলা যা, প্রেম ছাড়া কবিতা হয় না ব্যাপারটা তা নয়। এখানে আলোকপাত করা হয়েছে কাব্যর জন্য প্রেম গৌন? প্রেম দরকার তবে তার থেকে বেশী দরকার হলো কবি মনের ভাবনা। প্রেমিক মাত্রই যদি কবি হয় তবে পৃথীবির সকল নারী- পুরুষই কবি! এমন কি নিকৃষ্ট জন্তুু জানোয়ার, উদ্ভিদ, হতে পারে আরো ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীব তার অর্ন্তগত! কারন সব প্রাণ কুল শুধূ বিপরিত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হয় ব্যাপারটা তা নয়, অধিকন্তুু তাকে ঘিড়ে তার জীবন চক্রের তথা বাস্তুুসংস্থানের প্রত্যেকটি অংশের প্রেমে পড়ে সে। কিন্তুু কবি মনে এগুলোর বাইরে একটা বিষয় অতিসুক্ষ্ণ কিন্তু অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্নভাবে কাজ করে; তা হল কবি  মনের তীব্র অনুভুতিপ্রবণ কল্পনা।

তবে কবির কল্পনাশক্তি বনাম প্রেমের ব্যাপারে সবাইকে একমত হতে হবে এমন কোন কারনও নেই। বৈচিত্র ভাল, সৃষ্টির সকল প্রাণই বৈচিত্রময়।

পরিশেষে, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বলা যায়, যেখানে কবিতা বা কাব্য যাকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এটি একটি ভাববাচক বিশেষ্য। আর ভাববাচক কোন শব্দ আসে কোন ভাবনার অন্তরালে কল্প কথকথনের মাধ্যমে এক কথায় আপন মস্তিষ্কপ্রসূত হতে। তাই কল্পনাশক্তির বাস্তব রূপই যে কবিতা তাতে কোন সন্দেহ নেই। বস্তুত 'কবিতা' শব্দের সার্থকতার মধ্যেই কল্পনা নিহিত। মোদ্দাকথা কথা কবি যতোটা প্রেমিক বাস্তবতায় তার বহুলাংশে বিরজমান নিজস্ব কল্পনায়!

সুতরাং, কবি হতে প্রেম নয় অপরিহার্য হলো তীব্র অনুভুতিপ্রবন কল্পনাশক্তি ও তার  উপকরন হলো প্রেম, বিরহ, হাসি, কান্না, জরা, ভালবাসা, বন্ধন, জন্ম ও মৃত্যু। তদুপরি, একজন কবি মাত্রই বহুপ্রেমিক, কপট, চরিত্রহীন, যৌনকাতর এমনকি মিথ্যাবাদী বলে একশ্রেণীর দূরভিসন্ধি গোষ্ঠীর মাধ্যমে যে অপবাদ ছড়ানো হয় তা সম্পূর্ন অযৌতিক, ভিত্তিহীন ও মুক্তচিন্তার অন্তরায়। সৃষ্টির সকল কবি, কল্পনাশক্তি ও তাদের কাব্য জিন্দাবাদ, মুক্তমনার জয় হোক।

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

তবুতো ভালবাসা

অভিসম্পাত না, নাহি ভর্সনা, অনুযোগ প্রিয়তমায়।
মনমোহিনী! সে তো অামার রানী।

কষ্টের গরল অামি পানে রাজি,
তাহার মিথ্যা বচনেও অামার তুষ্টি।
অাত্মজ অনলে পুড়িতে এ দাস হাজির।

তবু নিরুদ্দেশ নহে, রইবো অামি ছায়া হয়ে
হয়তবা অদৃশ্য পরছায়া।

হোকনা কলঙ্কিত ভালবাসা, মিথ্যা ভালবাসা
তবুতো 'ভালবাসা'।

ট্রাম্প ইস্যু

অধিকাংশই যেখানে ট্রাম্পকে নিয়ে হাসাহাসি করছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ট্রাম্প যেভাবে তার পরিকল্পনা নিয়ে অামেরিকানদের সপ্ন দেখিয়েছে, হিলারি তার ধারের কাছে ও যেতে পারেনি।
উল্লেখযোগ্য ইসতেহারগুলো হলোঃ

১. অভিবাসন ইস্যু কঠোরকরণ।
২. দেশীয় ব্যবসায়ীদের কর রেয়াত।
৩. বৈদেশিক বানিজ্য চুক্তি পুনঃ মূল্যায়ন (শুক্ল নির্ধারন)।
৪. সামরিক ব্যয় সীমিতকরন।
৫. রাশিয়াসহ অন্যান্য বিশ্বশক্তির সাথে সমঝোতা।
৬. নতুন কোম্পানী প্রতিষ্ঠা; দেশীয় বহুজাতিক কোমম্পানীসমূহের পরিচালন ও শাখাসমূহ দেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে বেকারত্ব দূরকরন।
৭. বাইবেলসহ রক্ষণশীলতার সাংঘার্ষিক অাইন পরিবর্তন (সমকামিতা উল্লেখযোগ্য)।
৮. শেতাঙ্গ অামেরিকানদের সর্ব্বোচ্চ প্রাধান্য দান।
৯. সিমান্তের সুরক্ষা (মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসী হামলা)।
১০. উগ্র ইসলামিক গোষ্ঠী হতে সুরক্ষিত হতে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন।

উক্ত পরিকল্পনা বর্হিবিশ্বের অনেক দেশে যথাপি অামাদের জন্য ক্ষতিকর বা বিপদজনক (অভিবাসন, শুক্লমুক্ত বাজার ঝুকি উল্লেখযোগ্য) হলেও উপরন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ অামেরিকানদের জন্য তা সাপে বর।

অপরদিকে হিলারি ট্রাম্পের মত মার্কিনীদের স্বপ্ন দেখাতে না পারলেও, নারী প্রার্থী হিসেবে এযাবতকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। সেই জনপ্রিয়তার দোহাই দিয়ে অনেকে মার্কিনীদের নারী বিদ্বেষী না বলে ছাড়ছেন না অনেকেই।  তবুও অনেকের মতে হিলারির তুমুল জনপ্রিয়তা সত্বেও যেখানে প্রেসিডেন্ট হতে পারলেন না, তখন ভবিষ্যতে আর কোন নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারবে বলে মনে হয় না। মার্কিন ইতিহাসে রেকর্ড গড়ার সুযোগ ছিল এই নির্বাচন।  কিন্তু সেটা হল না। শুধু প্রেসিডেন্ট কেন, অন্য কোন বড় পদেও ওরা নারীকে সাধারণত বসাতে চায় না। সেক্ষেত্রে হিলারি ভাগ্যবতী যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী  পর্যন্ত হতে পেরেছে এবং প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পেরেছে!

সেক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে অন্তত মার্কিনীরা দিন শেষে নিজেদের লাভ ক্ষতির অঙ্ক কসে। তাদের বিবেচনা ফলাফলের উপর নির্ভর করে ব্যক্তির উপর না। এখানে নারী পুরুষ বিষয়টি গৌন। একটু অালোকপাত করলেই দেখা যায় হিলারী পরিকল্পনায় বেশীরভাগ জুড়ে বিদেশনীতি। জ্ঞার্থেতে বিদেশীরা পর্যবেক্ষক, ভোটার নয়।  অাপনি এই ফলাফলকে ব্রেটিক্স এর সাথেও তুলনা করে দেখতে পারেন। অামেরিকার সাধারন মানুষ মোরলীপানার চেয়ে নিজেদের উন্নয়নে এখন বেশী অাগ্রহী যা তারা জনাব ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিতর দেখতে পেরেছে। অামেরিকানরা হিলারী নারী বলে যদি ভোট না দেয় তবে কৃষাঙ্গ ওবামা, জেলের ছেলে অাব্রাহাম লিংঙ্কন কিভাবে নির্বাচিত হলো? মোদ্দকথা অামেরিকার অার্থসামাজিক উন্নয়নে ট্রাম্পের পরিকল্পনা হিলারির পরিকল্পনার চেয়ে বেশী সুদূরপ্রসারী ও অাশাবাঞ্জ্যক ছিল। ফলশ্রুতিতে এটাই শ্বাশত।

অতএব, তাদের গালি দেয়ে বা বিদ্রুপ করে কি লাভ? ভুলে গেলে চলবে না তারা এখন "প্রজন্ম Y" পার করে "প্রজন্ম Z" অবস্থান করছে অার তাদের তুলনার অামরা এখন পর্যন্ত "Baby Boomers" -ই অাছি। বড়োজোর "প্রজন্ম এক্স" এ অামাদের অবস্থান।

সুতরাং, অামেরিকানদের সন্মানার্থেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন অার হিলারির জন্য সমবেদনা।

বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬

নেশাগ্রস্থ সপ্ন

ক্লান্তি শেষে অপরাহ্নে শরীর গুলিয়ে অাসে
লাসকাটা ঘরের মৃতদেহের  মতো ঘুমায় সে।

দিকবিদিক শূণ্য সে অাত্মা অশিরীরী  ধূপছায়ায় বিভ্রান্ত
শীতল  মস্তিস্কে বিভ্রম চেতনায় পাড়ি দেয় নেশাগ্রস্থ সপ্ন।

হয়তবা কোনদিন  অার জেগে না উঠার অাশে
বিস্মৃতিসমূহ বিষম দৈত্যরূপে তাকে তাড়া করে সপ্নে।

সে পাড়ি দেয় অরণ্যরাজিমালা, হিম সাগর প্রান্তর, সীমান্তাকাশ অার নক্ষত্রবিথীকা
তবু মুক্তি মিলে না, অাষ্টেপৃষ্টে অাকড়ে রাখে কুৎসিত অসুর ছায়া।

গুমোট অন্ধকার অার এবরো থেবরো দেহে অষ্টপায়ে ধেয়ে অাসে
ভয়ানক অট্টহাসিতে বিদীর্ন চারপাশ প্রাণীকুল সব গুমরে মরে।

নিষ্ঠুর থাবা ও পিষ্টনে তার অববয় ছারখারের উৎসবে মাতে
উৎকট গন্ধ অার পিচ্ছিল লালায় গ্রাস করে তাকে।

এভাবেই প্রতি নিদ্রায় ঘোরে ভগ্ন হৃদয় একবার করে মরে
মৃত্যু যাতনায় বিচ্ছেদ অঙ্গার বিলোপ একটু একটু করে।

কি করবে সে? জেগে থাকার মরণ যে বড় কষ্ট
তাই সে ঘুমিয়ে কাঁদতে অনেক ভালবাসে।

যতটুকু বা জেগে থাকে মন তবু রয় ঘোরে
হৃদয় দুঃখকে শিকল দিয়ে নকল হাসি হাসে।

নকল হাসিতে ভয়ানক ব্যাথা, কষ্টগুলো ডুকরে কেঁদে উঠে
শূন্যদৃষ্টিতে ভীড়ের মাঝে অাবার খুজে ফিরে তাকে।

অপরকে খুজিতে নিজেকে হারাইয়া চলে সে অচিন পথে
দিকহারা প্রেমিক অাজো নিখোজ  বিষাদসিন্ধূর মাঝে।

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১৬

লোচনের তাঁরা

সূর্য অামি তো নই, ছিলাম না কোন দিন অথবা হওয়াটা বাহুল্য যোগ্যতা,
চাঁদ হয়ে সূর্যের কাছে রশ্মি ধার করি সত্যি অামি পরগাছা।

অদৃশ্য পরছায়া অার ভৃত্য হয়ে তোমার  চারিপাশে
ধরণী তোমাকে ভালবাসে অামার অাবর্তন অসীম চক্রে।


দিবাকরে বৃথা অামি চন্দ্র হয়েছি তোমার লাগি,
জোছসাস্নাত প্রেমলীলায় ঐ নাঙ্গা দেহের জোয়ারে ভাসি।

কালকে কালান্তর করে প্রিয়তম ছুটছি তোমার বৃত্তে,
তোমার লোচনের তাঁরা হবো বলে বিদ্রোহ করেছি সূর্যের সাথে।

এইবার করেছি পণ, রবিকে পরাজিত করে তোমায় অাপন করবো
সৌরের বাইরে প্রেমকেলিতে নতুন গ্রহের জন্ম দিবো।

অামিই হবো চন্দ্র, অামি হবো সূর্য
দিনে তোমায় তপ্ত করে, নিশিতে ছড়াবো নরম অালো।

ভরা পূর্ণিমায় অামি অাসিবো হে তোমারি শিয়রের,
কৃষ্ণপক্ষে তোমার জন্য অামরণ অপেক্ষা  শুক্লপক্ষের তরে।

তাই এবার মহাকালকে বিদ্রোহ করে অমবশ্যাকে শিকল পরাবো,
নিকশ অাধারকে বিদায় দিয়ে পূর্ণিমা হয়ে তোমার অঙ্গে মিশে যাবো।


প্রিয়তম ধরণীর কিঙ্কণে অাজি নাচিছে ময়ুরাঙ্খি,
লোচন দিখিয়া ভরেনা দিল অাহা কি সুন্দর অাহা কি মায়াবী চাহনি !


ধরণী সখি! তোমারে পাইতে অামি হাজার মহাকাল অপেক্ষায় অাছি,
এই বার দাও না সাড়া, মুখ ফুটে একটি বার বলো ভালোবাসি।

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...