বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

ট্রাম্প ইস্যু

অধিকাংশই যেখানে ট্রাম্পকে নিয়ে হাসাহাসি করছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ট্রাম্প যেভাবে তার পরিকল্পনা নিয়ে অামেরিকানদের সপ্ন দেখিয়েছে, হিলারি তার ধারের কাছে ও যেতে পারেনি।
উল্লেখযোগ্য ইসতেহারগুলো হলোঃ

১. অভিবাসন ইস্যু কঠোরকরণ।
২. দেশীয় ব্যবসায়ীদের কর রেয়াত।
৩. বৈদেশিক বানিজ্য চুক্তি পুনঃ মূল্যায়ন (শুক্ল নির্ধারন)।
৪. সামরিক ব্যয় সীমিতকরন।
৫. রাশিয়াসহ অন্যান্য বিশ্বশক্তির সাথে সমঝোতা।
৬. নতুন কোম্পানী প্রতিষ্ঠা; দেশীয় বহুজাতিক কোমম্পানীসমূহের পরিচালন ও শাখাসমূহ দেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে বেকারত্ব দূরকরন।
৭. বাইবেলসহ রক্ষণশীলতার সাংঘার্ষিক অাইন পরিবর্তন (সমকামিতা উল্লেখযোগ্য)।
৮. শেতাঙ্গ অামেরিকানদের সর্ব্বোচ্চ প্রাধান্য দান।
৯. সিমান্তের সুরক্ষা (মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসী হামলা)।
১০. উগ্র ইসলামিক গোষ্ঠী হতে সুরক্ষিত হতে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন।

উক্ত পরিকল্পনা বর্হিবিশ্বের অনেক দেশে যথাপি অামাদের জন্য ক্ষতিকর বা বিপদজনক (অভিবাসন, শুক্লমুক্ত বাজার ঝুকি উল্লেখযোগ্য) হলেও উপরন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ অামেরিকানদের জন্য তা সাপে বর।

অপরদিকে হিলারি ট্রাম্পের মত মার্কিনীদের স্বপ্ন দেখাতে না পারলেও, নারী প্রার্থী হিসেবে এযাবতকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। সেই জনপ্রিয়তার দোহাই দিয়ে অনেকে মার্কিনীদের নারী বিদ্বেষী না বলে ছাড়ছেন না অনেকেই।  তবুও অনেকের মতে হিলারির তুমুল জনপ্রিয়তা সত্বেও যেখানে প্রেসিডেন্ট হতে পারলেন না, তখন ভবিষ্যতে আর কোন নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারবে বলে মনে হয় না। মার্কিন ইতিহাসে রেকর্ড গড়ার সুযোগ ছিল এই নির্বাচন।  কিন্তু সেটা হল না। শুধু প্রেসিডেন্ট কেন, অন্য কোন বড় পদেও ওরা নারীকে সাধারণত বসাতে চায় না। সেক্ষেত্রে হিলারি ভাগ্যবতী যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী  পর্যন্ত হতে পেরেছে এবং প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পেরেছে!

সেক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে অন্তত মার্কিনীরা দিন শেষে নিজেদের লাভ ক্ষতির অঙ্ক কসে। তাদের বিবেচনা ফলাফলের উপর নির্ভর করে ব্যক্তির উপর না। এখানে নারী পুরুষ বিষয়টি গৌন। একটু অালোকপাত করলেই দেখা যায় হিলারী পরিকল্পনায় বেশীরভাগ জুড়ে বিদেশনীতি। জ্ঞার্থেতে বিদেশীরা পর্যবেক্ষক, ভোটার নয়।  অাপনি এই ফলাফলকে ব্রেটিক্স এর সাথেও তুলনা করে দেখতে পারেন। অামেরিকার সাধারন মানুষ মোরলীপানার চেয়ে নিজেদের উন্নয়নে এখন বেশী অাগ্রহী যা তারা জনাব ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিতর দেখতে পেরেছে। অামেরিকানরা হিলারী নারী বলে যদি ভোট না দেয় তবে কৃষাঙ্গ ওবামা, জেলের ছেলে অাব্রাহাম লিংঙ্কন কিভাবে নির্বাচিত হলো? মোদ্দকথা অামেরিকার অার্থসামাজিক উন্নয়নে ট্রাম্পের পরিকল্পনা হিলারির পরিকল্পনার চেয়ে বেশী সুদূরপ্রসারী ও অাশাবাঞ্জ্যক ছিল। ফলশ্রুতিতে এটাই শ্বাশত।

অতএব, তাদের গালি দেয়ে বা বিদ্রুপ করে কি লাভ? ভুলে গেলে চলবে না তারা এখন "প্রজন্ম Y" পার করে "প্রজন্ম Z" অবস্থান করছে অার তাদের তুলনার অামরা এখন পর্যন্ত "Baby Boomers" -ই অাছি। বড়োজোর "প্রজন্ম এক্স" এ অামাদের অবস্থান।

সুতরাং, অামেরিকানদের সন্মানার্থেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন অার হিলারির জন্য সমবেদনা।

কোন মন্তব্য নেই:

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...