দৈত্য তোর পায়ের তলে পিপীলিকা যায় পিষে,
তোর যাতনায় পিঁপড়া ছানা বেঁচে থাকে ধুকে ধুকে।
দৈত্য তোর দেহের বলে আঘাত করিস শীর্ণ বুকে
দৈত্য তোর রিপুর তোড়ে, পিপীলিকা মরে মরে।
তুই মনে পুষিস- শক্তের ভক্ত নরমের যম, জোর যার মুল্লুক তার,
তুই ভুলে গেছিস- জীবে সেবিছে যে, সেবিছে ইশ্বর।
বর্মী ভিক্কু তোর দ্বারা বৈদ্যনীতির হিন রূপান্তর
বিজাতীয় হত্যায় সর্গলাভ নতুবা ভাগা দেশান্তর।
আজ শ্বাশত জীব হত্যা মহাপাপ মুসলমান ছাড়া
মার মার কাট কাট লুটে নে যত পারিস ক্ষুধা মেটা।
বুদ্ধশিশু রোহিঙ্গা পিঁপড়ার রক্ত উল্লাসে মাতে,
স্ববর্গবাসী বুদ্ধদেব তোর রঙ্গ দেখে হতাশ হয়ে।
বাঙ্গালী নব্য ধারায় ধর্মান্ধ উগ্র মানুষের বাড়ন্ত
পুথিমালা আর সিদুরের বোঝা মাথা নিয়ে মালায়ন জাত সন্তন্ত্র।
জাত ধর্মে মুজাহিদের মুখোশ পড়ে জবাই, নিপীড়নের হিরিক
হিন্দু, বৈদ্ধ,
সাউতাল, চাকমার
হাহাকারে বিদীর্ন দিকবিদিক।
শান্তির ধর্ম বুকে নিয়ে অাগুন লাগাস নাঙ্গা দেহে,
অাল্লাহ তোর খেলা দেখে তাকিয়ে রয় ঘৃণার চোখে।
নাৎসিদের কোন ধর্মে ইহুদি নিধন বিধি আছে
আবার ফিলিস্থিনীর লাশে বুকে ইজরাইলি নিশান উড়ে।
নাস্তিকের দোহাই দিয়ে ইন্দোনেশিয় বুজুর্গ
তুই
মারলি লক্ষ সন্তান
আবার জাতীয়তাবাদীর হায়েনা হয়ে করলি শিকার বসনিয়ার প্রাণ।
আবার জাতীয়তাবাদীর হায়েনা হয়ে করলি শিকার বসনিয়ার প্রাণ।
যীশুর পুত্রের মুখোশ রূপে, বিভেদ ছড়াস দিকে দিকে
সর্গলোকে যীশু বসে তোর কীর্তি দেখে লাজে মরে।
ইসলামকে জাদুঘরে রেখে শিয়া-সুন্নি জিহাদ করে,
কাদিয়ানি-মওদুদির সাফাই গাইতে লক্ষ কোটি মুসলিম মরে।
লক্ষ হিন্দু-মুসলিম প্রাণ সংহার দ্বিজাতিতত্বের বিষে
বিজাতীয় হত্যার উৎসব অাজো উপমহাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
রাম-কৃষ্ণের ভক্ত বেশে, ধর্ম গরুর রক্ষক সেজে অজাত-কুজাতের বলি
ইন্দ্রলোকে দেবগন বিষাদে জ্বলে নিছক মনুষ্য সৃষ্টির লাগি।
বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ তুই বুনো নিগ্রো নিধন করিস
মহাপুরুষ কালো তুই সাদার উপর থুঃ থুঃ ফেলিস।
স্বর্গলোকের বাসিন্দা ভেবে পশিমারা বেজায় সুখে
পশ্চিমা শয়তানের বেজন্মা ভেবে পূর্ব তুই আছিস মজে ।
দৈত্য বলিস, বাছা
ভাবলে এত নিরানন্দ
তবে বাঁচা
বাঘে ছুলে অাঠার ঘা, অার অামি ছুলে মরণ
ঘা।
দৈত্য এলো, সুখ ফুরালো, পিঁপড়া ঘুমালো, হিংসে এলো দেশে
খুবলে নিল, চিড়ে খেল, পিষে মারল দৈত্য দলের বিষে।
পিঁপড়ার জায়গায় আসন গেড়ে
তাকেই মারে শেষে
ক্ষমতাবানেরা ঘর ভেঙ্গেছে, মাটি কেড়েছে, চাঁন্দা দিবে কিসে?
অধর্ম নহে, শ্বাশত সংখ্যালঘু ধরনীলোকে নিঃষ্পেষিত!
অপ রাজনীতি চরিতার্থাতের লাগি অপব্যাখ্যায় ধর্ম নৃশংস।
ক্ষমতার গদি দীর্ঘের তরে ধর্মকে করে পুজি
বিপন্ন মানবতায় সাঙ্গ হয় শ্বাশত, মজলুমের হাহাজারি।
নৃশংসতা নহে ধর্ম, মিথ্যায় কভু হয় না ধর্ম
দৈত্যের কোন নাহি ধর্ম, নৃশংস-মিথ্যা তার বর্ণ।
দৈত্য হে! এক পলকে জুড়াবে সব, ধিকিধিকি জীবন বাতি,
কাহার লাগি বড়াই দৈত্য, কিসের হেতু মারিস পিঁপড়ে নাহি বুঝ অাসি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন