সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭

জীবনসঞ্চারিণী

সুদর্শনা প্রিয়তময়েষু
একটিবার ঐ চোখের পাতা খুলো, দেখ অাখিঁ মেলে,
চেয়ে দেখ রাঙ্গা দিবাকর নিকশ অাধারকে ভোগদখলে মেতেছে
তোমার অার অামার প্রেমলীলায় প্রতিক্ষার প্রভাত ফিরে এসেছে।


প্রেয়শী প্রিয়া
একবার দৃষ্টিদান করো ঐ খোলা জানালার পানে,
অাকাশ এসে তোমার জানালায় লুকোচুরির খেলায় মেতেছে।
তোমার ধবধবে শুভ্র মুখের জেল্লায় সে ফর্সা হতে শুরু করেছে।


বুলবুলি মেহেবুবা,
অার একবার সুর তোলো ঐ সুরেলা কন্ঠের ধ্বনিতে
বাগানে পাখিরা তোমার নামে গান গাইতে শুরু করেছে।
ঐ সুরের লহমায় ফুলেরা প্রস্ফুটিত হয়ে সুবাস ছড়াচ্ছে।


অাদুরে প্রিয়তমা!
এখনি সময়, চেয়ে দেখ! কতরূপ খেলা করে এই ভোরের হিম বাসাতে!
ঐতো পর্দার ফাঁকে বায়ুপ্রেম চুপিচুপি তোমার চুলে হারিয়ে যাচ্ছে।
তোমার নামে উৎসর্গ করা গোলাপের মিষ্টি গন্ধ ভেসে অাসছে।


হে মুগ্ধময়ী মনোহরী,
অামাদের এ অসীম ভালবাসা একদিন ফুরিয়ে যাবে,
ঐ রক্তকাঞ্চনের গায়ে লেগে থাকা শিশির বিন্দুর মতোই তো এ জীবন।
সকালের রোদ এসে অাপনা অাপনিই একসময় অামাদের মিইয়ে দেবে।


হে জীবনসঞ্চারিণী,
তুমি কত সুন্দর! তাই এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর।
এই সংসার ছেড়ে কাউকে তো যেতেই হবে অগ্রে অথবা পশ্চাতে
হয় তুমি না হয় অামি, শেষে কে বিরহের অাগুনে জ্বলবে?

কোন মন্তব্য নেই:

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...