তুমি হেফাস্টাসের অপূর্ব সেই চির ভাস্কর্য
আফ্রদিতির নারী সৌন্দর্যের স্বর্গীয় বিমূর্ত।
তুমি এথেনার মিহি মসলিনের রুপালি থান
তুমি জিউসের হতে অনুগৃহীত অমূল্য প্রাণ।
অ্যাপোলোর কণ্ঠে তুমি সঙ্গীতের মূর্ছনা।
হারমিসের নিত্য রূপে আবেগী প্ররোচনা।
রূপের মুক্তো গলে, অঙ্গে বাহারি পোশাক
তোমায় দেখে মর্ত্য- দেব্য সকলই হতবাক।
শীর্ষে তোমার স্বর্ণমুকুট, গ্রীবায় পুষ্প মালা
বিধাতার সৃষ্ট প্রথম মানবী, তুমি প্যান্ডোরা।
আফ্রদিতির নারী সৌন্দর্যের স্বর্গীয় বিমূর্ত।
তুমি এথেনার মিহি মসলিনের রুপালি থান
তুমি জিউসের হতে অনুগৃহীত অমূল্য প্রাণ।
অ্যাপোলোর কণ্ঠে তুমি সঙ্গীতের মূর্ছনা।
হারমিসের নিত্য রূপে আবেগী প্ররোচনা।
রূপের মুক্তো গলে, অঙ্গে বাহারি পোশাক
তোমায় দেখে মর্ত্য- দেব্য সকলই হতবাক।
শীর্ষে তোমার স্বর্ণমুকুট, গ্রীবায় পুষ্প মালা
বিধাতার সৃষ্ট প্রথম মানবী, তুমি প্যান্ডোরা।
হে কুমারী প্যান্ডোরা-
কার ইশারায় এলে ধরায় লজ্জাবতী কিশোরী?
ঐ ভুবনময়ী রূপে লুকিয়ে থাকে কার অভিসন্ধি ?
ঐ ঘোমটা টানা উজ্জল মুখে কার কূটচালের সিদ্ধি ?
এপিমিথিউস কেন হয়ে পড়ল ঐ রূপের বন্দী ?
দেব আর মানবীর মিলনে সৃষ্টি মানব সংসার
পৃথিবীতে নেমে এল সকল স্বর্গ-সুখের দুয়ার
পিতা কন্যাকে তত্ত্বে দিলো কি 'অদ্ভুত বাক্স'!
চাবি সহিত চিরকুট ‘কখনো খুলো না যেন!'
নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানবের চিরন্তন আকর্ষণ
নিয়ম ভাঙ্গাই যেনো পৃথিবীর একমাত্র নিয়ম।
পিতার কূটকৌশলে কৌতুহলের খুলল ঝাঁপি
ব্যাপন হোল ধরার বুকে সমস্ত অশুভ শক্তি।
লোভ-লালসা-ঈর্ষা-ব্যাধি-ঘৃণা-ক্রোধ-জরা-হতাশা
ছড়ায় সারা ধরণীতে, মানবের দেহে বাধে বাসা।
ক্রন্দন-জরায় খুলে বাক্স আশাবিহীন প্যান্ডোরা
এবার উজ্জ্বল হাসি দিয়ে বেরুয় সবচেয়ে শুভতা।
সকল অশুভ আর শুভতায় বেঁচে রইল প্যান্ডোরা
ঐ শুভতায় প্রতিটি মানবের বুকে বেঁচে থাকে আশা ।
প্যানডোরা তোমার নারী সুলভ একটু কৌতূহলে
সারা অশুভের ভর আজো মানব জাতির কাঁধে।
জিউসের ফাঁদে মানবের অনিষ্ট তবু তিনি অধরা
নিছক কৌতূহলে 'অনিষ্টের মা' বেচারি প্যানডোরা!
প্যানডোরার বাক্স নারী চির অশুভের কৌতূহল কি?নাকি পুরুষকেন্দ্রিক অতিমাত্রিক কূটচালের সৃষ্টি ?
তুমি করোনি কখনো পুরুষের বিরুদ্ধাচরণ।
তুমি ছিলে বিশ্বস্রষ্টার দেওয়া সকলের উপহার,
তবু পুরুষতন্ত্র করলো তোমায় অবজ্ঞার দুয়ার।