বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

হতভাগ্য প্যান্ডোরা

তুমি হেফাস্টাসের অপূর্ব সেই চির ভাস্কর্য
আফ্রদিতির নারী সৌন্দর্যের স্বর্গীয় বিমূর্ত।
তুমি এথেনার মিহি মসলিনের রুপালি থান
তুমি জিউসের হতে অনুগৃহীত অমূল্য প্রাণ।

অ্যাপোলোর কণ্ঠে তুমি সঙ্গীতের মূর্ছনা।
হারমিসের নিত্য রূপে আবেগী প্ররোচনা।

রূপের মুক্তো গলে,  অঙ্গে বাহারি  পোশাক
তোমায় দেখে  মর্ত্য- দেব্য সকলই হতবাক।
শীর্ষে তোমার স্বর্ণমুকুট, গ্রীবায় পুষ্প মালা
বিধাতার সৃষ্ট প্রথম মানবী, তুমি প্যান্ডোরা।


হে কুমারী প্যান্ডোরা-

কার ইশারায় এলে ধরায়  লজ্জাবতী কিশোরী?
ঐ ভুবনময়ী রূপে লুকিয়ে থাকে কার অভিসন্ধি ?
ঐ ঘোমটা টানা উজ্জল মুখে কার কূটচালের সিদ্ধি ?
এপিমিথিউস কেন হয়ে পড়ল ঐ রূপের বন্দী ?


দেব আর মানবীর মিলনে সৃষ্টি মানব  সংসার
পৃথিবীতে নেমে এল সকল স্বর্গ-সুখের দুয়ার
পিতা কন্যাকে তত্ত্বে  দিলো  কি 'অদ্ভুত বাক্স'!
চাবি সহিত চিরকুট  ‘কখনো খুলো না যেন!'

নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানবের চিরন্তন আকর্ষণ
নিয়ম ভাঙ্গাই যেনো পৃথিবীর একমাত্র নিয়ম।
পিতার কূটকৌশলে কৌতুহলের খুলল ঝাঁপি 
ব্যাপন হোল ধরার বুকে সমস্ত অশুভ শক্তি।

লোভ-লালসা-ঈর্ষা-ব্যাধি-ঘৃণা-ক্রোধ-জরা-হতাশা
ছড়ায় সারা ধরণীতে, মানবের দেহে বাধে বাসা।
ক্রন্দন-জরায় খুলে বাক্স আশাবিহীন প্যান্ডোরা
এবার উজ্জ্বল হাসি দিয়ে বেরুয় সবচেয়ে শুভতা।

সকল অশুভ আর শুভতায় বেঁচে রইল প্যান্ডোরা
ঐ শুভতায় প্রতিটি মানবের বুকে বেঁচে থাকে আশা ।
প্যানডোরা তোমার নারী সুলভ একটু কৌতূহলে
সারা অশুভের ভর আজো  মানব জাতির কাঁধে।

জিউসের ফাঁদে মানবের অনিষ্ট তবু তিনি  অধরা
নিছক কৌতূহলে 'অনিষ্টের মা' বেচারি প্যানডোরা!
প্যানডোরার বাক্স নারী চির অশুভের কৌতূহল কি?
নাকি পুরুষকেন্দ্রিক অতিমাত্রিক কূটচালের সৃষ্টি ?

হায় শ্বাশ্বত প্রথম হতভাগী নারী প্যান্ডোরা!
তুমি করোনি কখনো পুরুষের  বিরুদ্ধাচরণ।
তুমি ছিলে বিশ্বস্রষ্টার দেওয়া সকলের উপহার, 
তবু পুরুষতন্ত্র করলো তোমায় অবজ্ঞার  দুয়ার।

মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

আমাদের বসুন্ধরা


হে প্রিয় নবীন অভিরুপ
পুর্বপুরুষের অনন্য সৃষ্টি।
অনুরাগে রেখো আচ্ছন্ন 
বিমোহে আশার বসতি।

তার ঘুম আস্যের হাসির বাঁকে
আমার হৃদয় চেতন হেঁলেদুঁলে। 
আনন্দময়ীর আগমনে-
কি আনন্দ এ সংসারে!

মায়ার বাধন

আমার এই অস্তিত্বের পথ মাড়িয়ে
স্মৃতির গল্পরা সবাই ধূলোয় মিশে।
কিছু সমন্বয় ও অনিশ্চিত হিসাবে
মহাকালের বুকে সবাই যায় ক্ষয়ে।

অবিরাম আমি প্রাপ্তির অঙ্ক কসি
কখনোবা জীবনের হিসাব মিলে।
অথবা প্রভেদে চাওয়ার সাঙ্গ হয়
ইচ্ছেগুলো মিশে যায় মহাকালে।

তবু এই পরিভ্রমণে কত্তো যে সুখ
পাওয়া না পাওয়ার ব্যাবধানে।
কপোত যুগলের উৎকৃষ্ট নীড়
প্রিয় সংসার আর মায়ার বাধনে।

বেশঃ মনোরম এই বেঁচে থাকা
আমি ও আমাদের সংসারে!

শিশু জাতিস্মর

শিশু সুখ, শিশু মুখ
শিশু স্বর্গ, শিশু সত্য।

শিশু আদি, শিশু অনন্ত
শিশু স্নিগ্ধ, শিশু শ্বাশত।

শিশু কোমল, শিশু স্পষ্ট
শিশু সুন্দর, শিশু মোহ
শিশু শ্বর, শিশু জাতিস্মর।

সে আসবে বলে!

পদ্মকলির যৌবনা দেহ জলে মিশে-
ধুয়ে যায় বৃথা নপুংসক নিথর জলে
তার দেহবৃন্তের প্রতিটি পাপড়ি অাজ
অনাদরে এলোপাথাড়ির অবেলায়।
..........................................
এদিকে-
অরুণের এক পশলা তরুণ মেঘ
হংসবলাকার সফেদ ডানায় চড়ে
পাড়ি দেয় ঝিনুকের মালার দেশ
খুঁজে ফিরে আরধ্য নীলকমলিনী।
..........................................


সহসা, অরুণের কানে ভেসে অাসে-
এই এই এই, এই তো আমি----

নির্লিপ্ত অপরাহ্ন কে ডাকে ঐ-
শুনে সে কার আহ্বান?
ধরিত্রীর সকল রং কে আসে হায়!
এই চেতনায় কে মিশে যায়?
কে সে উদগ্রীব ডাকে আমায়?
কে ভাসায় আমায় কোন ঠিকানায়?
..........................................

পদ্মকলির ইন্দ্রিকোণে তরুণ মেঘের ফুঁ
উষ্ণ হয়ে অঝোরে ঝরে তার দেহবৃন্তে
জলের পরাগায়ণে সে আর মেঘ বৃষ্টি-
ধুয়ে মুছে সাফ হয় দুপ্রাণের অাকুতি।
..........................................

ধাঁ করে তরুণ মেঘ ধূম্র হয়
হংসবলাকার পাখনায় মেলে
পৌঁছে মেঘ বাড়ির ঠিকানায়।
এদিকে কমলিনীর প্রতীক্ষা-
কখন সে আসবে বলে!

সব কুসুম যদি যায় ঝরে!

আবির তুই সবি কখন?
বল মায় দিব্যি করে।
শেষ বেলায় লাভ কি বল-
সব কুসুম যদি যায় ঝরে!

বির এসে বলে তাঁকে-
কই ছিলি তুই কোন বাঁকে?
ছুতে তোর সিঁথির কোণ-
কত রাত বিরহে কাটে!

-ঃঅপদার্থের অমনিবাসঃ-


আচার্য কলিপের হাজার বছরের পুরোনো জ্যোতিষ বিদ্যায়
তন্ন তন্ন করে খুজেছি আমাদের আহুত ভবিষ্যৎ।
এনাক্সিমেন্ডারের সৃষ্টিতত্বের পরিনত অনুরাগে ভেসে বেড়াই নিরন্ত
তবু অদৃষ্টের মহাকাল কেমন যেন রাহুগ্রহে আচ্ছন্ন।

কল্পনার অন্তিম ঠিকানায় আশ্রয় খুজতে খুজতে
একতরফা মাত্রায় ঘুরছি কোপার্নিকাস নভোমন্ডলে।
দমের অণুবল খুজতে গ্যালিলিও-র বলবিদ্যা করেছি কাটাছেরা
তবু লবডঙ্কার অন্তঃকরণে অন্তঃকলহ, কি যে পাওয়ার নেশা!

ভুঁইফোঁড়ের অহেতুক কর্ষে নিউনের মহাকর্ষ খুজে পাইনি
গতিসূত্রের অনিঃশেষ নিয়মে খর্খরে মননের হয়নি গতি।
উপলব্ধ চৈতন্যের পরম ভর আর আইনিস্টেনর আপেক্ষিকতা
যেন রাম আর ঘটিরাম; কি যে এক লেজেগোবরে অবস্থা!

এডুইন হাবলের দূরবীনে দেখেছি অস্থিত আকাশগঙ্গা, নিহারিকা
প্লাঙ্কের ফোটন তত্ত্বে পাইনি অনুভবের বিকিরিত সীমারেখা।
সাসকিন্ডের 'তার-তত্বে' কৃষ্ণ গহ্বরের গভীরতা যতটা শাশ্বতে
আদমীর হৃদয়ের গভীরতা বুঝতে আদম ততটাই নটঘটে।

মহাকালের পলক দৃশ্যে রঙ্গমঞ্চের চোতা নৃত্য
অরুণ মিলায় ইশ্বরি কণায় সৃষ্টি-ধ্বংসের নাট্য।
আত্মা দিকবিদিক শুন্য হকিংয়ের মহাবিস্ফোরণে
মহাজাগতিকের স্পৃহায় সে হারায় দূর হতে বহুদূরে।

-: কবিতার প্যারাডক্স :-

তুমি আছ, আমি আছি, আমরা আছি
অথবা কেউ নেই, সবাই শূন্যে
কালের প্রতিটি পাতা হয়তোবা সাজানো 
সৃষ্টধরের নিপুণ তুলির আঁচরে।

এই ধরো ত্রিমাত্রিক কাগুজে পোকার মতোই
নির্দিষ্ট আবর্তে আমার জীবন,
আর তুমি থাক দশমাত্রিক জগতের অসীম বলয়ে
যেখানে ইচ্ছে তোমার বিচরণ।

বলতো কবিতা-

আমি বাদে আর কয়টা মাত্রায় তুমি আসো?
ঐসব মাত্রায় সবাই কি আমার মতোই বিনিদ্র?
তারাই বা কয়মাত্রিক কবিতার পূজারী?
চার, পাঁচ, ছয়, সাত নাকি আরো বেশী?

এককোষী অনুজীব হতে বহুকোষী বৃহদাকার
তোমার অন্তিকে সব হয় অস্তিত্ত্বহীন অনুজীব
বিস্মৃত গোলক আর মহাকালের মহামায়ায়
কবিতা তুমি বিলীয়মান হও প্যারাডক্স ধাঁধায়।

কবিতা, জানি তুমি আবার আসবে-

অদৃষ্ট কালে তুমি আসবে এই পরমাত্রিক হৃদয়ে
এবার আসবে অন্য এক পরবাস্তব কবিতা হয়ে।
সেদিন আমার বিচরন হবে দশমাত্রিক অসীম বলয়ে
আর হয়ত তুমি থাকবে ত্রিমাত্রিক জড় বস্তুর খাঁজে।

সেদিন তোমার কশেরুকাবিহীন অস্তিত্বে
হামাগুড়ি দিয়ে তোমার দেহের ঘ্রাণ নিবো।
সেদিন ত্রিমাত্রিক তুমি, আমায় ছুঁয়ে দিতেই
হারিয়ে যাবো তোমার চোখের প্যারাডক্সে।

আহা কবিতা!
বাস্তব আর পরাবস্তবতার মায়াজালে
আমরা এত কাছে, তবু কতই না দূরে!

সেদিন আমাদের কুটাভাসে-

আমি হবো বিচ্ছিন্ন, আবার আমিই আচ্ছন্ন।
আমি হবো সুস্থির, আবার আমিই অস্থির।
আমি হবো ক্ষুদ্র, আবার আমিই ব্রহ্মাণ্ড।
আমি হবো তুমি, আবার তুমিই আমি!

একুশ সূর্য

মায়ের ছেলেরা একুশের দ্বীপ্রহরে
১৪৪ ধারা কে বাংলার পায়ে পিশে।
বাংলা একাডেমিতে স্লোগানে মুখরিত,
দাবী একটাই- "রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই।"

হায়েনা বাহিনীর বিষাক্ত কার্তুজে
রফিক, শফিক, জব্বার প্রমূখের
বুকের কোটর হতে ঠিকরে পড়ে,
সবুজ বাংলার রুধির লালসূর্য।

মুক্তি পাগল ফিনিক্স পাখির মতই
কোটি বাঙ্গালীর ঘুম ভাঙ্গা মিছিলে-
উড়ায় লাল সবুজের স্বাধীন কেতন
বিশ্বের বুকে সৃষ্টি অনন্য বাংলাদেশ!

একুশ সূর্যে বিশ্ব জাতি হয় অালোকিত
শত কোটি প্রাণের বাজে বিল্পবী কণ্ঠ।
অমর একুশে কেপে উঠে বিশ্বদরবার
সকল কণ্ঠে মাতৃভাষার দৃঢ় অঙ্গিকার।

চকের পোড়া ক্ষত



নিমতলী হতে তাজরীন
এবার এলো চকবাজার
ওদের মরণে কে দায়ী?
দগদগে পোড়া বাংলা
নাকি মৃত্যুর ফেরেস্তা?
একে একে পোড়া ক্ষত বাড়ে
চক বাজারের লাশের মিছিলে।
রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভোর ঘুমে পড়ছে ডাঁক
ষোল কোটি হৃদয় অাজি পুড়ে খাঁক।

শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ঋতের মূলমন্ত্র

দূর হোক সকল মনের কালো
জিতুক সুপ্ত নবীন স্বপ্নগুলো।
মুছে যাক সকল অশুভ কলঙ্ক
ফিরে অাসুক সকল সুখগুলো।

ব্যাহতি হোক নিষ্ঠুর অন্যায়
জয় হোক শুধূ  সত্য ধারায়।
কাটুক সকল মনের অাধার
নবচেতনে ঐশ্বর্য বাধুক ঘর।

ধূয়ে যাক সব নৈরাশ্য কালি
ছুয়ে যাক মনে অাশার বাতি।
জ্ঞানে হোক পথ অালোকিত
মননে বাজুক ঋতের মূলমন্ত্র। 

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

পাহারায় থেকে

প্রিয় সঙ্গোপনের তিন দোলনে
শাপমোচনের পথে যায় এগিয়ে,
নিঃশব্দ নিশ্বাসের দৈবী ছায়ায়
অলীক হৃদয় ভেসে যায় তীরে।
প্রিয় অন্তঃশিলার সুপ্তি চমকে
অবিমিশ্র চেতনায় পায় ফিরে,
নিশ্চিত অনন্তের ঐশী কুঠরি
খোয়াব গড়ে উষসীর নয়নে।
এঁকে অপরের পাহারায় থেকে.......

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

অস্তগামীর রং

গোধূলীর বেলাভূমিতে এসেছি 
তাঁর বুকের হ্রদে ডুবসাতার দিতে
অাধারের একমুটো কালো ছটায়অ
অস্তগামীর রং-এ সে এই বুকে।

সে এসেছিল নিরবতা ভেঙ্গে 
মহাকাল পরে মনোরঙ্গিনী হয়ে
স্তব্ধ হৃদে অবসানের প্রতিক্ষা
এক অপূর্ব কামনার সোভায়।

রক্তমেঘ, সান্ধ্যের অালপনায় 
বালুচরে এঁকেছি তাঁর প্রিয়মুখ,
হৃদয় ছুয়েছি হৃদয় দিয়েছি
কোন গোধূলী সন্ধ্যার তীরে।

শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮

কালপুরুষ

অাজকের চন্দ্রগ্রহণে অামার শনিগ্রহ
তার নিরব চূর্ণ আলোক কণায়-
মেঘের মহাপ্লাবণ; অঝোর ধারায় ঝরে
বৃষ্টি হয়ে মিশে যায় তোমার অাঙ্গিনায়।

অামি এক পতিত কালপুরুষ
মিশে যাই মহাকাশের মহাকালে।
ফিরে অাসবো বলে-
বৃষ্টিহীন কোন এক চন্দ্রগ্রহণে!

অামি কালপুরুষ-
স্বপ্নের সেই সিঁড়ি ভেঙ্গে
অাবার হবো আলোড়িত
মহাকালের অবাধ স্রোতে।

তোমার দ্রোহের অনলে!

এদেশের বুকে আবার আঠারো নেমে আসে

জুলাই ২৯, ২০১৮ রোববার, দুপুর ১২ঃ৩০।
রাক্ষুসে পঙ্গ পালের রক্তাক্ত  গড্ডলিকায় 
রমিজ উদ্দিনের শিক্ষার্থীর না ফেরার অপেক্ষা!

সাথে সাথে কোটি সন্তান সমস্বরে  বলে-
'মা তুমি আমার জন্য আর অপেক্ষা করো না,
আমি আর ঘরে ফিরবো না’!

পরিবহন খাতের বেপরোয়া দৌরাত্ম্যে 
রাষ্ট্রীয় তথকের যখন নির্লজ্জ অপভ্রষ্ট!
তখন মিম ও  রাজিব পিষানো দেহ আকুতি করে-
‘মা, ওরা বাস আর দেওয়ালটার মাঝখানে 
আমার জন্য জায়গা রাখল না’।

দূর্নীতির ঝান্ডা আর ক্ষমতার বড়াইয়ে 

যেখানে অপশাসনই হয় আইন!
সেই শৃঙ্খল ভেঙ্গে আজ রব ওঠে- 
"যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, 
যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তবে তুমি বাংলাদেশ’!

বুর্জোয়াঁ আর পাচাটাদের দাপটে

যেখানে মেকী সোনায় সয়লাব!
সেই মাটিতে আজ কোটি সোনারা গর্জে ওঠে-
‘মুজিব কোটে মুজিবকেই মানায়, চামচাকে না’!

রাজনৈতিক বাগড়ায় সুবিচার সোনার হরিণ
যেখানে নৈমিত্ত হয় অধিকার লঙ্ঘন!

সেই বৃত্তের বাইরে আজ নিষ্পাপ মুখে বুলি- 
 ‘4G স্পিড নেটওয়ার্ক নয়, 
4G স্পিড বিচার ব্যবস্থা চাই’!

হীরক রাজার যন্তর-মন্তর কলের মন্ত্রে 

যে দেশে চলতে হয় বন্ধ চোখে, মেকি হেসে
সেই রাজ্যে আজ নবচেতনায় রব হঠে-
‘আমরা ৯ টাকায় ১ জিবি চাই নানিরাপদ সড়ক চাই’!

ডিজিটাল গোয়েবলসীয়ে ব্যর্থতা ঢাকার অপচেষ্টা

যেমন, বাংলাদেশে মাত্র ৪.২ শতাংশ বেকারত্ব!
র তাতেই নবপ্রজন্ম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর-
‘বি দ্য চেঞ্জমেকার টুডে অর বি দ্য ভিকটিম টুমরো’!

স্বাধীনতার সাতচল্লিশে ট্রাফিকের টুপাইস 

মাদক ও অপরাধের হয় অবাধ বিচরন।
তাই কোমলমতি প্রাণে বাজে অনাদরি বাণী- 
‘ছাত্রদের আপাতত রাস্তা সামলাতে দিন,
মন্ত্রী-পুলিশদের স্কুলে পাঠান শিক্ষিত করতে’!

পুলিশ উৎকোচ ও মেরুকেন্দ্রিক শাসনে 

র সনদবিহীন চাকলে আমলার শোডাউন!
তাই স্কুল পড়ুয়া সন্তানের মুখে একি কথা শুনি !
‘পুলিশ আংকেল, চা-সিগারেটের জন্য টিফিনের টাকা দিয়ে দিচ্ছি। তবু এসব গাড়ি চালাতে দিয়েন না’!

রাজিবের বিচ্ছিন্ন হাত, চলন্ত বাসে ধর্ষণ 
ওদের হাতের ময়লা
আহত ছাত্রকে নদীতে ফেলতে ওদের বুক কাঁপে না!
তাই বাংলা হৃদয়ের   জ ন্যায্য দাবী-
গে ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই না, নিরাপদ সড়ক চাই’!


জনগনের রাজস্বে ওরা কোটি টাকার গাড়ী দাপায় 

লাল ফিতার জগতে তাদের খাইখাই স্বভাব!
এবার বালিতে মুখ লুকানো উঠপাখি মানুষ হয়-
'জনপ্রতিনিধিদের সপ্তাহে অন্তত তিনদিন গণপরিবহনে যাতায়াত করতে হবে’!

দেখো, এদেশের বুকে আবার আঠারো নেমে আসে

এদেশ তাদের, এরাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ!
ঠারোর হৃদয়ে আজ প্রাণের দাবী-
‘সড়কে হত্যার একমাত্র শাস্তি, ফাঁসি চাই’।

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮

সুরেণু ঝড়

তোমার হৃদয়ের সবটুকু লাল
অার অামার দ্রোহের অনল।
এক রন্ধ্র অার এক পুষ্পরথে
একক নবীন সূর্যের অাগমন।

শুধূ চেয়েছি তাকে বিমুগ্ধ মনে
দেখি সর্বনাশা ঐ অাখি কোণে।
অামারি শিরার প্রতিটি কণায়
তার সুরেণু ঝড় মাদল তালে।

বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

মৌন বাসর

মম রবি অাজি কোন কোণে ধাঁয়
ওগো বাতায়নবর্তিনী ভালবাসি তোমায়!
হারাই হৃদয় মোরা সুদূর দেশে
মৌন বাসর অলোক পাড়ে

অায়না বন্ধন

রক্তকমল টিপ নন্দী ললাটে 
অায়না বন্ধন নবীন হৃদয়ে,
অাজি বাদল মুখর বাতায়নে
সখার বদন একেঁছি চোখে।

মায়াডোরে

কি মায়াডোরে বুনেছ এ হিয়া?
অাহা, কত্তো সুখে বেধেছ সখা।
কি খেয়ালে অামি তুমিতে মজি?
সখা, জানি অাজি তাহা জানি;
ভালবাসা, ভালবাসো, ভালবাসি!

জাতিস্মরে

প্রজন্মান্তরে দীপ জ্বেলে যাই
অগ্নি অমরাবতীর ললাটিকায়।
বেঁচে থাকি তাহার হাস্যকোণে
ফিরে অাসি পুনঃ জাতিস্মরে

ডায়াসপোরা

অামার অামি ডায়াসপোরা,
তোমার গহিনে চমক তোলা।
অামার অামি বিষম একলা
তোমার হদয়ের পবন দোলা।

হোমো সাসের

বরজ ক্ষেতে নরকী বুনন
উর্বর পলিতে মরণ রসায়ন।
'শান্তি জয়ী'-র রোহিঙ্গার প্রাণনাশ
পূণ্যি লভে 'হোমো সাসের' অাবির্ভাব।

তিমিরে শপথ

রোজা নামচায় অালুনি স্মাণ
প্রভাত রাঙ্গাতে দীপ্ত ম্লাণ।
অষ্ঠপ্রহর তক্কে মিছি ভাবনা
তিমিরে শপথ নিরবে শুক্লা।

স্বপ্ন

চলকে চলেছি বাঁকে বাঁকে
জলেতে ভেসেছি উর্মি তলে।
খেয়ালে গেয়েছি সুরে লয়ে
প্রভাতে মেখেছি স্বপ্ন গা'য়ে।

বাধন বর

ফিরছি অাবার কলের জীবনে
হইতে কলনোকর!
মিশে যাই অাবার ইট পাথরে
ফেলে বাধন বর!

অস্তাচলের ধোকায়

বিহ্বল নিশীথিনীর অম্ল জটলা,
পবন পুত্রের ধরত্রীকন্যায় অপেক্ষা।
অস্তাচলের ধোকায় উলট ভাবনা,
এতদূর পেরিয়ে নিসঙ্গ একলা।

নাকের নোলকে

বাতায়নে ভেসেছি খেয়ালে
সখি তোমারি বাসনা মিলাতে
অাহা কি ঢং এ বাধিয়েছ
তোমার নাকের নোলকে।

মা

মা অামার মা
স্নেহের বাধন গড়া।
মা অামার মা
অালোয় জগত ভরা।
মা অামার মা
নাড়ির টানে ফেরা।
মা অামার মা
শান্তির অাচল ছায়া।

অালোকের অন্তঃপুরে

রাত্রির পরিপঙ্খতায় সূর্য
অালো ছড়ায় ভোরে।
ছায়ারা অাবার হৃদয়ে ঘুমায়,
অালোকের অন্তঃপুরে।

রূপালী স্নান

পলাশ রাঙ্গার গোপন চাদর
তমালিকা! তব বচনে তপ্ত অাদর।
জোছনা কুমারীর রূপালী স্নান
তিলোত্তমা! তব ঝিলিকে সকলি ম্লান।

নিরন্তর ঢেউ

বিহ্বল মনে উঠা নিরন্তর ঢেউ
অপূর্ণ ধ্বণি যোগে অপলক কেউ।
সুখের ঠায়ে নিথর কনক গর্ভে 
বহে অমিয় ধারা ললাট নেত্রে।

হৃদয়ের নদী

সূর্যের রূপার রঙে ঝলমল করিছে প্রহর
নিম্নে দিকচিহ্নহীন সুপ্তি মগ্ন মেঘের প্রান্তর
সেখানে ঘাসের পাতা ঘুমের মত
অজস্র পাতার ফাঁকে
হৃদয়ের নদী হয় চাঁদ নেমে আসে

টুনাটুনি সংসার

হিমাদ্রী নীল বুনো শালিকের চোখে
অশান্ত কল্লোলময় বিপ্লবী বাতায়নে।
ধরণী স্বপ্নে চড়ুইভাতি মিটিমিটি জ্বলে
শিশিরধৌত জোনাকির স্বল্প অাগমনে।
অাধার মুছে ফেলে রাত জাগা পাখি
রূপার চাঁদ অার বিস্তৃত স্মৃতির মাঝে।
অামের মুকুল হারায় কুয়াশার চাদরে
শূন্যের দেয়ালে টুনাটুনি সংসার বাঁধে।

বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে



যেখানে দুই নদীর একটি ঢেউ......
যেখানে বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে ডেকেছিলো কেউ।

গোধূলীর নিড়ে!

সোনালী স্বর্ণের তাপদহনে দীপ্ত পুড়ে ছাই হয়
নোনাজলের নপুংসকতায় দরিয়া যৌবন হারায়।
কালরাতের কালোছায়ার অাধার হারিয়ে য়ায়
হিমবায়ুর দাপটে ঘুমচোখা পরিযায়ী পথ হারায়।
বৃদ্ধ খেয়ায় মাঝিমাল্লা পাড়ি দেয় কুয়াশার বাঁকে
পরিত্যাক্ত বীরাঙ্গনার ছেড়া কাপড় ফিরে পেতে।
তবু শিমুল তার নিযুত পল্লবপুঞ্জ মেলে ধরে শূন্যে
যদি সুখ-সারির বিকেল ফিরে গোধূলীর নিড়ে!

স্বর্গের ছায়ায়!

জীর্ণতা অামার ঝরে যায়..... 
অনাবিল সংসারের মায়ায় 
অনিন্দ্য সুন্দরের অপেক্ষা-
স্বর্গের ছায়ায়!

নব্য প্রতীক্ষায়

কুয়াশার চাদরে অাঁকা নবোঢ়ার পৌষ সজ্জা
তাঁর মুক্তোমাখা শিশিরের চোখে তাঁরার মেলা।
প্রভাত ফেরী কানে পরেছে ঘুম কুমারীর দুল
পাখপাখালির ডানায় ভেঙ্গেছে রবিরশ্মির ভুল।
ইন্দ্র বায়ুর জোয়ারে মেঘ অাসে জলধির পানে
উদধির এক রতি নীলকান্ত সে নারীতে বাধে।
জাদুর ছোয়ায় রুপালী বিন্দুর প্রাণ হেসে ওঠে
নব্য প্রতীক্ষায় মহাকাল অপেক্ষার প্রহর গুনে।

ছলরশ্মি

প্রচ্ছন্ন ইশারায় বলেছি অর্থের স্বীয় গাম্ভীর্যতা
অব্যক্ত অালাপনে সাজিয়েছি নিরব উপত্যকা।
কল্পনার অভ্যন্তরে ঘুমিয়ে অামার স্বপ্ন অনুভব
বাস্তবের আড়ালেই লুকিয়ে অামি পরাবাস্তব।
অাকাশের ওপারে অামি হেটে চলি ছায়াপথে
সুমেরু রাজ্যে মধুরতম অভিযান আমার মনে।
শ্বেত ছায়ায় সময়ের সুগন্ধ ফুলগাছের ডাল
এই যে চাঁদের ছলরশ্মি! মনে রেখ চিরকাল।

মাঘ অাসবে বলে!

সাদা কালোর মাঝে কুহেলীর
একটি শিশিরবিন্দুর প্রতীক্ষা।
মাঘ অাসবে বলে!

মেঘের ওপাড়ে

কুয়াশার নিঃসঙ্গ রাতে
বন্ধুর বাঁকে ভয়ংকর আতংকে;
সুদূরের পথিক অন্তহীন পথ ধরে
বিরানহীন পথে হাঁটে আর হাঁটে।
হাঁটতে হাঁটতে জোড়া চোখ
উপযোগের সন্ধান করে;
নিগূঢ় চিন্তায় অার বিষণ্ণ অবয়বে
চোখ রাখে কেবল মেঘের ওপাড়ে।

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...