শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

-: মহাকাল পাঁচালি:-

হে নিরাকার,
তোমার অদৃশ্য হাত গুলো হ্রস্ব
তথাপি তার তীর উড়ে যায় মৃত্যুর সীমা পর্যন্ত।

হে নিরবধি,
তোমার স্বর ক্ষীণ
তথাপী তা ধ্বণিত হয় সপ্তাকাশের শেষতম পর্যন্ত।

হে ভরশূন্য,
তোমার চাপরাশী অস্পর্শী
তথাপী তাতে সৃষ্টি ও নাশ হয় গ্রহ নক্ষত্রের।

হে গন্ধহীন,
তোমার নহরে স্বাদহীন সুধা
তথাপী তাতে আনন্দ ও বিরহের ধারক হয় আত্মা।

হে অন্তঃপুরী,
তোমার বাস অগভীর তলায়
তথাপি তার শিকর ধাবিত হয় পাতালপুরী পর্যন্ত।

হে সহর্ষ,
তোমার হাসি মুহূর্তকাল
তথাপি এটি উড়ে যায় স্বর্গের সমান উচ্চতায়।

হে নিরন্তর,
তুমি স্পর্শ করো না  ছলনা রূপ,
তথাপী তোমার আচরনগুলো সুদীর্ঘ অগ্নি সঞ্চারী।

হে কষ্টলভ্য
তোমার পীড়া নিমেষ
তথাপী তাতে খুলে যায় সপ্ত নরকের প্রতিটি দরজা।

হে ধ্রুব,
তোমার ধারা অপরিবর্তনীয়
তথাপি তোমার গতিতে লন্ডভন্ড হয় আকাশ বাতাস।

হে জীবনাস্রোত,
তোমার প্রবাহ চিরন্তন
তথাপি তোমার গ্রাসে হারিয়ে যায় মায়ার মানব সংসার।

হে যষ্টিধারী,
তোমার আসায় বসতি
তথাপি তোমার  নিষ্ঠুরতায় আরধ্য সপ্নের অপূর্ণতা রয়।

হে অনিশ্চিত,
তুমি বিরহের ধারক
তথাপি তোমার আর্শ্বিবাদে প্রতিটি ভালবাসা বেচেঁ রয়।

হে মৃত্যুপথ,
তুমি সংহার করো প্রাণের
তথাপি তোমার মমতায় নতুন জীবন জন্ম নেয়।

হে আপেক্ষিক,
তুমি চীর যৌবনের আধার।
নশ্বর এ মানব সজ্জলে
চিরবিদায় হে বিদায়ী বর্ষ।
সুহাস্যে করি অভিবাদন
সুস্বাগতম "শুভ নববর্ষ"।

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

সামষ্টিক ভবিষ্যৎ

হে সুরভিত অামার প্রিয়তমা রানী
অামাকে দাও তোমার অনুগ্রহ, হে রানী
তুমি অামার স্বর্গদ্বার, স্নিগ্ধতমা।

মনোহারিণী কুমারী রাগীণী তুমি, 
অামার হৃদয়ের লহমায় তোমার সুর বাধা
অানুকূল্যের জন্য নিবেদন করছি অামার ভালবাসা।

এসো অামার রানী, অাসো দূরদর্শীনী, অামি তোমায় ডাকি
হ্যা ঐতো তুমি অাসছো-
অামি শুনতে পাই পুষ্পময় বসন্তের পদ ধ্বণি।

এসো এসো প্রিয়তমা অামার অাবাসে
যেখানে পাবে তুমি ভালবাসার অারধ্য সন্তান
চুক্তিনামার অন্তরূপে পাবে মাতৃত্বলাভের সম্মান।

যেখানে তুমি পাবে অাখাঙ্কা, তোমার সেই অামায়
তোমারি কষ্ট কে সান্তনা দেবার জন্য ঠায় রইবো বিনিদ্র 
যা শুরু হয় অভিমানে অার সমাপ্তি ছিল বিচ্ছেদে তিক্ত।

অাহা কি সর্গ তোমার ঐ পর্বতের উপর বেয়ে
ছন্দে নেচে বেড়ানো অার নিঃশ্বাসে গান করে
উন্মাদনা সৃষ্টিকারী উজার উড়াল পাল তুলে।

কি মধূর এই নহরে নিঃশেষে ডুবে যাওয়া
যখন অাদিম হরিণ ধরা দেয় শিকার রূপে
ওহ্ কি অানন্দ রক্ত অার কাঁচা লাল মাংসে।

কৃষ্ণ কালো ডানা যুক্ত ‘নিশীকাল' তোমার অপেক্ষায়
তিমির লোচনে কামনার জাদু ও গভীর অাহবান প্রিয়তমায়
পড়লো অাদিম তাড়িত বীজ, যখন ঋৃতুচক্রের সঞ্চিতায়। 

অন্দরে ধাবিত হলো প্রেম,  জেগে উঠলো প্রথিত ভালবাসা
স্বর্ণের জঠর হতে উজ্জ্বলতা ছরিয়ে তোমাতে বিন্দুস্থের ব্যপনতায়
অামাদের নির্যাসের পরিণয়, অবশেষে অাত্মত্যাগে জন্মের প্রতিক্ষায়।
অামাদের সামষ্টিক ভবিষ্যৎ!

মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

প্রিয়তমা

হে প্রিয়তমা,
অামার একনিষ্ঠ ভালবাসা অার প্রাণহীন হৃদয়ে তোমার প্রতীক্ষা
মহাকালের বুক চিরে সাড়া বোঝা মাথায় নিয়ে অাগমনী অপেক্ষা।

প্রিয়তমা তুমি অাসছো-

ঐতো ধূলোয় লুটাচ্ছে তোমার পদ্মকমলের রিনিঝিনি কঙ্কণ!
গোলাপী ওষ্ঠদ্বয়ের কোণে মহাকাব্যিক হাসিতে ঝংকার তুলতে তুলতে
ছুটে অাসছো বিস্তৃত ভ্রমর কালো কেশবীথি বাতাসে মেলে।
ধবধবে ফর্সা মুখে একরাশ মুগ্ধতা ছড়িয়ে তুমি ছুটে অাসছো!
পাখির নীড়ের মতো স্নিগ্ধ অাধারী চোখের দূতি ছড়াতে ছড়াতে
বাহুদ্বয় বলাকার মতো পাখনা মেলে ঐ অসীম অাকাশ পাড়ি দিয়ে।

প্রেয়সী প্রিয়তমা!
সৃষ্টিকারী তোমায় রূপের অাড়ালে করেছেন অপরূপা।
কেন শুনতে পাওনা?  অামার যে ডাকতে ভাল লাগে!
ক্ষণে ক্ষণে নাড়া দিয়ে যাও কেন? কেন ছুয়ে যাও বারবার?
যখন নাড়া দিয়েই যাও, তখন সাড়া না হয় দিয়েই গেলে অাবার!

প্রিয় অারাধনা
অামার চেতনার রঙ্গপ্রিয় তুমি, অামার অারধ্য লজ্জা লাল
বুঝেছি এতোদিনে!  অামি তোমার অামার পরম মিলনের রক্তজল!
অামি দেখতে চাই তোমায় ঐ হাসির মাঝে অপরূপাকে
যে হাসিতে মেঘ কেটে রোদে ঝলমল করে দেয় অাকাশটাকে।
অামি দেখতে চাই তোমার ঐ চোখের কোণের জলকণা
যে শ্রাবণ ধারায় মনের ময়লা ধুয়ে পবিত্র করে দেয়  চেতনা।

প্রাণের প্রিয়া-
একদিন তোমার জন্য প্রাণ দিবো প্রিয়তমা
এই কথা কত্তবার মনে মনে ভাবি!
ভালবাসার  অাখি এতো দিন কোথায় ছিলে?
যেও না হাত খানি হতে খসে
ভুলোনা অামায় রিক্ত করে!
প্রিয়তমা ভালবাসি তোমাকে!

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

কাহিনী ও বাস্তবতার অতৃপ্তি

অামি ছিলাম তোমার বাস্তবতা যা পরিণত হলো কাহিনীতে
অার অদৃশ্যমান অলীক কাহিনী বাস্তবতায় এলো ফিরে।
প্রিয়তমা তুমি পুঁজিবাদীর প্রতীক অার অামি নিতান্তই প্রেমে
অামার চিরন্তন স্পর্শে কখনো অানন্দ পাওনি পার্থিব লোভের মোহে।


যেমন ধার্মিক পায়না ভক্তি বিবর্তনের বিভেদে
নদী পাায়না দুরন্ত যৌবনা স্রোত বাধের দেয়ালে।
প্রকৃতি পায়না কুমারী সুখ কল্লোলরাজীর উচ্ছেদে
ভাবনা পায়না কল্পনারস যন্ত্রকলার কারনে।


তুমি হারালে অসীম দূরত্বে যদিও চাইলেই পারতে অাসতে
যদি একবার চাইতে ধন্য হতাম ভালবাসার মায়ায় বাধতে।
তবুও তুমি এলে না নারী, এ জন্মের পূর্নতা শেষ হলো অপূর্নতায়
সবার মত তুমিও চাওনি থাকতে সত্যিকারে অামার বাসনায়।


প্রার্থনা, তুমি অাবার না হও 'বেদনা' অামার স্মৃতিমায়ার জালে
অামি বেঁচে ছিলাম, ঠিকই বেঁচে থাকবো তোমার মনের মাঝে।
নশ্বর দেহ মারলেই কিই বা ক্ষতি, অাসলে প্রেম কি মরে?
প্রেমময় রঙ্গে সেই হয় জয়ী যে অবলীলায় উৎসর্গ করে।


কান পেতে শোনো তোমার মনের বেহালায় কি সুর বয়?
এই প্রেমের মৃত্যুতে কোন অপরাজিত কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হয়?
তোমার চোখের দৃষ্টির অগোচরে দেখো কেন অশ্রুগঙ্গা বয়?
অামার বিসর্জনের মাঝে তবে কিসের বিজয়ী উল্লাস জারী রয়?


প্রস্তুুত থেকো প্রিয়তম-
প্রতিক্ষণে অদৃশ্যতলে বারবার অাসবো তোমার সামনে।
ভালবাসার শপথ সখা-
নিরন্তর ঐ অবচেতন মনে ঠিকই হাহাকারে উঠবো জেগে।


অাবার তুমিই বাস্তবতার অতৃপ্তিতে কাহিনীকে খুজে ফিরবে।
তখন অার ফিরে পাবে না সেই তোমার অামাকে, জন্মান্তরে!

নারীত্ব

হে নারী-
আমি তালাসী করি ভালবাসা আদিতে
আদম ইভের ন্যয় রূপোন্মত্ত প্রেমেন্দ্র তুষ্টিতে।

হে নারী-
নারী আমি খুজি ফিরি তোমারে আধার-আলোকে,
ক্ষণের পরে ক্ষণে, শতাব্দীর পরে শতাব্দীতে।

হে নারী-
খুজি ফিরি তোমায় রুমঝুম রুমঝুম ধ্বনিতে,
রিনিঝিনি রিনিঝিনি শব্দে মুখর আচ্ছন্ন হৃদয়ে।

হে নারী-
আমি খুজের ফিরি ভ্রুণের সেই আমাকে
তিলেতিলে মাতৃজঠরে নবজন্মে সিক্তকরণে।

হে নারী-
আমি ছুটে বেড়াই নিষ্পাপ মায়ার বন্ধনে
এতোটুকুন সহোদরা ভগনীর ছোট্টছোট্ট বায়নাতে।

হে নারী-
তোমার মানবীয় যৌবনই কি যথেষ্ট?
তবে জননী- ভগনী কিরূপে মর্যাদা পায়?

হে নারী-
তুমি তো শুধূ ভোগ্য নও পিপাসিত আমার কামে
তুমি জননী ছায়ায়, ভগনীর নিষ্পাপী অববয়ে।

হে কামার্ত নারী-
তোমার উলঙ্গ উদ্ধত বুক ওড়নায় ডাকো,
কৌমদির বিবসনা হওয়া অবসম্ভাবী তবে তা প্রেমে।

হে কৌমারী  নারী-
তোমার নগ্ন সঞ্চিতা গিরিখাত পোষাকে জড়াও,
প্রিয়তমার নির্লজ্জ হওয়ার অধিকার চিরন্তন  তাও শুধূই প্রেমে।

হে শ্রদ্ধেয়া নারী-
তুমি মোটেও নগন্য নও, আমার আরাধনা তুমি।
যে নারী জাগতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকারী,
যে সৃষ্টিধর  নারী  মানব শিশুকে আনে  বসুন্ধরায়
সেই শ্বাশ্বত মানবকুলের জননী সর্ব সভ্যতায়।

হে প্রিয়তমা নারী-
হ্যা আমি পাগল তোমার রূপের মহিমায়
এই ধরনীর কসম তুমি একদমই সস্তা নয়।

হে ছলনাময়ী নারী-
মানব শিশু আমি, জননীর খোলা স্তন বহুদিন পান করেছি
তোমার তেকোনায় মাত্রই আদি কয়েকটি সর আছে বুঝেছি।

হে শ্বাশত নারী-
নারী আমি খুজি ফিরি আমায় তোমার অন্দরে! 
তোমার নারীত্ব আমি খুজে ফিরি আমার হৃদয়ে!

প্রত্যাশা

তবে ফিরে অাসুক সে প্রিতমার বাহুডোরে,
যেথায় সুখগুলো ঐ পরানে খেলা করে।
তবে ফিরে যাক কষ্টের যন্ত্রাণময় একাকীত্বের
বিরহের বিলীন হোক তবে পুনঃমিলনের!

তবে ফিরে যাক মিথ্যেরা সত্য হয়ে,
পোড়া হৃদয় নহে অনুতাপে,
ইস্ক প্রোজ্জ্বলে হোক অাহবান
ফিরে অাসুক সুখ গুলো সেই অতীতের নীড়ে!

পোড়া হৃদয়ের ক্ষত যাক মুছে,
ভালসার সখা বলুক তবে-
ভালবাসি অামার প্রিয়তমা বধূ
যাবোনা কোনদিন তোমাকে ছেড়ে!


তবে ছলছল হোক না সে অাখিদ্বয় অাবার
তবে হোক না অবগাহন কষ্টের অার একবার।
তবে ডুকরে উঠুক পুনরায় সেই স্মৃতির পাঁতা
তবু বলবো, এ দুঃখ শেষ হোক, মুক্তিপাক সুখগুলো।

শুরুহোক তবে নতুন দিগন্তে-
নতুন পথ পারাবার!

তবে অাজি পাড়ি দেওয়া হোক সাহারা প্রান্তর,
যেথায় সপ্ন নামের মরিচিকারা হয় ধুসর।
তাদের বাস্তবতায় অানতেই হোকনা এ যাত্রা!
তবু বলবো হে যাযাবর, ফিরে এসো সেথায়, 
যেথায় অপেক্ষামান তোমার ভালবাসা।

তবু বলবো ভালবাসা,
সে তো "ভালবাসা"!
মান অভমানের ছেদ হোক,
বহমান হোক ছন্দের সেই নিংড়ানো ভালোবাসায়।

সুখে সমাপ্তি শেষ বেলার!

সবুরের মেওয়া

হে রহস্যময়ী নারী
তোমার অন্দরে অামি অামায় অাবিস্কারে খুজে ফিরি
তোমার মমতায় অারধ্য নারীত্ব খুজে পাই হে লালনকারী।
হ্যা অামি তোমার মায়াময় মুখের প্রেমে হলাম অাচ্ছন্ন!
তোমার সুগঠিত বক্ষপট অামায়  করবে না অার পথভ্রষ্ট।

হে কামনাময়ী,
তোমার পেলবী বহমান কলকলিতে নব যৌবনের অাধার।
তোমার  খরোস্রতা উত্তাল হাসি এ জীর্ণ দেহের প্রাণের সঞ্চার।
তোমার শৈষ্ঠবের কপাট খুললে বের হয় সঞ্জীবনী  শীতল হাওয়া,
ঐ শিতলতা দিয়েই প্রেম  তৈরী, অাহা বেহেসত খুব দূরে না!

হে অারধ্যা,
যেখানে  চার নয়নের মিলন খেলা করে,
সেখানে ওষ্ঠের মিলনের কথা অবান্তর।
যেখানে চার বাহু একসাথে খেলা করে
সেখানে বক্ষের মিলনের কথা অবান্তর।
যেখানে দুই মন এক বিন্দু ছেদ করে
সেখানে অাদিম মিলনের কথা অবান্তর।

হে কুমারী,
হ্যা অামি অাজ হাসির দোলা দুলে যাই,
যে হাসি ঠোঁটে উচ্চারিত নয়, চোখে খেলা করে।
অাজ অামি হৃদয়ে ঝরনার প্রবাহে ছুটি
এর উৎস সুখ ডগমগ হৃদয়ের নিভৃত প্রদেশে।
অাজ অামি পূর্ণ মিলনের ঝংকার তুলি
এর পরিতৃপ্তি অন্তিম প্রান্তরেখায় সুখের কান্নাতে।

ওহে যৌবানারম্ভা,
তোমার নির্জন পাহাড়ের উৎসঙ্গ হতে বের হয়ে অাসে ঝরনা প্রবাহ
অামার  শূন্য চৌচির হৃদয়ের মাটিকে ভরিয়ে দাও ধারায়, সিক্ত করো! 
উপলবিনুনীর পাশ ঠেলে এই তৃষ্ণার্ত প্রেমিক সঙ্গীতে অামন্ত্রণ দিতে
তবে হোক অাবার, বারংবার অবগাহন করাও ঐ ঝরনার প্রবাহে!

হে প্রিয়তমা,
তোমায় সবুরে অামার চিরন্তন অপেক্ষা,
তুমি তো অামার সৌভাগ্যের মেওয়া,
এবার তবে পরিপক্ক ফলের অপেক্ষা!

নিঃসঙ্গতা

নিশুতির কালরাত্রী অনিদ্রায় অস্থির অামি
না! চোখে ঘুম নেই, সজাগ ঘুমের ঘোরে থাকি।
অামার শয্যাতলে অসীম শূন্য,
ঐ কন্টকশয্যা অামায় কি দিবে ?
সীমাহীন কল্লোলের ছায়াবিথীতে নিখোজ
অামার বিরচন কিসের তল্লাশে?

অাজ দেহ মনে পচনের দুর্গন্ধও স্বর্গীয় সৌরভ হয় মনে,
যদিও তুমি অার অাসবে না হৃদয়ের উত্তাপ বাড়াতে।
সত্যি জগতসংসার; অামি নির্বোধ, অামি অকাজের
সপ্মে পাওয়া ধন বাস্তবে পাওয়ার শোকে কেউ কাঁদে?

অামি নিঃস্ব, তাই অামার ভালবাসাও নির্মম অালাদা
সমস্ত অনুভূতি, ইচ্ছা অাজ অানন্দের ধূ ধূ  মরিচীকা। 
হ্যা, অাজ অামার পাঁজর রিক্ত, জরা, অামি বিকৃত,
অামি বাস্তুুহারা, তবু এ প্রেম অনন্ত ধ্রুবতারার মত।

অামার তৃষ্ণার্ত চোখে তোমায় দেখে নেই কল্পনায়
তবে অামি বিশ্বাস করি কল্পনাও তো মিথ্যা নয়।
বাস্তবাতার মতোই কল্পনার স্মৃতিটুকু মিলায় মহাকালে
বাস্তবতা কল্পনায় লুটোপুটি খায় এক হয়ে যায় অতীতে।
এই নির্জনতা ভেঙ্গে নাই বা এলে তুমি ক্ষতি কি তাতে,
পুরাঘটনে কল্পনায় ও বাস্তবতার মধ্যে কি বৈসাদৃশ্য অাছে?

তবু সীমাহীন এক অাকাশ সম দূরত্বে তোমার ফিরে অাসার পানে
মহাশূন্যের এক কোণে জ্বলে চলছি একাকী মৌন অবিচল ছায়াহীন প্রেমে।
অাজকের রাতটা বিশাল অাকাশ, তাইতো নক্ষত্র নিঃসঙ্গে
অামার হৃদয় অাকাশে শুধূ তুমি ‘শুকতারা’ টুকু জেগে থাকে।

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

-:অাহা কতোটা ভালবেসেছি!:-

সপ্নের কুঞ্জনে তোমায় পেয়েছি, ভালবাসায় কতোনা চেয়েছি
হৃদয়ের কুঠরে তোমায় রেখেছি, পাশাপাশি হাটাতে কতটা মজেছি।
নয়নের অাখঁরে তোমায় চেয়েছি, অশ্রুজলে না পাওয়া লিখেছি
অধরের হাসিতে তোমায় মেখেছি, ক্রন্দনরোলে দিবস কাটিয়েছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!


বাহুডোরের বৃত্তে কামনা এঁকেছি, শুন্যহাতের বিষে কতোটা হাতরেছি
নিঃশ্বাসের বায়ুতে তোমায় খুজেছি, দ্বীর্ঘনিঃশ্বাসে ভীড়ে একলা হারিয়েছি।
ভাবনার অাকাশে তোমাতে উড়েছি, নিরবদ্য যাতনায় গুমরে মরেছি
দৃষ্টিতে তোমার মুখটি দেখেছি, শূন্যদৃষ্টির অসীম কোণে কতটা দুঃখ এঁকেছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!

সুখের নীড়ের তোমায় সঙ্গী করেছি, একলা তক্তপোষে অবিরাম জ্বলেছি 
মিলনের অাশে তোমায় চুম্বন সেটেছি, ওষ্ঠের ব্যাকুলিতায় কাঙ্গালী রেখেছি।
হাতের স্পর্শেন্দ্রিয়ে ঝংকার তুলেছি, রূপের মোহতে অাবিষ্ট থেকেছি
পেলব অঙ্গের দোদুল্যমান করেছি, প্রেম সঞ্চালনে প্রশান্তি এঁকেছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!

শুভ্র পদতলে মোর জীবন সপেছি, নত মস্তকের নতযানুতে ক্ষমা মাঁঙেছি
অাদরে তোমায় রাঙ্গা বউ ডেঁকেছি, অমীত কল্প্যকষ্টে অঙ্গার হয়েছি।
মায়াময় বদনে খোয়াব দেখেছি, প্রিয়সখার সঙ্গপ্রিয়ে মধূর থেকেছি
নিষ্পাপ কথামালায় ছন্দ মেখেছি, হরিণী চাহনিতে পাগল হয়েছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!

সোহাগি ছলে ভৎসঁনা করেছি, ভালবাসার দুঃখে মোরা কুলুপ এঁটেছি
না চাওয়াতে কতোটা চেয়েছি, না পাওয়ার ছলনায় সুখী থেকেছি।
বাহানায় কতোটা অভিমান করেছি, দূরপরিগ্রহে বিচরনে কেঁদেছি
সুখের ফেরীতে সাম্পান তুলেছি,  একটুকরো সন্দেহে জলাঞ্জলি দিয়েছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!

সহাস্য মুখে প্রেমী সেঁজেছি,  অামাদের দন্দের অমিলনে ঘৃণা করেছি
সর্গসুখ তোমাতে খুজেছি, চাহিদার অপ্রাপ্তিতে কলহে মেতেছি।
মাথার দিব্যিতে মোরা সাঁতপাকে সপেছি, অাত্মজীবনে স্বার্থপর থেকেছি
জীবনকে মোরা একসুতোয় গেথেছি, বিশ্বাস ভঙ্গে অাজ অর্বাচীন হয়েছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!
অাহা কতোটা তোমায় ঘৃণা করেছি!
অাহা কতোটা নামে তোমায় ডেঁকেছি!
অাহা কতোটা নামে তোমায় অভিশাপ দিয়েছি!
অাহা কতোবার তোমায় বউ বলেছি!
অাহা কতোবার তোমায় গালি দিয়েছি!

অাহা কতোটা ভালবেসেছি,  কতোটা ভালবেসেছি, কতোটা ভালবাসেছি!

(রঃ বঃ)

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

কৃতজ্ঞচিত্ত মিনতিমালা

অমানিশার নিকরে প্রোজ্জ্বলিত ইস্ক তুমি দিয়েছ
বিশাল হিমাদ্রীর অসীম ভালবাসায় ধন্য করেছ।
সীমাহীন মহাশূন্যে সীমারেখায় সপ্তমস্বর একেঁছ
হৃদয়ের কষ্টকে মুছে সুখের বসতি স্থাপন করেছ।

হে প্রিয়তমা!
তুমি অামায় বিনিদ্র করেছ এই অনন্ত রজনীতে!

হে প্রিয়তমা!
মুধূচন্দ্রীমায় মিলনের অাকুলতায় অাচ্ছন্ন করেছ!

তোমার পাগল করা প্রেমে অাজ অামি ধন্য।
বলতো, কি করে তোমায় করি ধন্য? অামিতো নিঃস্ব!
তাইতো অামার জীবন তোমার পায়ে সপিলাম প্রিয়।

অামার সকল ইবাদত, ভালবাসা তোমার নামে-
হে প্রিয়তমা! গ্রহণ করো ইচ্ছেকথা, কবুল করো দোয়া।
হে অামার ভালবাসা! হে অামার ভালবাসা!  হে অামার প্রিয়তমা!

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

অামার বাংলা

ওহে বাংলা তুমি মাতৃজঠরে স্নেহরূপী লালন
বাংলা তুমি ধমকি কণ্ঠে বাবার মায়ার শাসন।
ওহে বাংলা তুমি বোনের নিষ্পাপ হাসির ঝরনা
বাংলা তুমি ভাইয়ের বুকের অঝোর ভালবাসা।

ওহে বাংলা তুমি দাদী নানীর মজার মজার কিচ্ছা
বাংলা তুমি দাদা নানার সুহাস্যমুখের জ্ঞানদিক্ষা।
ওহে বাংলা তুমি চাচা মামাদের পোলাও কোরমার ঘ্রাণ
বাংলা তুমি খালা ফুফুদের পায়েশ পিঠার প্রাণ।

ওহে বাংলা তুমি ছেলেবেলার জামাই বউ সাজা
বাংলা তুমি শৈশবের চুড়ুইভাতি অার খুটিমুচির মায়া।
ওহে বাংলা তুমি কিশোরীর এক্কাদোক্কা অার বউ ছি খেলা,
বাংলা তুমি দুরন্ত বালকের ডাংগুলি ও হা ডু ডু-তে মাতা।

ওহে বাংলা তুমি শিক্ষকের মানুষ গড়ার প্রচেষ্টা
বাংলা তুমি জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নয়নের প্রতিজ্ঞা।
ওহে বাংলা তুমি হাড়ভাঙ্গা কৃষকের অারধ্য ধানের ডগা
বাংলা তুমি শ্রমিক মজুরের রক্তভেজা ঘামের বন্যা।

ওহে বাংলা তুমি অামার কিশোরী মেয়ের হাসি
বাংলা তুমি অামার যুবতি নববধূর লাজুক চাহনী।
ওহে বাংলা তুমি অামার জীবনের অসীম জয়গান
বাংলা তুমি অামার প্রিয়তমার ভালবাসা বুকের অাসন।

ওহে বাংলা তুমি অামার জ্বালাময়ী মুক্তিকামী  ভাষণ
বাংলা তুমি অামার কবি, শিল্পী, লেখকের সৃষ্টিশীল প্রাণ।
ওহে বাংলা তুমি অামার প্রিয় নেতার নির্ভীক রাজনীতি
বাংলা তুমি অামার নব দিগন্তে নবচেতনার দূতি।

ওহে বাংলা তুমি অামার চীরসবুজের যৌবনের রং
বাংলা তুমি অামার লাল পাহাড়ীর পরিশ্রবণের ঢং।
ওহে বাংলা তুমি অামার একরাশ নীল সুমুদ্রের ঝড়,
বাংলা তুমি অামার বহমান নদীর বুকচেরা কাদম্বরী স্বর।

ওহে বাংলা তুমি অামার প্রভাত রাঙ্গা রক্তিম সূর্য
বাংলা তুমি অামার শরৎ এ একফালি সর্গীয় চন্দ্র।
ওহে বাংলা তুমি অামার তপ্ত দুপুরের মায়াময় রোদ্দুর
বাংলা তুমি অামার মন জুরানো অপরাহ্নের প্রিয় সুর।

ওহে বাংলা তুমি অামার নরম কাশ ফুলের ছোয়া
বাংলা তুমি অামার একরাশ লাল কৃষ্ণচূড়ার  মায়া।
ওহে বাংলা তুমি অামার রক্ত জবার অবাধ ছন্দ
বাংলা তুমি অামার মুয়ূীর পেখমের অপলক নৃত্য।

ওহে বাংলা তুমি অামার সুন্দরবনে হিংস্র বাঘের গর্জন
বাংলা তুমি অামার ভোরের অালোয় পাখপাখালীর গুঞ্জন।
ওহে বাংলা তুমি অামার পথে ঘাটে বক শালিকের বাসা,
বাংলা তুমি অামার হরিণ, বানর অার প্রজাপতীর অরণ্যে ঠাসা।

ওহে বাংলা তুমি অামার পহেলা বৈশাখী বাংলা প্রাণের মেলা
বাংলা তুমি অামার শিতল দেহে অাম কাঠালের ছায়া।
ওহে বাংলা তুমি অামার ভাষা একুশের রহিম সালামের মেলা
বাংলা তুমি অামার দামাল ছেলের নির্ভীক অপরেজয় সেনা।

ওহে বাংলা তুমি অামার সুমধুর কোকিলের ডাক
বাংলা তুমি অামার মেঠো পথে দূ্র্বা ঘাসের বাঁক।
ওহে বাংলা তুমি অামার মাছে ভাতের বাঙ্গালী
বাংলা তুমি অামার খেজুরের রস অার পাটালীর ঝুড়ি।

ওহে বাংলা তুমি অামার বন্ধূর দলে দুরন্ত ছুটে চলা
বাংলা তুমি অামার কফি হাউজে ঝড় তোলা অাড্ডা।
ওহে বাংলা তুমি অামার নাঙ্গা দেহে প্রাণের ভাষা
অামি বাংলার বাংলা অামার এক সুঁতোতে গাথা।

ওহে বাংলা তুমি অামার বোনহারা ভাইয়ের বুকফাটা কান্না
বাংলা তুমি অামার ছেলেহারা মায়ের অামারন অপেক্ষা।
ওহে বাংলা তুমি অামার নববধুর সফেদ বিধবার চাদর
বাংলা তুমি অামার বিরহী প্রেমিকের নিষ্পলক অশ্রুবাসর।

ওহে বাংলা তুমি অামার দুঃখী বোনের নিরন্তর অাহাজারী
বাংলা তুমি অামার অস্থির বাবার হাহাকারের পায়চারী।
ওহে বাংলা তুমি অামার অসহায় মানুষের নিরব ক্রন্দন
বাংলা তুমি অামার মজলুম জনতার শহীদ প্রাণের স্পন্দন।

ওহে বাংলা তুমি অামার বিরাঙ্গনা মায়ের বুকফাটা কান্না
বাংলা তুমি অামার লুণ্ঠিত বোনের নিগৃহীত কুমারী অাত্মা।
ওহে বাংলা তুমি অামার লাখো শহীদের রক্তের অালপনা
বাংলা তুমি অামার এক সাগর রক্তের লাল সবুজের পতাকা।

ওহে বাংলা তুমি অামার স্বাধীনতার রবের বানী
বাংলা তুমি অামার মুক্তিযুদ্ধে অকুণ্ঠ জয়ের ধ্বনি।
ওহে বাংলা তুমি অামার রক্তাক্ত বিজয়ী মহাবীর
বাংলা তুমি অামার চীর গর্বিত অহংকারী উচ্চশির।

ওহে বাংলা তুমি অামার সবুজ ঘাসে সদ্য শিশুর বিচরন
বাংলা তুমি অামার প্রভাত ফেরীর শ্রুভ্র সপ্নের অাগমন
ওহে বাংলা তুমি অামার চীর উন্নয়ন, অঙ্গিকারের ধারা বয়
বাংলা তুমি অামার বিষ্ময়, বিশ্বময় অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে  রয়!!

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর তাৎপর্য

বাঙ্গালী জাতীর উন্নয়নের অন্তরায় ঘটাতে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হায়েনা ও বাংলার মিরজাফরের দল (রাজাকার, অালবদর, অাল সামস্, শান্তি কমিটি, নকশাল বাহিনী) এর সম্মিলিতে বেয়নেটের মাধমে কোটি বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ সন্তানদিগকে নির্মম ভাবে হত্যা করার প্রতীক হিসেবে শোকের বুদ্ধিজিবী দিবস কে হৃদয়ের  অন্তঃস্থল হতে ও সজ্জল নয়নে স্বরণ করছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের আগমুহূর্তে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে রাতে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আকাশে জ্যোতিষ্করাশির মতো চিরসমুজ্জ্বল কয়েকজন মানুষকে শোকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করার জন্য বছরে একটি দিন 'শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস'রূপে পালনের নজির বিশ্বের অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না। ভবিষ্যতের জন্য বাঙালি জাতিকে মেধা ও মননে পঙ্গু করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এই দানবীয় পাপাচার সংঘটিত হয় এবং তা অত্যন্ত পৈশাচিক বর্বরতার সঙ্গে।

সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি মরমী জহির রায়হান, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশেদুল হাসান, আনোয়ার পাশা, সিরাজুদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামউদ্দীন আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ফজলে রাব্বী, আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীন সহ প্রমুখ শহীদ বুদ্ধিজীবীকে যারা বেঁচে থাকলে অাজ হয়ত বাঙ্গালী জাতীর অন্য ইতিহাস লেখা হত। 

এ বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের বড় একটি তাৎপর্য হলো, চার দশক বিলম্ব হলেও মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারে দণ্ডিতদের মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত প্রধান ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে; আগে আবদুল কাদের মোল্লা ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের এবং গত মে মাসে মতিউর রহমান নিজামীর। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যপ্রবাসী চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আশরাফুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে, তাদের দেশে এনে তা কার্যকর করতে হবে। 


তবে এই দিবসে সবথেকে চমকপ্রদ ও অাশার কথা মনে হচ্ছে  তাবেদার বাহিনী জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা ও বুদ্ধিজীবী হত্যায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দলটি সম্প্রতি  বলেছে, ‘এই দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।’ প্রকারান্তরে তারা তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে, এখন তাদের উচিত মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি হতে স্ব স্ব অব্যহতি নেয়া নতুবা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তির সাথে সক্রিয় অংশগ্রহন করে এটাই অাদতে প্রমাণ করা যে তারা তাদের চরিত্রগত পরিবর্তন এনেছে।  অার সেটাই হতে পারে শহীদ বুদ্ধিজিবীগনের অাত্মার প্রতি যথাযথ সন্মান প্রদর্শ (অাপতদৃষ্টিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সন্তোষজনক ভাবেই সরকার বুদ্ধিজিবী হত্যার অপরাধীদের বিচারের অাওতায় দন্ড দেওয়া হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে যদিও তা এখনো সীমিত পরিসরে যেখানে অারো ব্যাপকতা প্রসারের প্রয়োজন অাছে বলে মনে হয়)।


তাছাড়া অামরা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অামাদের জ্ঞান, মেধা ও মননের চর্চা এবং উন্নত চেতনা ধারণা তথাপি তার প্রতিফলনের মাধ্যমেই কেবল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি যথার্থ সম্মান দেখাতে পারি। এদিনের প্রতিপাদ্য তথা প্রতিজ্ঞা হোক "জ্ঞান, মনন, বুদ্ধিবৃত্তি ও মুক্তচিন্তা চর্চার প্রতিরূপ "। সকল শহীদ বুদ্ধিজিবগণের অাত্মার মাগফেরাত কামনা ও তাঁর শোকসপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি (অামিন)।

শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬

রহস্যময়ী অনন্যা

অাহা কি রহস্য, অাহা কি মায়াজাল, কি জাদুময়ী তোমার রূপ
ঐ রহস্যময়ী রূপে খেয়ালে প্রেমিকুলের শ্বাশ্বত ভুল।
বাহারি সাজে উর্বশির দেহে বয় যৌবনের খেল
সুবাসিত অঙ্গেের ঘ্রাণে প্রেমিক হৃদয়ে মাতালী উদ্বেল।

কঁচি ডগার লতানো ঢং-য়ে যুবকের সপ্ন নির্ঘুম রয়
কুমারী যুবতীর যৌবনের বাঁকে প্রেমিককুল খেই হারায়।
তবু কন্যার নাই সুখ, সত্য প্রেমির ব্যাকুলতা কোন প্রেমিকের মনে পড়ে?
কুমারীব্রতে উপোস ভঙ্গে  এক ফোটা জলের লাগি গুমরে মরে।

তিলোত্তমার ভুবনময়ী অধর হাস্যে উর্মির দোল
রক্ত গোলাপ ওষ্ঠে প্রেমিক দল হলো পাগল।
পুষ্প কন্টকের বিষে ওষ্ঠের নিরব কম্পন কি প্রেমিকুলের চোখে ভাসে?
সখির ঠোটের কোণে কষ্ট কাঁদে বিরহী প্রেমের অাঁশে।

প্রিয় মোহিনীর মায়াবী লোচঁনে উপমায় কত প্রেমিক উপচে পড়ে।
গদ্যে পদ্যে ছন্দে গানে মন জয়ের কসরত করে।
নেশাপ্রবণ চাহনির 'রূপক' এ সপ্ন ভঙ্গের হাহাকার কোন প্রেমিকের হৃদয়ে জাগে?
সপ্নদৃষ্টির অসীম শূন্যতায় সখি অাহা ্কাঁরে যেন খুজে ফিরে!

প্রিয় সখির সুমিষ্ট বচনে কত শত যুবক প্রেমে পরে,
অাহা মরি মরি কোকিলা সুরে প্রেমিকের মূর্ছনা বয়ে চলে।
সপ্রসন্ন বাজ্ঞিতায় বিরহের কাঁন্না কয়জনের মনে ধরে?
কেহ বুঝেনা তাঁর মনের কথা, অাহা কাঁরে যেন  খুজে ফিরে!

প্রিয়ন্তীর সুখের অাকুতিতে ছোট্ট ছোট্ট ছলনা
কি তাঁর অমিয় বচন সুধা, কি তাঁর হাস্য মায়া!
ঐ নির্বোধ লাজুকতায় অমিত রহস্য খেলা করে
একমুঠো দিব্য প্রেম খুঁজে শত প্রেমিকের ভিড়ে।

জ্ঞানের অসীম পরিধীকে সিন্ধূকে রেখে রয় অঙ্গান সেঁজে
মনুষ্য বন্ধনের অাড়ালে অাত্মগোপন, একলা বসে কাঁদে।
 কান্নায় তাঁর দুঃখের অবিনাশ, কষ্ট অারো বাড়ে,
কেউ চিনলো না তারে, অামি চিনি তারে! অামি জেনেছি তোমাকে!

এই যেমন বার্তালীপিতে মিথ্যে প্রশ্নবোধকের বাহানা
প্রেমিক মন দুরুদুরু কাঁপে ঐ চকিতের সাংকেতিক হানা।
কি লিখেছে প্রিয়তমায় জানিতে অাকুল প্রার্থনা,
না জানি কত কথা তার মধ্যে লুকায়িত অাছে জমা!

সখীর ছলনায় ভাষায় গলদ, বার্তা হয় অারম্ভ গল্পের সুত্রপাত
এই গল্পে সেই গল্পে ট্রেন ছুটে যায় পাগল প্রেমিকের প্রলাপ।
কি ছিল তাতে, কি লিখে তুমি মোরে করেছ স্বরণ?
সখীর পায়ে পরি মরি জানতে হাজার মিনতির ভান।

প্রিয়দর্শিনীর হঠাৎ জুরুরী কাজে অতি ব্যস্ততার বাহানা
যেতে যেতে তোমার না যাওয়া অতঃপর অামাকে পাওয়া।
প্রিয় অারাধনা!  প্রতিনিয়ত এক গাদা প্রশ্নশূচক বার্তা চাই।
কপট ব্যস্ততায়ও এক দাবী, চাই চাই চাই, ভালবাসা চাই।

প্রিয় বিদূষী!
তোমার সবকিছুতে না বোঝার নির্ভেজাল ভান
অজ্ঞানের অন্তরালে বহিঃপ্রকাশ যবে অসীম জ্ঞান।
অাপনাকে বোকা করে জগৎকে করেছ ধন্যা
প্রিয়তমা! তুমি মহান, তুমি তোমার মহিমা, তুমি অনন্যা।

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...