সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

সবুরের মেওয়া

হে রহস্যময়ী নারী
তোমার অন্দরে অামি অামায় অাবিস্কারে খুজে ফিরি
তোমার মমতায় অারধ্য নারীত্ব খুজে পাই হে লালনকারী।
হ্যা অামি তোমার মায়াময় মুখের প্রেমে হলাম অাচ্ছন্ন!
তোমার সুগঠিত বক্ষপট অামায়  করবে না অার পথভ্রষ্ট।

হে কামনাময়ী,
তোমার পেলবী বহমান কলকলিতে নব যৌবনের অাধার।
তোমার  খরোস্রতা উত্তাল হাসি এ জীর্ণ দেহের প্রাণের সঞ্চার।
তোমার শৈষ্ঠবের কপাট খুললে বের হয় সঞ্জীবনী  শীতল হাওয়া,
ঐ শিতলতা দিয়েই প্রেম  তৈরী, অাহা বেহেসত খুব দূরে না!

হে অারধ্যা,
যেখানে  চার নয়নের মিলন খেলা করে,
সেখানে ওষ্ঠের মিলনের কথা অবান্তর।
যেখানে চার বাহু একসাথে খেলা করে
সেখানে বক্ষের মিলনের কথা অবান্তর।
যেখানে দুই মন এক বিন্দু ছেদ করে
সেখানে অাদিম মিলনের কথা অবান্তর।

হে কুমারী,
হ্যা অামি অাজ হাসির দোলা দুলে যাই,
যে হাসি ঠোঁটে উচ্চারিত নয়, চোখে খেলা করে।
অাজ অামি হৃদয়ে ঝরনার প্রবাহে ছুটি
এর উৎস সুখ ডগমগ হৃদয়ের নিভৃত প্রদেশে।
অাজ অামি পূর্ণ মিলনের ঝংকার তুলি
এর পরিতৃপ্তি অন্তিম প্রান্তরেখায় সুখের কান্নাতে।

ওহে যৌবানারম্ভা,
তোমার নির্জন পাহাড়ের উৎসঙ্গ হতে বের হয়ে অাসে ঝরনা প্রবাহ
অামার  শূন্য চৌচির হৃদয়ের মাটিকে ভরিয়ে দাও ধারায়, সিক্ত করো! 
উপলবিনুনীর পাশ ঠেলে এই তৃষ্ণার্ত প্রেমিক সঙ্গীতে অামন্ত্রণ দিতে
তবে হোক অাবার, বারংবার অবগাহন করাও ঐ ঝরনার প্রবাহে!

হে প্রিয়তমা,
তোমায় সবুরে অামার চিরন্তন অপেক্ষা,
তুমি তো অামার সৌভাগ্যের মেওয়া,
এবার তবে পরিপক্ক ফলের অপেক্ষা!

কোন মন্তব্য নেই:

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...