শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অাত্মচরনিকা

পূর্ণচন্দ্র অদৃষ্টপুরুষের অাঘাতে কলঙ্কিত হলে তুৃমি কেন নয়?
নীলকমল কালোভ্রমর শিকার হলে তুমি কেন নয়?

নীলাকাশে কালো  মেঘে ছেয়ে গেলে তুমি কেন নয়?
চকচকে রোদে হঠাৎ বৃষ্টি হলে তুমি কেন নয়?

ঝরঝরে নরম বায়ুতে কালবৈশাখীর হানা হলে তুমি কেন নয়?
ইষাণকোণের সপ্নগুলো অধরা রয়ে গেলে তুমি কেন নয়?

মেঘমেদুরে সফেদ সুখের কণায় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তুমি কেন নয়?
মায়াবী চাহনীতে অকস্মাৎ ঝরণার উদয় হলে তুমি কেন নয়?
মিষ্টি হাসির ঝিলিকে কান্নার রোল হলে তুমি কেন নয়?

জন্মদাত্রী ধরনী হঠাৎ বন্ধ্যা হলে  তুমি কেন নয়?
বিরহ বিকাতে ভালবাসার বিসর্জন হলে তুমি কেন নয়?

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অশীররী অাত্মা

নিশুতি রাতের মায়াবী অাচ্ছন্নে নিস্তব্ধ মানবকুল,
নির্জন কুঠিরে একলা অামি রাত্রীযাপনে মস্ত ভুল।

ভোরহীন নিশীথের ধূষর মেঘের ব্যাপ্তিতে সন্ত্রস্ত সকল প্রাণ,
রাত্রি অাজ হারিয়েছে অতলে, অালোক রশ্মির নিরব অঙ্গান।

মধ্যরাতের অশীররী অাত্মার বিদীর্ণ কুৎসিত চেহারা,
জ্বীন ভুত অার পৈচাশিক অানাগোনায় ভয়ে হলো সারা।

চোখের সম্মুখে পরীর কীর্তন অার কাধে জ্বীনের ভর,
বালিশের ওপাশে পিচাশ ঘুমায় বিশ্রী তার স্বর।

ভুতের দেহে রক্তাক্ত অাস্তিন, সহস্র মাথার খুলি,
এই হতভাগার মস্তক অাজ নিবে ছিরে, পরিয়েছে পায়ে বেড়ি।

মনকে এখন বস করেছে জারজ অাত্মার ছায়া,
যাদুটোনার শয়তানপিনায় বিবেককে করেছে ভোতা।

সবুজ চোখে অসুর দেহে বিধ্বংসীর অবতার,
এই বুজি অাজ প্রাণ নিয়ে নিবে সাঙ্গ করে সংসার।

সংসারলীলায় অাটকা পড়েছি মায়ায় পড়েছি বাধা,
পালিয়ে ফিরছি এদিক ওদিক ভয়ংকর ওদের ছায়া।

সাহায্যার্থে অাত্মচিৎকার করি, কেহ করো মোরে উদ্ধার,
সকলই ঘুমে বিভোর, মানব মন অনেক স্বার্থপর।

কুল নাই কিনার নাই, নাই কোন বিপদের বন্ধূ,
অবশেষে অসহায় পানে পাণীপ্রার্থনা তোমার প্রভু।

'লাইলাহা ইল্লাহ্' জপিতে জপিতে তাহার প্রার্থনায় সপি,
তিনি সর্বময়, তিনিই সর্বশক্তিমান, সবার কল্যাণকর জগতপতি।

হে খোদা, এই পাপী বান্দা কাটিয়েছি নেশাঘোরে,
কবুল করেন অামায় এবার অাপনার দরবারে (অামিন)।

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মূল্যায়ন

পূর্ণিমা অাজ তুমি অামার
তোমায় অামি ইচ্ছেমত গায়ে মাখবো
অামার অমানিশায় অালো ছড়াবো
লুটে নিব তোমায়, ভৎসনা যতোই করো।

তাই ভেবে দেখ অার একবার-
অামাকে জোসনা পোহাতে দিবে নাকি অন্ধকারে ঠেলবে?

বসন্ত অাজ তুমি অামার অধিকারে
কাচের বাক্সে বন্দি করবো তোমায়
শীতের মাঝেও অামি তোমায় উপভোগ করবো
নতুব ঋতুর জন্ম দিব, ধিক যতই দাও।

তাই ভেবে দেখ অার একবার-
শীতের চাদরে বসন্ত হয়ে থাকবে নাকি অন্য মেরুতে উদয় হবে?

বৃষ্টি তুমি অাজ অামার দাসি
ইচ্ছে মত তোমার পতন ঘটাবো
বেখেয়ালী প্লাবন অানবো শত্রুকে মরুকরে
বন্দী থাকবে শুষ্ক জলবায়ুতে, অভিশাপ যতই দাও

তাই ভেবে দেখ অার একবার-
প্রাণহীন শুষ্কতায় বৃষ্টি হবে নাকি শ্রাবণে চলে যাবে?

নীলাকাশ তুমি অাজ অামার অধীনস্ত
অামার হৃদয়ে ছাদ হয়ে রাখবো তোমায় অাজীবন
নিষ্ঠুর গরাদে ঠেলে দিয়ে, গোলামী বেড়ি পায়ে পরিয়ে
শুধূ অামার অাকশেই রাখবো তোমায়, দুয়ো যতই দাও।

তাই ভেবে দেখ অার একবার- 
মেঘহীন অাকাশে সপ্নীল হবে নাকি অন্যের ছায়া হবে?

প্রিয়তম সখা,
যতটুকু ভালবাসো ততোখানি ঘৃনাও করো,
অামার উদারতা, অহমিকা সবকিছু তোমাকে ঘিরে।
মুল্যায়ন করো অামায়- 
প্রেমে ভাসাও অথবা বিরহের অনল দাও।
সবকিছুতেই অামি  সন্তুষ্ট।

প্রশ্নমালার গদ্যপদ্য

মেঘমাল্যধারিণী অাকাশ তুমি কাহার কথা ভাবো?
বৃষ্টিপ্রেমী বায়ু তুমি কোন কোণেতে ভাসো? 

রাতজাগা পাখি তুৃমি কার নামে ডাকো?
প্রভাত রাঙ্গা ফেরী তুমি কার ছবি আঁকো?

সদ্য বিধবা ষোড়শী মেয়ে তুমি কাকে সপ্ন দেখ?
শরৎ এর ফুলগো তুমি কাহার লাগি ফুটো?

ভোর অাকশের শুকতাঁরা তুমি কার উঠোনে ফুটো?
চন্দ্রিমার পূর্ণিমা তুমি কাকে জোসনা মাখো?

সংসার ত্যাগী বৈরাগী তুমি কার সাধন করো?
শব্দহীন কথা তুমি কাহার কথা বল?

ভাবনাহীন কল্পনা তুমি কাকে কল্প করো?
দিবাস্বপ্নের ঘোর তুমি কাকে মায়া করো?

ছন্দহীন কবি তুমি কোন ছন্দ লিখ?
বর্ণহীন প্রজাপতি তুমি কোন ফুলেতে উড়ো?

পৌষের কাঁথা তুমি কাকে গরম করো?
নিশিতের অাত্মা তুমি কাকে বস্ করো?

রংধূনু তুমি কোন রং কাকে রঙ্গিন করো?

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

শরৎ চন্দ্র

 শরৎ এর চাঁদমুখ দেখলাম অনেকদিন বাদে,
পূর্নচন্দ্রে বিলের চিকচিক পানির পানে তাকিয়ে।
এই দিনগুলোতে কতো স্মৃতি,  কত সুন্দর সেই মুহূর্ত,
ক্যাসেট ও ভিসিডি প্লেয়ারের গানের সাতে নৌকায় ছুটে চলা।

গ্রাম্য বন্ধুদের সাথে 'পিকনিকের' অায়োজন,
হাসি ঠাট্টা অার খুনসুটিতে অামাদের কাহিনী বর্নন।

জোসনা পোহাতে পোহাতে উদর পূতি,
খেতে হয়েছে বেশ, তাই খুসিতে সুর তুলি।

স্থির  করে ফেলছি,
অাজকের রাত হবে বিলের মাঝে ছাউনি বিহীন নৌকা ভ্রমণ,
শরৎ এর জোসনার অালোয় পূর্ণস্নান।

পুরনো স্মৃতি রোমন্থনে এর চেয়ে ভাল সময় অার কি হতে পারে।

ঈদ উল অাজ্হা

খোশ অামদেদ্  ইদ উল অাজহা।
অাল্লাহু অাকবার অাল্লাহু অাকবার,
লাইলাহা ইল্লালাহু,
অাল্লাহু অাকবার, অাল্লাহু অাকবার,
ওয়া লিল্লাহিল হামদ্।

লাব্বায়িক অাল্লাহুম্মা লাব্বায়িক,

হামদান কাছিরন, তৈয়াবান।
ঈদ মোবারকাতুন ইয়া হজ্জ কাফেলা,
ইয়া মুসলিম উম্মাহ।

অাল কুরবান, অাল ইসলাম (অামিন)।



চাহিবার অসমতা

#চেনার_মাঝে_অচেনা

শ্রাবণের বিবর্ণ আকাশ,
বিসৃত ধূসর মেঘমালা।
পরিবৃত্ত বাত্যার হুঙ্কারে,
আলোকের অন্তঃপুরিতা।

শূন্যগর্ভে ঝিরঝির বর্ষণ,
কাননের ক্রন্দিত কোরাস।
বৃক্ষচারী সকল প্রাণের-
কোঠরে অরক্ষিত বাস।

বৃক্ষতলে পথিকের প্রতিক্ষা-
কখন বর্ষণ থামবে বলে!
অস্থির চিত্তে সে ঠায় দাড়িয়ে-
জলতরঙ্গে কাঁর ছবি ভাসে!

এই বুঝি রোদ ছড়াবে!
আবার হেসে উঠবে প্রকৃতি।
পবন-বর্ষণ থেমে যাবে-
শূন্যে ডানা মিলবে পাখি। 

সবুজ বীথির শুদ্ধ স্নানে
ফুলেরা ছড়াবে ঝিলিক।
বন্য প্রাণের হই হুল্লোরে
উৎসব হবে দিকবিদিক।

এক যুগ পর-
পথিকও হাসবে শতরঙ্গে
বালিকা বধূর মুখটি দেখবে,
বলবে ভালবেসে- 'ভালবাসি'!
বিচ্ছেদের রোজ নামচায়
আর সহস্র অভিমানের গল্পে,
সুখের মিলন হবে- 'অর্হনিশী'!

এক যুগ ধরে-
বিরহী বধূ পথিকের আশায়-
আজো ঠায় বসে!
জালানার বাইরে বৃষ্টি ছোয়,
তাঁকে ছুবে বলে!

বিরহী বধূ বৃষ্টি চায়, অনন্ত বৃষ্টি
চোখের কোণেই বৃষ্টি চায়
যতক্ষণ না সে ঘরে ফিরে!
ওদিকে পথিকের চাইনা বৃষ্টি
তাঁর চাই ঝিলিক মাখা রোদ
তবেই সে পথ পাড়ি দিবে!

রোদ-বৃষ্টি বড্ড গোলক ধাঁধায়!

সহস্র বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে
সহস্র অচেনা লোকের ভিড়ে-
দুজন দুজনাকে খুঁজে পাওয়া।
তবু চাওয়া পাওয়ার মাঝে-
তাঁরা যেন অনেকটাই অচেনা!

পাপীর অার্তনাদ

মহাকালের অাবর্তনে দিনগুলি যায় বেড়ে,
কালের পরিক্রমায় অামার অায়ু যায় কমে।

কতোটা বেখেয়ালী, অাত্মচিন্তায় বিভোর,

ভুলকে পেতে সত্যকে বিসর্জন অার নগদ চাহিবার ঘোর।

সঞ্চয়ে, পুজিতে মোর ছিলনাতো মোহ, ভাবিনি হাসরের নাজরানা,

মহাকালের ছেদনে সদ্য অভিযাত্রী, সাঙ্গা হলো সারা।

অনন্তের যাত্রী হয়ে শুন্য হতে সঙ্গাহীন পথে,
হতভাগ্য অামি, নিঃস্ব-মিসকিন,  রসদ নাহি অার পথ চলিতে।

হায় খোদা! হায় রহমান! হায় রহিম! বুঝিতে তোমায় ভুল,

তাই অাজ শুধিতে হবে সকল ভুলের মাসুল।

মিজানে অামার রয় নাহি প্রাণ অার হায় একি করি, 

পূণ্য অামার অতি নগন্য, পাপের  পাল্লা ভারি।

গন্তব্য অামার হয়েছে নিশ্চিত ঠিকানা জাহান্নাম,

অাফসোস হায় বরন করিতে নরক অগ্নির অাস্বাদন।

অর্থ সুখের মোহ ও লোভে ধরাকে করেছি সরা,

ইহাকাল নয় পরকালই সর্বময় বুঝেনি এ ব্যাটা।

মাথা ঠুকি, চুল ছিড়ি অার অার্তনাদের চিৎকার,
হায় নাফসি, হায় নাফসি, হায় উম্মত শুধরাও
জাহান্নাম বড়ো ভয়ংকর।

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

জলযান

বিসাক্ত কর্কশ অার যান্ত্রিক শব্দপূর্ণ ব্যাপণের তিব্র অাক্রমণ,
শ্রবণেন্দ্রিয়তে প্রচন্ড প্রতিঘাত ও শব্দচূর্ন বিচ্চুরনে নিরবতার ভঙ্গন।

অদ্ভুত সে কণ্ঠশ্বর, খাক ডেকে ভাঙ্গা গলার থ্যাবড়া হাসি,
রাশভারি কন্ঠে তবু অাগমনের বার্তা।

সে নিজে পুড়বে,
একই সাথে শক্তির উৎপত্তি ও বিনাশের সমন্বয়ে তাকে পাড়ি দিতে হবে জলরাশি।

বেটপ অার কৎসিত চেহারার দানবটি দানবীয় ভঙ্গিতে সম্মুখে ধাবমান পদ্মার বুক চিরে।

তাহার উপর দাড়িয়ে অামারা ক-শতক যাত্রী নিড়ে ফেরার অপেক্ষায়।

'জলযান' তোমার তীব্র যান্ত্রিক ভাষা কে ভালবাসি।
তোমার প্রতিটি শব্দপ্রতীকে অাগত সুখের অাখ্যান।
নিড়ের অারো সন্নিকটে।

প্রথমত সালাম তোমায় ও ঈদ মোবারক।

অযোগ্য সন্তান

মাগো তোমার ছেলে অাজ তোমার থেকে কত দূরে
দিব্যি বেশ অাছে।
তুমি এতো করে বল্লে অামায়-
তারপর ও তোমার কোলে ফিরলাম না।

এই জন্য কি তুমি অামাকে মানুষ করেছিলে?
এই জন্যই কি দুনিয়ার সব মায়েরা তার সন্তানকে মানুষ করে?

অামি দুঃখিত মা, 
তোমার সন্তান যোগ্য হতে গিয়ে হতভাগ্য হয়ে ফিরেছে।
মানুষ নই অার কিছুতেই, অামি এখন অমানুষ।

এক মহিয়সি নারীর গর্ভে কালের খেয়ার তাঁর মুখে কালিমা লেপনে অাজ অামি অযোগ্য-

অযোগ্য সন্তান। 

বরফ বৃষ্টি

দিগন্তরেখায় নীলিমার অনিশ্চয়তা, অার বর্ণচোরার নির্মম লুকোচুরি;
উত্তাল নীল মহাসাগরটি হিমসাগরে রুপান্তর, পাহাড়ি বহমান ঝরনার নিথর মৃতদেহ। 

বিস্তৃত সবুজ অাজ সফেদ চাদরে মুরিয়ে,
রাত জাগা পাখি গুলো মিলিয়েছ, হারিয়েছে গ্রীষ্ম দেশে।

বাতাসের প্রবাল বেগ অাজ দূরপাল্লায় হারিয়েছে,
গুমোট অাবহাওয়া অার তীব্র কম্পনে দিশেহারা সকল সম্পর্ক।

সূর্যকর তার জ্যোতি বিসর্জন দিয়ে হঠাৎ নংপুংসক এ পরিনত,
উপরন্তুু গগনের অপরিপক্ষ বৃষ্টিধারায় ধরনীর নিষ্ঠুর গর্ভপাতন-এ যে বরফ বৃষ্টি।

ফুলের কলিগুলো চুপটি  মেরে চুপিসারে অপেক্ষা- ফাল্গুনের অপেক্ষা।
সপ্নগুলো অাজ কাঁচের দেয়ালে বন্দী- মুক্তির অপেক্ষা।

'বরফ বৃষ্টি' মিনতি তোমায় এবার ফাল্গুনকে অাসতে দাও।
'বরফ বৃষ্টি ' অামি তোমাকে ভালবাসি, কথা দিচ্ছি অাবার যখন অাসবে তখনও ভালবাসবো।

এখন অামি ফাল্গুনের, তোমার ছিলাম, তোমার থাকবো!

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ডিজিটাল ভালবাসা

পরময়েষু প্রিয়তমা,

চিঠিটি লিখবো লিখবো করে অার লেখা হয়ে ওঠে না।
কথা দিয়েছিলাম সত্যিই একদিন তোমায় এক প্রস্থ চিঠি লিখবো,
বিভিন্ন ঢংয়ে লিখবো ভালবাসার কথা।
তা কি অার হলো সখি!

সরকারের ডিজিটাল স্লোগানে ভালবাসাও অাজকাল ডিজিটাল হয়ে গেছে।
ডিজিটাল অাজ প্রেমের ভাষা।

একটি পত্রের জন্য অার মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়না।
ভালবাসাও অার ভাবনাতে রুপান্তরিত হয় না।
দিনের পর দিন অার একটি বার কথা  শোনার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।

চাইলেই তোমায় অামি দেখতে পারি, গল্প করতে পারি, ছুতে পারি;
ইহা কি ভালবাসায় উপকারিতা নাকি ভালবাসাকে সস্তায় নামানোর নামান্তর।

তোমাকে অামার ডিজিটালে ভালবাসতে অার ভাললাগে না প্রিয়।
তোমাকে ভালবাসতে চাই অাদম অার হাওয়া এর মতো থেকে মধ্যযুগের অানার কলি অার সেলিমের মত।

ভালবাসি কংক্রিটের দেয়াল কে পিছনে ফেলে,
বৃক্ষের ছায়াতলে অার প্রকৃতির অাচ্ছাদনে।
ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে হারাতে ডিজিটালকে ছেড়ে এনালগে।

যাবে অামার সঙ্গে প্রিয়তমা?
তোমার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।

ইতি,

তোমার হতভাগ্য



চোরাবালি

গোধূলীর বেলায় ডুবন্ত সূরজ দেখতে কার না ভাল লাগে?
তবে তার পরেই নেমে অাসে নিকশ অন্ধকার।

সৈকতের বালুবেলায় খালি পায়ে হাটার চমৎকার  অানন্দ কার না ভাল লাগে?
তবে তার মাঝেই অদৃশ্য চোরাবালি লুকিয়ে থাকে।

গহীন অরন্যে সুনিবির পরিবেশে কার না বাস করে ভাল লাগে?
তবে সেখাই থাকে প্রাণঘাতি অার বিষাক্ত জানোয়ারের অভয়রণ।

প্রেমেতে মজা, মিলনে সুখ, চোখে চোখ রেখে সারাদিন পার করতে কার না ভাল লাগে?
ঠিক তার পরেই বিচ্ছেদ হাতছানি দিয়ে ডাকে।

অপূর্ব যৌবনকাল ধরে রাখতে কার না ভাল লাগে?
তবুও জরা অার বার্ধক্য তাকে অাকরে ধরে।

দীর্ঘ জীবন লাভে ও অনন্তকাল বাচিতে কার না ভাল লাগে?
তথাপি মরণ নামক শ্বাশ্বত ব্যাধী তাকে করাল গ্রাস করে। 

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অবিশ্বাস


প্রতিটি বাহানা ভালবাসায় প্রশ্নবোধক চিহ্ন,
অকস্মাৎ রূপ পরির্তনে ছলনার উপসর্গ।

তীব্র চাহনিতে ঘৃণা অার অচেনা দৃষ্টি
প্রতিটি সপ্নে কালো ছায়ার হাতছানি।

কালক্ষেপনে নির্মম অভক্তি, সহচরে নির্মম অতুষ্টি,
পুনঃ পুনঃ নিরবতায় সম্পর্কে ঘুনের বিসৃতি।

তোমার বলা প্রতিটি বচনে অসত্যের গন্ধ,স্পর্শে উষ্ণতার লোপ, অাকর্ষণ বিতৃষ্ণায় অাবদ্ধ।

চেনা মুখখানি হঠাৎ অালেয়া, অর্বাচিন অাচরন
দুই অাত্মার বিকর্ষণে বিদীর্ণ বিষাধ মন।


অাজ প্রেমে পূর্নরূপ হতে যোগ্যতা কাঠগড়ায় অার অাসত্তির অভাব 
ইহা কি অামার ব্যর্থতার ফলাফল নাকি তোমার সাফল্যের প্রভাব?

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কৃতজ্ঞ

হে মানসী, তোমায় ধন্যবাদ।
হে  মহিয়সী, তোমায় সালাম।
হে লালনকারী, তোমায় নতযানু।
হে প্রিয়তা,  তোমায় ভালবাসি।

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অার্শীবাদ

বৃষ্টি হও, ঝরনা হও
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

ফুল হও, সুবাস ছড়াও
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

নদী হও, স্রোত হও
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।।

সপ্ন হও, সত্যি হও
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

অাকাশ হও, সীমাহীন হও,
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

হাসি হও, পুলক হও,
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

সূর্য হও, অালো ছড়াও,

শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

চাঁদ হও, জোসনা ছড়াও,
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

প্রভাত হও, শুভ্রতা ছড়াও,
শুধূ বেড়ে ওঠো, শুধূ বেড়ে।

বড় হও, দীর্ঘ হও,
শুধূ বেড়ে ওঠো, শুধূ বেড়ে।

সবুজ হও, চীর সবুজ,
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

শীতল হও, শীতল চাহনী,
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

উষ্ণ হও, উষ্ণতা ছড়াও,
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

প্রেমী হও, প্রেম ছড়াও,
শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে।

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...