বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬

একটি অসমাপ্ত কবিতা

বিরহের দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে অাজ অামি ক্লান্ত, হে কবিতা
অলোকের যাতনায় একমুঠো সুখের জন্য অাজন্ম কান্না।

হে কবিতা! দিশাহীন কবিকে কেনই বা এক পৃথিবী দিশা দিতে গেলে?
যে কবি অাপন জীবন তরী ছন্দে বাধতে পারে না
সে কিভাবে তোমায় স্বপ্ন দেখাবে?

যে কবি যৌবনা দেহ কখনো ছুঁয়ে দেখিনি।
যে কবি কোন উত্তপ্ত ঠোটে চুমু অাঁকেনি।
যে কবি কোন সুডৌল মাংস পিন্ডে সাঁতার কাটেনি।
যে কবি কোন নারীর ভরা জোয়ারে  বৈঠা ডুবাইনি।

কি খেয়ালে কবিতা এমন অনভিজ্ঞ কবির হাতে দিশা দিলে?
যে কবি তার অাজন্ম একটি সুন্দর পংক্তির  জন্য দ্বারেদ্বারে ঘুরে,
যে কবি দেশান্তরি হয় হৃদয়ে লালিত অব্যক্ত ভালবাসা বিলিয়ে।

যে কবি ভালবাসা ফেরী করে
যেন সে পরপুরুষের সাথে শোয়া বাজারী বেশ্যা
তবু প্রতিদানরূপ ভালবাসাতো সোনার হরিণ,
পায়না একচিলতে সহমর্মিতা।

যেখানে এক প্রস্থ প্রেমি কবিতাও
তার থেকে মুখ ফিরে নেয়,
কিচ্ছু না পেলেও তার কিই বা  তার ক্ষতি,
অারে সে তো জন্মান্ত পরিত্যক্ত।

হ্যা অামি সেই পরিত্যাক্ত কবি বলছি-
অামি অাত্মচিৎকারে বুক ফাটাই,
চাই শুধূমাত্র বেঁচে থাকতে একটি পথের দিশা,
দিশা বিহনে অাজকাল কলমের ছোয়ায়
কবিতা অার জীবন্ত হয়ে ওঠে না।

একে একে সবাই যায় চলে জীবনের মায়া সাঙ্গ করে
রক্তের বন্ধন হতে, প্রিয় বন্ধু ও সাধের প্রিয়তমা পর্যন্ত।
অাষ্টেপৃষ্টে অাটকে রাখার কতো না বাহানা,
তবু কেহ তার হাতখানি ছোয় না
কানের কাছে একটিবারের জন্য বলে না ভালবাসার কথা।

হলো না তবে  দেখা শেষ বারের জন্য
হলো না বলা হৃদয় নিংড়ানো অনুভুতি মালা,
হয়ত অদৃষ্টের লিখনে তুমি এসেছিলে
চুপিসারে অামার মধ্যেই থাকবে বলে।

অদেখাই হয়ত ছিল অামাদের নিয়তি
কবিতা! তোমার মধ্যে কতো ছন্দ খুঁজেছি!
তোমাকে কল্পানায় কত ছবি একেঁছি!

কবিতা! জানি তোমার অাজ নব্য কবিকে মনে ধরেছে
তার কাছে প্রতিক্ষণে নির্মম ভাবে ব্যবচ্ছেদ হবে।
নিষ্ঠুর ছেনীর অাঘতে অাবার স্তনবৃন্ত কেপে উঠবে,
শুষ্ক ঠোটে এক ফোটা প্রেম সুধার জন্য হাঁসফাঁস করবে,
ছলছল চোখের চাহনি অার চাপা গোঙ্গানিতে
তখন অামার কথা মনে পড়বে।

তবু হয়ত একদিন অামার প্রতিটি কথামালা
হারিয়ে যাবে বিস্মৃতির অতলে
তোমার এই অপ্রেমিক কবি
প্রেমিকের অন্তরালে থেকে ভালবেসে যাবে।
যতই অস্বাীকার করো
সে রইবে ঠিক তোমার মনের মাঝে
জানতে পারবেনা কোনদিন
কতটুকু ভালবাসা জমেছিল তার মনে।

তবু এ নাছোড়বান্দা মনটি বারংবার তৃনয়নে সুধায় তোমায়
কবিতা অামার কথা কি একবারের জন্য কি মনে পড়বে?
ভাববে একবারও কত অর্থহিন কথার অন্তরালে কতটা কষ্ট ছিল?
শত উপমিত সম্মধোনে তোমাকে কতখানি ভালবাসতাম?

হায়! চাপা অাবেগের অন্তঃপুরে ভালবাসার ক্রন্ধন
বাঁচালের স্বভাবে তোমার মন জয় করা চেষ্টা অাপ্রাণ।

একটা নিগুঢ় কথা কবিতা!
অামি নিভৃতচারী, বাঁচাল নই বা কোনদিন ছিলামও না
তোমার ছন্দময় প্রেমের জোয়ার পেতে ফুটিয়েছি কথামালা।
তবে বলো হে কবিতা!
কেন মৃদুভাষী কবির অাজ এই হলো দশা!

কবিতা তুমি এখন অন্যের শয্যায় জাপিত
তোমায় ইচ্ছে মতো ভাঙ্গবে অাবার গড়বে,
অদৃশ্য কাঁচের মত টুকরো হয়ে ভেঙ্গে পড়বে,
তবু বাজারীর মতোই তার কাছে অাবার ফিরে যাবে।

তারপরও এইবুকে একটি প্রশ্ন বার বার ঘুরে-
অাচ্ছা, কবিতা তুমি এক মুহূর্তের জন্য হলেও কি অামার প্রেমে পরেছিলে?
এই হতভাগ্য কবির প্রেমকে একবারও কি ছন্দময় করতে ইচ্ছে হয়নি তোমার?
বেনারসির কথা বাদই দিলাম,
পূর্বপরিকল্পিত বিসর্জন দিবে বলে
বিধবা শাড়ি পড়তে মন চেয়েছিল কখনো?
নাকি এ অপদার্থ এতোটুকু সহানুভূতির যোগ্যতাও রাখেনি!

কবির দিশা!
এমন কি হয়নি কোন দিন যে
অামার কাছে একটু সময়ের জন্য অাসতে চেয়েছিলে?
অন্তত একটিবার হলেও
এই যুবকের মুখখানি দেখার সাধ জাগেনি মনে?
তবে না অাসাতে ভালই হলো,
হয়তো কবি অারো  বিভ্রান্ত হতো কবিতায় মজে!

কবিতা! কোন একদিন কি তুমি অামায় ডাকবে?
তুমি যদি একবার ডাকো তবে না এসে পারবো!
অার তুমি অাসতে চাইলেই মহাকালের খেয়া তোমায় অাসতে দিবে?
তুমি তো অাজন্ম তার অধিকারে,
এত শৃঙ্খল ভেঙ্গে অাসতে পারবে শুধু অামার কবিতা হতে?

সেটাও হয়তবা পারবে না তুমি,
তবে কয়েকফোটা জল ফেলতে পারবে-
অামার এই অসমাপ্ত কবিতার জন্য?

কবির দিশা!
তোমায় না পেলাম,
অন্তত তোমার ঐ চিবুক বেয়ে গড়ানো জলটুকু অামাকে দিবে?
তোমায় জলদিয়ে যে অামার এই দু চোখ ভেজাবো!

কথা দিচ্ছি-
অামার চোখে তোমার ঐ জলটুকু অাগলে রাখবো সারা জীবন!
পারলে অার একবার এসো সত্যিকারে, কবির দিশা হয়ে!
এ চোখের জলধারা মুছে দিতে!

মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬

ধিক: অলক্ষ্য!

অলক্ষ্যকে আয়ত্ব করার নিরন্তর চেষ্টায় লক্ষ্যকে ফেলেছি পায়ে, হয়েছি ফেরারী।
ইতমধ্যে ধরিত্রী দশমবারের মতো দিবাকরের পাঁকে আবদ্ধ হয়েছে।
অলক্ষ্যর দাস হয়ে ভুলেিছ আত্মজ্ঞান।
অজ্ঞান আমি, মূর্খ আমি, নির্বোধ আমি;
দিকভ্রান্ত পথিক ও যাযাবর।


খুব ইচ্ছে করে সেই 'ময়না পাখি', 'টিয়া পাখি'র ন্যায় আদরমাখা বুলি গায়ে মাখতে
অথবা 'মাথামোটা', 'বলদ' বলে ভৎসনা শুনতে।
মুক্তি পাবো তো? আমি লক্ষ্যে যেতে চাই।

লক্ষ্য হলো জন্মদাতার অবিরত প্রিয়দর্শনলাভ, সহোদরেরর সাথে খুনসুটি,
অকারনেই বারংবার 'মা' বলে ডাকা!

সময়তো খুবই অল্প; ধিক: অলক্ষ্য!

ভাবের বাঙ্গালী

৩৬১ দিন মদ পান করে ৪ দিন সুন্দর করে উন্নত সাবান শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে আকর্ষণীয় দামী পোশাক পরে আতর বা অন্য কোন অতি উন্নত মানের পারফিউম শরীরে মেখে সারা দিন নামাজ পড়ে যেমন সূফী হওয়া যায় না, তেমনি সারা বছর বিদেশী সংস্কৃতি নিয়ে মেতে থেকে, বছরের ৪টা দিন (১লা বৈশাখ, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর) আমি বাঙালী বাঙালী চিৎকার করলেই বাঙালী হওয়া যায় না ।
ফেসবুকের প্রোফাইলে জাতীয় পতাকা দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করে বাঙালিত্ব দেখাচ্ছি।
কোথায় থাকে আমাদের বাঙালিত্ব?
যখন স্বাধিনতার  ৪৩ বছর পরও ১১ হাজার নেতা কর্মী মুক্তিযোদ্ধা খেতাব পায়, তাদের সন্তানদের ভালো চাকরি দেওয়ার জন্য; তখন আমরা কেন চুপ থাকি ?
কোথায় থাকে আমাদের বাঙালিত্ব যখন ৯৭ কোটি টাকা খরচ করে সঙ্গিত গাওয়া হয় যখন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা এই দুর্বিষহ শীতে একটা ছেড়া লুঙ্গি গায়ে পেচিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে ব্যার্থ হচ্ছে ?
কোথায় থাকে আমাদের মনুষ্যত্ব, বাঙালিত্ব যখন একটা পথশিশু দাঁতের উপর দাঁত চেপে থরথর করে কাঁপছে ।
কোথায় থাকে আমাদের বিবেক যখন অনাহারী শিশুদের মুখে একমুঠো ভাত না দিয়ে আমরা বেনসন এন্ড হেইজেস সিগারেট খাই?
কথা গুলো অনেক কষ্টে বলছি ভাই আগে মানুষকে ভালবাসতে শিখি তারপর দেশ এর ভালবাসা এমনি চলে আসবে।
সারাবছর শুনি "ইংলিশ আর হিন্দি গান" আর এখন কয়েকটা দিন @ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে গান শুনেই আমরা বড় দেশপ্রমিক হয়ে গেলাম?
আবার দেখা যাবে ১৬ তারিখে আবার জাতীয় সংগীত গেয়ে রেকর্ড করছি, আর তখনো বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের এর ছেলে চায়ের দোকানে চা বিক্রি করে চলছে!
বিঃ দ্রঃ আমি বাঙ্গালীত্বের বিরোধী না, তবে মনে করি আমাদের ভাবের বাঙ্গালী থেকে কাজের বাঙ্গালী হওয়াটা বেশী প্রয়োজন।

মিনতিপূর্ণ অাহহ্বান

অতঃপর প্রিয়জনাতে বিচ্ছেদ!
নিকশ প্রেমান্ধ বিশ্বাসে শোচনীয় পরাজয়ে প্রেমি হৃদয়
অরিন্দমের অযোগ্যতা ও নিশ্চলা অার্তনাদে মস্তিষ্কের ক্ষয়।

অস্থির অববয়ে দূরারোগ্য ব্যাধি, বিচলিত চেতনার প্রতিফলন
ভোতা মগজের অপরিনামদর্শি সিন্ধান্ত, অাত্মপ্রকৃতির নিরব ক্রন্দন।

অতঃপর বিরহে অাত্মবিসর্জন!
ঐ অমানিশার অাধারে অচল দেহে কৃষ্ণাগ্নি শিখার অাভরন
ব্যাথাতুর অাত্মার নিরন্তর প্রজ্বলনে কষ্টসৃষ্টের পুনঃ পুনঃ অবগাহন।

সুখের ধ্বনি ভুলে তবে অাত্মলোকে মম ললাটের বিসর্জন,
পতিত ছিলেম অন্তলোকে, অাপনাকে সঙ্গ ত্যাগে করিতে সমর্পণ।

অতঃপর প্রেম উপবাসে!
অাহা কি ভুলে অাজি পড়ে রই কণ্টক বিস্তৃতির অতলে,
হৃদয় কষ্টের বদহজমে অপূর্ন স্বপ্নাদ্য একাকী গুমড়ে মরে।

নিয়তির বক্ররেখা শ্বাশ্বত মেনে যার পর নাই যাতনায় সুখ খুজে,
নিরাশালোকে ডুবে ছিলেম অাত্মশৃঙ্খখলের অায়নাবন্দী করে।

অতঃপর তুমি এলে!
কষ্টের বিনাশক ও কষ্টিপাথর হয়ে অামায় বাঁচাতে
সোনার কাঠি শিয়রে অার রূপোর কাঠি পদতলে,

অার ফিসফিসিয়ে প্রেম মন্ত্র পাঠে জাগিয়ে তুললে
সকল যন্ত্রণা ছেড়ে অারধ্য  মুক্তি মিলল অবশেষে।

অতঃপর তুমি সত্যি এলে!
এক সমুদ্র উত্তাল নীল কষ্টের মাঝে তুমি হলে কান্ডারী
অবিরাম স্বপ্ন ভঙ্গের মিছিলে তুমি নবদিগন্তের ফেরী।

হাজার অর্বাচিন জীবনের মাঝে তুমি একমাত্র পরিচিতা
নিযুত কোটি মেকীর স্রোতে তুমি, শুধূমাত্র তুমিই অনন্যা।

অতঃপর ভালবাসলে প্রিয় বন্ধু!
প্রিয়তা, তোমাতে মম সজ্জল মিনতিপূর্ণ অাকুল প্রার্থনা,
দাও মোরে এক পৃথিবীরূপ সপ্ন ও প্রাণেতে প্রেরণা।

লও যত ক্লেশিত দুঃস্বপ্ন অার নিদারুণ বিচ্ছেদের ডালি,
বাধো মোরে জীবনান্ত, প্রতিজ্ঞাপূর্ন মন বিনিময়ে একসাথে তবে চলি।

অতঃপর দুপ্রাণে ভালবাসার রথ হলো জারি!

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬

কথোপকথন

হ্যালো বন্ধু, শুনতে পাচ্ছিস? হ্যা অামি তোকেই বলছি।
কোন ভনিতা নয়, এইবার চট জলদি উত্তর দিবি।
কি বল্লি? সময় নাই! বিজি? চুপ পাজি কোথাকার! ফাইজালামি করিস!
না এখনই! অার কোন কথা নয়, উত্তর চাই সত্যি সত্যি।

তো প্রশ্ন শুরু করি? রেডি, ওয়ান, টু, থ্রী......

তোর অাত্মার কোন পাশে অামি বসত করি?
তোর কোন হাঁসির ঠোটে অামি মিশে থাকি?

তোর কোন চেতনায় ঘোরে অামায় ঘিরে রাখিস?
তোর কোন বুকে কেমন করে অামায় লালন করিস?

কি ঝিম মারছিস কেন? তারপর বল-
তোর কোন অাকাশের কোন কোণে অামার ছবি রাখিস?
তোর কোন সপ্তবর্ণার কোন রং অামার দেহে মাখিস?

তোর কোন অনুরাগে অামার অাবেগ মাখা অাছে?
তোর দুঃখের কোন স্তরে অামার কলঙ্ক লেখা অাছে?

অারে অস্থির হচ্ছিস কেন? ভেবে বল-
তোর কোন কান্নার রোলে অামি ঝরে পরি?
তোর চোখের কোন দৃষ্টিতে অামি ভেসে উঠি?

তোর প্রশ্বাসের কোন প্রবাহে অামি ছুটে চলি?
তোর স্মৃতির কোন অংশে অামি বিচরন করি?

অামার চোখের দিকে তাঁকিয়ে বল-
তোর কোন বাগানের ফুল হয়ে কোন সুবাসে ভাসি?
তোর কোন ঋতুর সঙ্গী হয়ে চারিধারে থাকি?

তোর কোন নক্ষত্রের তাঁরা হয়ে তোর হৃদয়ে জ্বলি?
তোর কোন পূর্ণমার অালো হয়ে নিশী জেগে থাকি?

একটু ধর্য্য ধর ঘুম কুমারী, এই তো হয়ে এলো!
তোর কোন সপ্নের কুমার হয়ে তোর হাত ধরি?
তোর কোন নিদ্রায় চুপিচুপি তোর দেহে অাসি?

তোর কোন নদীর বুকে অামি ব্যাকুল সাতার করি?
তোর জীবনের কোন ভূমিকায় অামি রোল করি?

শেষ দুইটি প্রশ্ন, জানতে খুবই ইচ্ছে-
তোর কাছে অামার অনুভুতির নাম বা মানে কি?
সেটা কি সত্যি ভালবাসা, নাকি নিছক সহমর্মিতা?

শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

তুই কি অামার বন্ধূ হবি?

তুই যদি একবার বলিস অাকাশ ভালবাসি
তোকে নিয়ে দিবো অামি এক নীলাকাশ পাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস বাঁচতে ভালবাসি,
তোকে নিয়ে দিবো অামি এক মহাকাল পাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস নদী ভালবাসি,
তোর জন্য নিরন্তর অামি বইবো নিরবধি।

তুই যদি একবার বলিস ঝড়না ভালবাসি,
তোর জন্য জলধারা হয়ে তোর পায়ে পড়ি।

তুই যদি একবার বলিস পাহাড় ভালবাসি,
তোর জন্য হিমালয় হয়ে সপ্ন দিবো পাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস সমুদ্র ভালবাসি,
তোর জন্য মহাসাগর হয়ে তোর বুকে ভাসি।

তুই যদি একবার বলিস চাঁদমামা ভালবাসি,
তোর জন্য ধরায় বানাবো জোঁসনা মাখা বাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস প্রভাত ভালবাসি
তোর জন্য প্রভাকর হয়ে থাকবো অামি ভারী।

তুই যদি একবার বলিস বৃষ্টি ভালবাসি,
তোর জন্য জলকণা হয়ে ভেজাবো তোর শাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস গোধূলী ভালবাসি,
তোর জন্য বানাবো অামি লাল পাহাড়ি শাড়ি।

তুই যদি একবার বলিা কাঁশফুল ভালবাসি,
তোর জন্য সারা মাসে শরৎ রবে জারি।

তুই যদি একবার বলিস বর্ষা ভালবাসি,
তোর জানালায় বারিপাত হয়ে শ্রাবণ হয়ে পড়ি।

তুই যদি একবার বলিস শীত ভালবাসি,
তোর কৃষ্ণ চুলে শীতলা বায়ু হয়ে আমি উড়ি।

তুই যদি একবার বলিস গল্প ভালবাসি,
তোর জন্য হয়ে যাবো হাজার গল্পের ঝুড়ি।

তুই যদি একবার বলিস কাব্য ভালবাসি,
তোর জন্য হয়ে যাবো বিশ্বসেরা কবি।

তুই যদি একবার বলিস গান ভালবাসি,
তোর জন্য হয়ে যাবো প্রেমের কন্ঠশিল্পী।

তুই যদি একবার বলিস যুদ্ধ ভালবাসি,
তোর জন্য হাজার যুদ্ধে লড়তে রাজি অাছি।

তুই যদি একবার বলিস বেড়াতে ভালবাসি,
তোকে নিয়ে যাবো অামি সৌরজগত ছাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস ঝগড়া ভালবাসি,
তোর সাথে খেলবো অামি অাড়ির লুকোচুরি।

তুই যদি একবার বলিস কার্টুন ভালবাসি,
তোর জন্য কার্টুন হয়ে করবো তোকে খুসি।

তুই যদি একবার বলিস ক্লাউন ভালবাসি,
তোর জন্য জোকার হয়ে দাড়াবো অামি দিব্যি।

তুই যদি একবার বলিস বাঁচাল ভালবাসি,
তোর জন্য বকবকানিতে হবো অামি বাগ্মী।

তুই যদি একবার বলিস সুবাস ভালবাসি,
তোর জন্য ফুল হয়ে তোর উঠোনে অাসি।

তুই যদি বলিস একবার অামি তোর শান
শুধূ তোর জন্য অামি হয়ে যাবো সুপারম্যান।

বালিকা তুই যদি একবার দিস অামায় একটি হাঁসি,
দেখবি তোর পায়ে রাখবো হাজারো নীলকান্তমণি।

বালিকা তুই যদি একবার বলিস তোমাকে ভালবাসি,
তবে মহাবিশ্বের প্রতিটি কোণে লিখে দিব তোকে ভালবাসি।

প্রিয় বালিকা! যদি তুই একবার বলিস ফুসমন্তর,
অামার দূর হয়ে যায় সব শঙ্কা, যাদুটোনা, ভয়-ডর।

বালিকা তুই  লক্ষী বালিকা, তোর দেখানো পথে অামি হাটি,
তুই অামার অালোক অাধার, তুই তে বাঁচি  অাবার তুই তে মরি।

তুই অামার হাজার জনমের এক ভালবাসা, সৈভাগ্যের চাবি
বালিকা! এই বালিকা! সত্যি করে বলতো, তুই কি অামার বন্ধূ হবি?

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬

পিপীলিকা নিধন



দৈত্য তোর পায়ের তলে পিপীলিকা যায় পিষে,
তোর যাতনায় পিঁপড়া ছানা বেঁচে থাকে ধুকে ধুকে।

দৈত্য তোর দেহের বলে আঘাত করিস শীর্ণ বুকে
দৈত্য তোর রিপুর তোড়ে, পিপীলিকা মরে মরে

তুই মনে পুষিস-  শক্তের ভক্ত নরমের যম, জোর যার মুল্লুক তার
তুই ভুলে গেছিস- জীবে সেবিছে যে, সেবিছে ইশ্বর।
 
বর্মী ভিক্কু তোর দ্বারা বৈদ্যনীতির হিন রূপান্তর
বিজাতীয় হত্যায় সর্গলাভ নতুবা ভাগা দেশান্তর।

আজ শ্বাশত জীব হত্যা মহাপাপ মুসলমান ছাড়া
মার মার কাট কাট লুটে নে যত পারিস ক্ষুধা মেটা।

বুদ্ধশিশু রোহিঙ্গা পিঁপড়ার রক্ত উল্লাসে মাতে,
স্ববর্গবাসী বুদ্ধদেব তোর রঙ্গ দেখে হতাশ হয়ে

বাঙ্গালী নব্য ধারায় ধর্মান্ধ উগ্র মানুষের বাড়ন্ত
পুথিমালা আর সিদুরের বোঝা মাথা নিয়ে মালায়ন জাত সন্তন্ত্র।

জাত ধর্মে মুজাহিদের মুখোশ পড়ে  জবাই, নিপীড়নের হিরিক
হিন্দু, বৈদ্ধ, সাউতাল, চাকমার  হাহাকারে বিদীর্ন দিকবিদিক।

শান্তির ধর্ম বুকে নিয়ে অাগুন লাগাস নাঙ্গা দেহে,
অাল্লাহ তোর খেলা দেখে তাকিয়ে রয় ঘৃণার চোখে।

নাৎসিদের কোন ধর্মে ইহুদি নিধন বিধি আছে
আবার ফিলিস্থিনীর লাশে বুকে ইজরাইলি নিশান উড়ে।

নাস্তিকের দোহাই দিয়ে ইন্দোনেশিয় বুজুর্গ তুই মারলি লক্ষ সন্তান
আবার জাতীয়তাবাদীর হায়েনা হয়ে করলি শিকার বসনিয়ার প্রাণ। 

যীশুর পুত্রের মুখোশ রূপে, বিভেদ ছড়াস দিকে দিকে
সর্গলোকে যীশু বসে তোর কীর্তি দেখে লাজে মরে।

ইসলামকে জাদুঘরে রেখে শিয়া-সুন্নি  জিহাদ করে,
কাদিয়ানি-মওদুদির সাফাই গাইতে লক্ষ কোটি মুসলিম মরে।
 
লক্ষ হিন্দু-মুসলিম প্রাণ সংহার দ্বিজাতিতত্বের বিষে 
বিজাতীয় হত্যা সব অাজো উপমহাদেশের  রন্ধ্রে রন্ধ্রে।  

রাম-কৃষ্ণের ভক্ত বেশে, ধর্ম গরুর রক্ষক সেজে অজাত-কুজাতের বলি
ইন্দ্রলোকে দেবগন বিষাদে জ্বলে  নিছক মনুষ্য সৃষ্টির লাগি।

বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ তুই বুনো নিগ্রো নিধন করিস
মহাপুরুষ কালো তুই সাদার উপর থুঃ থুঃ ফেলিস।

স্বর্গলোকের বাসিন্দা ভেবে পশিমারা বেজায় সুখে
পশ্চিমা শয়তানের  বেজন্মা ভেবে পূর্ব তুই আছিস মজে ।

দৈত্য বলিস, বাছা ভাবলে এত নিরানন্দ  তবে বাঁচা  
বাঘে ছুলে অাঠার ঘা, অার অামি ছুলে মরণ ঘা।

দৈত্য এলোসুখ ফুরালোপিঁপড়া ঘুমালো, হিংসে এলো দেশে
খুবলে নিল, চিড়ে খেল, পিষে মারল দৈত্য দলের বিষে।

পিঁপড়ার জায়গায় আসন গেড়ে তাকেই মারে শেষে
ক্ষমতাবানেরা ঘর ভেঙ্গেছে, মাটি কেড়েছে, চাঁন্দা দিবে কিসে?

অধর্ম  নহে, শ্বাশত সংখ্যালঘু ধরনীলোকে নিঃষ্পেষিত!
অপ রাজনীতি চরিতার্থাতের লাগি অপব্যাখ্যায় ধর্ম নৃশংস।

ক্ষমতার গদি  দীর্ঘের তরে ধর্মকে করে পুজি
বিপন্ন মানবতায় সাঙ্গ হয় শ্বাশত, মজলুমের হাহাজারি।

নৃশংসতা নহে ধর্মমিথ্যায় কভু হয় না  ধর্ম
দৈত্যের কোন নাহি ধর্ম, নৃশংস-মিথ্যা তার বর্ণ

দৈত্য হে! এক পলকে জুড়াবে সবধিকিধিকি জীবন বাতি,
কাহার লাগি বড়াই দৈত্য, কিসের হেতু মারিস পিঁপড়ে নাহি বুঝ অাসি।

রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

ভালবাসা অতীত

সপ্ন সারথী!
পাশের থাকার পণ করে অাত্মাদ্বয় অাপনাদের করেছিলো সমর্পন।

চন্দমুখী প্রিয়তম!
মায়াময় মুখখানিতে একেঁ ছিলো এক প্রান্তর রূপালী হাসি।

কৃষ্ণাচোক্ষি অন্যন্যা!
জাদুমাখা চোখে জমিয়ে ছিলো হিমাদ্রীর সবটুকু নীল।

দয়াময়ী ভালবাসা!
প্রশস্থ ও তুলতুলে বুকে চেয়েছিলো এক চন্দ্রীয় বাসর।

সহচারী বন্ধূ!
দৃঢ় ও পেলবী হাত র্স্পশে বেঁধে ছিলো একমুখী জীবনপথ।

বাঁচিবার প্রেরণা!
এক পৃথিবী বির্সজন দিয়ে করেছিলো অামরন প্রতিজ্ঞা।

অাজন্ম সহচর!
পরস্পরকে সাক্ষী রেখে একরাশ সপ্নের অালোক নিয়ে বলেছিলো 'ভালবাসি'।

তবে কি হলো, ভালবাসা কেন দ্ধিধায়?
কেনই বা সপ্নগুলো অার দেয়না ধরা?
কেনই বা সাঁঝের মায়ায় সন্ধ্যা তাঁরা লুকিয়ে থাকে?
কেনই বা ছুয়াছুয়িতে শিতলতার অাহ্ববান?

বিশ্বাস নাহি যবে অনাস্থা প্রবাহের সুর
সমাধানের পাশ কেটে তর্কেতর্কে বহুদূর।
ভালবাসায় তবে লাভ-ক্ষতির অংক কসা
সন্দেহের অারম্ভ, সম্পর্ক কুড়ে খায় ঘুন পোকা।

পিঁপড়ায় খায় পরিত্যাক্ত মিলন মধূ, মহোৎসবে ভারী
বসন্তের কোকিল কণ্ঠসুরে ভাংগনের কলকাঠি  নাড়ি।

ভালবাসার সূর্য্যি মধ্য গগন না পেরতেই বিদায়ী অস্ত, 
পূর্ণচন্দ্রের চন্দ্রগ্রহণ, জোছনালোকে অসহায় পরাজিত।

ব্যথাতুর অাত্মার ব্যাপন, ছরিয়ে পড়ে দূর দিগন্তে,
ভালবাসা অতীত হয়ে মিলে স্মৃতির পাতায়, ইতিহাসে।

অশ্রুসিক্ত গঙ্গাজলের উর্ধ্বপাতনে কষ্টকণিকা কালো মেঘে মিশে
বৃষ্টি অাজি তাই বাধ সেধেছে ভাসবে সে শূন্যে, ক্লেশ হয়ে।

শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

কল্পিত ভালবাসা

বিসৃত স্মৃতিচারণের অন্তঃপুরের নির্মম অাহুতি
কল্পিত অবাচ্যে একমুঠো সুখের হাজার মিনতি,

প্রেমময় অাবহ  ফিরে পাওয়ার সজ্জল প্রার্থনা
ভালবাসি প্রাণে, যৌবনা ভালবাসা ছুয়ে দেয়া

নির্মেঘ সপ্ম অাকাশে অদৃষ্ট মেঘের লুকোচুরি
অসীম বিপরীত প্রান্তরেখায় সুপ্ত ভালবাসার ইতি

অাবছা অাধারে ধ্রুব তাঁরার বিরহ লুটোপুটি
নিশ্চলা বায়ু কোণে থেমে থেমে বিচ্ছেদের অাহাজারি

নিথর হিম হিমাদ্রীর মুক্তির উষ্ণতায় অার্তনাদ
কাবৈশাখীর প্রয়ল ঝড়ে বিরহিনীর বিলাপ

সপ্নগলোর ভয়ার্ত রাঙ্গানিতে নিদ্রার বিলোপ
ভগ্ন হৃদয়ের নিরব ক্রন্ধনে চক্ষু ঝরনার সংকট

অাবর্তমান অতীতে ফিরে যাবার হাহাকার,
শান্তিজলে জোয়ারের লাগি অস্থিরতায় বিকার

দুহৃদয়ে ভালবাসা অানয়নে দীর্ঘকাল অপেক্ষা,
কল্পিত ভালবাসা কল্পনায় বাস, বাস্তবতায় অনিহা

হায়রে ভালবাসা! নিষ্ফলা ভালবাসা! কল্পিত ভালবাসা!

শূন্যতায় সৌন্দর্য

আমি ভরহীন ভাসমান মনু্ষ্য বা তার পরাবাস্তবের ছায়া
আমি একই সাথে প্রাণহীন বা প্রাণ সঞ্চারে আচ্ছন্ন মায়া।

আমি দেখি সপ্তবর্ণার বাইরে আরো কত রং!
সব রং যেন জীবিত প্রাণের ঢং!
তারা তাদের মাঝে বলে কত কথা!
কোন রং নৃত্যের ছন্দে দশদিগন্তে ছোটে!
কোন রং নিষ্পলক নয়নে অবিরাম কাঁদে!
কোনটা ভাবনাহীন অট্টহাসি আবার কেউ বা সুক্ষ্মদর্শী মুচকি হাঁসে!
কোন রং আবার অভিমান্য ঠোট ফুলিয়ে বসে থাকে!


আমি বাস করি ধরাতলে বা মহাশূন্যের অসীম শূন্যতায়
একই সাথে জন্ম ও মৃত্যু কে উপভোগ করে আমার সহবস্থান নিরন্তরতায় ।

আমার বিচরন হয়তবা কোন মনুষ্য মাতৃজঠরে
বা অবিরত গমন নিষ্পাপ প্রেমির অছেদন নিন্মাঙ্গে।
অথবা কোন যৌবন মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ষিতা গ্রহাণুপুঞ্জে
আবদ্ধ অতল কৃষ্ণ গহ্বরে কালো মায়ার বাধনে।
হয়ত কোন নিহারিকার বা কলঙ্কীত ধূপছায়ার গতিপথে
অথবা অশীররী ছায়াপথ হতে ধ্রুব নক্ষত্রপথে।
আমি বিবর্জিত ভরশূন্য দুষ্প্রাপ্য পদার্থ,
মহাকর্ষজ ত্বরণ আমায় স্পর্শ করে না।

প্রাণহীন ও প্রাণময় আত্মায় দিন-রাত্রির সন্ধিক্ষণে বিচরন
নিরাকার দেহে নেশাপ্রবণ ধূপছায়ায় ঝাঝালো গন্ধের ব্যাপন।

না আমার দেহকোষে আছে নিউক্লিয়াস
বা তাতে ঘূর্ণিয়মান ইলেক্ট্রোন পরমাণু কণা,
অথবা ধমনী ও শিরায় লোহিত কণার  উপস্থিতি।
না আমি কোন স্বপ্নঘোরে থাকি বা কোন সপ্নকে মারি
না আমি জৈবিক কোন ক্রিয়ায় বাঁচি বা মরি।
ক্ষনস্থায়ী আদম বা অমর ভিনগ্রহের সন্তান আমি
জাগতিক ও মহাজাগতিকে সমান্তরালে বয়ে চলি।

আত্মহনন বা আত্মজাতে প্রেমমুক্ত অববয়ে নির্বিকার চাহনি
অদৃশ্য শূন্যে ছায়াহীন বসত আবার অসংঙ্গায়িত দৃষ্টিপটে পার্থিবের উপস্থিতি।

আমি একই সাথে জান্নাত ও জাহান্নামের পথে হাটি
আমিই সমভাবে স্বর্গের নহরে ভাসি ও নরকের আগুনে জ্বলি
প্রাণ অবিনাসে সন্ধি করি বাস্তব ও পরবাস্তবের সাথে।
অতীতে কে ভবিষ্যতে আর বর্তমানকে অতীতে ধাবমানের মাধ্যমে
উলটপালটের বাইস্কোপ দেখাই প্রকৃতিজাতের উপাদানকে।
আমি স্থির বিন্দু থেকে বিচরন করি বর্ধিত অনুগামী রেখায়
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি ও ধ্বংসের মাঝে মজি জন্ম ও মৃত্যু খেলায়।

বর্ণহীন অদৃশ্য রংয়ের মায়াজালে অঙ্কিত আমি শূন্য চিত্রপটে
বাষ্পীয় জলের মতই ক্ষণিকে মিলাই সীমাহীন অদৃশ্য কল্পে।

আমি অন্তিম সুখের তীব্রতায় ভংয়কর দূরারোগ্য অসুখ
আমি নিষ্পাপ হাসির অধরে আকন্ঠ কষ্ঠের কান্না
আমি চিরন্তন সুস্থতার অন্তরালে চরম মানসিক পীড়া।
আমি চীরসৌন্দর্যের প্রতিরূপে কুৎসিত বিষাক্ত লালা
আমি  দয়াপরবশের মায়ায় নিষ্ঠুর অবতারের ছায়া।
আমি ভূলোক-দূলোকে অসীম বিচরনে খুজি আনন্দ
আমি শুন্য, সৃষ্টিধরে আমি শুন্য, শূন্যতায় আমার সৌন্দর্য!

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি

ইন্দ্রপুরী রানী!

ইন্দ্রিয় মায়ায় অাচ্ছন্ন করেছ প্রেমিক হৃদয়,
মর্তের ধরায় তোমার অাগমনে প্রাণকুল অাত্মহারায়।

সর্গলোকে অাবাস তোমার,অারধ্য ইন্দ্র পিরিতি,
মহব্বত জাদু দৃষ্টিতে করেছ অলোকের ব্যপ্তি।


অমরাবতী প্রিয়তমা!

তোমায় ভালবাসতে সহস্র মহাকাল বাচিঁ মরি,
নিরন্তর পুনঃজন্মে ভালবাসার রথ অসীম জারি।

মিষ্টি রূপের মায়ার বাধনে প্রেমিক স্পন্দন হাহাজারি,
দিবাকর- শশাধর সাক্ষী প্রিয়তম, তোমাকে অনেক ভালবাসি।


লাস্যময়ী অপ্সরা!

তব সুবাসে ধরনী পুষ্পকলি অাহা কি লাজে  মরি,
তব রূপেরমোহে সূয়াপর শুক্লপক্ষ চন্দ্রের অাড়ি।

তব বচনে অাহা লাজবাব পাখির স্তব্ধ কলকাকলি,
তব ছন্দে ময়ুরপঙ্খি নৃত্য ভুলিয়া লাজুক লুকোচুরি।


হূর জান্নাতি!

অলোকের প্রেম হয়েছে অমর তব প্রেম সুধায়,
প্রিয়তমায় ভালবেসে জয় হয়েছে প্রেমিক অাত্মায়।

সতন্ত্র প্রেমিক  নিঃস্ব কি দিবে তোমার চরণে,
প্রিয়তম তোমায় ভালবাসি শপথ মম প্রেমে।

হে ইন্দ্রানী!
প্রেমিক হৃদয়ের অাজন্ম প্রতিক্ষা তোমায় ভালবেসে,
সকল ইবাদত তব নামে, অর্ঘমাল্য সপি তোমার চরনে।

তোমায় ভালবেসে পিরিতে মরণ বারং বার মরি,
মরিতে বহুত সুখ প্রেমেতে, ভালবাসি! ভালবাসি!ভালবাসি!

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...