বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

মুচলেকা

অন্তর্ধানে অাগুন লেগেছে
অতৃপ্তির শিখা। 

ওহে তৃপ্তা!
এক নহর তৃপ্তি চাই,
অন্তঃদহন সাধনে
কথা দিচ্ছি এবার অার হতাশ হবে না তুমি


প্রভাত ফেরীতে অাগমনের ডাক,
নব্য দিগন্তে,

ওহে প্রভাত!
এক মুঠো সকাল চাই
রোদ্র গায়ে মাখিতে
কথা দিচ্ছি এবার অার কষ্ট পাবেনা তুমমি


গোধূলীতে অাকাশ সং সেজেছে,
অাপনাকে রাঙ্গাতে

ওহে অাকাশ!
এক মুঠো গোধূলী চাই,
মনকে রাঙ্গাতে
কথা দিচ্ছি এবার অার দঃখ পাবেনা তুমি


গহীন নিশীতে অনিদ্রা ঘুমে,
সহস্র মহাকালে

ওহে অনিদ্রা!
এক খন্ড ঘুম চাই
সপ্নকে সাজাতে
কতা দিচ্ছি এবার অার ব্যাথিত হবে না তুমি


পূর্ণিমার মায়ায় অমরাবতীর ডাক,
সুখের হাতছানিতে

ওহে অমরাবতী!
ইন্দ্রপুরীর অাদর চাই,
তোমার ভালবাসতে
কথা দিচ্ছি এবার অার কাঁদবেনা তুমি

রাঙ্গা পরীর লাজ ভেঙ্গেছে,
সজ্জল দৃষ্টিতে

ওহে পরী
এক চিমটি লজ্জা চাই,
ভালবাসা রাঙ্গাতে

কথা দিচ্ছি এবার অার বিব্রত হবেনা তুমি

প্রেমকাহন

অাজি তোমার অাকাশে তাঁরার মেলা বসবে,
রূপার তাঁরা।

অাজি তোমার অাকাশে উল্কা খসে পড়বে,
বিমুগ্ধ উল্কা।

অাজি তোমার অাকাশে পরীর বিয়ে হবে,
নীল পরীর।

অাজি তোমার অাকাশে মেঘের লুকোচুরি হবে,
সাদা মেঘের।

অাজি তোমার অাকাশে পাখির সুর তুলবে,
রাত জাগা পাখির।

অাজি তোমার অাকাশে নৃত্যের মেলা বসবে,
ময়ুরপঙ্খির নৃত্য।

অাজি তোমার অাকাশে বাসা বাধবে,
মধূচন্দ্রীমার বিছানা।

অাজি তোমার অাকাশে সপ্ন অাসবে,
ভয়ংকর সুন্দর সপ্ন।

অাজি তোমার অাকাশে গল্প হবে
ফিসফিসানি গল্প।

অাজি তোমার অাকাশে বসন্ত বায়ু বইবে
বাসন্তী পবন।

অাজি তোমার অাকাশে পতাকা উড়বে,
শান্তির পতাকা।

অাজি তোমার অাকাশে জোঁসনা ছড়াবে,
ফর্সা জোঁসনা।

অাজি তোমার অাকাশে অালো ছড়াবে,
সপ্তবর্ণা অালো।

অাজি তোমার অাকাশে বৃষ্টি নামবে

উষ্ণ বৃষ্টি।

কলঙ্কিত মেঘমালা

নীলচে অাকাশে কালো মেঘের অানাগোনা
ওহে বৃষ্টি! অাকাশ কলঙ্ক হতে মুক্তি চায়-
চিরন্তন মুক্তি।

তোমার প্রতিটি বৃষ্টিকণায় সবটুকু সপ্ন ছড়িয়ে দিলাম
মেঘ তুৃমি বৃষ্টি হয়ে ধূয়ে দাও ঐ কলঙ্ক-

ফিরে অাসুক নীলাকাশ।


অার বৃষ্টিকণা ছড়িয়ে দাও বিশ্বলোকে
যেথায় সপ্নগুলো গুমরে মরে।


তারপরও এই কালো মেঘ খুবই ভয়ংকর
বারবার অাগ্রাসনে ছেয়ে যায় নিলাকাশ।


তাইতো বৃষ্টি তোমায় প্রার্থনা প্রতিক্ষণে
হোক না গগনপালে কলঙ্কের লিখন!


তবেই না স্বাদ অাহ্লাদে তোমায় ডাকিতে পারি।



বৃষ্টি তুমি ছিলে সৃষ্টির পূর্বে
বিরজমান থাকবে সৃষ্টিনাশের পরে-
অনন্ত নক্ষত্রবিথীকায়।


হে কলঙ্কিত মেঘমালা!

বিচলিত নই অামি, সুস্বাগতম তোমায়-
বৃষ্টির তরে!

বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৬

-: অনন্ত যাত্রা :-

সে সংসারের মায়া সাঙ্গ করে অজানা পথে পাড়ি দিচ্ছে। একসময়ের ভীরু নিসঙ্গ একলা পথিক অকস্যাৎ অমিত সাহসী অভিযাত্রীতে পরিনত হয়েছ। প্রকৃতপক্ষে বর্তমানকালের তীব্রভাবে অপমান অার নির্লজ্জ কষাঘাত তাকে বাধ্য করেছে বিদ্রোহী অার সাহসী হতে। সুন্দর অতীতকে প্রতিস্থাপন, নিষ্ঠুর বর্তমান থেকে মুক্তি অার ভবিষ্যতের ভাগ্য নিজ হাতে লেখা তার একমাত্র লক্ষ্য। ইশ্বরকে বৃদ্ধাঙ্গালি প্রদর্শন করে যাত্রা করেছে অনন্তের পথে।

দুরন্ত, দুর্বার গতিতে অবিকর্ষজ ত্বরণের সুত্র ধরে বর্তমান সময়কে বিন্দুস্থ করার মাধ্যমে সময় রেখা অতিক্রান্ত করে ভবিষ্যৎ বিন্দুবৃত্তে মিলনের চেষ্টা। সর্পিল বন্ধুর গলিতে ধাবমান বিনিদ্র প্রথিকের নিজেকে ভেঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ফিরে পাবার নেশা।

মধ্যরাতের সুনসান নিরবতায় প্রকৃতিজ প্রাণকুল নিদ্রাচ্ছান্ন। হঠাৎ কৃষ্ণপক্ষের অবতরন ও নিয়নের নরম হলুদ অালোর মায়াবীজালে অাচ্ছন্ন প্রকৃতি। বিধস্ত কনক্রিটের গলির চারিধারে সারি সারি পাইন বৃক্ষের কালো ছায়া। একফালি চাঁদেরকণার নিরব নিসুতি ব্যাপ্তি। হিম ঝড়ো বায়ুর বাকে দুরের দেবদারু গাছের ভয়ংকর ইশারা। চারপাশটা যেন এক অশীররী অাত্মার তীব্র অার্তনাদ।

সে বয়ে চলছে একা একা, সময় বিন্দুর ত্বরণ হতে সময়কালে। সময়কাল হতে মহাকালে, তারপর মহাজাগতিকে। একই সাথে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও পররবাস্তবার জগতে সে হবে বিদ্যমান।
অতীত হতে অারো অতীতে ফিরবে সে, তার হারানো মানুষটির সুখস্মৃতিতে ফিরে যাবে। ঘন্টার পর ঘন্টা প্রিয়মানুষটির পাশে পাশাপাশি শব্দহীন হাটা। নরম অাংগুলের র্স্পশ অার হৃদয় জুরানো হাসিতে পার করা সময়গুলিকে অাবার ফিরিয়ে অানবে। ফিরিয়ে অানবে, সুন্দর মুখখানির দিকে তাকিয়ে সারা বিকেল পার করা অার সন্ধ্যা হতেই রেস্তোরায় কফি খেতে খেতে সময় কাটানোর আনন্দ। দূর্বাঘাসে বসে দুরের নীল অাকাশ দেখা, ও শস্যক্ষেতের প্রান্তরে তাকিয়ে হলদে ফুলগুলো গোনার সুখ। সে ফিরে যাবে অতীতে, ঠিক যেখান হতে তাদের ভালবাসায় শুরু অার বিচ্যুতি তার অাগ মুহূর্তকাল পর্যন্ত । সময়কে পুনঃপুনঃ পাল্টে তাদের প্রেমকে অারো দীর্ঘায়িত করবে।

ভবিষ্যতের ভালবাসা নিয়ে একটু সন্ধেহ থাকলেও তবু একবার চেষ্টা করে দেখবে। তাই ইচ্ছে হলেই পারি দেবে দুইশত বৎসর ভবিষ্যৎতে, ততদিনে বর্তমানের সবাই হারিয়ে যাবে মহাকালে। তাদের কেউ চিনবেনা, তাকে অার হারানোর ভয়ও অার থাকবে না। ভবিষ্যত সময়কালে জরা বা হারানোর ভয় অাসতেই সে ফিরে যাবে অাবার সোনালি অতিতে। মহাকালের পরিক্রমায় অসীম পরিভ্রমনের অভিযাত্রা জারি থাকবে, হবে ভালবাসার জয়।

সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাসী পথিকের মহাজাগতিকের ব্যাপারে অনিহা সৃষ্টি হচ্ছে মাত্রই। সৃষ্টিকর্তা যদি তারমতো সেখানে না থাকতে দেয়? চাওয়া গুলো যদি বর্তমানের ন্যায় নিষ্ঠুর হয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়? সেখানে তো সকল গতিসুত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। চাইলেই সে অার ফিরতে পারবে না অতীতে। অদৃশ্য দেয়ালে অাটকা পরতে হবে মৃত্যুহীন এক জীবনে। সুতরাং পরাবাস্তববাদী মানুষটি সেখানেও যাবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করলো।

অন্যদিকে বর্তমানের ব্যর্থ এই পথিক বর্তমানকে ঘৃনা করে, প্রচন্ড অাক্রোশ তাকে ঘিরে। সুতরাং ফিরবেনা বর্তমানে, এটাই তার দ্বিতীয় কঠিন সিদ্ধান্ত।

অাজ থেকেই সে অনন্তকালের পরিব্রাজক, এখন থেকেই তার যাত্রার সূচনা। সে বেশিরভাগ অতীতের, সে আংশিক ভবিষ্যতের।

এ যাত্রা 'অনন্ত যাত্রা'!

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৬

তবুও সন্মানিত

অামি পঙ্কিল, অামি দুষ্ট
অামি জরা, অামি ব্যাধি
অামি কষ্ট, অামি ব্যাথা

অামি কুটিল, অামি দূর্জন
অামি মিথ্যুক, অামি চাটুকার

অামি খলনায়ক, অামি অমানুষ
অামি কলঙ্ক, অামি অপমান


অামি দূভাগ্য, অামি অনিষ্ট
অামি জাদুকর, অামি ধূর্ত


অামি চালাক, অামি কুবুদ্ধি
অামি ক্রোধ, অামি হিংসা


অামি কামনা, অামি অহংকারী
অামি বিসাক্ত, অামি দহন


তবুও অামি সন্মানিত

পৃথিবী যে অনেক বোকা!

অামার রং


অাজ অামি সুখী
সুখের রং অাকাশী
অাসমান অাকাশী!

অাজ অামি ধন্য
ধন্যের রং লাল
লজ্জামাখা লাল!

অাজ অামি তৃপ্ত
তৃপ্তের রং হলুদ
বাসন্তী হলুদ  !

অাজ অামি অর্ঘ্য
অর্ঘ্যের  রং লোহিত!
 রক্তজবা লোহিত!

অাজ অামি তুষ্ট
তুষ্টের রং নীল
 হিমাদ্রী নীল!

অাজ অামি অমূল্য
অমূল্যের রং সোনালী।
সূর্য সোনালী!

অাজ অামি রঙ্গ
রঙ্গের নাম বাদামি।
গোধূলি বাদামি!

অাজ অামি হাস্য
হাসির রং সাদা
সফেদ হিম!

অাজ অামি নন্দন
নন্দনের রং সবুজ
কলাপাতা সবুজ!

অাজ অামি মুগ্ধ
মুগ্ধের রং বেগুনি
ময়ুরাঙ্খি  বেগুনি!

অাজ অামি সুন্দর
সুন্দেরের রং কমলা।
কমলা হৈমন্তি!

অাজ অামি উজ্বল
উজ্বালের রং রক্তিম।
রক্ত কমল!

অাজ অামি সপ্নীল
সপ্নের  রং সিদুর।
সিথীর সিদুর!

অাজ অামি সুবাস
সুবাসের রং গোলাপী।
তপ্ত গোলাপী!

অাজ অামি চিত্র
চিত্রের রং জলরং।
জলপাই জলরং!

অাজ অামি প্রেমিক
প্রেমের রঙ খয়েরি।
লালচে খয়েরি!

অাজ অামি পিয়াসী
পিয়াসের রং কালো
ভ্রমর কৃষ্ণ!

স্বাগতসম্ভাষণ

শূন্যতায় প্রেম বিরহ বাসর, নির্জনতায় সুপ্ত কোলাহল
অাধারের অতলে প্রদীপ নিখোজ, অতোন্দ্রিয় ধরাতলে কষ্টজল।

অবগাহনে কলঙ্কের অবিনাশ, সুধায় তৃষ্ণার অতৃপ্তি
অন্তরঅাত্মায় বিস্তৃত অর্নিবান, অস্থিরতায় হৃদয়ের অাহুতি।

রক্তকনিকায় হিম কান্না, স্নায়ু কোণে অনিষ্ট অসুখের স্পন্দন
দূরারোগ্যে পিষ্ঠ পিরিতি মরন, ইষ্ট দেহে প্রতিস্থাপন।

অাগুন্তুুক প্রেমের অাত্মচিৎকার, অাত্মায় পরে ভারী

প্রণয় প্রলয়ে কপ্মিত দেহ, নিদারুন হাহাকারে মরি।

হৃদয় যন্ত্রের বিচ্ছেদের সুর, অালোকের নির্মম লুকোচুরি
নীল ব্যাথায় কালো কষ্ট, সাঙ্গ জীবন তরি।

মেকি হাস্যে গরল জ্বালা, অশ্রু ঝরনার প্ররিশ্রাবন
ব্যকুলতায় চিন্তার বিলোপ, মস্তিস্কের নিরব অাত্মহনন।

প্রেমদেবীর নিষ্ঠুর কষাঘাত,  অাত্মজ অনলে অঙ্গার
সুহাস্য বদনে নকল বহিঢংয়ে,  বিচ্ছেদে অভিনয়ের প্রসার।

জীর্ন অবয়ের বিনাশ সম্পন্ন, নাহি অার কিছু বাকি,
প্রেম দেবীর বিদায় লগ্ন, নব্য দেহের লাগি।

হে দেবী!
তোমাতে মৃত্যু, তবু অাসবো ফিরে তোমায় লাগি,
বারংবার জন্ম বিরহ সইতে এ অামার নিয়তি।

হে দেবী!
নবদিনের নবযাত্রা, শুপ্রভাত, স্বাগত,
শপথ তোমার নামে, নবজন্মে অাসিবো প্রিয়তম।

-: উপসর্গ :-


ভালবাসার স্বরধ্বনি অাজ ব্যাঞ্জণে রুপান্তর।
অমীত ভাবসম্প্রসারন  সারাংশে অাবদ্ধ
প্রেমের অনুচ্ছেদ এক কথায় প্রকাশে লিপিবদ্ধ।

ছুয়ে দেয়ার অাকাংখা বিনাসে রুপান্তর
কাছে অাসার অাসত্তি হয়েছে সুদুরপরাহত।

সর্ম্পকের মায়াজালে যোগ্যতার প্রভাব।
বাহুল্যসূত্রে মনের মিলনে অসমীকরণ।
সাধু ভালবাসার কথামালায় গুরুচন্ডালীর দুষ্টকরন।

প্রতিজ্ঞা সম্প্রদানে শর্ত প্রয়োগে বহুব্রীহিতে রুপান্তর।
তোমাকে অধিকারনে অপাদানের খবরদারি।
 কর্তার উপর কর্মের বাহাদুরি।

অামাদের সমাসবদ্ধতায় দন্দের হস্তক্ষেপ,
সরল ভালবাসায় জটিল বাক্যতত্ত্ব প্রয়োগ।

স্বরসন্ধির কর্মফল অবিশ্বাস্যভাবে বিসর্গ সন্ধিতে বিশ্লেষণ,
তোমার চোখে উত্তম পুরুষ হতে নাম পুরুষে  অধঃপতন।

স্বামী-স্ত্রীর মিলনমালায় উভয় লিঙ্গের নির্লজ্জতা,
তোমায় ডাকা ক্রিয়াবিশেষণ সমূহকে সর্বনামে ব্যাখ্যা।

যৌগিক ধাতু প্ররোচনায় মৌলিক ভালবাসার হাহাকার,
অপ্রত্যাশিত অনুসর্গ পিরিতের স্বকীয়তা বিলুপ্ত ।

খাটি বাংলার ভালবাসাতে পারিভাষিক শব্দের অাখ্যান।
এই তো উপসর্গ বিরজমান অামাদের ভালবাসায়।

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

শোকাবহ অাগস্ট

"দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা রক্তগঙ্গা বহমান,
তবু নাহি ভয়, হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।"

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এ দিনে তাঁর দলের ভেতর লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারীরা সেনাবাহিনীর একটি অংশের মাধ্যমে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধু কোনো সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি ইতিহাসের এক অনন্য ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব, বাঙালি জাতির জাতীয় জাগরণের অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীনতার স্থপতি।

যদিও ইতিহাসের প্রতিটি বিজয়েই একজন মহানায়ক হয়ে ওঠেন।কিন্তু তিনি একা এ মহানায়ক যেমন হয়ে ওঠতে পারেন না, তেমনি পারেন না বিজয় সুনিশ্চিত করতে। তাতে সরাসরি ভূমিকা ছিলো অামজনতার মুক্তিযুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন।

নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কিছু ভুলই শাসনই হিসেবে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে তাঁর অনুপস্থিতিতে যারা বহু প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে, অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে তিনি তাদের সাথে সম্মিলিতভাবে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

স্বাধীন দেশের জন্য প্রয়োজন ছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল দল ও শক্তিকে নিয়ে বিপ্লবী জাতীয় সরকার গড়ে তোলা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা না করে আওয়ামী লীগের একক দলীয় সরকার গঠন করেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা লৌহ কঠিন জাতীয় ঐক্য ভেঙ্গে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের শক্তি দ্বিধা বিভক্ত হয়ে যায়। যার ফলে, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত জাসদ, জেডিসির মত দল ব্যপক জনপ্রিয়তা পায়। তাছাড়া একই বিভক্তির সুযোগে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানকামীরা একাট্টা হতে থাকে। বিভক্তির চুড়ান্ত ফলাফল হলো পরবর্তীতে শহীদ রাষ্টনায়ক ও অানুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষক জিয়ায়ুর রহমান ও রাষ্টপতি হুসাইন মোহাম্মদ এর অালাদা ও একক দল গঠনের দুঃসাহস ও তাতে পুরোপুরিভাবে সফলতা লাভ।

ফলশ্রুতিতে গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামের ঐতিহ্য নিঃশেষিত হয়ে যায় এবং তিনি ব্যাপকভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুর জনবিচ্ছিন্নতার সুযোগ গ্রহণ করে তার দলের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে নিম্নপর্যায় পর্যন্ত ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীরা। বাঙালির জাতীয় ভাবাদর্শ পরিবর্তনে তারা পাকিস্তান প্রেমিকদেরও সহযোগিতা লাভ করে। যার চুড়ান্ত ফলাফল ১৫ অাগস্ট, ১৯৭৫।

তথাপি, তাঁর জীবনের অপরিসীম সাফল্য ও ভুলের দিকগুলো বিশ্লেষণ করে তাঁর অবদানে কাছে ভুল সমূহ একেবারেই তুচ্ছ। তাঁর কীর্তি তাঁকে রাখবে অম্লান, বেঁচে থাকবে সকল বাঙ্গালির মাঝে। অাজকের শোকাবহ দিনে জাতীর পিতাকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্বরণ করছি।

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মজিবুর রহমান।"

অপেক্ষা

অাটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগর
অালাস্কা হতে কোরীয় উপদ্বীপ,
উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু
অামাজন থেকে সুন্দরবন-
বিশ্বলোকে খুজেছি তোমায়।

খুজে ফিরেছি সৌরজগতে
গ্রহাণুপুঞ্জে, নিহারিকায়
ছায়াপথে ও ধ্রুব তারায়-
এখনো তুমি অদৃশ্য মানবী।

অাট ঘাট বেধে নেমেছি এবার,
মহাকর্ষ  ছিন্ন করে মহাকাশ ছারি
খুজতে যাবো  কৃষ্ণ গহ্বরে।

বালিকাবধূ সেখানেই হবে অামাদের ধূষর বাসর।
অপেক্ষা করো অামি অাসছি।

রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬

কষ্টানান্দ

'অলীক' ও 'কল্পনা', এক অর্থে বিস্তর ফারাকের দুটি প্রাণ।
ইতিমধ্যে ২৪৩,৩৭২,৪০০ সেকেন্ড অতিক্রান্ত....।

সুচনালগ্ন হতে
অলীক কল্পনাকে নিয়ে প্রেমের সিড়ি বেয়ে সপ্ত অাকাশে ভাসমান।

তথাপি, শুধু কল্পলোক হতেই কল্পনা প্রেম প্রদান করে
 'সুদে আসলে'।

তারা পরকীয়ার নিষিদ্ধতা উপভোগ করে 
কল্পানার বর 'বাস্তবতার' অগোচরে।

কল্পনার প্রতি বাস্তবতার প্রেম স্বর্গীয়।
তার তিক্ষ্ণ দৃষ্টি অার তার নিমর্ল ভালবাসায়
কল্পনা মিশে যায় বাস্তবতায়।

অার পারেনা অলীক
তার কঠিন শর্ত!
কল্পনাকে সত্যরূপে বেরোতে হবে
বাস্তবতাকে ছেড়ে, আসতে হবে অলীকলোকে।

হঠাৎ, কল্পনার দুচোখ ভর্তি জল খেলা করে
বিন্দুকণা পড়ার আগেই সে দুহাতে চোখ ডাকে।

কি লজ্জা, কি লজ্জা!
সে কাদছে কেন? সেতো নিজেই বাস্তববাদী!

ও, হ্যা, এটাতো বাস্তবতার সাথে সুখে থাকার কান্না!

তবে ইদানিং প্রায়ই কল্পনার বুকের চারপাশে ব্যথা ছড়িয়ে থাকে, তবে ব্যথা পুষিয়ে রাখতে তার অদ্ভুতুড়ে কষ্টানান্দ হয়।

কষ্টানান্দই তার কাছে সর্বোত্তম চিকিৎসা মনে হয়।

অার বেচারা অলীক
বুকে এ্যকোহাল আর নিকোটিনের নির্যাসের সাথে
নিথর নিষ্পলক দৃষ্টিতে শুন্যের মাঝে ফানুষ ওড়ায়।

এখনও, অলীক কল্পানার মাঝেই
তার জীবনের বাস্তবতা খুজে বেড়ায়।

আর কল্পনা ছল ছল চোখে
বাস্তবতার মাঝে অলীককে খুজে বেড়ায়।

মৃত্তিকার মায়া

প্রথাবিরুদ্ধ পথিকমৃত্তিকাগর্ভ ভেদে
যখন বীজ থেকে চারায় অবিভূত হয়,
তার গন্ডি তাকে বড় করে
অতি আপনার করে।

সেও বড় হয়
তার আপনারদের রং বদলায়
মিলিয়ে যায় সবাই মৃত্তিকায়।

একলা পথিক তার সর্বস্ব প্রদানে
প্রকৃতিজাতকে করে সমৃদ্ধ।

তবুও বিরুদ্ধ ঝড় আসে
মগডাল ভাঙ্গে।
কেওবা এসে মূল-ই উৎপাটন ঘটায়।

মৃত্তিকায় জন্ম তার
তবুও মৃত্তিকাই যেন সবচেয়ে ভয়ংকর।

অলিক

অলখ্যই অলিক আমার
লক্ষ্যভেদে নিরন্তর দুর্বিনীত হাঁসফাঁস।

জীবনান্ত ছুটে চলা
পরিক্রমকালের অাবর্তে।

অলব্ধকীর্তির লাগি ছুটছি আমি দুরান্ত,
দিনে দিনে হচ্ছি শ্রেয়

অধিক পরিনত।

তবুও যতই অতীতকে জিঙ্গাসি
মুচকি হেসে ও বলে :

"হে বর্তমান, তোমার চেয়ে আমিই অনেক সুখী।"

আসলেই কি বর্তমান অসুখী?

নব্য বর্ষ

আকাশপটে তার দৃষ্টিকোণ
চীর মুগ্ধকরণ নীলচে রংয়ের মাঝে তার বসবাস।

তার চারপাশ নীল ক্যানভাসে
এবরো-থেবরো সাদারংয়ের ছিটে।

প্রত্যহের ন্যয় আজও পুষণ ইষৎ রাঙ্গাত চোখে
দৃষ্টিপাত অবনীর পানে।

আজি বর্ষের আখেরি দিবস!


কোটি কোটি কালোত্তীর্ণ মহাকাল

অবিরাম ভালবাসা
হৃদয় নিংড়ানো প্রোজ্জ্বল ইস্ক-শিখায় স্নাত অবণী;

প্রস্থর থেকে আধুনিক

টিক টিক করে চলেছে হৃদয় জয়ের অভিযান।

আজও অবনী পুষণকে ভালবাসেনি!
কাল পহেলা বৈশাখ!


কালই হয়তো অবনী বলবে-

" ওহে পুষণ, তব প্রেমে আমি প্রেমাত্ব
শুভপ্রিয়তার শুভ নববর্ষ "।

ওহে বন্ধু!
আমি পুষণপ্রাণ আজন্ম ভালবাসি
তোমার অবণীপ্রাণে এই অনন্তকালের আবর্তে।

অপেক্ষা শুভ নব্য বর্ষের!

পুরানো স্মৃতিপট অবলোকন

পরিচয়ের পাল্লাটা অনেক ভারী
চার বছরের চেয়ে একটু বেশী প্রণয়ের বয়স।

মহাকালের স্রোতে অাজকাল চার বিন্দুতে অবস্থান তার।

তন্মধ্যে, অাজ তিন বিন্দুর মিলনে ত্রিকোণ প্রেমাপাদ্যের প্রস্ফুটন মনে থাকবে।
অাস্ফালন, চতুষ্কোণ হতে পারলাম না।
চতুর্থ বিন্দুর অপেক্ষায়!

অাত্মমূল্যায়ন

কালনদের বাঁকে বাঁকে নিজ অানন্দের লাগি
তোমার অক্ষপথে অামার প্ররিভ্রমন।

মহাকাশের তাঁরার ন্যায় অনবরত সুখ কুড়িয়েছি
অাবার কষ্টের উল্কা ঝড়ে পরেছি অতলে
হািরয়েছি কৃষ্ণগহব্বরে।

সময়ের নির্দয় অাচরন
জীবনের অারো গভীর মানে উপলোপদ্ধি করিয়েছ।

কষ্টদান করেছ বলে অনুশোচনা করাটা যেমন নামান্তর 
তেমনি সুখ কেড়েছি বলে অনুতপ্ত হবোনা কোনদিন।

কষ্ট-সুখের মিশেলে হয়েছি অারো পরিনত।

জীবনাবৃত্তে অাপন স্বার্থ
নিজ সুখ চরিতার্থ করার লাগি
অামি বন্ধু তোমার কাছে অাসি
আবার দূরতম কক্ষপথে ফিরে যাই স্বার্থ ফুরালে।

অাত্মমূল্যায়নে সত্যই জগতের সবচেয়ে স্বার্থপর প্রাণী অামি।

প্রেম নিবেদন

সাহারা মরু প্রান্তর হতে সাফা পর্বত,
সিন্ধু নদ হতে সাত সমুদ্র জয় করে রাখবো তোর পায়ে-
যদি একবার বলিস ভালবাসি।

তুই অামার শৃঙ্খল রোগের শেফা,
মুক্ত কর অামায়।


সাত অাসমানে সাতটি বাসরঘর সাজাতে খুবই ইচ্ছে।
ঘর বানাবো!


দিবি সাত খন্ড জমি?

বীণাপানিতে লহর

বন্ধু!
তব বিহনে পূর্ণিমাতিথি অাড়ি দিয়েছ অামায়
রেখছে অমাবশ্যায়।

ভালবাসা এত্তোদিন কোথায় ছিলে?
মিথ্যার বসবাসে তোমাকে ভুলিতে-
ভালবাসতে করেছিগো ভুল, শ্বাশত ভুল।

সুখের নুড়ি কুড়াবার লাগি-
হয়েছি বেদুইন,
ভুলের মরীচিমায়ায় হারিয়েছি,
দুঃখের সাথে বসবাসে হয়েছি নিঃস্ব।

ওহে প্রিয়তম!
অামি ক্লান্ত তোমারে খুজিতে,
ভ্রান্ত তুমি বিনে,
ভিকারি তোমার প্রেমে।

এই ফিরে অায়,
একবার বল ভালবাসিস অামায়।

কথা দিচ্ছি-
এক পসলা বৃষ্টি হয়ে অাসবো তোর মনের অাঙ্গিনায়!

ধুয়ে দেবো সব ক্লেশ
সপ্ন দেখাবো তোকে,
সব পদ্মমণি তোর হাতে দিব
যতোগুলাই চাস।

একফালি ভালবাসা,
একটুকরো সবুজ,
বীণাপানিতে লহর
অার এক কোটিবার জিকির করবো তোর নামে!

"তুই অামার প্রেমরাগীণী, তোকে ভালবাসি"।

চল অাজ থেকেই, সপ্নের বাসর সাজাই।

অস্থির ব্যকুলতায়

ওহে প্রেমী, কতটুকু ভালবাসলে ভালবাসা কয়?
তোর অাত্মায় মম অাত্মা তুলছে রংঢং এর সাত লয়।

কতটুকু বিরহের অনলকে কষ্টানল কয়?
তব বিহনে সখা ছলছল নয়নজলে খেই হারায়।

কতোটুকু বিচ্ছেদে পাগলি বিচ্ছেদন কয়?
তোর এক সেকেন্ডের নিরবতা অসহ্য অসহনে বুক ফাটায়।

সখি কতটুকু কাছে অাসলেই কাছে অাসা কয়?
তোর ঠোটের উষ্ণ ছোয়ার তরে অাসফাসে ব্যাকুলিত হভাগা হৃদয়।

কতটুকু পিরিত কে সই পিরিতি মরণ কয়?
তোর প্রেমে প্রিয়া সহস্র-কোটি মরণে হরিস অামায়।

কতটুকু ছুয়ে দিলে ছুয়ে দেওয়া কয়?
তোর বুকে বাধি বাসা, ছুঁয়েছি তোর হৃদয়।

কতটুকু শিহরনে কায়ায় কাম অাসা কয়?
তোর যৌবনের বিটপী অঙ্গের খাজে-ভাজের তরজমাতে অস্থির ব্যকুলতায়।

সখি এক চিলতে ভালবাসনা অামায়!

ভালবাসার গল্প

সখি মনেজাগে কি অতীতের কথা?
চুপিসারে তোমাকে দেখা
তোমাতে বসচা করা।

তোমারি অন্দরে, কাছেপিঠে অাসিতে কত তপস্যা;
ভয়-শঙ্খা-অাবেগে সত্য-কল্পিত গদ্যপদ্যে রচনাবলী লেখা।

প্রিয়সখার সহিত সুখের ভেলায় অাকাশ পাড়ি দেয়া,
মহাশূন্যে উড়াউড়ি ভুলে মাটির কথা।

নির্বোধ অামি, বেকুব অামি
সখির সাথে বিবাদ!
মৃত্তিকাতে বসবাসে, নাহি চিনি গো তাহাকে
মৃত্তিকাতেই অপবাদ!

অজ্ঞতায় রয়েছি তিমিরপুঞ্জে
থাকতে পাশে দীপশিখা।
দিকভ্রান্ত একা,
মিথ্যায় বসবাস অার নিজের সাথেই ধোকা।

ও ভালবাসা!
জানোকি অামি প্রকৃতই অনেক বোকা!

এই বোকা অার নির্বোধ অাজ সাহসিক মনেউঠা কম্পিত কণ্ঠে বলে- "অামাকে একটু ভালবাসতে পারবা!"

কালক্ষেপনে, প্রিয়তমার অশ্রসিক্ত বার্তাসুধা-
"অামি তোমাকে ভালবাসি।
গাধা, না পারলে খুজে বের করতাম অাড়াই বছর পর!"

বিস্ময়কর অনুভুতি অার অমোঘ সুখানান্দে
ধরিত্রী সর্বোচ্চ এই সুখী গাধার ফিরতি বার্তা -

"মাফ করে দাও অামায়
অামি অার কোনদিন ছেড়ে যাবোনা।
অামার ভালবাসার অশ্রু দিলাম, যতনে রেখ, অাগলে রেখ সারাজীবন!"

এইতো প্রিয়তা, তবে ভালবাসার গল্প শুরু!

সপ্নঘোর

স্বপ্নকন্যা!
শুধু সপ্নঘোরেই কেন এতো ভালবাস?
সপ্ন দেখাও?

কল্পনার কপাট ভেঙ্গে এবার বাইরে অাসো।
অলীক হতে অালোক হও
অালোকে অালকিত করো অামায়
ছুয়ে যাও অামায়।

অনেক হয়েছে, বাস্তবে অাসো
চলো কল্পবাস্তবে লুটোপুটি করি।

এক পরসা লজ্জা লাল চেহারা
এক অাদলি নীলাভ সংকোচের মায়াজাল
এক মুঠো শুভ্র স্নাত হাসি
অার এক পলক হরনকরা খুনি চাহনিতে
কর্ণকুহরে ওষ্ঠ রেখে ফিসফিসিয়ে তিনবার বলো-


এক) অামি তোমাকে ভালবাসি!
দুই) অামি তোমাকে ভালবাসি!
তিন) অামি তোমাকে ভালবাসি!

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...