বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬

পিপীলিকা নিধন



দৈত্য তোর পায়ের তলে পিপীলিকা যায় পিষে,
তোর যাতনায় পিঁপড়া ছানা বেঁচে থাকে ধুকে ধুকে।

দৈত্য তোর দেহের বলে আঘাত করিস শীর্ণ বুকে
দৈত্য তোর রিপুর তোড়ে, পিপীলিকা মরে মরে

তুই মনে পুষিস-  শক্তের ভক্ত নরমের যম, জোর যার মুল্লুক তার
তুই ভুলে গেছিস- জীবে সেবিছে যে, সেবিছে ইশ্বর।
 
বর্মী ভিক্কু তোর দ্বারা বৈদ্যনীতির হিন রূপান্তর
বিজাতীয় হত্যায় সর্গলাভ নতুবা ভাগা দেশান্তর।

আজ শ্বাশত জীব হত্যা মহাপাপ মুসলমান ছাড়া
মার মার কাট কাট লুটে নে যত পারিস ক্ষুধা মেটা।

বুদ্ধশিশু রোহিঙ্গা পিঁপড়ার রক্ত উল্লাসে মাতে,
স্ববর্গবাসী বুদ্ধদেব তোর রঙ্গ দেখে হতাশ হয়ে

বাঙ্গালী নব্য ধারায় ধর্মান্ধ উগ্র মানুষের বাড়ন্ত
পুথিমালা আর সিদুরের বোঝা মাথা নিয়ে মালায়ন জাত সন্তন্ত্র।

জাত ধর্মে মুজাহিদের মুখোশ পড়ে  জবাই, নিপীড়নের হিরিক
হিন্দু, বৈদ্ধ, সাউতাল, চাকমার  হাহাকারে বিদীর্ন দিকবিদিক।

শান্তির ধর্ম বুকে নিয়ে অাগুন লাগাস নাঙ্গা দেহে,
অাল্লাহ তোর খেলা দেখে তাকিয়ে রয় ঘৃণার চোখে।

নাৎসিদের কোন ধর্মে ইহুদি নিধন বিধি আছে
আবার ফিলিস্থিনীর লাশে বুকে ইজরাইলি নিশান উড়ে।

নাস্তিকের দোহাই দিয়ে ইন্দোনেশিয় বুজুর্গ তুই মারলি লক্ষ সন্তান
আবার জাতীয়তাবাদীর হায়েনা হয়ে করলি শিকার বসনিয়ার প্রাণ। 

যীশুর পুত্রের মুখোশ রূপে, বিভেদ ছড়াস দিকে দিকে
সর্গলোকে যীশু বসে তোর কীর্তি দেখে লাজে মরে।

ইসলামকে জাদুঘরে রেখে শিয়া-সুন্নি  জিহাদ করে,
কাদিয়ানি-মওদুদির সাফাই গাইতে লক্ষ কোটি মুসলিম মরে।
 
লক্ষ হিন্দু-মুসলিম প্রাণ সংহার দ্বিজাতিতত্বের বিষে 
বিজাতীয় হত্যা সব অাজো উপমহাদেশের  রন্ধ্রে রন্ধ্রে।  

রাম-কৃষ্ণের ভক্ত বেশে, ধর্ম গরুর রক্ষক সেজে অজাত-কুজাতের বলি
ইন্দ্রলোকে দেবগন বিষাদে জ্বলে  নিছক মনুষ্য সৃষ্টির লাগি।

বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ তুই বুনো নিগ্রো নিধন করিস
মহাপুরুষ কালো তুই সাদার উপর থুঃ থুঃ ফেলিস।

স্বর্গলোকের বাসিন্দা ভেবে পশিমারা বেজায় সুখে
পশ্চিমা শয়তানের  বেজন্মা ভেবে পূর্ব তুই আছিস মজে ।

দৈত্য বলিস, বাছা ভাবলে এত নিরানন্দ  তবে বাঁচা  
বাঘে ছুলে অাঠার ঘা, অার অামি ছুলে মরণ ঘা।

দৈত্য এলোসুখ ফুরালোপিঁপড়া ঘুমালো, হিংসে এলো দেশে
খুবলে নিল, চিড়ে খেল, পিষে মারল দৈত্য দলের বিষে।

পিঁপড়ার জায়গায় আসন গেড়ে তাকেই মারে শেষে
ক্ষমতাবানেরা ঘর ভেঙ্গেছে, মাটি কেড়েছে, চাঁন্দা দিবে কিসে?

অধর্ম  নহে, শ্বাশত সংখ্যালঘু ধরনীলোকে নিঃষ্পেষিত!
অপ রাজনীতি চরিতার্থাতের লাগি অপব্যাখ্যায় ধর্ম নৃশংস।

ক্ষমতার গদি  দীর্ঘের তরে ধর্মকে করে পুজি
বিপন্ন মানবতায় সাঙ্গ হয় শ্বাশত, মজলুমের হাহাজারি।

নৃশংসতা নহে ধর্মমিথ্যায় কভু হয় না  ধর্ম
দৈত্যের কোন নাহি ধর্ম, নৃশংস-মিথ্যা তার বর্ণ

দৈত্য হে! এক পলকে জুড়াবে সবধিকিধিকি জীবন বাতি,
কাহার লাগি বড়াই দৈত্য, কিসের হেতু মারিস পিঁপড়ে নাহি বুঝ অাসি।

রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

ভালবাসা অতীত

সপ্ন সারথী!
পাশের থাকার পণ করে অাত্মাদ্বয় অাপনাদের করেছিলো সমর্পন।

চন্দমুখী প্রিয়তম!
মায়াময় মুখখানিতে একেঁ ছিলো এক প্রান্তর রূপালী হাসি।

কৃষ্ণাচোক্ষি অন্যন্যা!
জাদুমাখা চোখে জমিয়ে ছিলো হিমাদ্রীর সবটুকু নীল।

দয়াময়ী ভালবাসা!
প্রশস্থ ও তুলতুলে বুকে চেয়েছিলো এক চন্দ্রীয় বাসর।

সহচারী বন্ধূ!
দৃঢ় ও পেলবী হাত র্স্পশে বেঁধে ছিলো একমুখী জীবনপথ।

বাঁচিবার প্রেরণা!
এক পৃথিবী বির্সজন দিয়ে করেছিলো অামরন প্রতিজ্ঞা।

অাজন্ম সহচর!
পরস্পরকে সাক্ষী রেখে একরাশ সপ্নের অালোক নিয়ে বলেছিলো 'ভালবাসি'।

তবে কি হলো, ভালবাসা কেন দ্ধিধায়?
কেনই বা সপ্নগুলো অার দেয়না ধরা?
কেনই বা সাঁঝের মায়ায় সন্ধ্যা তাঁরা লুকিয়ে থাকে?
কেনই বা ছুয়াছুয়িতে শিতলতার অাহ্ববান?

বিশ্বাস নাহি যবে অনাস্থা প্রবাহের সুর
সমাধানের পাশ কেটে তর্কেতর্কে বহুদূর।
ভালবাসায় তবে লাভ-ক্ষতির অংক কসা
সন্দেহের অারম্ভ, সম্পর্ক কুড়ে খায় ঘুন পোকা।

পিঁপড়ায় খায় পরিত্যাক্ত মিলন মধূ, মহোৎসবে ভারী
বসন্তের কোকিল কণ্ঠসুরে ভাংগনের কলকাঠি  নাড়ি।

ভালবাসার সূর্য্যি মধ্য গগন না পেরতেই বিদায়ী অস্ত, 
পূর্ণচন্দ্রের চন্দ্রগ্রহণ, জোছনালোকে অসহায় পরাজিত।

ব্যথাতুর অাত্মার ব্যাপন, ছরিয়ে পড়ে দূর দিগন্তে,
ভালবাসা অতীত হয়ে মিলে স্মৃতির পাতায়, ইতিহাসে।

অশ্রুসিক্ত গঙ্গাজলের উর্ধ্বপাতনে কষ্টকণিকা কালো মেঘে মিশে
বৃষ্টি অাজি তাই বাধ সেধেছে ভাসবে সে শূন্যে, ক্লেশ হয়ে।

শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

কল্পিত ভালবাসা

বিসৃত স্মৃতিচারণের অন্তঃপুরের নির্মম অাহুতি
কল্পিত অবাচ্যে একমুঠো সুখের হাজার মিনতি,

প্রেমময় অাবহ  ফিরে পাওয়ার সজ্জল প্রার্থনা
ভালবাসি প্রাণে, যৌবনা ভালবাসা ছুয়ে দেয়া

নির্মেঘ সপ্ম অাকাশে অদৃষ্ট মেঘের লুকোচুরি
অসীম বিপরীত প্রান্তরেখায় সুপ্ত ভালবাসার ইতি

অাবছা অাধারে ধ্রুব তাঁরার বিরহ লুটোপুটি
নিশ্চলা বায়ু কোণে থেমে থেমে বিচ্ছেদের অাহাজারি

নিথর হিম হিমাদ্রীর মুক্তির উষ্ণতায় অার্তনাদ
কাবৈশাখীর প্রয়ল ঝড়ে বিরহিনীর বিলাপ

সপ্নগলোর ভয়ার্ত রাঙ্গানিতে নিদ্রার বিলোপ
ভগ্ন হৃদয়ের নিরব ক্রন্ধনে চক্ষু ঝরনার সংকট

অাবর্তমান অতীতে ফিরে যাবার হাহাকার,
শান্তিজলে জোয়ারের লাগি অস্থিরতায় বিকার

দুহৃদয়ে ভালবাসা অানয়নে দীর্ঘকাল অপেক্ষা,
কল্পিত ভালবাসা কল্পনায় বাস, বাস্তবতায় অনিহা

হায়রে ভালবাসা! নিষ্ফলা ভালবাসা! কল্পিত ভালবাসা!

শূন্যতায় সৌন্দর্য

আমি ভরহীন ভাসমান মনু্ষ্য বা তার পরাবাস্তবের ছায়া
আমি একই সাথে প্রাণহীন বা প্রাণ সঞ্চারে আচ্ছন্ন মায়া।

আমি দেখি সপ্তবর্ণার বাইরে আরো কত রং!
সব রং যেন জীবিত প্রাণের ঢং!
তারা তাদের মাঝে বলে কত কথা!
কোন রং নৃত্যের ছন্দে দশদিগন্তে ছোটে!
কোন রং নিষ্পলক নয়নে অবিরাম কাঁদে!
কোনটা ভাবনাহীন অট্টহাসি আবার কেউ বা সুক্ষ্মদর্শী মুচকি হাঁসে!
কোন রং আবার অভিমান্য ঠোট ফুলিয়ে বসে থাকে!


আমি বাস করি ধরাতলে বা মহাশূন্যের অসীম শূন্যতায়
একই সাথে জন্ম ও মৃত্যু কে উপভোগ করে আমার সহবস্থান নিরন্তরতায় ।

আমার বিচরন হয়তবা কোন মনুষ্য মাতৃজঠরে
বা অবিরত গমন নিষ্পাপ প্রেমির অছেদন নিন্মাঙ্গে।
অথবা কোন যৌবন মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ষিতা গ্রহাণুপুঞ্জে
আবদ্ধ অতল কৃষ্ণ গহ্বরে কালো মায়ার বাধনে।
হয়ত কোন নিহারিকার বা কলঙ্কীত ধূপছায়ার গতিপথে
অথবা অশীররী ছায়াপথ হতে ধ্রুব নক্ষত্রপথে।
আমি বিবর্জিত ভরশূন্য দুষ্প্রাপ্য পদার্থ,
মহাকর্ষজ ত্বরণ আমায় স্পর্শ করে না।

প্রাণহীন ও প্রাণময় আত্মায় দিন-রাত্রির সন্ধিক্ষণে বিচরন
নিরাকার দেহে নেশাপ্রবণ ধূপছায়ায় ঝাঝালো গন্ধের ব্যাপন।

না আমার দেহকোষে আছে নিউক্লিয়াস
বা তাতে ঘূর্ণিয়মান ইলেক্ট্রোন পরমাণু কণা,
অথবা ধমনী ও শিরায় লোহিত কণার  উপস্থিতি।
না আমি কোন স্বপ্নঘোরে থাকি বা কোন সপ্নকে মারি
না আমি জৈবিক কোন ক্রিয়ায় বাঁচি বা মরি।
ক্ষনস্থায়ী আদম বা অমর ভিনগ্রহের সন্তান আমি
জাগতিক ও মহাজাগতিকে সমান্তরালে বয়ে চলি।

আত্মহনন বা আত্মজাতে প্রেমমুক্ত অববয়ে নির্বিকার চাহনি
অদৃশ্য শূন্যে ছায়াহীন বসত আবার অসংঙ্গায়িত দৃষ্টিপটে পার্থিবের উপস্থিতি।

আমি একই সাথে জান্নাত ও জাহান্নামের পথে হাটি
আমিই সমভাবে স্বর্গের নহরে ভাসি ও নরকের আগুনে জ্বলি
প্রাণ অবিনাসে সন্ধি করি বাস্তব ও পরবাস্তবের সাথে।
অতীতে কে ভবিষ্যতে আর বর্তমানকে অতীতে ধাবমানের মাধ্যমে
উলটপালটের বাইস্কোপ দেখাই প্রকৃতিজাতের উপাদানকে।
আমি স্থির বিন্দু থেকে বিচরন করি বর্ধিত অনুগামী রেখায়
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি ও ধ্বংসের মাঝে মজি জন্ম ও মৃত্যু খেলায়।

বর্ণহীন অদৃশ্য রংয়ের মায়াজালে অঙ্কিত আমি শূন্য চিত্রপটে
বাষ্পীয় জলের মতই ক্ষণিকে মিলাই সীমাহীন অদৃশ্য কল্পে।

আমি অন্তিম সুখের তীব্রতায় ভংয়কর দূরারোগ্য অসুখ
আমি নিষ্পাপ হাসির অধরে আকন্ঠ কষ্ঠের কান্না
আমি চিরন্তন সুস্থতার অন্তরালে চরম মানসিক পীড়া।
আমি চীরসৌন্দর্যের প্রতিরূপে কুৎসিত বিষাক্ত লালা
আমি  দয়াপরবশের মায়ায় নিষ্ঠুর অবতারের ছায়া।
আমি ভূলোক-দূলোকে অসীম বিচরনে খুজি আনন্দ
আমি শুন্য, সৃষ্টিধরে আমি শুন্য, শূন্যতায় আমার সৌন্দর্য!

ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি

ইন্দ্রপুরী রানী!

ইন্দ্রিয় মায়ায় অাচ্ছন্ন করেছ প্রেমিক হৃদয়,
মর্তের ধরায় তোমার অাগমনে প্রাণকুল অাত্মহারায়।

সর্গলোকে অাবাস তোমার,অারধ্য ইন্দ্র পিরিতি,
মহব্বত জাদু দৃষ্টিতে করেছ অলোকের ব্যপ্তি।


অমরাবতী প্রিয়তমা!

তোমায় ভালবাসতে সহস্র মহাকাল বাচিঁ মরি,
নিরন্তর পুনঃজন্মে ভালবাসার রথ অসীম জারি।

মিষ্টি রূপের মায়ার বাধনে প্রেমিক স্পন্দন হাহাজারি,
দিবাকর- শশাধর সাক্ষী প্রিয়তম, তোমাকে অনেক ভালবাসি।


লাস্যময়ী অপ্সরা!

তব সুবাসে ধরনী পুষ্পকলি অাহা কি লাজে  মরি,
তব রূপেরমোহে সূয়াপর শুক্লপক্ষ চন্দ্রের অাড়ি।

তব বচনে অাহা লাজবাব পাখির স্তব্ধ কলকাকলি,
তব ছন্দে ময়ুরপঙ্খি নৃত্য ভুলিয়া লাজুক লুকোচুরি।


হূর জান্নাতি!

অলোকের প্রেম হয়েছে অমর তব প্রেম সুধায়,
প্রিয়তমায় ভালবেসে জয় হয়েছে প্রেমিক অাত্মায়।

সতন্ত্র প্রেমিক  নিঃস্ব কি দিবে তোমার চরণে,
প্রিয়তম তোমায় ভালবাসি শপথ মম প্রেমে।

হে ইন্দ্রানী!
প্রেমিক হৃদয়ের অাজন্ম প্রতিক্ষা তোমায় ভালবেসে,
সকল ইবাদত তব নামে, অর্ঘমাল্য সপি তোমার চরনে।

তোমায় ভালবেসে পিরিতে মরণ বারং বার মরি,
মরিতে বহুত সুখ প্রেমেতে, ভালবাসি! ভালবাসি!ভালবাসি!

বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬

অাহা কি ভালবাসি!

রাঙ্গাত বদন কন্যা,
লাল কৃষ্ণচূড়ার লজ্জানত হাঁসিমুখ-
অাহা কি ভালবাসি!

যৌবনারম্ভা কিশোরী বালিকা!
বালিকাসখির নম্রমুখের নথ নাড়া হাসি-
অাহা কি ভালবাসি! 

সুবাসিনী পেলব কচি ডগা,
কুমারীব্রতে নিরন্তর অস্থিরতায় অসুখী-
অাহা কি ভালবাসি!

ডাগর আঁখিতে কৃষ্ণমায়া,
অনুঢ়া প্রিয়ার নেশাপ্রবণ চাহনি-
অাহা কি ভালবাসি!

চিকনা ওষ্ঠধরে মায়াবী অাহ্ববান
ষোড়শী কণ্ঠির সুরের ঝংকার-
অাহা কি ভালবাসি!

বিটপী মালার হাসফাসানি
যুবতীর যৌবনায় বহমান কলকলি-
অাহা কি ভালবাসি!

অাধার কালোর কেশবীথি,
রমনীর দিঘল সর্পী বেনীর বাহারি-
অাহা কি ভালবাসি!

সফেদ হাতের উষ্ণ অাদর,
প্রিয়সখার মোহিনী অালিঙ্গন-
অাহা কি ভালবাসি!

রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৬

কবি, প্রেম ও কল্পনাশক্তি

সব কবিগণই কি প্রেমিকের প্রতিচ্ছবি? কবি হতে গেলে প্রেমিক হওয়া কি পূর্বশর্ত? প্রেমিক না হলে কি তাকে কবি বলা যায় না? নাকি কবি মনে প্রেম না প্রেমের ঐকতান না বাজলে ছন্দ উৎপন্ন হয় না অথবা কাব্য সৃষ্টি হয় না? একজন কবিকে মূল্যায়ন করতে ও তার কাব্য কে বিশ্লেষন করতে গেলে তার মনের ভাবনা এমনকি কবিতার অর্থের সাথে তার ব্যক্তিগত জীবনকেও জড়ানো হয়। তখন কবিতা মাধ্যমে কবির চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য মূল্যায়নে সবাই হতব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে কবির আসল ব্যক্তিত্ব আড়ালে পরে কবি মনের কল্পনাই বাস্তবতা হিসেবে সবার সম্মুখে ধরা দেয়। সেই বিবেচনায় একজন কবি মাত্রই বহুপ্রেমিক, কপট, চরিত্রহীন, যৌনকাতর এমনকি মিথ্যাবাদী বলতেও ছাড়েন না অনেকে।

প্রকৃতপক্ষে,  কবি হওয়ার ক্ষেত্রে প্রেম, প্রেমিক/প্রেমিকা উপকরনসমূহ গৌন। তাই কবি হতে হলে প্রেমিক হতে হবে এর কোন অর্থ নেই। তাছাড়া কবি হওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হলো কবির "অমিত কল্পনাশক্তি" আর তাঁর সেই কল্পনাগুলোকে লেখ্যরূপে নিয়ে আসার "ক্ষমতা"। সৃষ্টির শুরু হতে সকল নর নারী কাওকে না কাওকে ভালবেসেছে, কিন্তুু কবি হয়েছে কয়জন? আসলে কবি যা লেখে তাহা অধিকাংশই নিখাদ কল্পনার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

তবে অনেকেই এ ব্যাপারে  একমত নাও হতে পারেন। কারন তাঁদের যুক্তি প্রেম ছাড়া  কাব্য রচনা অসম্ভব। তাঁরা বলে থাকেন প্রেম শুধু নারীর প্রতিই প্রেম নয়, প্রেম অবিনশ্বর, ছায়াহীন, ভিন্ন রূপি। প্রতিউত্তরে আবার প্রশ্নও করে বসেন যে- "অমিত কল্পনাশক্তি অনেকের আছে, কিন্তু তাদের কয়জন কবি ছিল বা হয়েছে  কয়জন? কিন্তু যারা কবি ছিল বা আছে তারা সবাই প্রেমিক, কবিতার প্রেমিক, ছন্দের প্রেমিক।"

সেক্ষেত্রে ইহা স্পষ্ট করে বলা যা, প্রেম ছাড়া কবিতা হয় না ব্যাপারটা তা নয়। এখানে আলোকপাত করা হয়েছে কাব্যর জন্য প্রেম গৌন? প্রেম দরকার তবে তার থেকে বেশী দরকার হলো কবি মনের ভাবনা। প্রেমিক মাত্রই যদি কবি হয় তবে পৃথীবির সকল নারী- পুরুষই কবি! এমন কি নিকৃষ্ট জন্তুু জানোয়ার, উদ্ভিদ, হতে পারে আরো ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীব তার অর্ন্তগত! কারন সব প্রাণ কুল শুধূ বিপরিত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হয় ব্যাপারটা তা নয়, অধিকন্তুু তাকে ঘিড়ে তার জীবন চক্রের তথা বাস্তুুসংস্থানের প্রত্যেকটি অংশের প্রেমে পড়ে সে। কিন্তুু কবি মনে এগুলোর বাইরে একটা বিষয় অতিসুক্ষ্ণ কিন্তু অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্নভাবে কাজ করে; তা হল কবি  মনের তীব্র অনুভুতিপ্রবণ কল্পনা।

তবে কবির কল্পনাশক্তি বনাম প্রেমের ব্যাপারে সবাইকে একমত হতে হবে এমন কোন কারনও নেই। বৈচিত্র ভাল, সৃষ্টির সকল প্রাণই বৈচিত্রময়।

পরিশেষে, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বলা যায়, যেখানে কবিতা বা কাব্য যাকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এটি একটি ভাববাচক বিশেষ্য। আর ভাববাচক কোন শব্দ আসে কোন ভাবনার অন্তরালে কল্প কথকথনের মাধ্যমে এক কথায় আপন মস্তিষ্কপ্রসূত হতে। তাই কল্পনাশক্তির বাস্তব রূপই যে কবিতা তাতে কোন সন্দেহ নেই। বস্তুত 'কবিতা' শব্দের সার্থকতার মধ্যেই কল্পনা নিহিত। মোদ্দাকথা কথা কবি যতোটা প্রেমিক বাস্তবতায় তার বহুলাংশে বিরজমান নিজস্ব কল্পনায়!

সুতরাং, কবি হতে প্রেম নয় অপরিহার্য হলো তীব্র অনুভুতিপ্রবন কল্পনাশক্তি ও তার  উপকরন হলো প্রেম, বিরহ, হাসি, কান্না, জরা, ভালবাসা, বন্ধন, জন্ম ও মৃত্যু। তদুপরি, একজন কবি মাত্রই বহুপ্রেমিক, কপট, চরিত্রহীন, যৌনকাতর এমনকি মিথ্যাবাদী বলে একশ্রেণীর দূরভিসন্ধি গোষ্ঠীর মাধ্যমে যে অপবাদ ছড়ানো হয় তা সম্পূর্ন অযৌতিক, ভিত্তিহীন ও মুক্তচিন্তার অন্তরায়। সৃষ্টির সকল কবি, কল্পনাশক্তি ও তাদের কাব্য জিন্দাবাদ, মুক্তমনার জয় হোক।

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

তবুতো ভালবাসা

অভিসম্পাত না, নাহি ভর্সনা, অনুযোগ প্রিয়তমায়।
মনমোহিনী! সে তো অামার রানী।

কষ্টের গরল অামি পানে রাজি,
তাহার মিথ্যা বচনেও অামার তুষ্টি।
অাত্মজ অনলে পুড়িতে এ দাস হাজির।

তবু নিরুদ্দেশ নহে, রইবো অামি ছায়া হয়ে
হয়তবা অদৃশ্য পরছায়া।

হোকনা কলঙ্কিত ভালবাসা, মিথ্যা ভালবাসা
তবুতো 'ভালবাসা'।

ট্রাম্প ইস্যু

অধিকাংশই যেখানে ট্রাম্পকে নিয়ে হাসাহাসি করছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ট্রাম্প যেভাবে তার পরিকল্পনা নিয়ে অামেরিকানদের সপ্ন দেখিয়েছে, হিলারি তার ধারের কাছে ও যেতে পারেনি।
উল্লেখযোগ্য ইসতেহারগুলো হলোঃ

১. অভিবাসন ইস্যু কঠোরকরণ।
২. দেশীয় ব্যবসায়ীদের কর রেয়াত।
৩. বৈদেশিক বানিজ্য চুক্তি পুনঃ মূল্যায়ন (শুক্ল নির্ধারন)।
৪. সামরিক ব্যয় সীমিতকরন।
৫. রাশিয়াসহ অন্যান্য বিশ্বশক্তির সাথে সমঝোতা।
৬. নতুন কোম্পানী প্রতিষ্ঠা; দেশীয় বহুজাতিক কোমম্পানীসমূহের পরিচালন ও শাখাসমূহ দেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে বেকারত্ব দূরকরন।
৭. বাইবেলসহ রক্ষণশীলতার সাংঘার্ষিক অাইন পরিবর্তন (সমকামিতা উল্লেখযোগ্য)।
৮. শেতাঙ্গ অামেরিকানদের সর্ব্বোচ্চ প্রাধান্য দান।
৯. সিমান্তের সুরক্ষা (মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসী হামলা)।
১০. উগ্র ইসলামিক গোষ্ঠী হতে সুরক্ষিত হতে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন।

উক্ত পরিকল্পনা বর্হিবিশ্বের অনেক দেশে যথাপি অামাদের জন্য ক্ষতিকর বা বিপদজনক (অভিবাসন, শুক্লমুক্ত বাজার ঝুকি উল্লেখযোগ্য) হলেও উপরন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ অামেরিকানদের জন্য তা সাপে বর।

অপরদিকে হিলারি ট্রাম্পের মত মার্কিনীদের স্বপ্ন দেখাতে না পারলেও, নারী প্রার্থী হিসেবে এযাবতকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। সেই জনপ্রিয়তার দোহাই দিয়ে অনেকে মার্কিনীদের নারী বিদ্বেষী না বলে ছাড়ছেন না অনেকেই।  তবুও অনেকের মতে হিলারির তুমুল জনপ্রিয়তা সত্বেও যেখানে প্রেসিডেন্ট হতে পারলেন না, তখন ভবিষ্যতে আর কোন নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারবে বলে মনে হয় না। মার্কিন ইতিহাসে রেকর্ড গড়ার সুযোগ ছিল এই নির্বাচন।  কিন্তু সেটা হল না। শুধু প্রেসিডেন্ট কেন, অন্য কোন বড় পদেও ওরা নারীকে সাধারণত বসাতে চায় না। সেক্ষেত্রে হিলারি ভাগ্যবতী যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী  পর্যন্ত হতে পেরেছে এবং প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পেরেছে!

সেক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে অন্তত মার্কিনীরা দিন শেষে নিজেদের লাভ ক্ষতির অঙ্ক কসে। তাদের বিবেচনা ফলাফলের উপর নির্ভর করে ব্যক্তির উপর না। এখানে নারী পুরুষ বিষয়টি গৌন। একটু অালোকপাত করলেই দেখা যায় হিলারী পরিকল্পনায় বেশীরভাগ জুড়ে বিদেশনীতি। জ্ঞার্থেতে বিদেশীরা পর্যবেক্ষক, ভোটার নয়।  অাপনি এই ফলাফলকে ব্রেটিক্স এর সাথেও তুলনা করে দেখতে পারেন। অামেরিকার সাধারন মানুষ মোরলীপানার চেয়ে নিজেদের উন্নয়নে এখন বেশী অাগ্রহী যা তারা জনাব ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিতর দেখতে পেরেছে। অামেরিকানরা হিলারী নারী বলে যদি ভোট না দেয় তবে কৃষাঙ্গ ওবামা, জেলের ছেলে অাব্রাহাম লিংঙ্কন কিভাবে নির্বাচিত হলো? মোদ্দকথা অামেরিকার অার্থসামাজিক উন্নয়নে ট্রাম্পের পরিকল্পনা হিলারির পরিকল্পনার চেয়ে বেশী সুদূরপ্রসারী ও অাশাবাঞ্জ্যক ছিল। ফলশ্রুতিতে এটাই শ্বাশত।

অতএব, তাদের গালি দেয়ে বা বিদ্রুপ করে কি লাভ? ভুলে গেলে চলবে না তারা এখন "প্রজন্ম Y" পার করে "প্রজন্ম Z" অবস্থান করছে অার তাদের তুলনার অামরা এখন পর্যন্ত "Baby Boomers" -ই অাছি। বড়োজোর "প্রজন্ম এক্স" এ অামাদের অবস্থান।

সুতরাং, অামেরিকানদের সন্মানার্থেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন অার হিলারির জন্য সমবেদনা।

বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬

নেশাগ্রস্থ সপ্ন

ক্লান্তি শেষে অপরাহ্নে শরীর গুলিয়ে অাসে
লাসকাটা ঘরের মৃতদেহের  মতো ঘুমায় সে।

দিকবিদিক শূণ্য সে অাত্মা অশিরীরী  ধূপছায়ায় বিভ্রান্ত
শীতল  মস্তিস্কে বিভ্রম চেতনায় পাড়ি দেয় নেশাগ্রস্থ সপ্ন।

হয়তবা কোনদিন  অার জেগে না উঠার অাশে
বিস্মৃতিসমূহ বিষম দৈত্যরূপে তাকে তাড়া করে সপ্নে।

সে পাড়ি দেয় অরণ্যরাজিমালা, হিম সাগর প্রান্তর, সীমান্তাকাশ অার নক্ষত্রবিথীকা
তবু মুক্তি মিলে না, অাষ্টেপৃষ্টে অাকড়ে রাখে কুৎসিত অসুর ছায়া।

গুমোট অন্ধকার অার এবরো থেবরো দেহে অষ্টপায়ে ধেয়ে অাসে
ভয়ানক অট্টহাসিতে বিদীর্ন চারপাশ প্রাণীকুল সব গুমরে মরে।

নিষ্ঠুর থাবা ও পিষ্টনে তার অববয় ছারখারের উৎসবে মাতে
উৎকট গন্ধ অার পিচ্ছিল লালায় গ্রাস করে তাকে।

এভাবেই প্রতি নিদ্রায় ঘোরে ভগ্ন হৃদয় একবার করে মরে
মৃত্যু যাতনায় বিচ্ছেদ অঙ্গার বিলোপ একটু একটু করে।

কি করবে সে? জেগে থাকার মরণ যে বড় কষ্ট
তাই সে ঘুমিয়ে কাঁদতে অনেক ভালবাসে।

যতটুকু বা জেগে থাকে মন তবু রয় ঘোরে
হৃদয় দুঃখকে শিকল দিয়ে নকল হাসি হাসে।

নকল হাসিতে ভয়ানক ব্যাথা, কষ্টগুলো ডুকরে কেঁদে উঠে
শূন্যদৃষ্টিতে ভীড়ের মাঝে অাবার খুজে ফিরে তাকে।

অপরকে খুজিতে নিজেকে হারাইয়া চলে সে অচিন পথে
দিকহারা প্রেমিক অাজো নিখোজ  বিষাদসিন্ধূর মাঝে।

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১৬

লোচনের তাঁরা

সূর্য অামি তো নই, ছিলাম না কোন দিন অথবা হওয়াটা বাহুল্য যোগ্যতা,
চাঁদ হয়ে সূর্যের কাছে রশ্মি ধার করি সত্যি অামি পরগাছা।

অদৃশ্য পরছায়া অার ভৃত্য হয়ে তোমার  চারিপাশে
ধরণী তোমাকে ভালবাসে অামার অাবর্তন অসীম চক্রে।


দিবাকরে বৃথা অামি চন্দ্র হয়েছি তোমার লাগি,
জোছসাস্নাত প্রেমলীলায় ঐ নাঙ্গা দেহের জোয়ারে ভাসি।

কালকে কালান্তর করে প্রিয়তম ছুটছি তোমার বৃত্তে,
তোমার লোচনের তাঁরা হবো বলে বিদ্রোহ করেছি সূর্যের সাথে।

এইবার করেছি পণ, রবিকে পরাজিত করে তোমায় অাপন করবো
সৌরের বাইরে প্রেমকেলিতে নতুন গ্রহের জন্ম দিবো।

অামিই হবো চন্দ্র, অামি হবো সূর্য
দিনে তোমায় তপ্ত করে, নিশিতে ছড়াবো নরম অালো।

ভরা পূর্ণিমায় অামি অাসিবো হে তোমারি শিয়রের,
কৃষ্ণপক্ষে তোমার জন্য অামরণ অপেক্ষা  শুক্লপক্ষের তরে।

তাই এবার মহাকালকে বিদ্রোহ করে অমবশ্যাকে শিকল পরাবো,
নিকশ অাধারকে বিদায় দিয়ে পূর্ণিমা হয়ে তোমার অঙ্গে মিশে যাবো।


প্রিয়তম ধরণীর কিঙ্কণে অাজি নাচিছে ময়ুরাঙ্খি,
লোচন দিখিয়া ভরেনা দিল অাহা কি সুন্দর অাহা কি মায়াবী চাহনি !


ধরণী সখি! তোমারে পাইতে অামি হাজার মহাকাল অপেক্ষায় অাছি,
এই বার দাও না সাড়া, মুখ ফুটে একটি বার বলো ভালোবাসি।

শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬

নিয়তি

অাশায় বসতি সুসময় তরে
দিগন্তে মিলায় সে অন্য ললাটে।
তোমার নিস্তব্ধতা জীবন প্রবাহে
জীবন বয়ে চলে অন্যের দ্বারে।

তুমি চাঁদের অপেক্ষায় থাকো
তবু চাঁদ হারায় তাঁর অসময়ে।
তুমি দেখ অাকাশের নীলছায়া
তবু ফিরে পায় গহীন অমানীশা।

তোমার মন শিশু এখনো 
তবু অাজ বৃদ্ধ চুলগুলো।
তুমি অাছ সেই অতীতকে নিয়ে
অার সবাই চলে যায় ভবিষ্যৎতে।

তুমি হাসো অাগের মতই
তবু স্বর হয়ে যায় জড়ানো।
সপ্ন এখন অার ছোয় না তাকে
যদিও অাগের মতই সপ্ন বুনো।

তুমি সুখ খোজ মনের মাঝে
মন পরে রয় ঐ কোন সুদূরে।
সুন্দর ভবিষ্যতে তোমার অপেক্ষা
তবু সে রয়ে যায় পূর্বের সাদামাটা।

তাইতো ভেবে দেখ বন্ধু,
তুমি থাকবে কি অতীতে
নাকি যাবে নিয়তির সাথে-
'মৃত্যুর অন্তিম ছায়াবিথীতে'?

তুমি মরীচিকা

নীল নভোঃ নিল ছায়া
শান্ত বারি তরঙ্গে।
তব সনে রহিনু পরে
সুনীল অাবেশে।

অদূরে বসন্তের সহস্র ফুলকলি
ফুটেছে বারি তটে।
দক্ষিনা বাসাতে ফুলগুলি
যেন পেখম তুলে নাচে।

মোদের সঙ্গী বলাকা হয়ে
উর্মি নাচিছে রঙ্গে।
পবন প্রেমের শিহরনে
মন উঠেছে ভরে।

নব ঢংয়ে নব ছন্দে
চলেছি খেয়ায় নব তরঙ্গে
আহা কি আনন্দ চাহিতে
তোমায় বিভোর হয়ে।

মোরা এক বন্ধন
এক অাত্মা করে পণ
শিয়রে গেলাম তব কোলে
করে প্রেম সুধা পান।

গভীর সে নিদ্রায় রহিনু পরে
গভীর অচেতনে,
অজানা তৃপ্ত সুখে
সর্গীয় অমীয়ের অাবেশে।

নিদ্রা ঘোর ভঙ্গে হঠাৎ হিমশিহরন
দেখি চক্ষু মেলে,
গভীর অমানিশায় অকূল দরিয়ায়
অামি একা রয়েছি পরে।

অাছে বিরহী খেয়া,
নেই প্রাণপ্রিয় প্রিয়তমা।
মোরে অকূলে ফেলে
সে ভীড়েছে কূলেতে ।

অকূল দরিয়ায় উত্তাল হয়ছে
মহাভীমের ভয়ঙ্কর ভর।
সিডর রক্তচক্ষু অার
অাইলা সুনামির ঝড়।

তরী ডুবেছে অকূল পাথারে
অামার জীবন সাঙ্গ করে।
বিরহী প্রেমিক যাচ্ছি এক সমুদ্র
কষ্ট বুকে নিয়ে।

প্রিয়তমা, তুমি ছিলে এই
চোখের তাঁরা
প্রিয়তমা, তুমি রবে ঐ
চোখের তাঁরা।

তবুও অাফসোছে হাঁসফাঁসে-
এ হৃদয়ে বলে এ কি কথা?

তুমি রং করা পুতুল
বাইরে রূপেরর অাভা।
তোমার মনের মাঝে
ভিষন কালো-
'তুমি মরীচিকা'।

আহবান

ভালবাসার পবন অামায় বলে কানে কানে,
প্রিয়তমা বধূ অামার অাসবে অারো কাছে।

হৃদয়ের নীলাকাশে সপ্ন পাখি উরে
প্রিয়তমার সুবাস অামার লাগলো প্রাণেতে।
সেই অাকাশে সাজিয়েছি মূয়ুরী বাসর,
প্রিয়তমা অাসবে কাছে , করবে অামায় অাদর।


পূর্নীমার সবটুকু অালো তোমার সাদা মুখের দ্যুতি,
সাক্ষী সকল চাঁদ তাঁরা তুমি অামার সাথী।
ঐ রূপের কসম প্রিয় ভালবাসি তোমায়,
তুমি বিনে কেমনে বাঁচি একটাই তো ভয়।

ভালবাসার নদী অামার ভাসাবে অাজ ভেলায়,
প্রেম সাম্পানে পাড়ি দিবো দূর অজানায়।



দক্ষিণার বাসাতে তোমার নীল অাঁচল উড়ে,
তাই না দেখে বউ কথা কও মিষ্টি সুর তুলে।
প্রভাতের সবটুকু লাল তোমার মুখের হাসি,
তাই না দেখে পুষ্প কানন লাঁজে মরি মরি।

ভালবাসার ফুলগো তুমি অামার কাছে অাসো,
রাখবো তোমায় বুকের ভিতর, বাসবো অারো ভালো।

বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

রহস্য

যে সমৃদ্ধির ভাগ্য মানুষ সদাইের অাসায় ছুটে বেড়ায়,
এক ঝলেকের ভেলকি দেখেই ভাবে সে অর্জন করেছে।

যে সপ্নের অন্ত মানুষ খুজে বেড়ায়,
এক চিলতে সুখ পেলেই ভাবে তাকে খুজে পেয়েছ।

যে আকর্ষনে মানুষ পূর্ব পশ্চিম চষে বেড়ায়,
এক মুঠো অালো পেলেই ভাবে সে সফল হয়েছে।

যে রহস্য মানুষ সারা জীবন খুজে বেড়ায়,
অঙ্গতার বশিভূত হয়ে ভাবে তাকে খুজে পেয়েছে।

অামরা অাপনাকে হারিয়ে যখন পৃথিবীর ব্যস্ততায় যাই ডুবে
কাজের মাঝে সুখ অার দুঃখের ব্যবধান যাই ভুলে।

তখন বাস্তবতায় মিশে একসময়ের জুরুরি রহস্য নিষ্প্রয়োজন হয়ে যায়
যখন সূর্য পৌছে যায় তার সর্বোচ্চ  উচ্চতায়।

অার তখনই সে রহস্য অামাদের সামনে উন্মেচিত হতে থাকে,
যখন রহস্য জীবনের কাছে অর্থহীনতার মানে।

অামারা মানুষ ভাবি এটা অলৌকিক ঘটনার প্রতিফলন
যখন জীবনে রক্তের বন্ধন লৌকিকতায় অাস্ফালন।

যখন সে রহস্য নিন্তান্ত বর্নহীন হয়ে অামাদের কাছে দেয় ধরা,
তখন নিজের স্বার্থে সেই রহস্য কে লুকিয়ে ফেলি, সাঙ্গ করে সাঁড়া।

ঠিক যেমন নিশাচরেরা সত্য অালোয় অাপনাকে লুকিয়ে রাখে,
অার অাধার অাসতেই হিংস্রতায় ধেয়ে অাসে।

ঠিক যেমন লজ্জাবতী লতা নীরবতায়  উদ্বাসিত হয়,
অার কোলাহল কম্পনে ছুয়ে দিলে অাপনাকে হারায়।

ঠিক যেমন পুষ্প কানন অাধারে নিজেকে গুটিয়ে নেয়,
অাবার সকালে সে  সবার মাঝে সুবাস নিয়ে প্রস্ফুটিত হয়।

ঠিক যেমন রাতের অাকাশে তাঁরারা পিছু ছোটে,
অাবার দিবাকরের যাতনায় হারিয়ে যায় মহাকাশে।

অার তখনি ছায়াগুলো অামদের  পিছু ছেড়ে দেয়,
যখন জীবন তার জীবনের অর্থ খুজে পায়।

অার রহস্যকে অামারা তখনি অনুধাবন করতে পারি,
যখনি জীবন ভরহীন, দেহবিহীন, সংগাহীনতায় রূপে রহস্যে দেয় পাড়ি।

বাধাহীন অনন্ত জীবন অার নতুন একটি পৃথিবীর অাবাস,
যখন দূর হয়ে যায় ব্যথা, বিরহ ও  সব অন্ধকারের বিষাদ।

তখন তপ্তহীন সূর্য তাঁহার অালো নিয়ে অামাদের হাতে দেয় ধরা
হে পথিক, এটাই সময় সব দ্বিধা দ্বন্দ দূর করার, সবকিছু নতুনরূপে অারম্ভ করা।


নিজেকে খুজে ফেরা

মনুষ্য জীবন বরই অদ্ভুত, নিগূর সংগাহীন তত্ব
রহস্য তখন অন্তঃপুরে, যখন সে খুজে বেড়ায় প্রানান্ত।

যবে নিশ্চিতে বেখায়াল হয় ব্যস্ততার লাগি,
অপ্রত্যাশিত রহস্য অাপনা অাপনি বহিঃপুরে ভাসি।

রাত্রির গভীরতায়  অাপন ছায়াগুলোর পরিধী বাড়ে হৃদয়ে,
সমষ্টি হয় অতীতের কষ্টছায়ায় যোজ্ঞ উৎসব বিরহে।

অন্ধকারের কালো পৃথীবিতে মিলিয়ে যায় অশ্রুসমূহ,
অাপনজনাদের বিচ্ছেদ স্মৃতিচারণে অার্তনাদ মস্তিষ্ক।

শত সুখস্মৃতির মৃত্যু হয়  একটি কষ্টের অাবহে,
নির্ঘুম রাতে নিস্তব্ধতার বিনাস হয় ক্রন্ধন স্বরে।

রাত্রির পরিপঙ্খতায় সূর্য অালো ছরায় ভোরে ,
ছায়াগুলো অাবার হৃদয়ে ঘুমায়, অালোকের অন্তঃপুরে।

মধ্যগগনে সূর্যের অালোয় বিশ্বময় অালোকিত,
ব্যস্ততায় মনের নিশব্দতা ভাঙ্গে দ্বিধাময়তার পরাভূত।

হে অন্ধকারের সহযাত্রী, হে এক পর্বত কষ্ট বয়ে বেড়ানো হৃদয়
হে প্রথিক তুমি অদ্যবধি অচেনা,
 অার একবার ভাল করে চিনে নাও নিজেকে
বেছে নাও অাপন ঠিকানা।

এই ঝলমলে মধ্য গগনের দিবাকরে যা কিছু দেখছ, 
এগুলো তুমি, তোমার সত্যি অাজ সম্মুখে ভুমিষ্ঠ।

এখন সময় কালো ছায়াকে ঝলসে দেওয়ার,
দ্বিধাকে ঝেড়ে ফেলে অামাকে নুতন করে খুজে পাওয়ার।

বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬

ভালবাসা হারিয়ে গেছ

ছিলে তুমি কল্পনায়, নাই অার বাস্তবতায়
ছিলে তুমি চোখের তারায়, নাই অার দৃষ্টিসীমায়।

ছিলে তুমি ফাল্গুনে , নাই অার পৌষে
ছিলে তুমি হাসির মাঝে, নাই অার বিরহে।

ছিলে তুমি প্রেমী হয়ে, নাই অার প্রেমে,
ছিলে তুমি সুখ হয়ে, নাই অার অসুখে।

ছিলে তুমি হৃদয় মাঝে, নাই অার অস্তিত্বে
ছিলে তুমি স্পন্দনে, নাই অার স্পর্শে।

ছিলে তুমি অামার সীমানায়, নাই অার সীমারেখায়
ছিলে তুমি প্রেম অাত্মায়, নাই অার ভালবাসায়।

ছিলে তুমি অামার ঠোটে, নাই অার স্বরে
ছিলে তুমি অামার রূপে, নাই অার জীবনে।

ভালবাসা তুমি হারিয়েছ, ভালবাসা তুমি মিলিয়েছ-
'জন্মান্তরে'।

মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬

অখ্যাত যুবকের ভালবাসা

অখ্যাত প্রাগঐতিহাসিক যুগে এক নদীর বির্সজনে বিবাদ,
নব্য চর নব্য জঞ্জাল নব্য গ্রামে ক্ষ্যাতের অাবাদ।

তখন থেকে অদ্যবধি বদলেছে সবকিছু, পরিবর্তন মনুষ্য প্রজন্মে,

দিকবিদিক ছরিয়ে তারা অাজ বিশ্বময়, ভালবাসার জয়ে।

এক অখ্যাত যুবক পারি দেয় ইমারতের শহরে,
তার সপ্ন চিন্তা বাস্তবে রূপ দেবার প্রয়াসে।

প্রতিকী যুবক কঠিন ইমারতের মাঝে ভালবাসা খোজার চেষ্টা,
দিনন্ত ইট ভাংগে, তৈরি করে মাটির ঘর ও শীতল পাটির বিছানা।

সে পায় এক নারী, জয় করে তার মনটি,
ভালবাসা সত্যি হয়, 
তাকে ঘিরে সকল সপ্ন জাল বুনে দিন বয়ে যায়।

সে প্রিয়তমাকে  দিয়েছে তার সবচেয়ে সুন্দর মনটি,
প্রেম হয়েছে বায়ুর মতো  উন্মুক্ত, অার ভালবাসা জলন্ত অগ্নিগীরি।

হৃদয় নিংড়ে সব ভালবাসা তাকে দিয়েছে
তার সকল প্রার্থনা তার নামে উৎর্সগ করেছে।

লক্ষ কোটি ইর্ষাকারীর অাত্মায় অাগুন জ্বালিয়ে তাকে চেয়েছে
সবাইকে ইশ্বার্নিত করে শুধামাত্র তাকেই পথিক ভালবেসেছে।

এক সময়ে প্রিয়তমা তাকে বাঁচার সপ্নে বিভোর রেখেছে,
মাথায় হাত , চোখে চোখ  অার হৃদয় হৃদয় রেখে ভালবাসার প্রতিজ্ঞা করেছে। 

অথচ সরল হৃদয় বোঝেনি সে ধোকা খেয়েছ,
প্রিয়তমা তার নয় সে মোটেও, ধিক্কারে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

দিন যখন পরন্তে, সূর্য যখন হেলে পরেছে পশ্চিম দিগন্তে,
প্রিয়তমা চিনিয়েছ তার অাসল রূপ, ভালবাসার মানে।

এই ক্ষ্যাত গেয়ো ছোকরা অার ভালবাসা কি বোঝে?
এদের ভালবাসা বলতে বুনো জন্তুর কাম ছাড়া অার কিছু অাছে?

ভালবাসা অাছে মানলাম,  সে তো রিক্সাওয়ালার ও থাকে, তাই কি ভালবাসা?
কি সম্পদ অাছে তোমার, কি বা যৌগ্যতা তোমার ভালবাসার?

এরা কি সভ্য অামাদের মতো, পাড়াগাঁয়ের কি সভ্য মানুষ থাকে?
উচু ইমারত অার উচু মানুষের ভালবাসার সাথে কি ওর তুলনা চলে?

হে গেয়ো মানুষ, নিজের অবস্থান জানো

হে অসভ্য ক্ষ্যাত, অাগে নিজের গায়ের গন্ধ দূর করো।

গেয়ো মানুষ! অসমতায় ভালবাসা হয় না,
তোমার অনুভূতিকে ভালবাসা ও বলে না।

অপরিপক্ষ চিন্তা অার দূর্লভ সপ্নের প্রতিফলন মাত্র।

তুৃমি নেই বলে

তুমি চলে গেছ তাই অামার বসন্ত ও চলে গেছে,
হৃদয়ের জুরে এখন মেঘলা অাকাশ খেলা করে।

তুমি ভুলে গেছ তাই সপ্নগুলো গুমরে মরে,
দৃষ্টিজুরে এখন বিরহী ঝর্না বয়ে চলে।

তুমি ভুলে গেছ তাই স্মৃতিগুলো তোমায় খুজে ফিরে,
সময়বৃত্তের নিষ্ঠুর খেয়ালে নিজকে অবাঞ্চিত করে তোলে।

তুমি নেই বলে মধ্যরাতের তাঁরারা অামাকে ভুলে গেছে,
তুমি বিহীন চারিধারে অমানিশা বসত করে।

তুমি হারিয়েছ বলে সুখ অামায় দিয়েছে অাড়ি,
দুঃখ এসে ভর করছে করে অামায় বন্দী।

তুমি নিখোজ হয়েছ ভালবাসাও হয়েছে নিখোজ,
বাস্তুহারা বেদুইন হয়ে করে যাই তোমার খোজ।

খুজে ফিরে নিরন্তর এই পাগল প্রেমিক যবে প্রাণ বিরজমান।

মিথ্যার বসতি

সময়কালে কে সাক্ষী রেখে,
বুকভরা নিশ্বাসের প্রাণ দোলকে,
হাতে হাত রেখে বলেছিলে প্রিয়তমা,
কখনো ছেড়ে যাবে না।

জোসনায় শিতলতা অঙ্গে মেখে,
অাবছা অালোর মিষ্টি হাসিতে,
এক সাথে চন্দ্রপানে তাকিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলে,
অামাকে ভুলে যাবে না।

জলেকেলিতে পা ডুবিয়ে,
একে অন্যের ছোয়াছুয়িতে,
কানে কানে চুপটি করে বলেছিলে,
ভালবাসা হারিয়ে যেও না।

তবে কি তুমি মিথ্যা ছিলে,
নাকি অামি নিজেই মিথ্যা হয়ে বসত করেছি তোমার সাথে?
প্রশ্ন করে অার লাভ  কি বলো-
উত্তর অবান্তর।

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬

নষ্ট যৌবনের বিকৃত আর্তনাদ

হে  সুদর্শনা রমনী , অপরূপার আধার
যশ প্রলুদ্ধের হাতছানিতে,
সর্পীল ছন্দে, সরুলতার ঢং এ
বিটপী অঙ্গমালা প্রস্ফুটন করে
এক চিলতে সচ্ছ বস্ত্রফিতা পরিধানে
লজ্জাকে পরাভূতে করে
নীল পর্দায়, অন্তজালে, এলইডি তে
তোকে চোখ জুরিয়ে দেখা ও গেলার সুজোগ পেয়েছি-
ক্ষুধার্ত আমি, কাম রাক্ষস, নর জানোয়ার।

তোর মাতালিনী মগ্নে, মায়াবী মায়ার  জালে,
এই সুপ্ত কামকে জাগ্রত করে।
তুই নিজেকে পণ্যরূপে সমার্পন করে
নাজায়েজ ফায়দায় প্রিয়মুখ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা।

এই কোমল হৃদয়কে কামার্ত হয়
ঐ ভরাট অঙ্গের ভেলকি দেখে।
এই শিতল শরীর উষ্ণ হয়,
তোর বিকৃত সব রঙ্গলীলায়। 
শান্ত হরিণটি হয়ে যায় নেকরে
কি কুৎসিত এই দেহের কামনা।

স্বার্থপর পুজিপতিরা তোকে মেরুদন্ডহীন করে
মুনাফা আর মোটা অংকের মায়াজালে
নগ্নরূপে বিকিয়ে অন্ধকারের রাজত্বে
দাসী করে দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দী করেছে।

রাত ফুরালেই তারাই মহামানব-
লিঙ্গের সুষম বন্টনে গলাবাজি,
আধুনিকতা র ফ্যাশনের ধোয়া তুলে
নগ্নতাকে 'র্ট' করার অপচেষ্টা।
শিল্পকলার নামে চলছে ফষ্টিনষ্টি।
বাধ সাধলেই আমি গোরা, ক্ষ্যাত,
মুক্তমনা নই ইত্যাদি, ইত্যাদি।

কোমলমতি নবপ্রজন্মের কিশোরের দৃষ্টিতে জ হায়েনার চাহনী
সুস্থ মস্তিস্ক থেকে অসুস্থ বিকৃত মানসিক রোগী
মখুভর্তি বিশাক্ত লালা র হাতের নিশপিশানি
ভিড়ের মাঝে কাঁচা মাংসের লোভে ধেয়ে সে বীর্যের হাতছানি।

হে নীল পর্দা র অন্তজালের বেশ্যা,
হে পুজিপতি ধুনিক মানুষ,
হে মুনাফালোভী মুখোশধারী-
নগ্নতা যদি ধুনিকতা ও ফ্যাশন হয়,
তবে ধর্ষণ কি শারীরিক চর্চা হতে পারে না?

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...