বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

স্বর্গের ছায়ায়!

জীর্ণতা অামার ঝরে যায়..... 
অনাবিল সংসারের মায়ায় 
অনিন্দ্য সুন্দরের অপেক্ষা-
স্বর্গের ছায়ায়!

নব্য প্রতীক্ষায়

কুয়াশার চাদরে অাঁকা নবোঢ়ার পৌষ সজ্জা
তাঁর মুক্তোমাখা শিশিরের চোখে তাঁরার মেলা।
প্রভাত ফেরী কানে পরেছে ঘুম কুমারীর দুল
পাখপাখালির ডানায় ভেঙ্গেছে রবিরশ্মির ভুল।
ইন্দ্র বায়ুর জোয়ারে মেঘ অাসে জলধির পানে
উদধির এক রতি নীলকান্ত সে নারীতে বাধে।
জাদুর ছোয়ায় রুপালী বিন্দুর প্রাণ হেসে ওঠে
নব্য প্রতীক্ষায় মহাকাল অপেক্ষার প্রহর গুনে।

ছলরশ্মি

প্রচ্ছন্ন ইশারায় বলেছি অর্থের স্বীয় গাম্ভীর্যতা
অব্যক্ত অালাপনে সাজিয়েছি নিরব উপত্যকা।
কল্পনার অভ্যন্তরে ঘুমিয়ে অামার স্বপ্ন অনুভব
বাস্তবের আড়ালেই লুকিয়ে অামি পরাবাস্তব।
অাকাশের ওপারে অামি হেটে চলি ছায়াপথে
সুমেরু রাজ্যে মধুরতম অভিযান আমার মনে।
শ্বেত ছায়ায় সময়ের সুগন্ধ ফুলগাছের ডাল
এই যে চাঁদের ছলরশ্মি! মনে রেখ চিরকাল।

মাঘ অাসবে বলে!

সাদা কালোর মাঝে কুহেলীর
একটি শিশিরবিন্দুর প্রতীক্ষা।
মাঘ অাসবে বলে!

মেঘের ওপাড়ে

কুয়াশার নিঃসঙ্গ রাতে
বন্ধুর বাঁকে ভয়ংকর আতংকে;
সুদূরের পথিক অন্তহীন পথ ধরে
বিরানহীন পথে হাঁটে আর হাঁটে।
হাঁটতে হাঁটতে জোড়া চোখ
উপযোগের সন্ধান করে;
নিগূঢ় চিন্তায় অার বিষণ্ণ অবয়বে
চোখ রাখে কেবল মেঘের ওপাড়ে।

নিঃস্ব অাবাসে

পরিযায়ী বুনোহাঁসের ফেরার টানে
অংশুমালী নেমে অাসে ধরণীগর্ভে।
তবু হিমানির কুহক তাকে বশ করে
তীব্র অসুখের গন্ধ মনে লেগে থাকে।
নিশ্চুপ ঢেউের ললাটে কলঙ্ক মাখা
রক্তপদ্মের পরাগে অদৃষ্ট বিভীষিকা।
অাজ হিম-বায়ু-চাঁদ ডুবে নিথর জলে
তাঁরা-রা তাই ফিরে যায় নিঃস্ব অাবাসে।

তার ভূচিত্র

দু ঠোটের উপর সৌভাগ্য মিশে ওষ্ঠগুলের রং
সে রঙের স্ফুটনে ঐশ্বর্যের গন্ধ মিশে বারুদে।
সুরভিত হয় সবুজের এই বিশ্ব প্রতিটি পরতে
অামি রবি অাঁকি তার ভূচিত্র প্রতিটি কোণে।

হুতাশনের অাহ্বানে

বেহালার তারে তুলেছি অনুরাগী ধ্বণি
অবগাহনে দিয়েছি পাড়ি চাঁদের সিঁড়ি।
সপিয়া অঙ্গার মনের অঞ্জলী হাসিমুখে 
জ্বালিয়েছি হৃদয় হুতাশনের অাহ্বানে।

ত্রিভুবন বিমানবন্দরে

১৭ টি প্রাণে অবধি ইসরাফিলের ফুৎকার
কুহরে প্রতিক্ষণ মৃতগামীর অাত্মচিৎকার।
একে একে ঝলসে যায় ৫০ টি তাজা প্রাণ
হিমালয়ী কন্যার ত্রিভুবন বিমানবন্দরে।
স্তব্ধ নেপাল অার কেপে ওঠে পর্বতমালায়
সাথে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের বুকে-
পুড়ে খাক হয় ১৬ কোটির বাংলাদেশ।

প্রিয়তম ভালোবাসি

যার অংকগুলি ছিল তাকে নিয়ে,
যার অস্তিত্ব শুধূ তার স্তবে -
তবু সে ছিল তার অগোচরে!
এক বিন্দু কষ্ট যে কখনো দেয়নি,
তবুও সে তাকে কখনো বলেনি-
প্রিয়তম ভালোবাসি!

বলির রক্তে

নর পশুর জ্বলন্ত লিপ্সায়
ফনা তুলে রাক্ষুসে গোখরা
নীল বিষ নিমেষে ছড়ায়
নিষ্পাপ দেহের অবয়বে।
বালিকার জড় দেহ গলে পড়ে
লক্ষ শহীদের অাত্মার উপর
বাংলার দামাল ছেলে জন্য-
বলির রক্তে রাঙ্গে বাংলাদেশ!

তুই রাজাকার

এরা বলে কোটার সংস্কার
ওরা বলে তোরা রাজাকার!
শেখ মুজিবের সন্তানেরা -
অাজ রাজাকারের বাচ্চা!
১% বাংলার ৯৯% রাজাকার
তুই রাজাকার সব রাজাকার!

শুভ নববর্ষ

প্রভাতী পান্তা ভাতে কাচা লঙ্কা
সরষে ইলিশের ঘ্রাণে মাতোয়ারা।
বাঙ্গলীর ঘরে ঘরে পহেলার প্রাণ
ধুয়ে মুছে সাফ হয় মনের ঝঞ্জাল।
শুভ নববর্ষ ১৪২৫।

গর্বিত বাঙ্গলী

অগ্নি স্নানে শুদ্ধ করি
মম হৃদয় হেরী।
বৈশাখের ঐ রুদ্র ঝড়ে
ভাসাই মনের কালি।
মঙ্গল জলে শুচি হই
ফেলে পাপের ঝুড়ি।
মম বাংলা হিয়ায় একতারা সুর
অামি গর্বিত বাঙ্গলী।

মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

পথ

বায়ুর পিঠে পথ চলে অন্য পথে
যে পথে মর্ মর্ নিঃশব্দ ঝংঙ্কার।
যে পথে হয়না ঝরা পাতার কথা
যে পথ গোপনে রাখে বিশ্বমাতা।

যে পথে কেউ দেখেনি  তাঁরকা
যে পথে কেউ লেখেনি কবিতা।
যে পথে পথ  হাটেনি কোনদিন
পথ খুজে চলে সে পথের দিশা।

গোধূলীর বাঁকে বিরানভূমি পথ ধরে
এক পশলা বৃষ্টিজলের পতনোল্লাশ।
মেঘের গাঁয়ে পূর্ণ চন্দ্রের ছুটির ঘন্টা
তাই সন্ধ্যা তাঁরার অাজ উঠতে মানা।

কাশফুলের বনে তার সকল কথা
বিলিয়ে কষ্টা গাথা মৃত্তিকার বুকে।
গহিন বনে একালা পথ হেটে চলে
অপর প্রান্তের অপেক্ষা যুগে যুগে।

নৈশব্দ ঝাউবনের স্মাত পল্লবে মতোই
জলের দ্যূতি পথচিবুকে অাছড়ে পড়ে।
সর্ সর্ ধারা অার ছলাৎ কিঙ্কিণী সুরে
মুক্তধারা বয়ে চলে গহিনের শেষপ্রান্তে।

পথের জীবন্ত চিত্রপঠ মৃত্তিকা বুকে
পথ চিত্র অাঁকে তার জলের ললাটে।
বিন্দু কণার বিরামহীন অভিযাত্রায়
পথের বজ্রমুঠি বিজয় কেতন ওড়ে।

অাবার পথ ওঠে বায়ুর পিঠে
নতুন অালোক পথের সন্ধানে।
এভাবে অাবার অন্য কোথাও
পথ অার পথের দেখা মেলে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮

শ্রেষ্ঠ অতুলা

অামার অস্থিরতা, তোমার ঈর্ষা
অামার খ্যাপমী, তোমার লজ্জা
ব্যক্ত  অব্যক্ত  সমুদয়  অনুভূতি
ঢেউ তোলে ধমনীর রক্তস্রোতে।

দ্বিপ্রহের ছায়ায় একবিন্দু আলো 
কৃষ্ণনিশায় তুমি  উজ্জ্বল নক্ষত্র।
বৈক্লব্যে তার অানয়ন নীড়ে প্রশান্তি  
মম দৈন্যতায় সে নিষ্কৃতির কাণ্ডারি।

পুরাঘটিত মহকালের ন্যায়
শ্রেষ্ঠ অতুলা, তুমি এ দুয়ারে।
অপেক্ষায় সে যন্ত্রণা অার নয়
যে যন্ত্রণায় মর্ম ডুকরে উঠে।

সমীরণের ঐ আঙুল ছুঁয়ে 
তুমি অাবার এসেছ স্পর্শে।
রেখেছি সহস্র স্বপ্ন মালা
দেখ, তোমার অধিকারে।

মম অস্তিত্ব তাকে তুলে দিয়ে
অাজ তৃপ্ত  মনের নগ্ন উল্লাস। 
তার দাপটে ছিড়ে অনন্য প্রাণ
সানাইড হৃদয়ে গরিমা জম্মে।

শত সহস্র শতাব্দী বেঁচে থাকি
অাামাদের স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে।
মিশে থাকি প্রতিটি ধূলিকণায়
পরিভ্রমণ করি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে।

নক্ষত্রে রশ্মিজালে প্রতিদিন
ছরিয়ে পড়ি  বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে।
সে রশ্মি খুজে ফিরে তোমায় 
তোমায় খুঁজে পাই জান্নাতে।

দেখি তুমি বেশ অাছো
অামার দেওয়া রক্তের সাথে।
সহস্র স্বপ্ন জাল বুনছো 
অামাদের অাগামীকে ঘিরে।

প্রতিক্ষণে খুজে  নিই তোমায়
শত সহস্র  স্বপ্নলোকের মাঝে।
ফিরে পাই পৌরুষদিপ্ত কামনায় 
বা নতুন লেখা  কোন কবিতায়। 

মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮

কেন ১লা মে বিপ্লবী?


শিকাগো, ১লা মে ১৮৮৬, তিন লক্ষ-
কণ্ঠে স্লোগান, নেমে আসে রাজপথে
ওদের সরল চিত্তে ছিল- শাশ্বত সাম্য,
বজ্রমুঠে গাইতি- শাবল, আর কিছু প্রশ্ন।

কবে বিনাশ হবে বুর্জোয়াঁর ঠাকুরালি?
কবে হবে ওদের নিপীড়নের সমাপ্তি?
কবে অস্ত যাবে এই বৈষম্যের বিধি? 
কবে পাবে শ্রমিক তাঁর ন্যায্য মজুরি?

ফিনিক্সের মতোই জেগে ওঠে ওরা
লাখো কণ্ঠে প্রকম্পিত হয় রাজপথ-

"রোজ আট ঘন্টা কাজের দাবী,
ন্যায্য শ্রমের চাই ন্যায্য মজুরি।"
"সাম্যবাদী  নিশান তুলে ধরো
জালিমের জুলুম রোধ করো।"
.................................................

নিপীড়কের নীল নকসার চক্রান্তে
বিপ্লবী মিছিলে গুলি চলে- ঠাঁ ঠাঁ, ঠাঁ ঠাঁ।
বিপ্লবীরা দৃপ্ত কণ্ঠে কবিতা বলে চলে
বিদ্রোহী কবি ওরা, এক চুলও না নড়ে।

সেদিন এগারো জন বিপ্লবী কবির-
রূধির ঢেউ আছরে পরে চৌদিগন্তে।
ওদের উষ্ণ রক্তে জাগ্রত হয় সাম্যবাদ
আত্মা ঠাঁই নেয় বিশ্বজননীর জঠরে।

প্রহসন মঞ্চে ছয় তেজীর ফাঁসি হলো 
কাণ্ডারী কবি দিলো জাগ্রত আত্মাহুতি।
............................................................

শহীদ কবির অজর কাব্যের ঐকতানে 
শোষকের তখক- প্রাসাদ কেঁপে উঠে।

অতঃপর তাঁবেদার বাধ্য হয় কুর্ণিসে
মহাকালে গাঁথা হয় সাম্যের নবধারা।
'সবার উপর মানুষ সত্য' এই রবে
আবৃত হয় একসুরে 'মহান ১লা মে'।

ফিরে আসে চেতনায় বিপ্লবী ১লা মে
ফিরে আসে কোটি সংগ্রামী কবিকণ্ঠ।
বিপ্লবী কবিরা এক সুরে গেঁয়ে ওঠে
"দুনিয়ার মজদুর এক হও!"

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮

বিয়োগিনীর বৃত্তকলি

পরবাস্তব স্বপ্নে অালেয়া দুলছে অার দুলছে
অবেলার নিশুতি ঝলমলে নিঃসঙ্গ তারাটি,
আমার ভুতুড়ে সত্ত্বার ভিতরে ঢোকে কথা তার
মাঝরাতের শিতল পরশে সে অামি একাকার।

অালেয়ায় হারাই তার বিবর্তনের মাঝে
ধিকি ধিকি অলীকে, অম্বরের শেষপ্রান্তে
কৃষ্ণগহ্বরে যদি কখনো বা হারিয়ে যাই
বিলকুল অাফসোস নেই অার তাতে।

ইচ্ছে করে তাঁরার ছোট্ট সুমধূর কন্ঠস্বর শুনি
ছুই অালোক সিন্ধুর ঝলঝলে একরতি রশ্মি।
বিয়োগিনীর বৃত্তকলি তার অাঙ্গিনায় গেয়ে উঠে
বৃত্তের অাবর্তে ছড়ায় ধ্বণি রেখার শেষ প্রান্তে।

কেবলি কি জৈবিক অান্দোলনে দিশেহারা তুমি?
প্রেমের শেষ প্রান্তে বীজাণু ছাড়া কিই বা অাছে?
শুধুই কি বিস্ফারিত হয় হিত জাতের অনুকণা?
নাকি পরজীবী বংশধারায় ভবে কশেরুহীন ছায়া?

নিষ্প্রাণ গলিত লাশের মতই অামার হাড়গোড়
নিসাড় দেহে নিয়ে বিচ্ছিন্ন হবো তোমার হতে।
অতঃপর বিগ ব্যং এর মতো মনের দূরত্ব বাড়ে
দিনশেষে পাবেনা অার ঝড়ে পড়া উল্কার মাঝে।

এখন বন্ধনের সবগুলো গিট ইশ্বর কর্তৃক পরিত্যক্ত
ক্রমশ সে অন্তে মিশে অাবছায়ায় বিস্ময়কর ভাবে।
কিংবা অনিবার ক্রন্দন তার বিনম্র হাসিতে দেখবে 
চিহ্ন পাবে তোমার সমাধি সৌধে সেই অামাকে।

হয়তো ডাক শুনবে অাবার পথচারীদের ভিড়ে
কাঁক ডাকা ভোরে বা নিস্তব্দ জনশূন্য পরিবেশে।
অথবা মুক্তির নগ্ন যাত্রায়, অস্থির জনতার ভিড়ে
নতুবা অস্তিত্ব হারিয়ে ফিরবে নিখোজের মাঝে।

তৃষ্ণার্ত বালিকার সারাটা পথ বইতে হবে একা
তুমি চিহ্নহীন পথে  হাটবে,
অামি নির্লিপ্ত নয়নে দেখবো ওপাড় হতে।

পথরেখা সময়হীন ঘড়ির কাটায় থমকে থাকবে
তুমি অাসবে, মিশবে মহাকালের মাঝে,
এ বুকের শেষ প্রান্তে অবশেষে!

পৌছাতে অতীতে

তাঁরাদের নামতা ধরে  নিস্তব্ধতার গহীনে
সময় অাবার অবেলায় দ্বারে কড়া নাড়ে।
বৃদ্ধ সময়ের সেই বৃথা চেষ্টাই সার তবে
বর্তমান পিছে ফেলে পৌছাতে অতীতে!

বৃদ্ধ সময়ের অতীত অাজ বিষম জীর্ণ 
রিক্তের বেদনায় অপেক্ষা মহাকালের।
তার কালের প্রতি একটুক্ষণের ভিক্ষে 
যদিবা ছুতে পারে সবুজ গাঁয়ের দেশে!

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

বৃষ্টিকে ভালবেসে!


হে নিরদ!
গুরগুরে চিত্ত অশান্ত জলদের দোলে
টিপটিপ স্তননে ডর হয় বুকের কোণে।

হে কজ্জল!
অামি অয়ন অাচ্ছন্ম রই নিশুতির অাগে
অাজ তোমার প্রথম বর্ষা অামার ভুবনে।

হে মেঘলা!
মর্ত্য অাজ সজীব হয় তোমার বিসর্জনে
চৌচির বুকের পিয়াস মিটাই উষ্ণ নীরে।

হে পুষ্কর!
বাদল ধারায় সহস্র  অভ্রংলিহ যাই এঁকে
অাজলা ভরে জলটি রেখো অামার নামে।

অভ্রংলিহ যাই এঁকে-
বৃষ্টি তোমায় ভালোবেসে! 

বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮

কাছে আসার চিহ্ন

উদ্বেল গহিন বেলায় নিশুতির স্বপ্নঘোরে 
তার যামিনী  হাসির ঢেউ জোয়ারে মিশে।
অালাপন  করি  তাঁর ভাবী স্মৃতির সাথে
অামি শুনে যাই তাঁর ঝংকার বিরান পথে।

অামি হারাই ঠিক তার ধ্বনিরাগের মাঝে
ঐ ধ্বনির কেন্দ্রস্থলে গতিশুন্য পরিভ্রমন।
অামি  মিশে যাই  তোমার চিবুকের স্পর্শে
অামি অাটকে থাকি ঠিক ব্যাঁঞ্জনের মাঝে।

সন্ধ্যা সাঁঝে পদ্মজলের প্রতীক্ষা তাঁর ছায়ায়
খুজে ফিরে সে দীপ্ত রাত্র, নৈঃশব্দ্যের ধাঁধায়।
তার প্রিয় বুলি, প্রতিটি বচন  হয়  স্তবের গান

এনেছি দেখ দুই জনমের  গোলাপ অফুরান।

অামার সকল প্রতিলিপি অাজ প্রাণ পায়
সখি বিরাজ করি তোমার চোখের তারায়।
প্রদীপের আলোয় তোমার রূপ তুলে রাখি
কপাটিকা খুলে দেখো সাড়া ঘরে কার ছবি।

তোমার মুক্তকেশের বায়ু এসে হারায় কাজলে
নাকফুলের মুক্তো  দ্যুতি  ছরিয়ে  পরে অাননে
সমীরণের প্রতিটি কণা  ছরিয়ে পরে মহাবিশ্বে
এই বসুন্ধরা কতই না ছোট প্রিয়তমার চোখে!

জলধী পারে বেলাভূমির নিড়ে গড়ি অন্বয়
বালুকাবেলায় হয় সন্ধি স্নিগ্ধ হাসনাহেনায়।
রোদের ছটায় স্নান করি, খোল প্রবেশদ্বার
পূর্ণ করো প্রীতির মায়ায় অামাদের সংসার।

দুই ঠোট উপর সৌভাগ্য মিশে ওষ্ঠগুলের রং
সে রঙের স্ফুটনে ঐশ্বর্যের গন্ধ মিশে বারুদে।
সুরভিত হয় সবুজের এই বিশ্ব প্রতিটি পরতে
অামি রবি  অাঁকি তার ভূচিত্র প্রতিটি কোণে।

অামি দিয়েছি একরতি অনুরাগ  রক্তের মধ্য
তার আত্মায় রেখেছি লুকিয়ে এক বিন্দু সত্য।
রেখেছি কয়েক দানা খুদ  'সত্য' বাঁচবে বলে
উড়েছে বিহগ রোদের নেশায় তার অাগমনে।

হে প্রিয়, তুমি অাসবে অামার 'সত্য' নিয়ে
গোধূলীর রং তার বুকে মেখে-
অনেক প্রতিশ্রুতি নিয়ে তুমি ফিরে আসবে,
সূর্য ডুবে গেলে ।

সেটাই হবে অামাদের কাছে  আসার চিহ্ন!

শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮

সে অামার পাহারায় থাকে!

অরুণের মতোই উদোম অামি
নগ্ন অামার অনুরঁজিত পৃথিবী।
নিরুত্তাপহীন অবকাশ নিরিবিলি
একাকী ক্ষণ গুনি  নিথর মনে।

অামি অামার পাহারায় থেকে!

গোপন চাবুকের আঘাত সংযমী মনে
মৃত্তির ধুকধুকানিতে নীর ফুঁসে  ওঠে।
অাশান্ত রাতের নোলক বয় বিপরীতে
পাল্টা-স্রোতে হারাই নৈঃশব্দের তীরে

অামি অামার পাহারায় থেকে!

তোমার বুকের ঝালরে অাকাশ বিনিদ্র
হিমেল ছায়ায় শ্যামল চাদর বুকে নিয়ে।
প্রহর গুনি তার ডানা ঝাপটানোর পথে
শ্রবণহীন ঝরনার একমুঠো হাসি মেখে।

অামি অামার পাহারায় থেকে!

চাঁদ এসে ছুয়ে যায় তার ভেসেচলা ছায়া
প্রবেশ করে শিরায়, উপশিরায় বা রক্তে।
কিংবা অাতসবাজির স্ফুলিঙ্গ ছরিয়ে পরে
তার পাতলা স্বচ্ছ রেশমি বসনের নিচে।

অামি তাঁর পাহারায় থেকে!

তার অবারিত কোমল বিন্যাসের উপর
অামার গ্রহ-নক্ষত্ররাজি অধিষ্ঠান করে।
তার স্নেহে সুমেরীয় অাবর্ত ভেসে চলে
শান্তনু কুমেরুর শৈত্যের অধীর প্রবাহে।

অামি তাঁর পাহারায় থেকে!

সে কর্বুর  হয়ে  রাঙ্গিয়ে  যায় এই চৈতন্যে
রাত্রির সবটুকু  ঘ্রাণ  মিশে  উত্তাল  বুকে।
অনুভব করি অামর্শের দোল গভীরভাবে
অামি স্বর্গীয় অাবেশে বেঁচে থাকি কেননা-

সে অামার পাহারায় থাকে!

রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮

যে ছিলো পৃথিবী সৃষ্টির আগে।

#যে_ছিলো_পৃথিবী_সৃষ্টির_আগে।

যদি অনুভূতির রঙ আরো হয় বিষন্ন
যদি অঙ্গুলি আর না পায় দেহ স্পর্শ
যদি নয়নের কোণে আরো অশ্রু জমে
যদি অধর দু'টি আরো তিরতির করে।

তবু মনের আয়নার তাঁকে সুধাই—
সব কিছু কি ঠিকই আছে?

যদি ডাকি আবার যৌনতার বাঁকে
যদি আবারও চাই কামনার রুপে,
যদি তখনও তাঁর রক্ত না হয় উষ্ণ 
যদি যৌনাঙ্গ রয় নিথর ধ্বজভঙ্গ ।

তবু ঘুমচোখা দেহে তাঁকে বলি - 
সব কিছু কি ঠিকই আছে?

যদি হারাই কোন কলঙ্কের মাঝে
যদি লিপ্সা বিলি বাজারীর খাঁজে,
যদি বিরহ মাখি  তাঁর দরদী মুখে
যদি অনল সিঁধি তাঁর বিমল মনে।

তবু অদৃশ্য চিত্রপটে তাঁকে বলি -
সব কিছু কি ঠিকই আছে?

সে আমার খলতার তীব্রতা নয়
সে আমার দ্যোতন আত্মবিশ্বাস।
সে আমার দাম্ভিক অহমিকা নয়
সে আমার অনিঃশেষ ঠিকানা।

আমি দেখেছি তাঁর নিষ্পাপ সুরৎ
জরিয়ে এক চিলতে মিহি কাপড়ে।
তাঁর বিটপী মালা চষে বেরিয়েছি
যে ছিলো পৃথিবী সৃষ্টির আগে!

সহসা আমি নিখোঁজ হবো মহাকালে
তবু খেপাটে আত্মা চাইবে তাঁর যোনি।
অতৃপ্ত শিশ্ন, যৌনতায় খুঁজবে তখনো- 
যে ছিলো পৃথিবী সৃষ্টির আগে!

পুরোবতী দ্রাবণ

একটি হলুদ পাখি ডালে হাসিখুসি
তার হাসি গলে যায় ডানার পরতে
এভাবেই তো গলে যাই তোমার চিত্তে।

দেখো চোখের উপরে মিষ্টি রোদ-
দোলনার মতো হেলে দুলে।

ষড়ঋতুর সবটায় পাবে অনুভূতির ঘ্রাণ
এভাবেই তুমি ও আমি পুরোবতী দ্রাবণ
এভাবেই তো বেঁচে আছি অপরাপর মনন।

দেখো আত্মা দাউ দাউ করে জ্বলে-
দেহের উত্তাপ বায়ুতে মিশে।

বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭

স্বর্গের দুয়ারে

নিসঙ্গ তক্তপোষে বিনিন্দ্র নিশীথ রাত তাকে পাহারা দেয়।
কতিপয় রক্তচোষা মশকের বাদ্য অাজ তার খারাপ লাগে না।
অতপরঃ
একমুঠো সকাল, প্রভাতী রবির রাজটিকা
শিতল বায়ুর শিহরন নতুন যৌবনে মাখা।
মস্তকে রূপালী অাশ্বির্বাদ শিশির কণার
অভিনন্দন পথধূলির পায়ে সামনে চলার।
বালক একপলকে সমস্ত হৃদয়ের ক্যানভাসে
তাঁর ছবি অাঁকতে, বেরিয়ে পড়ে রাজপথে।
এক অনিন্দ্য সুন্দরের অপেক্ষা-
স্বর্গের দুয়ারে!



মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

সুখ

দক্ষিণ বনে কদম্ব নাচে
সুখ বিরাজে গহিন মনে
তমাল বাগে রক্ত জবা
তরুর খুসির বাঁকে উঠে

সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭

খুন

প্রতিটি মৃত্যুর লেলিহান
একমাত্রিক নিথর মনন।
খতমে দুরুদ প্রতিটি ঘুম
হে হৃদয়, প্রতিবার গুম!

শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭

কামিনী প্রেমী

রুদ্রঝড়ে তোড় মেঘকাপুনি
অক্ষমা কোণে শঙ্কুর চাহনি।
বীণাতটে ঘোড় মনঅালাপী
চিকনা কটি  যৌবনা ধরণী।

সুহাস্য বদনে প্রণয় কেলি
অাবেগী বক্ষে অমৃত নদী।
লোহিত ওষ্ঠে কামিনী প্রেমী
অঙ্গ-রূহে কৃষ্ণাভ জ্যোতি।

কায়াসুরে বচন টকমিষ্টি
অন্তঃ ভাবনায় সত্যবতী।
নধর চলনে রতির ব্যাপ্তি
অব্যক্ত কুহুতে স্বপ্ন বাড়ি।

শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

প্রভাতে দিপ্তস্নান

হরোদ্যাম খুজে ফিরি প্রিয়াঙ্কার দেশ
সমর বিজিত সৈনিক বিলম্ব নাই লেশ।
অসীম রথের অভিযাত্রী শৌষ্ঠব পেতে
সন্ধান জারি রয় লোক হতে অলোকে।

গগনপৃষ্ঠে সপ্তবর্ণার অমোঘ লুকোচুরি
ঊষালগ্ন ঈষাণ কোণে নব্যতার সারথী।
নিহারিকা ছায়াপথে বিলিয়ে সুখাবেশ
অাগুন দিপ্ত সূর্যরথে প্রোজ্জ্বলিত ইস্ক।


কালান্তর পথ পাড়ি বিশ্বপতির অনুগ্রহে
প্রেমেন্দ্র দিব্যদৃষ্টি খুজে পাই ঐ লোচনে।
পথ চেয়ে প্রিয়সী অপেক্ষায় রয়েছে ঠাঁয়
একজনমি সব অর্ঘ্য রাখি তোমার পায়।

অাবেগী ক্রন্দনে পতিত ধরণীবুকে বৃষ্টি 
নিঃসৃত ঐ নহরী সুধায় জলরাাশি সৃষ্টি।
সৌরে-সৌরে কেলিকুঞ্জ শ্রাব্যে ওষ্ঠহাসি
ছারখারে গ্রহপুঞ্জ যদি সিংহী ক্রুদ্ধদৃষ্টি।

হৃদমণিতে বেধে রাখি শাঁখারী অাভার
মহাশূন্যে রচি তোমার নত্তল সংসার।
শশী-রবীর অাভা ছড়ায় মধূচন্দ্রীমায় 
দিবালোকে তোমার স্তুতকোরাস বয়।

সব ত্বরণ ছিন্ন করি অাদিম অাকর্ষণে
নব গ্রহের অাবির্ভাব মম প্রণয় বিজে।
প্রভাতে দিপ্তস্নান অাপনাকে রাঙ্গাতে
ভালবাসা প্রণয়সখা রাখি তব ভুবনে।

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭

কালোয়ার

প্রচলে অামি নীলাভ মাঝি
কলুর বলদ শোষণকারী।
নত্তল কালে অসীম খায়শে
বিনিবেশ নিষ্পাপ হরন করি।

বাজিগর অামি প্রহসন করি
অর্বাচীন অামি অচেনা থাকি।
কালোয়ার অামি অাত্মা ভাঙ্গি
নিদারুণ অামি অনিষ্ট ছাড়ি।

সহস্র রুহুর বিনিদ্র রজনী
বেদন প্রভাতী রক্ত শাঁখে।
ক্রন্দন ধ্বণিতে জাগে পশু
চুক চুক করে চেটেছি মধূ।

অলীক অামি মেকি গদি।
কুলটা অামি খিস্তি জপি।
দূর্জন অামি ঠগের সাথী।
নিছক অামি বিলাস সঙ্গি।

শতক শৃঙ্খল পালিত পঙ্খি
একটি একটি শিকার করি।
শুকুন দৃষ্টিকোণ মেলে ধরি
খুবলে খুবলে উদর পূর্তি।

দানবিক অামি পিশে মারি
পিশাচ যোনিতে বাস করি।
রাক্ষস বংশ বিস্তার রাখি
কাঁচা মাংস ভক্ষণ করি।


সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭

জনমের শপথ

অাদিষ্ট সুখের প্রহর জপি
প্রিয়তা সুখের পরশ মাখি
জনমে জয়ী প্রণয় অাজি
দুই প্রাণে সুরের লয় শুনি

না বলা কথায় গল্গ লিখি
অাবেগ ঢেউয়ে ছন্দ তুলি
স্বপ্ন সুখের অাকাশ দেখি
বেলী মালায় মনের বেড়ি।

কলির ঘ্রাণে মিশে থাকি
কাঁশবনে সফেদ ঘর বুনি
উত্তাল উর্মির বাঁকে চলি
নীলকান্তমণি হাতে রাখি

ভালোবেসে সখা ঠায় অাছি
নীলপদ্ম তব খোপায় গাথি
ময়ূরী পালকে অাবেগ বিলি
প্রিয়মুখ হৃদয়ে এঁকে রাখি।

প্রেমের মুকুট মাথায় পড়ি
সোনার পালঙ্কে বাসর বাধি
জনম জনমের শপথ করি
হাতে হাত রেখে নশ্বর ছাড়ি।



সোমবার, ১০ জুলাই, ২০১৭

অকাল প্রভাত

দুই হৃদয়ের ঐ অথৈই মাঝে
কোন সুর বলো বেজে চলে
বিদায়কালে অকাল প্রভাত
সকল মম অাশা যায় ভেশে।

চন্দ্র তিলকের রূপালী অাভায়
হৃদয়ে বিরহী নাচন উঠে দুলে।
কাজল রেখায় বিদায়ী ঝিলিক
অাহা কাঞ্চনী কবরী যায় খুলে।

অানচানী সংসারে বসত করে
প্রিয় মুখখানি ঐ হারাই সুদূরে।
তোমায় রানী করে ওহে  রাজ্ঞী
নিঃস্ব মম সকল কালের নিড়ে।


অসুখী ঠোট কাঁপুনি কণ্ঠরোধে
পিটপিটানি অাখির জলে বাঁকে
কি ব্যাথায় মন হায় ডুকরে ওঠে
সখা অাবার ফিরো বাহুডোরে।

রবিবার, ২ জুলাই, ২০১৭

কলনোকর

অাজ বিকীর্ণ প্রভাত চুপিচুপি বলে যায়
পুনর সেই পথে যেই পথে স্বজন হারায়।
অর্কের ইন্দনে অনুভূতি সকল ছাই হয়।
ক্রূরতা কিরণে নারী ডোর ঝলসে যায়।
অাবার অামি হলেম যে সেই কলনোকর!

শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭

প্রশ্নবোধক

তুমি কি অামায় নিয়ে যাবে?
অরণ্যের নিশ্চুপ নিবিড় ছায়াতলে।
তুমি কি অামায় কথা দিবে?
হিমাদ্রী পার হয়ে নায়াগ্রায় ভাসতে।

তুমি কি অামায় প্রদীপ দিবে?
অাধার দূরে ঠেলে অালো জ্বালাতে।
তুমি কি অামায় জোছনা দিবে?
নরম চাদরে শীতল পরশ বিছাতে।

তুমি কি অামায় ভালবাসবে?
সাত পাহাড়ের সব সবুজের মতো।
তুমি কি অামায় প্রণয় দিবে?
সাত অাকাশের সব নীলের মতো।

তুমি কি অামায় অাসঙ্গ দিবে?
তপ্তকাঞ্চনে মিহি পরশ বুলাতে।
তুমি কি অামার লালসা হবে?
শুক্রাণু ডিম্বানু নিষিক্ত হতে।




বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭

পেয়েছি তোমায়

সপ্নের মহাপ্রাচীর ভেঙ্গে
বর্তমানে এসেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

হিমাঙ্কের শীতল ভেঙ্গে
উষ্ণতায় রেখেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মহাকর্ষের ত্বরণ ভেঙ্গে
অন্তঃশূন্যে বেধেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

শতদলের অয়ন ভেঙ্গে
হৃদমাজারে ঠাই দিয়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

নিরেট অশ্মরী খন্ডনে
নির্ঝরে সিক্ত করেছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

বিয়োগ তকলিফ ছেদে
ইন্দ্রধনু রংয়ে রাঙ্গিয়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

সৌভাগ্যের অবতার হয়ে
অমরায় বসত গড়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মৃতে জীবন সঞ্জীবনী হয়ে
অমীয় সুধায় অমর করেছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭

অন্যন্যা

গোলাপী ওষ্ঠের মায়াবী হাসিতে
প্রিয়া  লজ্জাবতী লাজুকলতা।
চিবুক ছড়ানো সুখের মিষ্টি দূতিতে
প্রিয়া ভরা পূর্ণিমায় মধূচন্দ্রিমা।

দিঘল ছড়ানো ঐ বাহারী কেশে
প্রিয়া  কালো মেঘের বসতভিটা।
হরিণ লোচনের ঐ তীব্র চাহনীতে
প্রিয়া  কোটি প্রেমির ঘুম কাড়া।

যৌবনের তানপুরায় নিতম্বিনী উর্মি
প্রিয়া  জলকেলির বাহারি দূতি।
সুডৌল বক্ষে ঐ পর্বতের হাতছানি
প্রিয়া তপ্তকাঞ্চনে রঙ্গিন বাড়ি।

কামনার এিভুজে প্রবাহ স্রোতস্বিনী
প্রিয়া বাসর শয্যায় কামরানী।
নত্তল যৌবন উদরে উর্বর বীজ বুনি
প্রিয়া নবীন প্রাণের গর্বধারিনী।

পেলব অঙ্গে লতানো লাউের ডগা
প্রিয়ার চলনে নাগিনীর ছটা।
মিহি কাপড়ের ফাঁকে যৌবনের তাড়া
প্রিয়ার শাঁখ শাড়িতে তুমি অন্যন্যা।

রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭

স্নেহের দাদী

সবুজ রংচং প্রকৃতির অলিন্দ
অাম কাঠালের ঘ্রাণে অাকণ্ঠ।
ঝুমঝুম বৃষ্টি বলে যায় কানে
অায় ফিরে অায় নারীর ডোরে।

দমকা হাওয়ায় বৃষ্টিজল লুটোপুটি
অাষাড়ে ধারার গুমোট ঝলকানি।
দেখ তোর কিচ্ছা কথক কি সুধায়
কি হেতু স্নেহ ক্ষুধায় ডানা ঝাপটায়।

দাদীর মুখের সুমধূর ডাক
ভুলে গেছি কোন খেয়ালে।
অাদুরে কণ্ঠে বিরহ ক্রন্ধন
গেথে রয় তার মনে মনে।

মিঞা ভাই, বড় ভাই, রাঙ্গা ভাই
বিধেছে দাদী অারো কতো ডাকে
শিশুতোষ মনে এঁকে যায় তার
নীল অন্তিম গোধূলীর পানে।

করেছে মহান উত্তর পরুষকে
দুহাতে জাপটে অাগলে রেখে।
জীবন সাহ্নয়ে বিষের বাশি
একলা শুয়ে কণ্টক শিয়ের।

কেউ দেয় না একমুঠো ভালবাসা
কেউ না শোনে অার তার কথা।
কেউ রয় না পাশে গল্প শোনার
কিচ্ছা গুলো  অাজ ভিষন একলা।

অার কতদিন ডাকবে তুমি
মান অভিমানের তোমার সুরে?
অার কতোদিন থাকবে তুমি
সকল পাষাণ হৃদয় মাঝে?

কতোকাল দেখবো তোমায়
কঠিন অসুখ সংসার মাঝে?
কতো সুখে থাকবে তুমি
ব্যাথ্যাহীন ওপার জনমে।

ফরিয়াদ তোমায় খোদা
ক্ষমা করো দাদীর গুনাহ।
মাফ করো সকল অনাচার
হোক বেহেস্তের ঠিকানা।

ভালবাসি বু তোমায়
ক্ষমা করো নাতি রে।
ভালবাসা রইল তোমার
রাখবো বুকের মাঝে।

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭

বিষাধ সিন্ধু

বদন পানে ঠায় নীলিম নয়ন
খুজে ফেরা ঐ পথের পবন।
অলস মনে অাধার জাপন
অাকাশ কুসুম রোদের মরণ।

অমাবশ্যায় রচে চন্দ্র স্নান
এবরো থেবরো ক্লেশ মন।
দ্বিধায় সময় গরল পুষণ
জীবন নাশে সুখের অাগুন।

ঠুনকো দেহে ব্যাথার প্রবহণ
অানমোনা রয় সকল স্বপন।
অাত্মা কলের নিষ্পাপ হরন
নিষেক রতির সলিল জারণ।

বিদূর রজনীর একলা চলন
প্রণয় তরীর নিরব অনশন।
ছায়াগুলি সব দুর পলায়ন
তাঁরা অালোর ক্ষীণ বিচ্ছুরণ।

নিকর মেঘের কালির ব্যাপন
অাশায় বসতির অকাল পতন।
জোনাক জ্বলা হৃদয় জ্বলন
সপ্ত সিন্ধুর বিষাদ ধারন।

মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭

কতদূর ভালবাসা

ঝুমুর ঝুমুর ছন্দে চলি
অাজি নাচে ময়ূর হিয়া।
স্বপন তরে রোদের বদন
ইস, কি চমকের খেলা!

ঝরঝরা ঐ মাদল সুরে
শ্যামের বাশি বাতায়নে
সখি কি শুনে যাই, কানে কানে
অাহা কি বলে যাই, মনে মনে।

সুধাই প্রিয় অাপন খেয়ালে
ভালবাসা রয় মোর অাখরে
শিয়র পাতি তোমার বুকে
জনম জনম বেধেছি মনে।

অারো ভালবাসো হে রানী
দাও গো সব দয়া তোমারি।
ভালবেসে পোড়া দেহ জ্বালি
তুমি হৃদয়ের অালোক বাতি।

সুধাই অামার মনের রানী
অার কতদূর সুখের পাখি?
বলো কতদূর স্বপন বাড়ি!
অার কতদূর পথের পাড়ি!

শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭

স্বপনের দুয়ারে

বারিধারায় ভিজেছি হিয়া
সখি তোমারে খুজে পাইতে।
অাহা কি সং এ সেজেছি গো
তোমারি স্বপনের দুয়ারে।

দীপ্তস্নান মেখেছি সর্বাঙ্গে
সখি তোমারি প্রেমে মজিতে
অাহা কি রং এ রাঙ্গিয়েছ
তোমার হৃদয়ের অন্দরে।

বাতায়নে ভেসেছি খেয়ালে
সখি তোমারি বাসনা মিলাতে
অাহা কি ঢং এ বাধিয়েছ
তোমার নাকের নোলকে।


মজেছি ভুবনে স্বপন তরি
ভাসাই কুলের নাইকো দাড়ি।



রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...