রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬

ক্রন্দনের কর্তা

অভিশম্পৎ এ অভিংশন করো নাকো প্রিয়সখা,
সহিষ্ণু দহনে অাত্মজ অনুশোচানায় রেখো মোরে।

মনমোহিনী তুমি অামার রানী
 বিদ্বূষী নারী
সজ্ঞানের পেয়ালা দাও
নিঃসন্দেহে ভাসি।


ধিক সন্দেহ, ধিক অবিশ্বাস
যাতনায় তব হৃদয়
অামি যে বরবাদ।

এ যে প্রিয়মুখ!
ভালবাসি তাইতো এত সন্দেহ।
অাচমকা দুরুদুরু
এই বুঝি হারালো!

ভালবাসি বলেই সখি সন্দেহ করেই যাব;
অাশিস-ভৎসনা যতই দাও
অমিয়-গরল যাহা পিয়াও
মাথা পেতে নিবো।

রাগাভিনয় অার নয় প্রিয়
মিথ্যাভয় অার নয়।
হ্যা অামি শিকারি
তুমি অামার শিকার মানবী।

প্রিয় সুন্দর!
তোমাতে শিকার
নিপিরনে অামার অাজন্ম সাধনা,
মৃদু থেকে মৃদুতর অাঘাত
অার অল্প বিস্তর ব্যথায় তোমারি অারাধনা।

ক্রান্তিকোণে সুখের যাতনায়-
চরম ক্রন্দন ছলছল।

ওহে মহিয়ষী নারী!
অামি তোমার নারীত্বের শিকারী
অনবরত চরম ক্রন্দনের কর্তা।

অনুশোচনা

কতো ত্যাগ, কতো মায়া
কতো কষ্টে অামায় করেছ ধারন;
তোমায় ছেরে অাজ সুখ খুজি মা
ভুলে তোমার লালন।

মম ললাটে তোমার স্নেহচন্দন টিপ
অার সাজের মায়ায় একেছ চন্দ্রবিন্দু,
ওরে অামার সোনা পাখি, ময়না পাখি
টিয়া পাখি ডাকে বেধেছ মায়ার সিন্ধু।

কত রজনী নির্ঘূম অার কতটা উৎকন্ঠা
একবার কেদে উঠলে,
তোমার স্নেহপর ধন এখন দিব্যি ঘুমায়
কিছুই অাসে যায় না তাতে।

'সাত রাজার ধন' এক দিন সাত রাজাসম বিরত্ব রাখবে তোমার পায়ে,
নিজ স্বার্থে বিকিয়েছি তোমার পা দুখানি,
হারিয়েছি দেশান্তরে।

কি ভুলটাই না করলে মা!

মস্ত মানুষ বানাবে, মস্ত জায়গায় পাঠালে,
ছেলে ঠিকই হচ্ছে মস্ত,
কিই বা লাভ হলো তোমার তাতে?

তোমার ছেলে দিব্যি সুখে, দূর পরবাসে বাস,
না খেয়ে অামায় খাওয়ানো,
তোমার হাতে মাখানো ভাতের ভুলেছি স্বাদ।

স্বরণে কি অাছে মা?
স্মৃতি ক্ষীণ হচ্ছে না?
অাজে ঘুম হয় খোকা বাবু ছাড়া?
তোমার তো বয়স হচ্ছে!

অাচলে হাত-মুখ মোছা
রাজকন্যার গল্প শোনা
এক রাজকন্যাতে অামার বচসা!

দেখ মা, অাজ নিজ অাশে রাজকন্যায় বসবাস
লাগেনা তোমার রুপকথা।

তোমার 'হাবলা' 'মাথা মোটা' ছেলে অাজ তোমায় জ্ঞান দেয়,
বিদ্বান অামি ঠিকি হয়েছি মা
তবে তোমার মত নয়।

দিন-মাস-বর্ষ নিদারুণ অপেক্ষা
ফিরতে তোমার কোলে,
বেকুব, নির্বোধ, অকৃতজ্ঞ অামি
অাজও ব্যর্থ তোমার পায়ে মাথা লুটাতে।

অনুশোচনায় দগ্ধ মা
ক্ষমা করো অামায়,
তোমায় অনেক ভালবাসি মা
ক্ষমা করো অামায়।

তোমাকে ভালবাসি

ওহে রুপসী বধুয়া!

তুমি অামার রাঙ্গা বউ
রাঙ্গা বউ এর রাঙ্গা গরন,
মধু চন্দের অাভা

লাল শাড়িতে জানোকি বউ
তুমি লাগো অপরূপা।

রক্তজবা ওষ্ঠধরে সিদুর রং এর মায়া
লাল লিপিস্টিকে বউ তোমাকে লাগে অতুলনীয়া।

রক্তাভ পরীর অববয়ে অপ্সরার গরন
কালোকেশী কন্যার কালো চুলে অমানীশার ভুবন।

লজ্জাবতী প্রিয়তার প্রেম দোলে ঐ লাজুকলতায়
প্রভাতফেরীর সপ্তক সপ্ন হোলি খেলে বউ এর চোখের তারায়।

সুকণ্ঠী প্রিয় কোকিলা তোমার মিষ্টি মধুর বানী
সরু শৈষ্ঠবের প্রতিটি কোনে চুম্বকীয় হাতছানি।

চিকনা কচি ডগা অার ডাগর কায়ায় সুবাসিনী চন্দনের অাবহ
পরিনীতার ভরাট অঙ্গে যৌবনের প্রবাহ।

প্রিয়দর্শিনীর সরু নাকে মুক্ত বিন্দুর ঝিলিক
বউয়ের ললাটে গোধূলীর রং ছুটছে দিকবিদিক।

প্রিয় সফেদ মুখখানা তাহাতে অপূর্ব তিল
মিষ্টি হাসির মায়াবীণে কিল হয়েছে দিল।

পেলব নম্র হাত তোমার, পাখির ডানার বাস
চিকন মায়ার হাতের ছোয়ায় মিটে মনের অাশ।

মহাপুরুষ অামি পাগলপ্রায় পাগলী প্রিয়ার চাহনীতে
অর্ঘমাল্য অাজি ধন্য নিজে সপে তোমার পদতলে।

পদ্মরানীর সর্পীচলনে বিদ্রোহী যৌবনের বিচরন
গদ্য পদ্য অাজ খেই হারিয়েছে করিতে প্রিয়তমের কিত্তন।

প্রিয়সখী! কপাট সরাও
গ্রহন করো প্রেমমাল্য, এসো স্রোতে ভাসি।

অাপন করো অামায়-
একবার বলো "প্রিয়তম গাধা, পরিভ্রমণ তোমার হৃদয়ে
তোমাকে ভালবাসি।"

অাকুতি মিনতি সখি
চল সাত পাকে বাধা পরি
এবার হও বাস্তবতা,
দেবী অামার তুমি
তোমাতে পুজোয় অামি দিওয়ানা।
কোন উপমাতেই প্রিয়দেবী হয়না তোমার তুলনা।

ওহে সখি!

তুমি অামার শুধুই "রাঙ্গা বউ", "ভালবাসা"
তুমি কখনো ভুলোনা।

লাল মায়াজাল

তুমি অামার রক্তকাঞ্চন
শাশ্বত লাল মায়াজাল।
লজ্জাতে প্রিয়সী লাল
মম হৃদয় ছুয়ে লাল।

প্রিয়ার বেনীতে লাল ফুল
লাল মেহেদির হাত,
লাজুক ঠোটে রাঙ্গা হাসি
রক্ত গোলাপের বাস।

তুমি অামার প্রাণ বধূয়া
হাজির মম রক্ত কণিকা।
দিলাম তোমার সর্ব অঙ্গে
জরিয়ে রেখো রক্তলাল।

ভালবাসা লাল লাল লাল,
ছুয়ে দিয়ে লাল লাল লাল
ভাঙ্গাও অামার লাজ,
লজ্জাতে অামি লাল।

উত্তরের অপেক্ষায়

কামিনী তব প্রেম সুধায় অামাতে উন্মাদনায়
উষ্ণ লহরি ঢংয়ে মাতাল অামি
তোমাতে মাতোয়ারায়।

সপ্ন অাজি সত্যি হয় চর্তুিদকের হাওয়ায়,
ধন্য মম হৃদয় প্রিত অামাতে
চমকিত অাত্মহারায়।

তুমি অনন্যা!
 তব অসীম ভালবাসার মায়াবী ছায়ায়,
সীমা পেরিয়ে সীমাহীন সুখ
অানন্দে তব নিশ্চুপ অভ্যর্থনায়।

কোমল অাদর মাখাতে নিদ্রাসুখ মোর
জাগরনে তৃপ্তি
প্রেম বর্ষণে অামি বর্ষিত
স্নাতে সুখানুভতি।

তোমারি উৎকণ্ঠায় অামি বিনিদ্র
নির্ভয়াতেও অনিষ্ঠ,
এই সাহসিক, এইতো ভীত
এই ধনবান, এইতো দরিদ্র।

প্রিয়তমা তোমারি অাপেক্ষিকতায়-
ক্ষণে ক্ষণে নয়নধারা রং বদলায়।

প্রিয়া তুমি প্রাণ, অাবার প্রাণঘাতী
নীল সিন্ধু, রাঙ্গা দিপ্তি
জোসনার শশাধর,
গোধূলীর অারতি।

একবাক্য সখী তুমি মোর-
"তিমিরে কান্ডারী"।

তোমাতে অধিকারে-
"সাত মনিহার, সপ্তবর্না, চিরসবুজ, লাললজ্জা, পবিত্র সফেদ"
অাজি অাত্মবিসর্জনে

অস্থির ব্যাকুলতায় প্রেমনিবেদনে
অার তোমারি পদ্মপায়ে লুটাতে ।

অপূর্বা, অপরূপা, অতুলনীয়া, দূর্বোধ্যা তুমি
কি সাহস অামার তোমায় অাবিস্কারে!

তুমি রাগরাগিণী, নিভৃতচারীনী, অর্ন্তমূখিনী, বর্ণচোরা
কোন রংঢংয়ে অামি চিনি?

প্রিয়তমা বধূ!
এতো অাতিথ্য কোথা পাও!
কোন ঢংয়ে ভালবাসা হয় এতো মধুময়!

কসম সখি, তুমি অামার অাজন্ম ভালবাসা
ভয় হয়, সাতজনমে এমনি করে ভালবাসবা তো?

বলো সখি বলো- চটজলদি বলো!
উত্তরের অপেক্ষায়।

অনুশোচনা.....


কোন অালোকে সপ্ন চাহি দিপ্তিলোকে ভুলে?
কোন পূর্ণিমা অঙ্গে মাখি চন্দ্রিমাকে ভুলে?

কোন অাকাশে ফানুস উড়াই গগনীকে ভুলে?
কোন মৃত্তিকায় বসত করি ধরনীকে ভুলে?

কোন উল্কার পতন গুনি সন্ধাতারা ভুলে?
কোন তারাতে জেগে থাকি শুকতারা ভুলে?

কেন খেয়াতে না'ও বাহি জীবনতরী ভুলে?
কোন দিকে পাল তুলি মনপবনকে ভুলে?

কোন মরীিচকায় বসত করি, প্রিয়মুখ ভুলে?
কোন মনেতে এবাদত করি, প্রিয়ার উপসনা ভুলে?

কষ্টের গরল পিয়ে, দুঃখিনী হাহকারে,
হারিয়ে অাপনাতে, তুমি গো 'প্রিয় এর বিরহে'!

অজ্ঞাত, অবুঝ, অসমর্থ অামি,
অাজো ব্যর্থ তোমায় বুঝিতে।

'অালোকে অন্ধকার অার অন্ধকারকে অালোক'- বিচারে ভুল।
সাংঘাতিক ভুল, মারাত্তক ভুল!

বিষাধসিন্ধুতে ভাসাই তোমায়
বিরহের প্রতিশোধগ্রহণ !

অাজি তুমি নিশ্চুপ, নিদ্রাবিভোর
মূক-বধির, প্রিয়তে অাড়ি,
অভিমানী, অর্ন্তমূখি, বাসা বাধো অন্তঃপুরে
মায়ার বাধন ছাড়ি।

কও না কথা একবার!
কি ভুলটাই না হলো!
কতোবার তোমায় ডাকি!

অাহারে!
প্রিয়সখায় নাহি চিনি
বধূর মন নাহি পড়ি
অকারনে ভুল বুঝি!

দিকবিদিক চিন্তাশূন্যে
বিভ্রান্ত অামি, মাতাল অামি।

অপরিনামদর্শী-
প্রেমার্ঘ্য পদতলে গড্ডলিকায় ভাসি।

কি দুঃসাহস অামার, কি নিষ্ঠুর অামি!
অাহা! কি অনুশোচনায় মরি!

অায়! অার একাবার ফিরে অায়
করো অামায় সখি।

গোলাম-দাস, অাজ্ঞাবহ- ভৃত্য
জ্ঞানী-মূর্খ, বিজেতা-বিজিত
যেরূপেই চাস অামি হতে রাজি।

সন্দেহ সব মিথ্যা
অবিশ্বাস সব অলীক
সব অভিযোগ মেকি

তুমি শ্বাশত
ভালবাসা সত্যি
অামি সত্যি
তোমার জন্য সত্যি।

শুনো বাবু!
দেখো কত নামে অামি তোমায় ডাকি!

প্রিয়তমা বধূ জিকির তোমাতে-
জপিতে অাকুল অামি।

প্রতিজ্ঞা করছি-
এবার শুধুই চিরসুন্দর, চিরসত্য
চিরসবুজ, চিরসহচর হবো;

শুধু ভালবাসবো, শুধু ভালবাসবো, শুধু ভালবাসবো!
অামি তোমাকে ভালবাসি।"

"অা ম ই- ত ও ম অা ক এ- ভ অা ল ব অা স ই"।

জীবনেতিবৃত্তে অদ্য দিবসের অন্য এক মানে অাছে!
অাজকের দিবস নব অধ্যায়ের শুরু।

নতুন গল্প,
অধরা রূপকথামালা বাস্তবে বর্ননা।
অায়নাতে নিজেকে নতুনভাবে চেনা।

সুখের অার্বিভাব, প্রশান্তির অাবহাওয়া।
দুটি প্রাণ একসুরে গাথা।


সৃষ্টি প্রাম্ভের চির-পুরান ইংগিতই,

চিরনতুনভাবে দুই কণ্ঠের সমস্বরের ধ্বনিত বর্ণমালা- 
"অা ম ই- ত ও ম অা ক এ- ভ অা ল ব অা স ই"।

-পাণী প্রার্থনা-


মিনতিপূর্ণ ব্যকুলতা
অনুগ্রহপূর্বক অাকুলতা
অার্শীবাদপুষ্ঠ প্রার্থনা প্রিয়তা তোমাতে।

সহায় করো অসহায়তায়
মুক্তো করো শৃঙ্খলতায়
সুস্থ করো অসুস্থতায়
সহচর হও একাকিত্বতায়।


এক মুঠো সুখ চাই
এক সপ্ন প্রিয়মুখ চাই!

এক শ্রুভ্র প্রভাত চাই
এক শীতল বায়ুপ্রাণ চাই!

এক নীল অাকাশ চাই
এক লাল গোধূলী চাই!

পুনঃ পুনঃ বলতে চাই
অামাকে একটু ভালবাসতে পারবা!

ও প্রিয়তমা!
দৃষ্টিভ্রমে অবুঝ নাহি যেন হও
বিনিবিচারে মিথ্যা নাহি ভাবো।

দ্ধিধামস্তিষ্কে দৃষ্টিকটু করোনা অামায়
বাজারগপ্পে নাহি ভাবো অামি নকল।

সময়রেখার সব ভুল অাজি তুমি বিনে
অাবার কালযাপনের সব সঠিকতা তোমার কারনে।

ক্ষণেক্ষণে মরিগো সখী গরলের মরণলোভী সাধে
পূর্নজন্ম বারংবার অমিয়ের পিয়াসী খেয়ালে।

প্রিয়া তুমি গরল-অমিয়- সর্বাকারে বেশ
অনবরত জন্মি-মরি নাহি মোর ক্লেশ।

অাত্মস্বীকার, মস্ত ভুল করেছি সখি
কষ্টেসৃষ্টে পূর্ণবিষাদে ভাসাই প্রিয়াকে
'অমার্জনীয় অপরাধ'!

প্রিয়তমা বধূ, অামার মহিয়ষী নারী,
চোখের তাঁরা, একমাত্র মনিহার, ইস্ক অগাধ।

তব বিহনে অামাতে ছিনু দিশেহারা,
রাঙ্গা বউকে হারালে হবো অাবার দিশেহারা।

অামার মহারানী!
দয়া করো অামতে!
অার একটিবার মাত্র ক্ষমা করো।

কথা দিচ্ছি- 
ছাড়বো না অার কখোনো, যাবোনা কখোনো।
শুধু ভালবাসবো জীবনের লাগি।

এই নাও করলাম তিন সত্যি!
এক সত্যি, দুই সত্যি, তিন সত্যি;
অামি তোমাকে ভালবাসি।

ব্যাকুল প্রাণ

চাহিতে ব্যাকুল প্রাণ,
প্রিয়দর্শিনীর নিষ্পাপ অববয়।

কিছু মুহুর্মুহু ক্ষণের অপেক্ষা শুধুমাত্র-
অাজ প্রেমিক অাত্মার অস্থিরতার দিন

হয়তোবা অাজো তুমি স্থিতিশীল!
হবে কি চঞ্চল অাজ অামার মতো?

কীর্তন

রক্তপ রং, অাচারে ঢং,
অভিব্যক্তি সং, বচনে ভং।

পিরিতে নাব্য, ওষ্ঠে হাস্য
হৃদয়ে কাব্য, সুকণ্ঠি শ্রাব্য।


সুখ অনন্ত, বিরাজ বসন্ত
প্রেম অাগন্ত, তৃপ্তি প্রশান্ত।

ভবিষ্য সপ্নময়, সঙ্গ অাবেগময়,
জীবন গদ্যময়, বিবাদ ছন্দময়।

তুমিতে শ্রবণ, ছোয়াছে প্রবণ,
অস্থির পরিস্রাবণ, বিরহে মরণ।

রূপে অলংকার, নুপুরে ঝংকার,
মনে সংকার, গৌরবে অহংকার।

বেনী সর্পীল, চলন উর্মিল
রাগ বর্মীল, প্রেম বর্ণিল।

হলুদ বসন্তী, কোকিল প্রিয়ন্তি,
বর্ষা ভ্রান্তি, বাহার অন্তি।

ব্যবহার ভদ্র, সাধনে অভ্র,
শীতল শুভ্র, শরতে ভাদ্র।

বিশালে নিলাদ্রী, শীতলে হিমাদ্রী,
ধর্মে পাদ্রী, ভরণে অদ্রি।

লক্ষ্য অবিচল, প্রতিদান প্রবল,
পবিত্র সকাল, পিয়াসী বিকাল।

দেহে সুঘ্রাণ, নবান্নে অঘ্রাহয়ণ
যাতনে পরিভ্রমণ, বাতায়নে প্রবাহণ।

ভালবাসা চক্রাকার, তুমিতে বাজিকর
বচনে অঙ্গিকার, গুনে সুপ্রকার।

সাকারে অার্তি, নিরাকারে ভক্তি,
বাস্তবিক প্রশান্তি, কল্পনায় সত্যি।

প্রিয়তমা! প্রিয়া! প্রেমী!
ভালবাসা! ভালবাসো! ভালবাসি!

-সন্ত্রাসীর পাচালী-


অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী
অামি অাজও বিদ্রোহী,
তোমার নামে!
তোমাকে অপহরন করবো
 হলাম অপহরনকারী,
তোমার নামে!

ভোল বদলে ভিন্নরূপে
হয়েছি বর্ণচোরা,
তোমার নামে!
ভালমানুষের অন্তরালে 
 কুৎসিত মুখোশধারী,
তোমার নামে!

কলমের বদলে হাতে
এ কে ফোর্টি সেভেন,
তোমার নামে!
পবিত্র হাতে ফুলের বদলে
অাজ হাত বোমা,
তোমার নামে!

জীবনের কাছে পরাজিত
অাজ করেছি জিম্মি,
তোমার নামে!
প্রেম যুদ্ধে হেরে 
সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত,
তোমার নামে!

তোমাকে হারানের
প্রতিশোধে দেশ বিকাচ্ছি,
তোমার নামে।
প্রেমিক অাত্মার খুনের
প্রতিশোধে করছি অাদম খুন,
তোমার নামে!

ভালবাসায় অাদর
পায়নি তাই হয়েছি লম্পট,
তোমার নামে!
বিশ্বপ্রেমিক হতে না পেরে 
বিশ্বধ্বংসে লিপ্ত,
তোমার নামে।

কলঙ্কিত ভালবাসার পরসে
জাতিকে মেখেছি কলঙ্ক,
তোমার নামে!
প্রেমে মরেছি একাবার
 অাসল মরন সামনে,
তোমার নামে!

গুলশান হতে অামি
দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী বলছি,
অামি অাত্মসমর্পনে প্রস্তুুত-
যদি একবার বলো ভালবাসি!

সমরসজ্জা তোমার জন্য


তোমার জন্য সমরসজ্জা প্রস্তুত,
অাইসিস এর মত ভয়ংকর প্রতিবন্ধক
তোমার অার অামার মাঝে

একে এসাল্ট ২২, একে ৪৭, গ্রেনেড,
গোলা, বারুদ, পিস্তল, তলোয়ার অার 
পাঁচটি হিংস্র হায়েনার মোকাবেলা।


ফারাজ অাইয়াজ হোসেনের মত রুখে দাড়াবো,
ভেঙ্গে দিব শৃঙ্খল,
প্রতিঅাক্রমনে ছিন্ন করবো প্রতিপক্ষের দূর্গ।

নেমেছি বীর বেশে-
অাত্মত্যাগ তোমার জন্য।

এবার অামি মরবোনা-
জয়ী অামকে হতেই হবে,
দুষ্টের বিনাশক হয়ে,
তোমার কাছে অাবার ফিরে অাসবো।

ক্লান্তি অার ক্লেশের মৃশ্রনে রক্তাক্ত হাতে
সর্ব বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে-
হাটু গেড়ে, ময়লা হাতে এক গুচ্ছ
শুষ্ক লাল গোলাপ নিবেদনে-
অাবার তোমার নয়নে নয়ন রেখে
কম্পিত কণ্ঠে বলে উঠবো-

বহুদুর হতে অাবার ফিরে এসেছি,
রাঙ্গা বউ- অামাকে একটু ভালবাসতে পারবা?

তোমার জীবনকে জীবনের তরে!

জীবন জীবিত তোমার ভালবাসায়,
জীবন মৃত তোমারই বিচ্ছেদে!

ভাগ্যবান

প্রিয়দর্শিনী
তব প্রতিদর্শনে নব্য দিগন্তের অারম্ভ-
রূপবতীর রূপকাঠির ছোয়ায় নব ইন্দ্রিয়ের প্রারম্ভ।

রুপকথার রাজকন্যারা হোলি খেলে প্রিয়ার যৌবনে
নিযুত কোটি রাজপুত্রের প্রেমনাজরানা প্রিয়তমার দরবারে।

অসাধারন তুমি নিতান্তপক্ষে সাধারনকে গ্রহন করে
অামি 'সাধারন' ভাগ্যবান তোমায় পেয়ে।

সম্পর্কের বক্রতায়

সম্পর্কের বক্রতায় তুমি, অামি অার অামরা।
অামরাতেও শুধু তুমি অার অামি!

তৃতীয় পক্ষের কোন স্থান নাই।
উহাদের হাতছানিও অসহ্য।

বৃষ্টিপ্রেমী

মন অাষাঢ়ে বাণ ডেকেছে
সকল মানব বিরহী দেহে!
প্রকৃতিঘটিত বিরহ পতন
সাক্ষী মেঘমালা অশ্রুজলে।

ক্রন্ধন জলধারায় কলঙ্কের নাশ
প্রিয়ের চিবুকে রেখে হাত।
অাবার সজীব হোক ধরণীতল
সকল ময়লা ধুয়ে যাক।


বৃষ্টিপ্রেমী,হৃদয় দিয়েছি  
বৃষ্টিসখী, জীবন সপেছি।
জলকন্যা, জল ছুয়েছি
পবিত্র করো অামায়।

সাধ্য কই?

দিবাকর নই,
তারও সহস্রকোটি মাইল দূরের তারকা অামি।

অস্ত যাওয়াই চিরন্তন ধর্ম,
উদয়ের সম্ভবনা ক্ষীণ।

শুক্লপক্ষ নহে,  কৃষ্ণপক্ষে অামার বসবাস।

কালভেদ্রে মাঝ নিশিতে শুধু দেখা মেলে।
অাবার প্রভাতের অাগেই মিলাই অদৃশ্যে।
এক অাজলা অালোকরশ্মি হয়ে তোমার কপাল ছুবো- সে সাধ্য কই?

কোনটা তুমি?

সর্বশ্রেষ্ঠা তমা অামার!

ভূধরের কণ্টকশয্যায় তুমিই একমাত্র সুখের উদযাপন,
অাবার উহারই সরাইখানায় হাহাকারের অার্তনাদ।

যাতনাতে তুৃমি, হরিশে তুমিগো প্রিয়া।

সৃষ্টি সুখে তুমি কল্যাণময়ী,
অাবার প্রলয়ে ধ্বংসের প্রতিমুর্তি।

সুধাই, অভাগা প্রেমিকের জন্য কোনটা তুমি?
বলবে কি চুপিচুপি?

খাটি তৈল।

কেশবতী কন্যা
তোমার ঐ কালো চুলে হারিয়ে অামার হিয়া,
ছুটেছি মহাকালে, খুজিতে ফিরিতে মম অাত্মহারা।

ভ্রমর কালো ধার করে, চুলে অমানিশার বাসা
সর্পী বেনীর সুখের ছন্দে হই পাগলপাড়া

যত্নে রাখিও পরী ঐ দিঘল কেশের বাহারি ঢং।
কেশের গন্ধে  করিও মাতাল অামার প্রাণ।

কেশবতীর হৃদয় খাটি-
তোমারি স্পর্শে  তৈল হয় খাটি।

সপ্ন পরী

সপ্ন পরী তোকে নিয়ে দিব অাকাশ পাড়ি,
সপ্ন মেঘপুঞ্জে তোর অার অামার শূন্য উদ্যান।

ভালবাসার ফোয়ারা ফুটাবো তুমি অামি,
বিস্তৃত মহাকাশ পার হয়ে ভিন গ্রহে-
তোমার অামার বসবাস।

অাশ্বাদনে নতুন প্রাণের জন্ম অামাদের,
সৌরজগতে নতুন তারকার অার্বিভাব।


চলোনা বউ অাজ থেকে অাবার হোক

মধূ চন্দ্রিমার অারম্ভ!

'চুম্বন'!

চন্দ্রমাসে চন্দ্রনিবাসে চন্দ্রমূখীর চন্দ্রিমা চাহনি।
চন্দ্রিকার চয়ন চিবুকে চাপরাশির চাপাহাসি।

চয়নিকার চলনে চন্দ্রমল্লিকার চন্দন চারিকোণে।
চাঁদবাবুর চাতক চোখে চাঁদরাণীতে চরম চাহিদা-

'চুম্বন'!

নেশা


নেশাটা 'দৈহিক ও মানসিক', একই উদরের নবজাতক।
নেশার তীব্রতায় পশুতে রুপান্তরিত হয় মানুষ।

প্রচন্ড ক্ষুধার্ত পিপাসী জন্তুজানোয়ারে মতো!

নিউরোনের ডান সেলগুলো বলে বস্তুটি নিষিদ্ধ-
মানসিক বিকৃতি, দূরে থাকো।

অার বাম সেলগুলো বলে-
স্থিতিশীলতার জন্য স্বাদ গ্রহণ অবশম্ভাবী,
যদি বাঁচতে চাও তো গ্রহণ করো।

কোনটা শ্রেয়?

অন্ধকারের প্রেম

কানের কাছে অনবরত টিপ টিপ বর্ষণ।
মনে হচ্ছে কোন বিরহী নারীর প্রেমিকতে
মিলনের ক্রন্দনরত অাত্মচিৎকার।

সবার কানে ক্রন্ধনের অাওয়াজ অাসছে
শুধূমাত্র অন্ধকারের ঐ প্রেমিক ছাড়া।

সে এখন দিব্যি ঘুমায়।

কেমন প্রেম এটা যার শুধূ অন্ধকারেই বাস?
ভোর হওয়ার অাগেই মিলিয়ে যায়-
লোকচক্ষুর অাড়ালে, সমাজকুলের অগোচরে?

অালোতে যে প্রেমিক অাসতে পারেনা

তাকে কি প্রেমিক বলা যায়?


অার যাই হোক সুপারম্যান নয় সে-
হতে পারে সুপারহান্টার।

অাসল/অভিনয়

যে মানুষটির বাইরে কঠিন মোড়কের
অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়,
প্রকৃতপক্ষে তারাই পৃথিবীতে
নরম প্রকৃতির মানব।

যে মানুষটি বাইরে সুখী থাকার ভাব দেখায়,
মূলত তারাই জীবনে বেশী অশ্রু ঝরায়।

মানুষ বড়ো অাজীব একটি জন্তুু!

বাইরে দেখে ভিতরের অাসল মানুষকে চেনা সহজ নয়।
দৈবক্রমে কেউ চিনলেই সম্পর্কের বৈপরিত্য শুরু।


দৈবক্রমে বলাটা অাসলে ঠিক হলো না-

মানুষ চেনা দুনিয়ারর সবচেয়ে কঠিনতম কাজ।


প্রকৃতপক্ষে এর জন্য উচ্চ মস্তিষ্কপ্রসূত
অনুভতিপ্রবণ হৃদয় থাকা চাই।
অবশ্য এরূপ শ্রেনীর প্রাণী প্রায় নগন্য।
অভিনয় গুলোই বাস্তব হিসেবে ধরা দেয়।


এজন্য বলা যায়-

পৃথিবীতে কোন মানুষই বাস্তবাদী নয়, 
অভিনয়ের নামান্তর!

-দিবাসপ্নের মায়ায়-


অমবশ্যায় নিঝুম দ্বীপে বিনিদ্র অামি-
জোছনা দেখবো বলে।

শ্রাবনের ধূসর মেঘমাল্যে দৃষ্টি অামার-
দিবাকর দেখবো বলে।

কল্পনার ব্যস্তানুপাতিক বাস্তবতায় নিত্যদিন অামার-
সপ্ন দেখবো বলে।

ক্লেশে সখ্য অামার ভারী-

সুখকে ছোবো বলে।

মৃত্তিকার অতলে বসবাস অামার-

অাকাশ দেখবো বলে।

ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে বির্সজন দেয়েছি-

বিদ্বান হবো বলে।

হিম হাওয়ায় গতর জুরাই-

বসন্তবায়ুর খোজে।

ভাটির না'য়ে পাল তুলি-

জোয়ারে ভাসবো বলে।

কুয়াতে সাতার কাটি অামি-

সমুদ্র স্নানের অাশে।

মনুষ্যবিহীন মহাকালের খেয়া একলা পরিব্রাজক অামি-

প্রিয় প্রাণের সন্ধানে।

জীবনানন্ত ছুটে বেড়াই বেদুইন অামি-

সপ্ম কুটিরের খোজে।

তোমার মেরুর বিপরীতে অাজন্ম বসবাস অামার-

তোমাকে পাবো বলে।

মরণের সাথে গড়েছি সখ্য মৃত অামি-

জীবনকে পাবো বলে।

এভাবেই বেশ অাছি-
দিবাসপ্নের মায়ায়!

সুখ

সুখ এখন অার অাপেক্ষিক বিষয় নয়,
তোমার সীমাহীন ভালবাসা
সুখকে সঙ্গায়িত করেছে।

এর চেয়ে বেশী চাওয়ার নাই প্রিয়তমা।
ভালবাসা হোক নীলচে হিমাদ্রি
নীলিমার অাচলে,
জোসনার শীতলা অালোয়
শ্রাবণের জলকেলিতে।

গল্প তবে হলো শুরু-

চল সপ্ন দেখি।

অপেক্ষা

অাটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগর
অালাস্কা হতে কোরীয় উপদ্বীপ
উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু
অামাজন থেকে সুন্দরবন
বিশ্বলোকে খুজেছি তোমায়।

খুজে ফিরেছি সৌরজগতে, গ্রহাণুপুঞ্জে
নিহারিকায়, ছায়াপথে ও ধ্রুব তারায়-

এখনো তুমি অদৃশ্য মানবী!

অাট ঘাট বেধে নেমেছি এবার,
মহাকর্ষ ছিন্ন করে মহাকাশ ছারি খুজতে যাবো কৃষ্ণ গহ্বরে।

বালিকাবধূ সেখানেই হবে অামাদের ধূষর বাসর।
অপেক্ষা করো অামি অাসছি।

মিনতি

দক্ষিণের বায়ু অামার খুবই প্রিয়,
সপ্ন দেখি- একদিন কংক্রিটের এই শহর ছেড়ে
 দক্ষিণের কোন জনশূন্য অরণ্যে 
চীরস্থায়ী বাসা বাধবো।

যন্ত্রের বাগডম্বরের বাইরে
কাচের দেয়াল অার অাত্মকেন্দ্রিক সমাজ ফেলে
প্রকৃতিজাত স্নেহে পরিপূর্ণ এক জীবন।

অরণ্য ধারে বয়ে যাওয়া
টলটলে পানিতে তৃষ্ণা মিটাবো।
তারি পাশে সবচেয়ে উচু
সবুজ বৃক্ষটি হবে অামার নিড়।
ছাদহীন ঘরে অামার সীমানা নীল অাকাশ।


ইচ্ছে হলে পাখির সাথে সুর তুলবো

ক্ষিদে পেতেই মাছ ধরে ঝলসে নিবো
রাতের অাকাশে তাঁরাদের সাথে গল্প করবো।


অার পাশে থাকবে তুমি অার সপ্নগুলো
প্রাগঐতিহাসিক যুগের ভালবাসায়

নতুন ভ্রণের জন্ম দিব অামরা।


নাম দিব অাদম নতুবা ইভ। 

নতুন সভ্যতার সূচনাতে

অামারা হবো অামরণ সহচর।
সপ্ন দেখি নিরন্তর, যাবে অামার সাথে?

পরাজিত

অামি শূন্যচিত্ত বিলাস সঙ্গী,
অামার অানন্দ বিরহে।

অামি বাস্তুহারা ভাসমান জীব,
অামার অানন্দ মুক্তিতে।


অামি সভ্যহারা বিবর্জিত পুরুষ,
অামার অানন্দ কাপুরুষতায়।


অামি হৃদয়হীন কষ্টের দেয়াল,
অামার অানন্দ নিষ্ঠুর অাঘাতে।

অামি কামাসক্ত কুৎসিত জানোয়ার,
অামার অানন্দ প্রচন্ড যাতনায়।

অামি অসভ্য অাদিম যাযাবর,
অামার অানন্দ গোরা কুসংস্কারে।

অামি দিকভ্রান্ত অর্বাচিন পথিক,
অামার অানন্দ বন্ধন ছেদে।

অামি সার্থপর লোভী পুরুষ,
অামার অানন্দ পরশ্রীকাতরতায়।

অামি জীবন যুদ্ধে ব্যর্থ মানুষ,
অামার অানন্দ অাত্মকান্নায়।

অামি পরাজিত সমর সৈনিক,
অামার অানন্দ অাত্মত্যাগে।

অমানুষ


অামি পঙ্কিল, অামি দুষ্ট
অামি বিরাগ, অামি ভ্রষ্ট

অামি জরা, অামি ব্যাধি
অামি কষ্ট, অামি ব্যাথা

অামি কুটিল, অামি দূর্জন
অামি মিথ্যুক, অামি চাটুকার

অামি খলনায়ক, অামি অমানুষ
অামি কলঙ্ক, অামি অপমান

অামি দূভাগ্য, অামি অনিষ্ট
অামি জাদুকর, অামি ধূর্ত

অামি চালাক, অামি কুবুদ্ধি
অামি ক্রোধ, অামি হিংসা

অামি কামনা, অামি অহংকারী
অামি বিসাক্ত, অামি দহন

তবুও অামি সন্মানিত-
পৃথিবী যে অনেক বোকা!

সৌভাগ্য

সৌভাগ্য খুবই অাপেক্ষিক ব্যাপার।
উদাহরন স্বরূপ,
এমনও হতে পারে যে তুমি নিজেকে
নিতন্তই সাধারন গোছের
একজন মানুষ ভাবতে ভালবাস

সহজভাবে বাঁচতে চাও
অপরদিকে অামি খুবই ভাগ্যহীন।

অামার সামনে তাই তোমাকে
দেখাবে অসাধারন ভাগ্যবান।
অাবার তুমিও এমন কাওকে পাবে
যার কাছে তোমাকে ভাগ্যহীন মনে হবে,
তাকে মনে হবে সৌভাগ্যবান।

জীবন একটা গোলক ধাধা,
এটাকে সহজভাবে বিশ্লেষণ করাটা যেমন বোকামী,
অাবার জটিল করাটা অারো বোকামী।

যার যা অাছে,

তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত নয় কি?

বাস্তবতা

পৃথিবীতে কেউ খারাপ না,
কোন কিছুই খারাপ না।

বিশ্বলোকে যা কিছুই ঘটে সবই
পারিপার্শ্বিক অবস্থার জন্য।
অবস্থা ভাল কি মন্দ তাও নির্ভর করে
পারিপার্শ্বিকতার জন্য। 

একজন মানুকে চিনতে হলে
অাগে তাকে নয়,
তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা জানা
অতীব জুরুরি।

সমস্যা হলো কেউ তার ধারের
কাছে যেতে চায়না।
অার এজন্যই যা খারাপ ছিল
তা অারো খারাপের দিকে পতিত হয়। 

অামরা শুধূ ছিঃছিঃ ছিঃ
বলা নিয়েই ব্যস্ত থাকি।

ছোট গল্পটি

অালোর পাখি অাজ যেন অন্ধকারের,
অচেনা পৃথিবীর পানে পাখা মেলেছে-
চীরজীবনের জন্য।

বহুদূর চলে যাচ্ছে
তারপরও মনে হচ্ছে
পাশে অাছে ছায়ার মতন।
চাইলেই যেন তাকে দেখতে পাওয়া যায়।

অামি প্রতি রাতে চেয়ে থাকবো
তার অাকাশ পানে,
অামি নিশ্চিত তার হাসি তখনো
অাকাশে ছড়িয়ে থাকবে তাঁরায় তাঁরায়।

তার ডানা ঝাপটানোয় জোসনা মুছে যাবে।
ছায়া পড়বে ধুলো মাটিতে,
ডানার ছায়াতলে গিয়ে দাড়াবো

গায়ে মাখবো ছায়ােবস্টিত ধূলোমাটি,
তার স্পর্শেন্দ্রিয় মিলনে পূর্ণতা পাবে ছোট গল্পটি।

-: বৃষ্টি :-


বৃষ্টি তুমি মেঘ মাল্যে
বৃষ্টি তুৃমি ধরার উঠোনে

বৃষ্টি তুমি নীল সাগরে
বৃষ্টি তুমি জলরাশিতে


বৃষ্টি তুমি ঝরনাধারায়
বৃষ্টি তুমি পথে পথে


বৃষ্টি তুমি বৃক্ষরাজিতে
বৃষ্টি তুমি গহীন অরণ্যে


বৃষ্টি তুমি শুষ্ক মরুতে
বৃষ্টি তুমি মন পবনে


বৃষ্টি তুমি সবুজ ঘাসে
বৃষ্টি তুমি শীতল পরশে


বৃষ্টি তুমি সপ্ন ছোয়ায়
বৃষ্টি তুমি পাখির ডানায়


বৃষ্টি তুমি অট্টহাসিতে
বৃষ্টি তুমি অাত্মহারায়


বৃষ্টি তুমি চরম অাবেগে
বৃষ্টি তুমি অানন্দাশ্রুতে


বৃষ্টি তুমি রিনিঝিনিতে
বৃষ্টি তুমি বুকের মাঝে


বৃষ্টি তুমি চোখের কোঁনে
বৃষ্টি তুমি অামার প্রাণে


বৃষ্টি তুমি অামার প্রেমে!

"বৃষ্টি, বৃষ্টি, বৃষ্টি"- শোনছো কি?
অামি তোমাকে ভালবাসি।

প্রতিজ্ঞা

সপ্ন সারথি,
হতে পারি অামি তোর মস্ত ভুল-
তীব্র দহনের কারন।

বিশ্বাস করিস মনের মাঝে-

একটু ঠাই দিস তোর চোঁখের কোনে,
ভুল থেকে অামি হবো শ্বাশত।


যদি হই দহনের কারন-
প্রশান্তিও অামি হবো নিশ্চিত।


স্বপ্নময়ী রানী
হতে পারি আমি তো বেখেয়ালের অনুশোচনা
অতৃপ্তির সুখের পেয়েলা।

যাস না ছেড়ে দূরে
ঠাই দিস তো মনের মাঝে
অনুশোচনা থেকে আমি হবো আশির্বাদ।

যদি তো অতৃপ্তির কারন আমি হই
তৃপ্তি ও আমি হব নিশ্চিত।

অনুকরন গোলক

যে অত্যান্ত কুৎসিত অবহেলায়
মুখ ফিরিয়ে নিয়েছ,
যে সহসাই বদলে গেছে,
সবকিছু বদলে দিয়েছ।

যে শুধূ ছকে বাধা জীবন কামনা করে,
যে জীবনে ব্যর্থতাকে ভয় পায়।


যার কোন রাগ নেই বলে বিশ্বাস করে না,

নেই কোন জরা।
যে হিংসাকে অস্বীকার করে,

জটিলতা পরিহার করতে চায়।

কুটিলতাহীন অার যুদ্ধ বিমুখ

একজন মানুষ।

তার সবকিছুই অাছে,

কোন কিছুই যেন হারাবার ভয় নাই।
সে শুধূ চায় সফলতা,

সবকিছু ঠিক যেভাবেই সে চায়।

তবে শোন হে সঙ্গী,

ওটাকে জীবন বলে না,
অাসলে তা ভয়ৎকর

একঘেয়ে সময়ক্ষেপণের নামান্তর।

যে জীবনে চরম অনিশ্চয়তা খেলা করে,

ডুবতে ডুবতে ভেসে ওঠে
তাকেই জীবন বলে-
বৈচিত্রময় জীবন।

তবু তুমি বদলে গেছ

ছকে বাঁধা জীবনের জন্য
সবকিছুই বদলে গেছে।

শুধূ বদলাইনি অামি-

তোমাকে অাজো অন্তরে রেখেছি
হৃদয়কে করেছি চতুষ্কোণ প্রতিবিম্ব।

চৌকোনাতেই অাছ তুমি

চাঁরটি ভিন্ন ভিন্ন রংয়ে।
প্রথমকোণে সাদা মানবী,
দ্বিতীয় কোণে লাল পরী,
তৃতীয়কোণে হলুদ পাখি,
অার চতুর্থকোণে কালো মূর্তি।

তোমায় পাবার জন্য অামি এখনো

তোমার অনুকরন গোলকে অাবদ্ধ।

যদিও কোনদিন তোমার দৃষ্টিতে

তেজস্বী সিংহ ছিলাম না,
বরাবরের মত ধূর্ত ইদুর বলে
ভর্সণা করেছ প্রতিক্ষণে।

তবু অামি বদলাইনি প্রিয়তমা বধূ-

তোমার জন্য রয়েছে বুকের ভিতর
জন্ম নেওয়া গভীর ভালবাসা।

তুমি অনেক বদলে ফেলেছ নিজেকে,

শুধূ বদলাইনি নীল সমুদ্র
সবুজ পর্বত অার অামদের নীল অাকাশ।

তাইতো ইচ্ছে করে পর্বতের চূড়ায়
একা বসে তোমার কথা ভাবতে
অার পাহারি কড়ই গাছের
দিকে তাকিয়ে থাকতে।

বাসাতের শব্দ শুনতে শুনতে

ঝরনার পানিতে পা ডুবিয়ে থাকতে চাই।
নীল অাকাশের দিকে তাকিয়ে
 অানমনে তোমার কথা বলতে চাই।

যখন অন্ধকার নেমে অাসবে
 তখন অাধারে নিজেকে হারিয়ে
 নক্ষত্র গুনতে চাই।

তোমার জন্য অাজও অামাকে ভাঙ্গি-গড়ি

অনুকরন করি তোমার কথা মালাকে
এখনো তোমার অনুকরন গোলোকে অামি বন্দী।

এ বন্দী মুক্তির অপেক্ষায়-

'তোমায় ভালবাসে নিরন্তর'!

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

আকুতি

দেখি নাই লাল টিপ এ তোমায় ,
দেবে লাল টিপ-
দেখাবে একবার !

শুনিনি তোমার  নুপুরের ছন্দ,
পরবে নূপুর-
দেখাবে একবার !

দেখিনি মেহেদী রাঙা হাত
দেবে মেহেদী-
দেখাবে একবার !

দেখি নাই লাল শাড়ীতে কোনো দিন,
পরবে লাল শাড়ী-
দেখাবে একবার !

দেখি নাই হাতে বালা
দেবে বালা হাতে-
 দেখাবে একবার !

দেখি নাই  কানে দুল কখনো
পরবে কানে দুল-
দেখাবে একবার!

দেখি নাই পরনে গলায় হার
পরবে গলায় হার-
দেখাবে একবার !

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

ঋণাত্বক ভালবাসা

গহীনতায় অাত্মার প্রসারতা,
বলতে ব্যাকুল প্রেম উপখ্যান।
প্রত্যাশায় কৃষ্ণের ব্যাপনশীলতা,
ভেবে নিখোজ পদ্যছন্দের অাখ্যান।

নিস্তব্ধতায় অালোক অন্তঃপুরীতা,
অবলোকন যাতনায় সপ্ন দৃষ্টিভ্রম।
ভালবাসায় প্রেমিক অজ্ঞতাপ্রসূত,
অর্নিবান প্রজ্বলন বিবর্ণ বিরহতুষ্ট।


ঐকতানের ঐ নির্দয়া হন্তরক,
অনুঘটকের মরণপণ বিষক্রিয়া।
নিউক্লিয়াসের নিরবতার নামই

'অপ্রত্যাশিত বিশ্বাসঘাতকতা'।

দুতরফা দাখিলার
একতরফা ফলাফল;
জারন-বিজারনে
নিষ্ক্রিয় পদার্থের দাদাগিরি;
চাহিদা-যোগানে
উপযোগিতার অভাবই
'বাস্তবতার নিষ্ঠুরতা'।

দর্শনে এনাটমির বর্ননা,
উপপাদ্য সম্পাদ্যে রুপান্তর,
ভাগ্যরেখার গাণিতিক বিশ্লেষণের নাম-ই
"অদৃষ্টের অসামঞ্জস্যতা"।

ভূগোলে চারুকলার অার্বিভাব,
সাহিত্যে অাপেলতত্বের প্রভাব,
ধর্মে পার্থিবের উপস্থিতির নাম-ই
"অলীকদিব্যার একত্রতা"।

সঙ্গীবিহীন অাত্মার নিকটত্ব,
অবাস্তবে মেকী মিলনোৎসব,
কল্পিত কথোপকথনের নামই

"নিষ্ফলা বাহুল্য ভালবাসা"।

ভালবাসায় বিরজমান সন্ধেহ
স্বপ্নলোকে বাস্তবতার পরছায়া
মিলনে বিচ্ছেদের অাকণ্ঠ রবই
"প্রলয়ের অাধিক্য ভালবাসা"।

অতঃপর দিব্যা,
অলীক ভালবাসে তোমায়।
তোমার চিরন্তন অনুপস্থিতিকেও!

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...