শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

বৃষ্টিকে ভালবেসে!


হে নিরদ!
গুরগুরে চিত্ত অশান্ত জলদের দোলে
টিপটিপ স্তননে ডর হয় বুকের কোণে।

হে কজ্জল!
অামি অয়ন অাচ্ছন্ম রই নিশুতির অাগে
অাজ তোমার প্রথম বর্ষা অামার ভুবনে।

হে মেঘলা!
মর্ত্য অাজ সজীব হয় তোমার বিসর্জনে
চৌচির বুকের পিয়াস মিটাই উষ্ণ নীরে।

হে পুষ্কর!
বাদল ধারায় সহস্র  অভ্রংলিহ যাই এঁকে
অাজলা ভরে জলটি রেখো অামার নামে।

অভ্রংলিহ যাই এঁকে-
বৃষ্টি তোমায় ভালোবেসে! 

বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮

কাছে আসার চিহ্ন

উদ্বেল গহিন বেলায় নিশুতির স্বপ্নঘোরে 
তার যামিনী  হাসির ঢেউ জোয়ারে মিশে।
অালাপন  করি  তাঁর ভাবী স্মৃতির সাথে
অামি শুনে যাই তাঁর ঝংকার বিরান পথে।

অামি হারাই ঠিক তার ধ্বনিরাগের মাঝে
ঐ ধ্বনির কেন্দ্রস্থলে গতিশুন্য পরিভ্রমন।
অামি  মিশে যাই  তোমার চিবুকের স্পর্শে
অামি অাটকে থাকি ঠিক ব্যাঁঞ্জনের মাঝে।

সন্ধ্যা সাঁঝে পদ্মজলের প্রতীক্ষা তাঁর ছায়ায়
খুজে ফিরে সে দীপ্ত রাত্র, নৈঃশব্দ্যের ধাঁধায়।
তার প্রিয় বুলি, প্রতিটি বচন  হয়  স্তবের গান

এনেছি দেখ দুই জনমের  গোলাপ অফুরান।

অামার সকল প্রতিলিপি অাজ প্রাণ পায়
সখি বিরাজ করি তোমার চোখের তারায়।
প্রদীপের আলোয় তোমার রূপ তুলে রাখি
কপাটিকা খুলে দেখো সাড়া ঘরে কার ছবি।

তোমার মুক্তকেশের বায়ু এসে হারায় কাজলে
নাকফুলের মুক্তো  দ্যুতি  ছরিয়ে  পরে অাননে
সমীরণের প্রতিটি কণা  ছরিয়ে পরে মহাবিশ্বে
এই বসুন্ধরা কতই না ছোট প্রিয়তমার চোখে!

জলধী পারে বেলাভূমির নিড়ে গড়ি অন্বয়
বালুকাবেলায় হয় সন্ধি স্নিগ্ধ হাসনাহেনায়।
রোদের ছটায় স্নান করি, খোল প্রবেশদ্বার
পূর্ণ করো প্রীতির মায়ায় অামাদের সংসার।

দুই ঠোট উপর সৌভাগ্য মিশে ওষ্ঠগুলের রং
সে রঙের স্ফুটনে ঐশ্বর্যের গন্ধ মিশে বারুদে।
সুরভিত হয় সবুজের এই বিশ্ব প্রতিটি পরতে
অামি রবি  অাঁকি তার ভূচিত্র প্রতিটি কোণে।

অামি দিয়েছি একরতি অনুরাগ  রক্তের মধ্য
তার আত্মায় রেখেছি লুকিয়ে এক বিন্দু সত্য।
রেখেছি কয়েক দানা খুদ  'সত্য' বাঁচবে বলে
উড়েছে বিহগ রোদের নেশায় তার অাগমনে।

হে প্রিয়, তুমি অাসবে অামার 'সত্য' নিয়ে
গোধূলীর রং তার বুকে মেখে-
অনেক প্রতিশ্রুতি নিয়ে তুমি ফিরে আসবে,
সূর্য ডুবে গেলে ।

সেটাই হবে অামাদের কাছে  আসার চিহ্ন!

শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮

সে অামার পাহারায় থাকে!

অরুণের মতোই উদোম অামি
নগ্ন অামার অনুরঁজিত পৃথিবী।
নিরুত্তাপহীন অবকাশ নিরিবিলি
একাকী ক্ষণ গুনি  নিথর মনে।

অামি অামার পাহারায় থেকে!

গোপন চাবুকের আঘাত সংযমী মনে
মৃত্তির ধুকধুকানিতে নীর ফুঁসে  ওঠে।
অাশান্ত রাতের নোলক বয় বিপরীতে
পাল্টা-স্রোতে হারাই নৈঃশব্দের তীরে

অামি অামার পাহারায় থেকে!

তোমার বুকের ঝালরে অাকাশ বিনিদ্র
হিমেল ছায়ায় শ্যামল চাদর বুকে নিয়ে।
প্রহর গুনি তার ডানা ঝাপটানোর পথে
শ্রবণহীন ঝরনার একমুঠো হাসি মেখে।

অামি অামার পাহারায় থেকে!

চাঁদ এসে ছুয়ে যায় তার ভেসেচলা ছায়া
প্রবেশ করে শিরায়, উপশিরায় বা রক্তে।
কিংবা অাতসবাজির স্ফুলিঙ্গ ছরিয়ে পরে
তার পাতলা স্বচ্ছ রেশমি বসনের নিচে।

অামি তাঁর পাহারায় থেকে!

তার অবারিত কোমল বিন্যাসের উপর
অামার গ্রহ-নক্ষত্ররাজি অধিষ্ঠান করে।
তার স্নেহে সুমেরীয় অাবর্ত ভেসে চলে
শান্তনু কুমেরুর শৈত্যের অধীর প্রবাহে।

অামি তাঁর পাহারায় থেকে!

সে কর্বুর  হয়ে  রাঙ্গিয়ে  যায় এই চৈতন্যে
রাত্রির সবটুকু  ঘ্রাণ  মিশে  উত্তাল  বুকে।
অনুভব করি অামর্শের দোল গভীরভাবে
অামি স্বর্গীয় অাবেশে বেঁচে থাকি কেননা-

সে অামার পাহারায় থাকে!

রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮

যে ছিলো পৃথিবী সৃষ্টির আগে।

#যে_ছিলো_পৃথিবী_সৃষ্টির_আগে।

যদি অনুভূতির রঙ আরো হয় বিষন্ন
যদি অঙ্গুলি আর না পায় দেহ স্পর্শ
যদি নয়নের কোণে আরো অশ্রু জমে
যদি অধর দু'টি আরো তিরতির করে।

তবু মনের আয়নার তাঁকে সুধাই—
সব কিছু কি ঠিকই আছে?

যদি ডাকি আবার যৌনতার বাঁকে
যদি আবারও চাই কামনার রুপে,
যদি তখনও তাঁর রক্ত না হয় উষ্ণ 
যদি যৌনাঙ্গ রয় নিথর ধ্বজভঙ্গ ।

তবু ঘুমচোখা দেহে তাঁকে বলি - 
সব কিছু কি ঠিকই আছে?

যদি হারাই কোন কলঙ্কের মাঝে
যদি লিপ্সা বিলি বাজারীর খাঁজে,
যদি বিরহ মাখি  তাঁর দরদী মুখে
যদি অনল সিঁধি তাঁর বিমল মনে।

তবু অদৃশ্য চিত্রপটে তাঁকে বলি -
সব কিছু কি ঠিকই আছে?

সে আমার খলতার তীব্রতা নয়
সে আমার দ্যোতন আত্মবিশ্বাস।
সে আমার দাম্ভিক অহমিকা নয়
সে আমার অনিঃশেষ ঠিকানা।

আমি দেখেছি তাঁর নিষ্পাপ সুরৎ
জরিয়ে এক চিলতে মিহি কাপড়ে।
তাঁর বিটপী মালা চষে বেরিয়েছি
যে ছিলো পৃথিবী সৃষ্টির আগে!

সহসা আমি নিখোঁজ হবো মহাকালে
তবু খেপাটে আত্মা চাইবে তাঁর যোনি।
অতৃপ্ত শিশ্ন, যৌনতায় খুঁজবে তখনো- 
যে ছিলো পৃথিবী সৃষ্টির আগে!

পুরোবতী দ্রাবণ

একটি হলুদ পাখি ডালে হাসিখুসি
তার হাসি গলে যায় ডানার পরতে
এভাবেই তো গলে যাই তোমার চিত্তে।

দেখো চোখের উপরে মিষ্টি রোদ-
দোলনার মতো হেলে দুলে।

ষড়ঋতুর সবটায় পাবে অনুভূতির ঘ্রাণ
এভাবেই তুমি ও আমি পুরোবতী দ্রাবণ
এভাবেই তো বেঁচে আছি অপরাপর মনন।

দেখো আত্মা দাউ দাউ করে জ্বলে-
দেহের উত্তাপ বায়ুতে মিশে।

বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭

স্বর্গের দুয়ারে

নিসঙ্গ তক্তপোষে বিনিন্দ্র নিশীথ রাত তাকে পাহারা দেয়।
কতিপয় রক্তচোষা মশকের বাদ্য অাজ তার খারাপ লাগে না।
অতপরঃ
একমুঠো সকাল, প্রভাতী রবির রাজটিকা
শিতল বায়ুর শিহরন নতুন যৌবনে মাখা।
মস্তকে রূপালী অাশ্বির্বাদ শিশির কণার
অভিনন্দন পথধূলির পায়ে সামনে চলার।
বালক একপলকে সমস্ত হৃদয়ের ক্যানভাসে
তাঁর ছবি অাঁকতে, বেরিয়ে পড়ে রাজপথে।
এক অনিন্দ্য সুন্দরের অপেক্ষা-
স্বর্গের দুয়ারে!



মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

সুখ

দক্ষিণ বনে কদম্ব নাচে
সুখ বিরাজে গহিন মনে
তমাল বাগে রক্ত জবা
তরুর খুসির বাঁকে উঠে

সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭

খুন

প্রতিটি মৃত্যুর লেলিহান
একমাত্রিক নিথর মনন।
খতমে দুরুদ প্রতিটি ঘুম
হে হৃদয়, প্রতিবার গুম!

শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭

কামিনী প্রেমী

রুদ্রঝড়ে তোড় মেঘকাপুনি
অক্ষমা কোণে শঙ্কুর চাহনি।
বীণাতটে ঘোড় মনঅালাপী
চিকনা কটি  যৌবনা ধরণী।

সুহাস্য বদনে প্রণয় কেলি
অাবেগী বক্ষে অমৃত নদী।
লোহিত ওষ্ঠে কামিনী প্রেমী
অঙ্গ-রূহে কৃষ্ণাভ জ্যোতি।

কায়াসুরে বচন টকমিষ্টি
অন্তঃ ভাবনায় সত্যবতী।
নধর চলনে রতির ব্যাপ্তি
অব্যক্ত কুহুতে স্বপ্ন বাড়ি।

শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

প্রভাতে দিপ্তস্নান

হরোদ্যাম খুজে ফিরি প্রিয়াঙ্কার দেশ
সমর বিজিত সৈনিক বিলম্ব নাই লেশ।
অসীম রথের অভিযাত্রী শৌষ্ঠব পেতে
সন্ধান জারি রয় লোক হতে অলোকে।

গগনপৃষ্ঠে সপ্তবর্ণার অমোঘ লুকোচুরি
ঊষালগ্ন ঈষাণ কোণে নব্যতার সারথী।
নিহারিকা ছায়াপথে বিলিয়ে সুখাবেশ
অাগুন দিপ্ত সূর্যরথে প্রোজ্জ্বলিত ইস্ক।


কালান্তর পথ পাড়ি বিশ্বপতির অনুগ্রহে
প্রেমেন্দ্র দিব্যদৃষ্টি খুজে পাই ঐ লোচনে।
পথ চেয়ে প্রিয়সী অপেক্ষায় রয়েছে ঠাঁয়
একজনমি সব অর্ঘ্য রাখি তোমার পায়।

অাবেগী ক্রন্দনে পতিত ধরণীবুকে বৃষ্টি 
নিঃসৃত ঐ নহরী সুধায় জলরাাশি সৃষ্টি।
সৌরে-সৌরে কেলিকুঞ্জ শ্রাব্যে ওষ্ঠহাসি
ছারখারে গ্রহপুঞ্জ যদি সিংহী ক্রুদ্ধদৃষ্টি।

হৃদমণিতে বেধে রাখি শাঁখারী অাভার
মহাশূন্যে রচি তোমার নত্তল সংসার।
শশী-রবীর অাভা ছড়ায় মধূচন্দ্রীমায় 
দিবালোকে তোমার স্তুতকোরাস বয়।

সব ত্বরণ ছিন্ন করি অাদিম অাকর্ষণে
নব গ্রহের অাবির্ভাব মম প্রণয় বিজে।
প্রভাতে দিপ্তস্নান অাপনাকে রাঙ্গাতে
ভালবাসা প্রণয়সখা রাখি তব ভুবনে।

বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭

কালোয়ার

প্রচলে অামি নীলাভ মাঝি
কলুর বলদ শোষণকারী।
নত্তল কালে অসীম খায়শে
বিনিবেশ নিষ্পাপ হরন করি।

বাজিগর অামি প্রহসন করি
অর্বাচীন অামি অচেনা থাকি।
কালোয়ার অামি অাত্মা ভাঙ্গি
নিদারুণ অামি অনিষ্ট ছাড়ি।

সহস্র রুহুর বিনিদ্র রজনী
বেদন প্রভাতী রক্ত শাঁখে।
ক্রন্দন ধ্বণিতে জাগে পশু
চুক চুক করে চেটেছি মধূ।

অলীক অামি মেকি গদি।
কুলটা অামি খিস্তি জপি।
দূর্জন অামি ঠগের সাথী।
নিছক অামি বিলাস সঙ্গি।

শতক শৃঙ্খল পালিত পঙ্খি
একটি একটি শিকার করি।
শুকুন দৃষ্টিকোণ মেলে ধরি
খুবলে খুবলে উদর পূর্তি।

দানবিক অামি পিশে মারি
পিশাচ যোনিতে বাস করি।
রাক্ষস বংশ বিস্তার রাখি
কাঁচা মাংস ভক্ষণ করি।


সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭

জনমের শপথ

অাদিষ্ট সুখের প্রহর জপি
প্রিয়তা সুখের পরশ মাখি
জনমে জয়ী প্রণয় অাজি
দুই প্রাণে সুরের লয় শুনি

না বলা কথায় গল্গ লিখি
অাবেগ ঢেউয়ে ছন্দ তুলি
স্বপ্ন সুখের অাকাশ দেখি
বেলী মালায় মনের বেড়ি।

কলির ঘ্রাণে মিশে থাকি
কাঁশবনে সফেদ ঘর বুনি
উত্তাল উর্মির বাঁকে চলি
নীলকান্তমণি হাতে রাখি

ভালোবেসে সখা ঠায় অাছি
নীলপদ্ম তব খোপায় গাথি
ময়ূরী পালকে অাবেগ বিলি
প্রিয়মুখ হৃদয়ে এঁকে রাখি।

প্রেমের মুকুট মাথায় পড়ি
সোনার পালঙ্কে বাসর বাধি
জনম জনমের শপথ করি
হাতে হাত রেখে নশ্বর ছাড়ি।



সোমবার, ১০ জুলাই, ২০১৭

অকাল প্রভাত

দুই হৃদয়ের ঐ অথৈই মাঝে
কোন সুর বলো বেজে চলে
বিদায়কালে অকাল প্রভাত
সকল মম অাশা যায় ভেশে।

চন্দ্র তিলকের রূপালী অাভায়
হৃদয়ে বিরহী নাচন উঠে দুলে।
কাজল রেখায় বিদায়ী ঝিলিক
অাহা কাঞ্চনী কবরী যায় খুলে।

অানচানী সংসারে বসত করে
প্রিয় মুখখানি ঐ হারাই সুদূরে।
তোমায় রানী করে ওহে  রাজ্ঞী
নিঃস্ব মম সকল কালের নিড়ে।


অসুখী ঠোট কাঁপুনি কণ্ঠরোধে
পিটপিটানি অাখির জলে বাঁকে
কি ব্যাথায় মন হায় ডুকরে ওঠে
সখা অাবার ফিরো বাহুডোরে।

রবিবার, ২ জুলাই, ২০১৭

কলনোকর

অাজ বিকীর্ণ প্রভাত চুপিচুপি বলে যায়
পুনর সেই পথে যেই পথে স্বজন হারায়।
অর্কের ইন্দনে অনুভূতি সকল ছাই হয়।
ক্রূরতা কিরণে নারী ডোর ঝলসে যায়।
অাবার অামি হলেম যে সেই কলনোকর!

শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭

প্রশ্নবোধক

তুমি কি অামায় নিয়ে যাবে?
অরণ্যের নিশ্চুপ নিবিড় ছায়াতলে।
তুমি কি অামায় কথা দিবে?
হিমাদ্রী পার হয়ে নায়াগ্রায় ভাসতে।

তুমি কি অামায় প্রদীপ দিবে?
অাধার দূরে ঠেলে অালো জ্বালাতে।
তুমি কি অামায় জোছনা দিবে?
নরম চাদরে শীতল পরশ বিছাতে।

তুমি কি অামায় ভালবাসবে?
সাত পাহাড়ের সব সবুজের মতো।
তুমি কি অামায় প্রণয় দিবে?
সাত অাকাশের সব নীলের মতো।

তুমি কি অামায় অাসঙ্গ দিবে?
তপ্তকাঞ্চনে মিহি পরশ বুলাতে।
তুমি কি অামার লালসা হবে?
শুক্রাণু ডিম্বানু নিষিক্ত হতে।




বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭

পেয়েছি তোমায়

সপ্নের মহাপ্রাচীর ভেঙ্গে
বর্তমানে এসেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

হিমাঙ্কের শীতল ভেঙ্গে
উষ্ণতায় রেখেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মহাকর্ষের ত্বরণ ভেঙ্গে
অন্তঃশূন্যে বেধেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

শতদলের অয়ন ভেঙ্গে
হৃদমাজারে ঠাই দিয়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

নিরেট অশ্মরী খন্ডনে
নির্ঝরে সিক্ত করেছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

বিয়োগ তকলিফ ছেদে
ইন্দ্রধনু রংয়ে রাঙ্গিয়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

সৌভাগ্যের অবতার হয়ে
অমরায় বসত গড়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মৃতে জীবন সঞ্জীবনী হয়ে
অমীয় সুধায় অমর করেছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭

অন্যন্যা

গোলাপী ওষ্ঠের মায়াবী হাসিতে
প্রিয়া  লজ্জাবতী লাজুকলতা।
চিবুক ছড়ানো সুখের মিষ্টি দূতিতে
প্রিয়া ভরা পূর্ণিমায় মধূচন্দ্রিমা।

দিঘল ছড়ানো ঐ বাহারী কেশে
প্রিয়া  কালো মেঘের বসতভিটা।
হরিণ লোচনের ঐ তীব্র চাহনীতে
প্রিয়া  কোটি প্রেমির ঘুম কাড়া।

যৌবনের তানপুরায় নিতম্বিনী উর্মি
প্রিয়া  জলকেলির বাহারি দূতি।
সুডৌল বক্ষে ঐ পর্বতের হাতছানি
প্রিয়া তপ্তকাঞ্চনে রঙ্গিন বাড়ি।

কামনার এিভুজে প্রবাহ স্রোতস্বিনী
প্রিয়া বাসর শয্যায় কামরানী।
নত্তল যৌবন উদরে উর্বর বীজ বুনি
প্রিয়া নবীন প্রাণের গর্বধারিনী।

পেলব অঙ্গে লতানো লাউের ডগা
প্রিয়ার চলনে নাগিনীর ছটা।
মিহি কাপড়ের ফাঁকে যৌবনের তাড়া
প্রিয়ার শাঁখ শাড়িতে তুমি অন্যন্যা।

রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭

স্নেহের দাদী

সবুজ রংচং প্রকৃতির অলিন্দ
অাম কাঠালের ঘ্রাণে অাকণ্ঠ।
ঝুমঝুম বৃষ্টি বলে যায় কানে
অায় ফিরে অায় নারীর ডোরে।

দমকা হাওয়ায় বৃষ্টিজল লুটোপুটি
অাষাড়ে ধারার গুমোট ঝলকানি।
দেখ তোর কিচ্ছা কথক কি সুধায়
কি হেতু স্নেহ ক্ষুধায় ডানা ঝাপটায়।

দাদীর মুখের সুমধূর ডাক
ভুলে গেছি কোন খেয়ালে।
অাদুরে কণ্ঠে বিরহ ক্রন্ধন
গেথে রয় তার মনে মনে।

মিঞা ভাই, বড় ভাই, রাঙ্গা ভাই
বিধেছে দাদী অারো কতো ডাকে
শিশুতোষ মনে এঁকে যায় তার
নীল অন্তিম গোধূলীর পানে।

করেছে মহান উত্তর পরুষকে
দুহাতে জাপটে অাগলে রেখে।
জীবন সাহ্নয়ে বিষের বাশি
একলা শুয়ে কণ্টক শিয়ের।

কেউ দেয় না একমুঠো ভালবাসা
কেউ না শোনে অার তার কথা।
কেউ রয় না পাশে গল্প শোনার
কিচ্ছা গুলো  অাজ ভিষন একলা।

অার কতদিন ডাকবে তুমি
মান অভিমানের তোমার সুরে?
অার কতোদিন থাকবে তুমি
সকল পাষাণ হৃদয় মাঝে?

কতোকাল দেখবো তোমায়
কঠিন অসুখ সংসার মাঝে?
কতো সুখে থাকবে তুমি
ব্যাথ্যাহীন ওপার জনমে।

ফরিয়াদ তোমায় খোদা
ক্ষমা করো দাদীর গুনাহ।
মাফ করো সকল অনাচার
হোক বেহেস্তের ঠিকানা।

ভালবাসি বু তোমায়
ক্ষমা করো নাতি রে।
ভালবাসা রইল তোমার
রাখবো বুকের মাঝে।

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭

বিষাধ সিন্ধু

বদন পানে ঠায় নীলিম নয়ন
খুজে ফেরা ঐ পথের পবন।
অলস মনে অাধার জাপন
অাকাশ কুসুম রোদের মরণ।

অমাবশ্যায় রচে চন্দ্র স্নান
এবরো থেবরো ক্লেশ মন।
দ্বিধায় সময় গরল পুষণ
জীবন নাশে সুখের অাগুন।

ঠুনকো দেহে ব্যাথার প্রবহণ
অানমোনা রয় সকল স্বপন।
অাত্মা কলের নিষ্পাপ হরন
নিষেক রতির সলিল জারণ।

বিদূর রজনীর একলা চলন
প্রণয় তরীর নিরব অনশন।
ছায়াগুলি সব দুর পলায়ন
তাঁরা অালোর ক্ষীণ বিচ্ছুরণ।

নিকর মেঘের কালির ব্যাপন
অাশায় বসতির অকাল পতন।
জোনাক জ্বলা হৃদয় জ্বলন
সপ্ত সিন্ধুর বিষাদ ধারন।

মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭

কতদূর ভালবাসা

ঝুমুর ঝুমুর ছন্দে চলি
অাজি নাচে ময়ূর হিয়া।
স্বপন তরে রোদের বদন
ইস, কি চমকের খেলা!

ঝরঝরা ঐ মাদল সুরে
শ্যামের বাশি বাতায়নে
সখি কি শুনে যাই, কানে কানে
অাহা কি বলে যাই, মনে মনে।

সুধাই প্রিয় অাপন খেয়ালে
ভালবাসা রয় মোর অাখরে
শিয়র পাতি তোমার বুকে
জনম জনম বেধেছি মনে।

অারো ভালবাসো হে রানী
দাও গো সব দয়া তোমারি।
ভালবেসে পোড়া দেহ জ্বালি
তুমি হৃদয়ের অালোক বাতি।

সুধাই অামার মনের রানী
অার কতদূর সুখের পাখি?
বলো কতদূর স্বপন বাড়ি!
অার কতদূর পথের পাড়ি!

শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭

স্বপনের দুয়ারে

বারিধারায় ভিজেছি হিয়া
সখি তোমারে খুজে পাইতে।
অাহা কি সং এ সেজেছি গো
তোমারি স্বপনের দুয়ারে।

দীপ্তস্নান মেখেছি সর্বাঙ্গে
সখি তোমারি প্রেমে মজিতে
অাহা কি রং এ রাঙ্গিয়েছ
তোমার হৃদয়ের অন্দরে।

বাতায়নে ভেসেছি খেয়ালে
সখি তোমারি বাসনা মিলাতে
অাহা কি ঢং এ বাধিয়েছ
তোমার নাকের নোলকে।


মজেছি ভুবনে স্বপন তরি
ভাসাই কুলের নাইকো দাড়ি।



মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০১৭

বিরহের সাক্ষী

ঝুমঝুম বৃষ্টিজলে বিরহ পতন
ঝরঝর ধ্বণিতে অানমোনা মন।
চেয়েছিলেম তোমার হৃদয় ছুতে
মেঘের বৃষ্টি কণা তাই যাই ছুয়ে।

ভালবাসি বলেছিলেম কানে কানে
চিবুক ভিজিয়ে তোমার অাখিজলে।
দুহাতে রেখো এক অাজলা বৃষ্টি ধরে
সাক্ষী রবে তোমার অামার বিরহে!

সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭

কলঙ্গ বৃষ্টি

অাকাশ বাড়ির সপ্ততলে
মেঘ গুরগুরে বন্দীধারা।
মুক্তি গানে দুঃখ সাড়া

বাঁধ ভাঙ্গা ঐ মুষলধারা।

বক্ষপটে শিখা বহ্নিমান
বাক্য হারায় তিলে তিলে।
কষ্টজীবীর হিয়া নিখোজ 
পোড়া বুকে ঢেকুর তোলে।

বজ্র ঝিলিকে চিড় মণ্ডল
হাপরে অঙ্গার অবনী রানী
কৃষ্ণপক্ষের রোল পড়েছে
তাঁরায় তাঁরায় জনম অাড়ি।

শিখার খোজে ঝিঁ ঝিঁ পোকা
অনল ঝাপটানো অাত্মাহুতি
অপেক্ষার তরে বিষের বাশি
সুখ মরীচিকায় অমিল বাড়ি।

ব্যাপন সকল নীল বেদন
কৃষ্ণনীলে অাকাশ পবন।
প্রমোদ কপাট রুদ্ধদ্বারে
অনির্বাণ চিতা অবগাহন।

একালা বেদন গরল মরণ
সুখের নিখোজ বৃন্দাবন
গঙ্গাজলে ভাসিয়ে দুকুল
বধির ছলে মৌন জাপন

সপ্ন শালিকের নবজন্ম
দুলে ওঠে সুখ শতদল।
বৃষ্টি'নায়ে ভাসাই কলঙ্ক
বিন্দু বিন্দু অাখিজল।

শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭

হৃদয়ে হৃদয়

দিন শেষে তাঁর গোধূলী বেলা
মম হৃদয় তলে স্বপ্ম অাঁকা।
বিলি একমুঠো সুখের বাতাস
নিশীথে বিঁধে চন্দনী  সুবাস।

পলাশ রাঙ্গা রোদের ঝিলিক
ঘুম হৃদয়ে প্রেমের হিরিক।
ছায়াবিথী সবুজ অকাল মরণ
জলের বাঁকে ধায় উর্মি দোলন।

অাকাশে তার প্রেমের রবি
মন পবণে ঐ ডাকের চিঠি।
মেঘকালো দিঘল কেশবিথী
নিকর দেহে রূপের দূতি।

বিঁধেছি সুরে বিরহী বাশি
বিজনে সহৃদয় হাহাকারী।
হিয়ায় জ্বালি স্বপন বাতি
তুমি বিনে তবু নাহি বাঁচি।

দোলাচল বায়ু মন উরিউরি
অর্ঘ তবে প্রিয় পায়ে সপি।
ওষ্ঠ দোলে ঐ চিকন হাসি
অর্হনিশী ঠাঁয় চেয়ে থাকি।

অাখির কোণে চাই স্বপ্নবাড়ি
বাহুডোরে খুজি সুখের দাড়ি।
চুপিসারে অামি তাঁকে ডাকি
সপ্তরং-এ চলো হোলি খেলি।

সুধাই প্রিয় তবু নয়নজলে
এসো সকল পিছন ফেলে
শপথে হৃদয় হৃদয়ে রাখি
চল মোরা যাই স্বর্গ পাড়ি।

শুক্রবার, ১২ মে, ২০১৭

লাজুক লতা

লালসালু লহমায়
লোভার্ত লালসায়।
লাজুক লালাময়
লোচন লীলাময়।

লোকেশ লয়  ললনা 
লেগেছে লৌহ লেঠা।
লেশমাত্র লাগে লাভ
লোহিত লাল লজ্জা।

লুণ্ঠিত ললিতা
লবঙ্গ লতিকা
লানত লিপিকা
লৌকিক লুঠেরা।

লালসালু লাবণ্যময়ী
লিনেন লাস্যময়ী।
লাখসই লাজবাব
লা লা লা-
'লাজুক লতা'।

বুধবার, ৩ মে, ২০১৭

নতুন কুঁড়ি

বৃক্ষজাতে সুখের দোল
নতুন কুঁড়ির অাগমন।
খুশির বান বাঁকে বাঁকে
বায়ু কল্লোলের প্রবহণ।

প্রভাত রাঙ্গার নতুন দিবস
জাগে নতুন প্রাণ।
নীল অাকাশে রোদের ঝিলিক
পাখপাখালির গান!

তাঁরারা সকল নায়তে নামে
চাঁদ পূর্ণিমার রাতে।
জোনাকির দল মেলায় বসে
মিটমিটি বাতি জ্বেলে

কাঠবিড়ালী ছন্দে নাচে
নতুন কুঁড়ির উঠোনে।
বিড়াল ছানা বেজায় খুসি
নতুন খেলার সাথীতে।

নুতন দিনে ফিরে পাই
নতুন মায়ার ঠাঁই।
নতুন কুঁড়ির নাম দিব কি
ভেবে নাহি পাই।

কুঁড়ি তোমায় অাশীর্বাদ
সুখেরা দিক ধরা।
কুঁড়ি তোমার হাতে হোক
সপ্নের পথ চলা!

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

দলছুট হরিণ

বিচ্ছিন্নতায় অলোকসৃষ্টি 
বিসর্জনে হারায় দিব্যদৃষ্টি।
অাত্মত্যাগে অরণ্যবাসী
অভিমানে সে অচীনপুরী।

বন্ধনহীন সংসার বিমুখতা
অমবশ্যায় নির্বাসিত একলা।
অদৃশ্য জনপদে ভ্রান্ত চেতনা
নিসঙ্গ যাপনে নির্মম বেদনা।

ঝড়া পাতার শুকনো গদ্য
চৈতালীর চৈচিরে তপ্ত পদ্য।
বিনিদ্র রজনীর গুপ্ত অশ্রুধারা
একপেশে শিরয়ে বিষ যাতনা।

ফাল্গুনে তার মাঘের কষ্টদোল
একলা যাপনে চাপা বিরহানল।
অবহেলা পাহাড়ের নীল বেদন 
সূর্যগ্রহণে কালোর নিরব ব্যাপন।

দলছুট হরিণ চেনা পথ খোজে
অতীত স্মৃতিপট হাতরে ফেরে।
গোলক ধাঁধায় একুল-ওকুল  ছুটে 
 অাবার যদি ফিরে প্রিয়দের নীড়ে!

মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭

সত্যাস্বর্গ ভালবাসা

দেখ, অন্ত:লোকের প্রণয় দহন
ভাবো, দিব্যজ্ঞানের গরল মরণ।
এসো, ছায়াবীথিতে সরল জাপন
চল, সত্যলোকে অাকাশ পবণ।

গোধূলী যেথায় সূর্য ছড়ায়
অাধার যেথায় প্রভাত রাঙ্গায়।
কাঞ্চন যেথায় হোলি খেলে
বারি যেথায় ছন্দে নাচে!

কি অর্পন করেছি তোমায়-
দেখতে পাওনা?
কোন বীণা সেথায় বাজে-
শুনতে পাওনা?

পণ, তোমার সাথে থাকে সে
সর্বক্ষণ তার-ই মধ্যে বিরাজ করে।
সে রয় চিরসবুজ, অম্লানবদনে
ঐইতো ক্ষণে ক্ষণে হেসে উঠে!

হৃদয় ছুয়ে দেখো অাপনাকে
কার সে ধ্বনি উদিত হয় যে?
শিরার প্রতিটি পরতে পরতে।
কোন সে হাহাকার দহন উঠৈ?

প্রেমি সত্তার অাত্মাহুতি দিয়ে
প্রতিটি রক্তকণায় অাছি মিশে।
অন্তিম উপহার তোমার হৃদয়ে
মোর চির "সত্যাস্বর্গ ভালবাসা"!

বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৭

মৃত্যুনামায় অভিবাধন

কপর্দকের অন্তিম গরল পেয়ালায়
ছদ্মে মরণের বাণ তিক্ত সুধায়।
ওত পেতে যম, ছায়ার ওপারে
শাণানো ধাতুর ঐ অসুর নৃত্যে
নাসিকা রোধে বা শুন্যে ভাসিয়ে!

অাজ তার অগস্ত্য যাত্রা হয়তো
একটু ঠাঁয় সব ছেড়ে, মাথা ঠুকে
বাঁচার নেশায়, এক অাধলি ভালবাসা!
যাকে ততোধিক নিজ করেছে।
নিষ্ঠুর প্রাণ সংহার তার অাতাঁতে।

অাবার সে যখন উঠে বাধা ডিঙ্গিয়ে
একলা ছিনা টানটান ও উন্নত মস্ততে।
অাকাশ ফুড়ে মহাকাশে, সূর্যলোকে
পিছন হতে অাকড়ে ধরে কুপমন্ডুক
যেন কারো রশ্মি সে নিচ্ছে কেড়ে!

সে উদ্বাসিত হয় নতুন দিগন্তে
অালোর ছায়াতলে মানবলোকে।
বিলিয়ে সাম্য অার পরহিতব্রতে
না কারো অনিষ্ট, কারো নয় বিরুদ্ধে
নিষ্পাপ হরন, হিনচেষ্টা কেন তবে?

নিয়তির অন্তিম ওই কালেশ্বর হাতে
মাঘে বসন্ত অাবার বসন্তে মাঘ অানে।
বকধার্মিক বা অক্টোপাসি গদিওয়ালা
ললাটিকা তারা কি নিজেরা অাঁকে?

জিকিরে তোমায় প্রভু কৃতসঙ্কল্পে 
দয়া করো মহাময়ী অাপন হস্তে।
মুক্ত করো সকল মনের পঙ্কিলতা
হোক তবে এক দিশায় পথ চলা।

মানবকুল যেন পূত মানুষই রয়
অহিংস সাম্যবোধে কল্যাণ বয়।
শান্তিদূত সফেদ কপোত ওড়ে
ধ্বনিত সবকণ্ঠ মানবতার তরে।

বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭

ঘুম বিলাস

ঘুম বিলাসে  জাগে মোহ
ঘুম অায়েশে বিকার দেহ।
ঘুম কাতরে উলট ভাবনা
ঘুম চাদরে রথে চড়া।

ঘুম ঘোরে অলস মন।
ঘুম দেহে অচল যাপন।
ঘুম হাওয়ায় দিল প্রশান্ত
ঘুম প্রানে বহে অানন্দ।

ঘুম বহরে দাদীর কিচ্ছা
ঘুম অাবেশে মায়ের ছোয়া।
ঘুম জড়ানো সহোদরের গুতা
ঘুম তুলিতে প্রিয়ের মায়া।

ঘুম নিশ্বাসে নাকের বাদ্য
ঘুম চেহারায় পবিত্র অর্ঘ।
ঘুম বাহুতে স্বাধীন মূর্ত
ঘুম রাজ্যে পঙ্কিল মুক্ত।

ঘুম নয়নে পিটপিটানি
ঘুম কন্ঠে বিরবিরানি
ঘুম সপ্নে উুড়াউড়ি
ঘুম নেশায় অালসেমি।

ঘুম অামার প্রিয় ঘুম
তোমায় অনেক ভালবাসি!

মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭

দোলাচল

অাকাশ ভরা তাঁরা অামার
অালোর দেখা কই?
প্রেমের পালক মকুট অামার
সুখের খেয়া কই?

হিমাদ্রী ভরা নীল অামার
টেউের দোলা কই?
কানন ভরা ফুল অামার
সুবাসি ঘ্রাণ কই?

বুক ভরা রঙ্গিন সপ্ন
রং এর ছোয়া কই?
হৃদয় ভরা ভালবাসা
তোমার ছবি কই?

উঠোন ভরা বৃষ্টি অামার
জলের ধারা কই?
বারমাসি বসন্ত অামার
নতুন কুঁড়ি কই?

প্রিয় বুকে চক্ষু মুদি
ঘুমের পরশ কই?
সখার মনে মন মজেছি
অামার অামি কই?

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

ভালবাসা মারহাবা

প্রণয় তরী! প্রণয় সখি!
ভালবাসি ঐ মধূর হাসি!
প্রণয় দিশা, প্রণয় শিখা!
প্রেমে জ্বলি, প্রেমে মরি!

পুশি বিলাই "মিউ মিউ"
ডেকে বেজায় খুসি!
অাচঁল তলে বুকের মাঝে
লুকোতে অামি রাজি!

তোর লজ্জা অামার মুখে
এঁকে নিতে পারি!
তোর কথার সুরে অামি
নাচতে পারি ভারি!

এই তা-তা থৈ থৈ
তা-তা থৈ থৈ,
তা-তা ধিন ধিন
তা-তা ধিন ধিন!

তা-তা ধিন তা
তা-তা ধিন তা,
ধিন-তা নানা-না
ধিন-তা নানা-না!

অাহা! অানাড়ি প্রেমের অারাধনা-
ভালবাসা মারহাবা!

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭

অভিমানি সন্তান

অভিমানের কাটায় বিধেছি
এক জীবন বিবাগী হয়েছি।
মাগো! তোমার কণ্ঠের বাণী
এই হভাগা ভুলতে বসেছি।

স্নেহময়ী বুকের ভালবাসা
স্বর্গীয় ঐ হাতের ছোয়া।
তোমায় অাবার খুজে ফেরা
মা! মা!তোমার হাসির ছায়া।

নিঃশব্দে করি অাত্মচিৎকার
বয়ে যায় অশ্রুর জলধার।
নারীর বন্ধনের হাহাকার
বুক ভরা বেদনার বালুচর।

অচেনা পথ পাড়ি দিয়ে
একলা অামি দাড়িয়ে।
খুজে ফিরি এদিক ওদিক
তোমার অাচঁল পেতে।

অাবছা মায়াময় মুখ খানি
ঐতো বাবা ডাকে সুমধূর বানী।
ভেজা চোখে সোনামণির অাঁশে
অাজো ঠাঁয় বসে সেই পথ পানে।

মা! তোমার অভিমানি সন্তান
চললো নিরুদ্দেশর পথে।
দূরে মা! অামি অনেক দূরে
হারিয়ে ঐ না ফেরার দেশে।

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল
অামি সুউচ্চ অামি পতিত।
অামি নম্র অামি লৌহ
অামি হার অামি বিজিত।

অামি হাস্য অামি অশ্রু
অামি মিলন অামি বিরহ।
অামি স্থির অামি ঝঞ্জা
অামি সুখ অামি অসুখ।

অামি ঘৃণা অামি ভক্তি
অামি শিকার অামি শিকারী।
অামি সন্ধি অামি রণ
অামি শান্ত অামি ক্ষুব্ধ।

অামি অনুরাগ অামি রাগ
অামি ঘাত অামি অপঘাত।
অামি সুর অামি অসুর
অামি জাত অামি অজাত।

অামি দ্রাব্য অামি দ্রব্য
অামি শুক্র অামি ডিম্ব।
অামি প্রেম অামি ছিন্ন
অামি বাসর অামি বিদীর্ণ।

অামি বর্ণ অামি বিবর্ণ
অামি অাদি অামি অন্ত।
অামি বিদূর অামি অনন্ত
অামি শত্রু অামি মিত্র।

অামি ধর্ম অামি অধর্ম
অামি মৃত্যু অামি চিরঞ্জীব।
অামি নশ্বর অামি অবিনশ্বর
অামি সাকার অামি নিরাকার।

অামি অাত্মা অামি দেহ
অামি ভয় অামি নির্ভয়।
অামি অাদম অামি বিধাতা
অামি কাল অামি মহাকাল!

গল্প তবু অপূর্ণ

একলা পথিক, পথহারা পথিক
নতুন পথের অাবিস্কারে
দূর অাকাশকে সাক্ষী রাখে 
শপথ করে সূর্যের নামে।

সুখ ছড়ায় সে রোদের কণায়
দুঃখ বিলোয় বায়ু চাদরে।
ভর পূর্ণীমায় সে ভালবাসে 
নিকশ অমানীশায় বিচ্ছেদ রচে।

ধরাতলের স্বর্গ পেতে
হারায় অর্বাচীন প্রান্তে।
ভাসে নহর ঝংকারে
ডুবে সীমান্ত হিমাঙ্কে।

পথিক হাঁসে-
সান্ধ্য জোনাকির মিলন দেখে,
পথিক কাঁদে-
ঐ একলা চাঁদের বিরহী ডাকে।

অাশায় বসতি তার
বউ কথা কও এর অাহ্বানে।
স্বপ্নের ভঙ্গ তার
ঐ নির্ঘুম পাখির একলা বাসরে।

জীবনের গল্প লেখে সে-
শুধুই অাপনাকে ভালবেসে।
গল্প তবু অপূর্ণ রয়,
অাহা কাঁহারে যেন খুঁজে ফিরে!

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ইচ্ছে সপ্ন ৫

হাতে হাত ছুয়ে,
নয়নে নয়ন রেখে
প্রতিজ্ঞা করতে।

শিশুর ন্যায় ঠোট ফুলিয়ে 

তোমার বুকে মাথা রেখে

ওড়নায় চক্ষু মুদে, অার

ব্যাকুলভাবে কর্নকুহরে বলতে-

রাঙ্গা বউ!

ভালবাসায় মাথায় হাত বুলাও।
ঘুম পাড়াও অামায়-
তোমাকে সপ্নে একটু ছুয়ে দেখি।"

ইচ্ছে সপ্ন ৪

অকারনে অভিমান
ঝগড়া করতে
রাগ অার খুনসূটিতে

বিরক্ত করতে

প্রফুল্ল বদনের নথ নাড়া
হাসি দেখতে
গোলাপি ঠোটের

লাল লিপিস্টিক হতে

নোলক হয়ে প্রশ্বাসে

মিশে যেতে
দুল হয়ে চলনে

ঝংকার তুলতে

হার হয়ে হৃদয়খানি

ছুয়ে দিতে
চুড়ি হয়ে দুহাত

বেধে রাখতে

নুপুর হতে পেলব

পায়ে ধ্রুপদি সৃষ্টিতে
চাদর হয়ে অঙ্গে

জরিয়ে থাকতে।

ইচ্ছে সপ্ন ৩

বিষাধের নীল ভেঙ্গে
নীল অাকাশ হতে
তব হাতেরর নাটাই সুতা অার

পতং হয়ে উড়তে

অবসাদের যাতনা ভেদে

ছন্দময়ী স্পদন্দন হতে
গরল ছিন্ন করে

অমিয়ের পেয়ালা হতে

অব্যক্ত কথামালার

উপন্যাস সৃষ্টিতে।
তোমার দৃষ্টিতে

অামার প্রতিফলন দেখতে

বাতায়ন বৃষ্টিতে প্রিয়ার 

অঞ্চল উড়াতে
নিশীতে দুজনাতে

 তারাগুলো গুনতে

ময়ূর পালঙ্কের

মধূচন্দ্রিমা সাজাতে।

ইচ্ছে সপ্ন ২


ছোট্ট গল্পের পার্শ্ব চরিত্র থেকে
কেন্দ্রিয় চরিত্র হতে
হুমায়নের হিমু হয়ে

রবিন্দ্রনাথের লাবণ্যকে ভালবাসতে

সুহাস্য বদনে মোটা চশমার

অাড়ালে শাহারূখ হতে
বীরবেশে মেদযুক্ত অববয়ে

সালমান হতে

অসম্ভবকে সম্ভব করতে

অনন্ত জলিল হতে
টেকো মাথায় মাথা দুলিয়ে
অনীলের ঝাকাস হতে

খর্ব দেহে সিনাটান করে

ব্রাড পিট হতে।
সাধারন মানব বেশে

অতিমানব হৃতিক হতে।

ইচ্ছে সপ্ন ১

কালাত্তীর্ণ অতিক্রান্তে
তোমাতে চিরঞ্জীব হতে।
শ্রাবণের মেঘমালায়
প্রিয়দিবাকর হতে

অমাবশ্যায় শিখা
অর্নিবান হতে
চৌত্রের তপ্তে কৃষ্ণচূড়ার
লাল ছায়া হতে

পৌষের কনকনেতে
জোষ্ঠের উষ্ণ হতে
কার্তিকের অনিশ্চয়তায়
শরতের কাশফুল হতে

অাষাড়ের বন্যায়
ফাল্গুনি ফুল হতে
বর্ষার ঘনঘটায়
অগ্রহায়নের নবান্ন হতে

ভাদ্রের কালভেদ্রে
বৈশাখী মেলা হতে,
মাঘের শুষ্কতায়
অাশ্বিনের রক্তজবা হতে

ষরঋতুর বারমাসে
তেরো পার্বণ হতে।

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...