শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৭

বিভ্রান্ত মাঘ

উলের চাদরে অারাম কেদারায়-
'এক কাপ চা'
শীতোষ্ণমন্ডলেই বেশ অাছি।

নাতিশীতোষ্ণমণ্ডল ভুলে গেছি
বসন্তীরঙ শিকেয় তুলেছি।
বসন্তদূত দুয়ারে অসময়ে
কড়া নাড়ো!

শীতের প্রভাতে নরম রোদে-
'এক গ্লাস রস'
মাঘের কাঁপুনিতেই বেশ অাছি।

শরৎ পূর্ণিমা ভুলে গেছি
রক্তজবা বিকিয়ে দিয়েছি।
দক্ষিণ পবন  অসময়ে-
মৃদু হাঁকো!

নিশি রাতে লেপের তলে-
'ঠান্ডা অায়েশী ঘুম'
শৈতপ্রবাহে বেশ অাছি।

অাষাঢ় বাদল ভুলে গেছি
বর্ষাজল দাদন দিয়েছি।
বসন্ত কোকিল অসময়ে-
সুর তোলো!

ভয়কে নিকুচি।

সমুদ্রে পেতেছি শয্যা,
শিশিরে ভয় কি?
অনলে গড়েছি বাসর,
শিখায় ভয় কি?

নির্বাসনে সপেছি জীবন
বিচ্ছেদে ভয় কি?
নিরুদ্দেশে বেছেছি লক্ষ্য,
হারাতে ভয় কি?

পাথরে বেধেছি বুক,
দুঃখে ভয় কি?
নদীতে ডুবিয়েছি অাখি,
কান্নায় ভয় কি?

অাকাশে ছড়িয়েছি সপ্ন
কালোমেঘে ভয় কি?
রাতে হয়েছি নিশাচর
অন্ধকারে ভয় কি?

দূর্গমে করেছি যাত্রা,
অনিষ্টে ভয় কি?
জীবনকে করেছি বলি,
মরণে ভয় কি?

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রতিজ্ঞাময় প্রেমী

একটা ফুল লাল, কলি হলুদ
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে অবোধ।
এটা অাকাশ নীল, মেঘ সাদা
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে বোকা।

একটা সাগর হীম, জল নীলক,
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে নির্বাক।
একটা কানন  লাল, পাতা সবুজ
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে অবুঝ।

একটা কয়লা কালো, হিরে সাদা
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে ভেদা।
একটা বৃক্ষ সবুজ, কাণ্ড কালা,
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে গাঁধা।

তবুও-
অমন যে সে মহাময়ী সেও বুঝেছে ভুল,
ভুল করে তাই বিষ ঠেলেছি
নীল ভ্রমরের  হুল।

অমন যে সে বর্ণচোরা সেও বুঝেছে ভুল
ভুল করে তাই কষ্ট দিয়েছি
অশ্রু জলের রোল।

অমন যে সে প্রজ্ঞাময়ী সেও কষেছে ভুল
ভুল করে তাই নিকেশ  করেছি
বিরহ অনলের দোল।

হে-
অবনী, তোমায় ঐ স্পর্শহীন বাহু
অামায় অার উত্তেজিত করে না।
পুষ্প, তোমায় ঐ উত্তাপহীন সৌরভ
অামায় অার কামনায় ভাসায় না।

শশী, তোমার ঐ শীতলা জোছনা
অামার অার উদ্বেলিত করে না।
পুষণ, তোমার ঐ জ্যোতিহীন অালো
অামায় অার অাকর্ষণ করে না।

এখন-
অামার চাই জীবন্ত মাংসপিন্ডের দলা
অামার চাই রক্তে মাংসে গড়া প্রতিমা।
অামার চাই কামনার ছাঁচে উত্তাপ দেহ
অামার চাই যৌবনের শিহরিত স্পর্শ।

অতঃপর-
অামার অাগুন বন্ধক রেখেছি
অন্য কোন পদ্ম বনে,
পদ্ম কন্টক সঙ্গে নিয়েছি
হারিয়ে গহিন তিমির কুঞ্জে।

অামার অনুভূতি বিক্রি করেছি
অন্য কোন রঙ্গ বাজারে,
রঙ্গ বিষ সঙ্গে নিয়েছি
হারিয়ে সীমাহীন অচিনপুরে।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রতিজ্ঞাময়ী প্রেমী

কি দেখিয়েছ অামায়?
ভয়ংকরী ভঙ্গিমায়।
কি  দিয়েছ অামায়?
অমানীশার গহীনতায়।
কি বলেছ অামায়?
কুৎসিত শব্দমালায়।
কি শুনিয়েছ অামায়?
তিরস্কারের পরছায়ায়।

তুমি কৌমার্যচারী
প্রকৃতই  ধর্ষণকারী।
তুমি  নারীবাজি
প্রকৃতই হত্যাকারী।
তুমি নগ্নতাচারী।
প্রকৃতই ফুর্তিবাদী।
তুমি ভন্ডতপ্বসী
প্রকৃতই ছলনাকারী।
তুমি শরীর পুজারী
প্রকৃতই যৌনকারী।
তুমি বসকারী  
প্রকৃতই  অন্ধকারী।
তুমি ধ্বংসকারী
প্রকৃতই কুঅশরীরী।

অার পানে চাইবো না 
অার স্বপ্ন দেখবো না।
অার তোমায় শুনবো না
অার মায়ায় রইবো না।
অার কথা বলবো না
অার অাগুনে পুরবো না।
অার অাশায় থাকবো না
অার বিশ্বাস করবো না।
অার দীপ জ্বালাবো না
অার অপেক্ষা করবো না।

অামি ফিরে অাসবো না
অাবার ভালবাসবো না
অাবার ক্ষমা করবো না
অাবার প্রেমে বাধবো না।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭

পদ্মাবতীর মধূঘাটী

পদ্মাবতী পদ্মমুখী
কোথায় তোমার বসতবাড়ী?
পদ্মাবতী পদ্মনারী
কোথায় তোমার মধূঘাটী?

যৌবনের উঠোন কোণায়
উঁকি দেয় ঐ গোপন গর্ত।
ভ্রমর হয়ে তুলবো মধূ
এটাই অামার প্রথম শর্ত।

ভ্রমর এসে উড়বো উঁঠোনে
পুড়বো হুল গর্তে কোঁণে।
মসনদ গেড়ে রইব ঠাঁয়
পদ্মাসনের স্বপ্ন ছোয়ায়।

পদ্মবতীর পদ্মঘাটি
পদ্মনারীর পদ্মনাভী।
খাবো সব পদ্ম ঘাটি
বানবো এক বসত পাটি।

পদ্মাবতী পদ্মানারী
গর্ত খুড়ি, ঘর গড়ি।
পদ্মাবতী পদ্মমণি
স্বপ্ন গড়ি, ভালবাসি।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৭

স্তবক প্রিয়তমায়

তুমি নিদ্রাচ্ছন্ন-
তুমি অামাতে মগ্ন জানতে পারায়,
অামি নিশ্চিত হয়েছি-
তোমার বেষ্টিত  নিরাপত্তায়।

ভালবাসার ঐ অসীম-
বিশ্বস্ত ধারাবাহিকতায়,
অবলাল বিশুদ্ধ সূত্রে-
দুবাহুতে অাকড়েছ অামায়।

এ দাশ অাজি-
তোমার বুকে মাথা ঠাঁয়,
মম শৃঙ্খলাবদ্ধ হাত-
দুটি সঁপে তোমায়।

অঞ্জলী দিয়েছি-
তোমার ঐ অাবক্ষ হৃদে,
প্রাণ সপেছি গোঁ তবে-
ওই অাচঁলের ছায়ায়।

ভালবাসি বলেছি হে-
প্রিয়তমা ঐ কানে কানে,
হেলেছি দুলেছি হৃদয়ে-
হৃদয়ের অাদিম অাকর্ষণে।

কৃতজ্ঞময়ীর অার্শ্বীবাদে-
অাজি ভালবাসার তীরে।
ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়-
হে প্রিয়, জনমে জনমে।

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রিয়মুখ

অাহা জীবন কত সুন্দর
সুখের অন্তে দুখ
দুখের অন্তে সুখ।

ক্লান্তি শেষে নিড়ে ফিরি
দেখতে  তোমার প্রিয়মুখ।

জীর্ণতা অামার ঝরে যায় তবে
এই সুন্দর সংসারের মায়ায়।

এই স্বর্গ এইতো অানন্দ
খুজে পাই ঐ ভালবাসায়।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭

-:অভিশপ্ত অাত্মা:-


অাত্মাঃ হে জীর্ণ দেহ, অামি তোমার জীবনে দুষ্টগ্রহ, মুক্তি দাও অামায়। তোমার ঐ মরণব্যাধির জন্য তুমিই দায়ী। হে দেহ তোমার পাপাচারের শাস্তি কেন অামায় পোহাতে হচ্ছে? অার পারি না, দয়া করে এবার ছাড়ো, বিসর্জন দাও অামায়।

দেহঃ (অাত্মার মিনতিতে সায় দিয়ে) এ বুকে একটি মাত্র ক্ষীণ অাশা অবশিষ্ট অাছে। তা মৃত্যুর অাশা। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত সে অাশা বেঁচে থাকবে। অামি মৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে যাব; অামার বুক ভেঙ্গে যাবে। তখন সব দুঃখের অবসান হবে।


অাত্মাঃ (দেহের সাথে সুর মিলিয়ে) প্রতি ক্ষনে একটি অাকুতি, হে প্রভু অামাদের মরতে দাও।
প্রভুঃ (অাত্মায় সুধায়), হে অাত্মা হে দেহ, তবে তোমাদের ইচ্ছাটা পূর্ণ হোক। অতঃপর অাত্মা মুক্তি পায় দেহ নামক কারাগার হতে। বিদায়বেলা বিষাদের পরিবর্তে সকলের মাঝে বরং অানন্দময় হয়ে ওঠে। হয়ত প্রভুও তাদের মুক্তি দিয়ে হালকাবোধ ও নিস্তার লাভ করে

অাত্মাঃ (অাত্মা সাগ্রহে ও অপার অানন্দে বলে ওঠে), অাহ্ অবশেষে মুক্তি পেয়েছি। হে নিষ্প্রাণ দেহ, অামি এখানেই অাছি, পাশাপাশি।

দেহঃ অাত্মা তোমায় মুক্তি দিয়ে অানন্দ হচ্ছে খুব। অামিও বেশ মজাতেই অাছি, কোন ব্যাথা অার নেই, এইচঅাইভি ভাইরাস অার ব্যাক্টেরিয়া অনুজীব সমূহ অার অামায় অস্থির করছে না। যদিও ওরাও খুবই খুসি জয়ী হয়ে, কিছুকাল মুহুর্তের মধ্যেই ওরা অামায় নিঃশেষ করে নিজেরাও অাত্মাহুতি দিবে। এইতো গাপুসগুপুস করে খাচ্ছে অামায়! পচনের অারম্ভ! অবশেষে অামি সুখি, অাত্মা সুখি, এইচঅাইভি সুখী, সবাই সুখী।

অাত্মাঃ অামি নিরোগ মুক্ত অাত্মা, অামি অবিনশ্বর, বন্ধনমুক্ত। তবুও হঠাৎ সুখের দোলাচলে হেলছি অার দুলছি। কিসের অজানা মায়ায়, তোমায় খুজে ফিরছি!

অবশেষে প্রিয়য়মুখ! অদৃশ্য তলে তোমাকে খুজে পাই। এখন অার তোমার সামনে বিরজমান হতে অার কোন ভয় নাই। মুখোমুখি মাথা উচু করে অজস্র না বলা কথা বলতে অার বাধা নাই। অামাকে অার ভর্সনা শুনতে হবে না। যদিও অামার এই অধঃপতনের একমাত্র কারন, অামার প্রতি তোমার চিরন্তন বিমুখতা।

তোমার অন্তরাল হতে, অগনিত বিভ্রান্ত অাত্মার মাঝখানে অাবার তোমার অপার্থিবে ফিরে অাসার অাশায়-

অামি অাত্মা নিষ্পলক চোখে তোমার মাঝে অাটকে থাকবো একই ভাবে, একদৃষ্টিতে, অনন্তকাল ধরে। বলে যাই শুধূ ভালবাসি!

#কল্পকথন

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭

হনুজ দিল্লী দূরঅস্ত

সত্যিকারের সবল চিত্ত মানুষ কখনো দিব্যি করে তা ভঙ্গ করে না। অার যদি করেও থাকে তারা তা ভঙ্গ করার মাসুলও দিতে প্রস্তুুত থাকে। বর্তমানকালের অযোগ্যতার মাফকাঠিসমূহ তোমার ভবিষ্যতের দিকনির্দেশকের অনুঘটক হতে পারে। তোমার জীবনে এখনো অনেক পথ বাকী।

অামি নিশ্চিত, এই সাতাশ বছরে অনেক শপথই রাখতে পারি নাই বা সত্যিকারের সবল চিত্ত মানুষ হতে পারি নাই। তাই প্রকান্তরে এর মাসুল দিতে সদা প্রস্তুুত অাছি বা দিচ্ছি। দুঃখ, ব্যর্থতা ও ভুল সিন্ধান্ত অামায় বিচলিত করতে পারে সত্যি তবে পথভ্রষ্ট নই মোটেও।
হনুজ দিল্লী দূরঅস্ত (দিল্লী এখনো অনেক দূর)!

Fact: Go ahead just alone if nobody accepts your invitation.

সুখী বিবাহিত জীবন'

একজন মানুষ তখনি অসুখী ও দুঃখ যন্ত্রণা মধ্যে থাকে যখন সে তার সহজাত প্রবৃত্তির নির্দেশনানুযায়ী চলতে পারে না। অার তখন সে সৃষ্টিকর্তার সেরা সৃষ্টি হয়েও তার স্বাভাবিক জীবনের অঙ্গ, প্রেম, অানন্দ, সম্ভোগ এবং পরিতৃপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। অারো গভীর ভাবে চিন্তা করলে উপলব্ধি করা যায় যে অানন্দ সম্ভোগের তীব্র চাহিদা অথবা উপাদান সমূহের লভ্যতায়ও অতৃপ্তিময় ভোগের পরিনামে সে পরম বিতৃষ্ণা অার মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে থাকে।

সুতরাং তার দেহের রক্ত-মাংস শুধু জীবনোপভোগের সুযোগ লাভের জন্য কৌমার্যব্রত ভঙ্গের চেষ্টা করেই ক্ষান্ত হয় না বরং দেহ নামক কারাগারের বন্দী দশা থেকে মুক্তির জন্য নিরব অার্তনাদ করতে থাকে। শুধুমাত্র প্রেমের পরম মূহুর্তে সে অাত্মা শূন্য মার্গে উড্ডীয়মান হয় অাবার ঐ মূহুর্তের অন্তেই দ্রুত খাঁচার অভ্যন্তরে ফিরে অাসে। অাত্মার এই স্বল্পস্থায়ী স্বাধীনতাই কারাজীবন শেষে দেহের প্রাচীর ভাঙ্গার পর অাত্মার স্থান নির্দেশ করতে যথেষ্ঠ। যে স্থান অনন্ত অানন্দের জীবন, সে জীবন স্বয়ং অনন্তের জীবন। যে ঐ অবস্থানটি নির্ণয় করতে পারে সেই প্রকৃত ভাগ্যবান ও জীবনের স্থায়ী অর্থ খুজে পায়।

কারন ধন-সম্পদ, সন্মান-প্রতিপত্তি একটি মোহ যা ক্ষণস্থায়ী; স্থান কাল ও পাত্রের অবস্থান ভেদে তার পরিবর্তন হয়, অপরদিকে একজন মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি অপরিবর্তনীয় কারন তা অাত্মার সাথে সর্ম্পকিত। সুতরাং অাত্মার মুক্তি, সুখের সন্ধান, প্রকৃত প্রেম সর্বোপরি পার্থিব অানন্দের জন্য হলেও যোগ্য সঙ্গীর সাহচর্য অবসম্ভাবী।

সারমর্মঃ 'সুখী বিবাহিত জীবন' জিন্দাবাদ!

কুৎসিত পিশাচীনী

এবার সে সম্পূর্নরূপে বিধ্বস্ত। অবশেষে সে জানতে পারে তার প্রিয়তমা চিরতরে হারিয়ে গেছে। সে যদি কখনো বা ফিরেও অাসে, তবে তার প্রিয়তমা রূপে নয়, একজন দুষ্ট প্রবৃত্তির দাসী অথবা কুৎসিত পিশাচীনী হয়ে ফিরবে।

পথ চলতে যাকে দেখবে তার প্রতি ভয়াল দৃষ্টি হানবে। হয়তবা অপরাধ করার উদ্দেশ্যে চোরের মতন ওত পেতে বসে থাকবে। কারন যে একাবার তার সবচেয়ে প্রিয় অারধ্য ধনকে হারিয়ে অাত্মবিসর্জনের বলি হয়, সেই প্রেমিকার অার কিই বা হারানোর ভয় থাকে?

এইতো তবে মৃত্যু!

মৃত্যু! একরাশ সপ্ন অার জয়রথ অবসানের মৃত্যু। অসীম কষ্ট অবসানের মৃত্যু। অমেঘ সুখ, অাত্মতৃপ্তি ও সমৃদ্ধির মৃত্যু। অর্জিত সকল সফলতা, জ্ঞান ও ভালবাসার মৃত্যু। হ্যা, এইতো তবে মৃত্যু!
যেই অামি সারা জীবন সমাজ বন্ধন ছেড়ে শূধু একটি ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি যেন অামার মতো হঠকারী বিশ্বাসঘাতক সমাজে থাকলে অার ছলনা করা, হৃদয় ভাঙ্গা, খুন কিংবা অন্য কোন জঘন্য অপরাধ করতে না পারি।

সেই দুরন্ত অপরিমেয় অামি অাজ জীর্ণদেহের প্রতিচ্ছবি, শক্তিমত্তা হতে দুর্বলে পরিনত। যেই অামি মৃত্যুকে অালিঙ্গনের প্রত্যাশায় শয়তানের পথ বেছে নিয়েছিলাম, অাজ সেই অামি মৃত্যুর কোলে অসহ্য বেদনায় ছটফট করছি। 

বরাবরের মতো দৃষ্টির শেষ পলকে তোমার হাসি-কান্না মিশ্রিত মুখখানা দেখছি! অামার শ্রবণের শেষ ধ্বনিমালায় তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি! তবে এই শেষ নিশ্বাস কেন অারো একটু দীর্ঘতর নয়? তোমার স্মৃতি নিয়ে অামি যে অারো কিছুক্ষণ বাঁচতে চাইছি এখন!

অামি কি অাবার ফিরে অাসতে পারবো তোমার বুকে? কোন এক নিযুত কোটি মহাকাল অন্তে অাবার কি তোমার দেখা পাবো? তোমার অাত্মাকে তখন কিভাবে চিনবো অামি? তখন তুমিই বা কোনরূপে থাকবে? প্রাণোচ্ছল কিশোরী, কৌমদী যুবতী, মাতৃস্নেহা জননী নাকি অসহায় বুড়ি?

যে মৃত্যু অামি সবসময় কামনা করেছি, এখন সেটাই অামার শত্রু হয়ে দাড়িয়েছে। তোমায় অামি অার কেন দেখতে পারছি না? কেন হারিয়ে যাচ্ছি অন্ধকার অতলে! কেমন যেন একটি তীব্র কষ্ট অার তৃষার্ত শুষ্কতম অনুভূতি! সত্যিই, মৃত্যু কখনো সুখের হয়না! 

এখন অন্যান্য জড় বস্তুর মতো অামিও পাথর হয়ে শুয়ে অাছি। অাত্মাটাও স্বার্থপরে মতো কোথায় চলে গেছে। এমন করে অারো সহস্র কোটি বছর এক অনন্ত নির্বাসনে পড়ে থাকবো। অার প্রিয়তমা, এক যুগের ন্যায় তুমি হয়ত বিরহের অশ্রুজল বুকেধরে অাজ রাতেও অামার জন্য প্রতিক্ষা করবে.......! ফিরে অাসার........!

#কল্পকথন

লাল মদের অণুগল্প

মানুষের জন্ম একটি কারনেই, আর তা হলো স্বীয় কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করা। কিন্তুু আমি এখন মারাত্মকভাবে ক্ষত বিক্ষত কারন প্রতিটি ক্ষেত্রে বির্বজিত আর কাপুরুষত্বের পরিচয় দিয়েছি। আমি শয়তানি আর ভুল পথে নিজেকে সমার্পন করে তোমায় কষ্ট দিতে চেয়েছি। আমি পেরেছি, তোমার এই নিরব আর্তনাদ তার সাক্ষ্য বহন করছে! এখন তোমার চোখে আমি অধঃপাতিত যদিও আমি মনেপ্রাণে তাই চেয়েছি।

জানি তুমি বরাবরের মত আমাকে উন্মুক্ত বুকটা চিড়ে দেখাবে যে কি জ্বালায় আর যন্ত্রানায় বুকের শিরাবিথী শুকনো ডালপালার চেয়েও দাউ দাউ করে জ্বলছে। আসলেই আমি নিকৃষ্ট আর ইতর কারন তোমার মতো রমনীকে দুঃখ যন্ত্রনা আর নির্মম কষ্টের জ্বালা দিতে পেরে অদ্ভুত আনন্দ লাভ করছি।


চেয়ে দেখ! তোমার আর আমার ভালবাসার মাঝে কঠিন বিচ্ছেদের মহিমা কীর্তন করছে। দুরে থাক! স্পর্শ করো না, ভালাবাসার বিচ্ছেদের মাঝে তোমাকে আবার নতুন করে সুখ ও কামনার মাঝে ঠেলে দেওয়ার কোন অধিকার আমার নাই।

আহ! নাহ! তুিম যা ভেবেছিল তা নয়, আমাদের স্বপ্ন গুলো অনেক আগেই মরে গেছে। শুধুমাত্রই হৃতপিণ্ডে জীবন স্পন্দিত হচ্ছে, যেমন ইটের আঘাতে ধূলিতে কাতরানো কবুতরের মতন ঐ জীবনীশক্তি প্রবল ভাবে উচ্ছ্বসিত হচ্ছে মাত্র।
যে প্রেম আমাদের এক সুত্রে বেধেছেলি সেই পরাজিত প্রেমই সামনে তোমার দিনগুলোতে সাহস সঞ্চয় করবে। দেখবে একদিন আমাকে ঠিকই ভুলে যাবে, তোমার আবার পুনরুজ্জীবন হবে। তুমি এখনো তরুণী, সারাটা জীবন পরে অাছে।

এই তুমিই, আবার আমার কথা যখন ভাববে, তখন তা একটা স্বপ্নের মতন মনে হবে। মনে হবে তুমি যেন পথ হারিয়ে কোন এক দুবৃর্ত্তের সাক্ষাৎ পেয়েছিলে, যে তোমার অনিষ্ট সাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।

সত্যিকারে যার কাছে থাকবে, যে কখনো তোমার হাত ছাড়বে না, সেই তো তোমার প্রাপ্য। এখন তোমার সবকিছু অন্ধকার মনে হচ্ছে, তবে অচিরেই এই অন্ধকার কেটে যাবে।

তখন তুমি উপলব্ধি করতে পারবে যে তোমার সাময়িক দুঃখের কারন হয়ে আমি মঙ্গল সাধন করেছি মাত্র। যেমন করে অসুস্থ মানসিক রোগীর প্রতি, তার রোগ সারাতে অসুস্থ দেহে নির্দয় বৈদুতিক তরঙ্গ প্রবাহিত হয়। হা হা হা, আমি তোমার বৈদুতিক তরঙ্গ!

তবে এসো বিদায়ের শেষবেলায় সরেস মদ পান করা যাক। নাও চুমুক দাও। ওকি! গ্লাসের কানায় তোমার ঠোট, তারপরও তোমার দাত কেন দ্বীধায় ঠকঠক করছে?
প্রিয়তমা! ফেলে দিও না, বহু কষ্টের সঞ্চিত প্রবাহিত রক্তকণার তৈরী এ মদ, এতো হৃদয়ের প্রবাহমান রক্তাক্ত মদ, নাও পিয়াস মিটাও। মুক্তি দাও আমায়.............
#কল্পকথন

মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৭

পিপাসার্ত প্রেমিক

হে রমনী,
অামার হৃদয়ে ঝর তোলা মোহিনী রানী
এ হৃদয়ের অারাধনাতে শুধূ তুমি অনুরাগী।
তোমায় পেতে সপ্নে-কল্পনায় বিভোর থাকি
এতটুকুন ছোয়ার অাশে নিরন্তর প্রহর গুনি।

হে কুমারী
নাশপাতির মতো তোমার গায়ের রং এর দূতি
চিকন নাকের নাকফুলে যেন প্রেমময় অার্তি।
কামার্ত ও উজ্জ্বল অাহবানে ঐ বেদানার মতো ঠোঁট
হরিণীর মতো টানা টানা অার মায়াভরা ঐ চোখ।

হে ইন্দ্রাণী
ঐ মুক্তার মতো ঝকঝকে তোমার সারি সারি দাঁত,
সরূপল্লবের ন্যায় প্রসারিত মিহি পেলবী হাত।
সখীর ময়ূরী চলনে যেন যৌবন উদ্বেল করা ছন্দ
তোমার নুপরের কিঙ্কিণী সুরে মন ভোলানো অানন্দ।

হে মায়াবী
ঐ চোখে দুই ফোটা অশ্রু কখনো হাসির বা কান্নার,
কে বুঝিবে হাসিতে কেনবা সুখ বা বিরহের ঝংকার?
ঐ ঠোটে অাবার সহর্ষ বা হঠাৎ বিষাদের রোল
হৃদয়ে কখনো অানন্দের ছোয়া বা কষ্টের দোল।


হে প্রিয়ন্তি,
লোভী রোদের কীর্তন  ঐ রক্ত গোলাপের লাল  চিবুকে
তুমি অারো রহস্যময়ী সর্বাঙ্গে  রোদের সিঞ্চণে ।
ঐ হাসির  খিলখিলিতে  বুকের নাচন ওঠে হেলেদুলে
বক্ষপট  মেঘের অাড়ালে উকিঁ দেয় ঐ চাঁদের বুকে।

হে প্রিয়তমা
তোমার  সুধা অাকন্ঠ পান করা অামার অাজন্ম বাসনা
ভ্রমরী গুনগুন সুরে মধূ অাহরন করা অামার অারাধনা।
প্রতিটি ফুলের সৌন্দর্যে জিকিরের তাশারিফ করি অামি
সেই তারিফের বাহানায় ঐ মধূ ভান্ডার মেলে ধরবে তুমি।

হে ঝরনাধারা
এ হৃদয় তপ্ত মরূম্ভূমি, তৃষ্ণার্ত একটা তৃণের মতো
মহাকাল অপেক্ষায় প্রিয়তমা, অামি প্রেম পিপাসার্ত।
তুমি তোমার ঐ যৌবন  ঢেলে দাও তবে  গেলাসে
তুমি হলে সেই অমিয় সূধা যা পিপাসা মেটাতে পারে।

হে যুবতি
তোমার অালিঙ্গনের মধ্যে দিয়ে অামি হারাতে চাই
অামার অালিঙ্গনের সোহাগে তোমায়  পিষ্ট করতে চাই।
তৃষ্ণা মেটানোর জন্য সবটুকু যৌবন করতে পারি হরণ
বক্ষদেশ, নিতম্ভভান্ডার, প্রবাহিণী উপত্যাকায় হোক তবে বিচরন।

হে মমতাময়ী,
যৌবন নদীতে তুলেছি পাল তটে ফিরার অপেক্ষা
তোলো তোমার তীরে নদী, এ মাঝির অার তর সয় না।
অাহা কি সুখ সুধায়, কি  মায়ায় অাচ্ছন্ন করেছে অামায়
অামি জল চাই, চাই চাই, পিয়াস মিটাও, সিঞ্চণ করো অামায়।

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭

জীবনসঞ্চারিণী

সুদর্শনা প্রিয়তময়েষু
একটিবার ঐ চোখের পাতা খুলো, দেখ অাখিঁ মেলে,
চেয়ে দেখ রাঙ্গা দিবাকর নিকশ অাধারকে ভোগদখলে মেতেছে
তোমার অার অামার প্রেমলীলায় প্রতিক্ষার প্রভাত ফিরে এসেছে।


প্রেয়শী প্রিয়া
একবার দৃষ্টিদান করো ঐ খোলা জানালার পানে,
অাকাশ এসে তোমার জানালায় লুকোচুরির খেলায় মেতেছে।
তোমার ধবধবে শুভ্র মুখের জেল্লায় সে ফর্সা হতে শুরু করেছে।


বুলবুলি মেহেবুবা,
অার একবার সুর তোলো ঐ সুরেলা কন্ঠের ধ্বনিতে
বাগানে পাখিরা তোমার নামে গান গাইতে শুরু করেছে।
ঐ সুরের লহমায় ফুলেরা প্রস্ফুটিত হয়ে সুবাস ছড়াচ্ছে।


অাদুরে প্রিয়তমা!
এখনি সময়, চেয়ে দেখ! কতরূপ খেলা করে এই ভোরের হিম বাসাতে!
ঐতো পর্দার ফাঁকে বায়ুপ্রেম চুপিচুপি তোমার চুলে হারিয়ে যাচ্ছে।
তোমার নামে উৎসর্গ করা গোলাপের মিষ্টি গন্ধ ভেসে অাসছে।


হে মুগ্ধময়ী মনোহরী,
অামাদের এ অসীম ভালবাসা একদিন ফুরিয়ে যাবে,
ঐ রক্তকাঞ্চনের গায়ে লেগে থাকা শিশির বিন্দুর মতোই তো এ জীবন।
সকালের রোদ এসে অাপনা অাপনিই একসময় অামাদের মিইয়ে দেবে।


হে জীবনসঞ্চারিণী,
তুমি কত সুন্দর! তাই এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর।
এই সংসার ছেড়ে কাউকে তো যেতেই হবে অগ্রে অথবা পশ্চাতে
হয় তুমি না হয় অামি, শেষে কে বিরহের অাগুনে জ্বলবে?

শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

-: মহাকাল পাঁচালি:-

হে নিরাকার,
তোমার অদৃশ্য হাত গুলো হ্রস্ব
তথাপি তার তীর উড়ে যায় মৃত্যুর সীমা পর্যন্ত।

হে নিরবধি,
তোমার স্বর ক্ষীণ
তথাপী তা ধ্বণিত হয় সপ্তাকাশের শেষতম পর্যন্ত।

হে ভরশূন্য,
তোমার চাপরাশী অস্পর্শী
তথাপী তাতে সৃষ্টি ও নাশ হয় গ্রহ নক্ষত্রের।

হে গন্ধহীন,
তোমার নহরে স্বাদহীন সুধা
তথাপী তাতে আনন্দ ও বিরহের ধারক হয় আত্মা।

হে অন্তঃপুরী,
তোমার বাস অগভীর তলায়
তথাপি তার শিকর ধাবিত হয় পাতালপুরী পর্যন্ত।

হে সহর্ষ,
তোমার হাসি মুহূর্তকাল
তথাপি এটি উড়ে যায় স্বর্গের সমান উচ্চতায়।

হে নিরন্তর,
তুমি স্পর্শ করো না  ছলনা রূপ,
তথাপী তোমার আচরনগুলো সুদীর্ঘ অগ্নি সঞ্চারী।

হে কষ্টলভ্য
তোমার পীড়া নিমেষ
তথাপী তাতে খুলে যায় সপ্ত নরকের প্রতিটি দরজা।

হে ধ্রুব,
তোমার ধারা অপরিবর্তনীয়
তথাপি তোমার গতিতে লন্ডভন্ড হয় আকাশ বাতাস।

হে জীবনাস্রোত,
তোমার প্রবাহ চিরন্তন
তথাপি তোমার গ্রাসে হারিয়ে যায় মায়ার মানব সংসার।

হে যষ্টিধারী,
তোমার আসায় বসতি
তথাপি তোমার  নিষ্ঠুরতায় আরধ্য সপ্নের অপূর্ণতা রয়।

হে অনিশ্চিত,
তুমি বিরহের ধারক
তথাপি তোমার আর্শ্বিবাদে প্রতিটি ভালবাসা বেচেঁ রয়।

হে মৃত্যুপথ,
তুমি সংহার করো প্রাণের
তথাপি তোমার মমতায় নতুন জীবন জন্ম নেয়।

হে আপেক্ষিক,
তুমি চীর যৌবনের আধার।
নশ্বর এ মানব সজ্জলে
চিরবিদায় হে বিদায়ী বর্ষ।
সুহাস্যে করি অভিবাদন
সুস্বাগতম "শুভ নববর্ষ"।

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

সামষ্টিক ভবিষ্যৎ

হে সুরভিত অামার প্রিয়তমা রানী
অামাকে দাও তোমার অনুগ্রহ, হে রানী
তুমি অামার স্বর্গদ্বার, স্নিগ্ধতমা।

মনোহারিণী কুমারী রাগীণী তুমি, 
অামার হৃদয়ের লহমায় তোমার সুর বাধা
অানুকূল্যের জন্য নিবেদন করছি অামার ভালবাসা।

এসো অামার রানী, অাসো দূরদর্শীনী, অামি তোমায় ডাকি
হ্যা ঐতো তুমি অাসছো-
অামি শুনতে পাই পুষ্পময় বসন্তের পদ ধ্বণি।

এসো এসো প্রিয়তমা অামার অাবাসে
যেখানে পাবে তুমি ভালবাসার অারধ্য সন্তান
চুক্তিনামার অন্তরূপে পাবে মাতৃত্বলাভের সম্মান।

যেখানে তুমি পাবে অাখাঙ্কা, তোমার সেই অামায়
তোমারি কষ্ট কে সান্তনা দেবার জন্য ঠায় রইবো বিনিদ্র 
যা শুরু হয় অভিমানে অার সমাপ্তি ছিল বিচ্ছেদে তিক্ত।

অাহা কি সর্গ তোমার ঐ পর্বতের উপর বেয়ে
ছন্দে নেচে বেড়ানো অার নিঃশ্বাসে গান করে
উন্মাদনা সৃষ্টিকারী উজার উড়াল পাল তুলে।

কি মধূর এই নহরে নিঃশেষে ডুবে যাওয়া
যখন অাদিম হরিণ ধরা দেয় শিকার রূপে
ওহ্ কি অানন্দ রক্ত অার কাঁচা লাল মাংসে।

কৃষ্ণ কালো ডানা যুক্ত ‘নিশীকাল' তোমার অপেক্ষায়
তিমির লোচনে কামনার জাদু ও গভীর অাহবান প্রিয়তমায়
পড়লো অাদিম তাড়িত বীজ, যখন ঋৃতুচক্রের সঞ্চিতায়। 

অন্দরে ধাবিত হলো প্রেম,  জেগে উঠলো প্রথিত ভালবাসা
স্বর্ণের জঠর হতে উজ্জ্বলতা ছরিয়ে তোমাতে বিন্দুস্থের ব্যপনতায়
অামাদের নির্যাসের পরিণয়, অবশেষে অাত্মত্যাগে জন্মের প্রতিক্ষায়।
অামাদের সামষ্টিক ভবিষ্যৎ!

মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

প্রিয়তমা

হে প্রিয়তমা,
অামার একনিষ্ঠ ভালবাসা অার প্রাণহীন হৃদয়ে তোমার প্রতীক্ষা
মহাকালের বুক চিরে সাড়া বোঝা মাথায় নিয়ে অাগমনী অপেক্ষা।

প্রিয়তমা তুমি অাসছো-

ঐতো ধূলোয় লুটাচ্ছে তোমার পদ্মকমলের রিনিঝিনি কঙ্কণ!
গোলাপী ওষ্ঠদ্বয়ের কোণে মহাকাব্যিক হাসিতে ঝংকার তুলতে তুলতে
ছুটে অাসছো বিস্তৃত ভ্রমর কালো কেশবীথি বাতাসে মেলে।
ধবধবে ফর্সা মুখে একরাশ মুগ্ধতা ছড়িয়ে তুমি ছুটে অাসছো!
পাখির নীড়ের মতো স্নিগ্ধ অাধারী চোখের দূতি ছড়াতে ছড়াতে
বাহুদ্বয় বলাকার মতো পাখনা মেলে ঐ অসীম অাকাশ পাড়ি দিয়ে।

প্রেয়সী প্রিয়তমা!
সৃষ্টিকারী তোমায় রূপের অাড়ালে করেছেন অপরূপা।
কেন শুনতে পাওনা?  অামার যে ডাকতে ভাল লাগে!
ক্ষণে ক্ষণে নাড়া দিয়ে যাও কেন? কেন ছুয়ে যাও বারবার?
যখন নাড়া দিয়েই যাও, তখন সাড়া না হয় দিয়েই গেলে অাবার!

প্রিয় অারাধনা
অামার চেতনার রঙ্গপ্রিয় তুমি, অামার অারধ্য লজ্জা লাল
বুঝেছি এতোদিনে!  অামি তোমার অামার পরম মিলনের রক্তজল!
অামি দেখতে চাই তোমায় ঐ হাসির মাঝে অপরূপাকে
যে হাসিতে মেঘ কেটে রোদে ঝলমল করে দেয় অাকাশটাকে।
অামি দেখতে চাই তোমার ঐ চোখের কোণের জলকণা
যে শ্রাবণ ধারায় মনের ময়লা ধুয়ে পবিত্র করে দেয়  চেতনা।

প্রাণের প্রিয়া-
একদিন তোমার জন্য প্রাণ দিবো প্রিয়তমা
এই কথা কত্তবার মনে মনে ভাবি!
ভালবাসার  অাখি এতো দিন কোথায় ছিলে?
যেও না হাত খানি হতে খসে
ভুলোনা অামায় রিক্ত করে!
প্রিয়তমা ভালবাসি তোমাকে!

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

কাহিনী ও বাস্তবতার অতৃপ্তি

অামি ছিলাম তোমার বাস্তবতা যা পরিণত হলো কাহিনীতে
অার অদৃশ্যমান অলীক কাহিনী বাস্তবতায় এলো ফিরে।
প্রিয়তমা তুমি পুঁজিবাদীর প্রতীক অার অামি নিতান্তই প্রেমে
অামার চিরন্তন স্পর্শে কখনো অানন্দ পাওনি পার্থিব লোভের মোহে।


যেমন ধার্মিক পায়না ভক্তি বিবর্তনের বিভেদে
নদী পাায়না দুরন্ত যৌবনা স্রোত বাধের দেয়ালে।
প্রকৃতি পায়না কুমারী সুখ কল্লোলরাজীর উচ্ছেদে
ভাবনা পায়না কল্পনারস যন্ত্রকলার কারনে।


তুমি হারালে অসীম দূরত্বে যদিও চাইলেই পারতে অাসতে
যদি একবার চাইতে ধন্য হতাম ভালবাসার মায়ায় বাধতে।
তবুও তুমি এলে না নারী, এ জন্মের পূর্নতা শেষ হলো অপূর্নতায়
সবার মত তুমিও চাওনি থাকতে সত্যিকারে অামার বাসনায়।


প্রার্থনা, তুমি অাবার না হও 'বেদনা' অামার স্মৃতিমায়ার জালে
অামি বেঁচে ছিলাম, ঠিকই বেঁচে থাকবো তোমার মনের মাঝে।
নশ্বর দেহ মারলেই কিই বা ক্ষতি, অাসলে প্রেম কি মরে?
প্রেমময় রঙ্গে সেই হয় জয়ী যে অবলীলায় উৎসর্গ করে।


কান পেতে শোনো তোমার মনের বেহালায় কি সুর বয়?
এই প্রেমের মৃত্যুতে কোন অপরাজিত কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হয়?
তোমার চোখের দৃষ্টির অগোচরে দেখো কেন অশ্রুগঙ্গা বয়?
অামার বিসর্জনের মাঝে তবে কিসের বিজয়ী উল্লাস জারী রয়?


প্রস্তুুত থেকো প্রিয়তম-
প্রতিক্ষণে অদৃশ্যতলে বারবার অাসবো তোমার সামনে।
ভালবাসার শপথ সখা-
নিরন্তর ঐ অবচেতন মনে ঠিকই হাহাকারে উঠবো জেগে।


অাবার তুমিই বাস্তবতার অতৃপ্তিতে কাহিনীকে খুজে ফিরবে।
তখন অার ফিরে পাবে না সেই তোমার অামাকে, জন্মান্তরে!

নারীত্ব

হে নারী-
আমি তালাসী করি ভালবাসা আদিতে
আদম ইভের ন্যয় রূপোন্মত্ত প্রেমেন্দ্র তুষ্টিতে।

হে নারী-
নারী আমি খুজি ফিরি তোমারে আধার-আলোকে,
ক্ষণের পরে ক্ষণে, শতাব্দীর পরে শতাব্দীতে।

হে নারী-
খুজি ফিরি তোমায় রুমঝুম রুমঝুম ধ্বনিতে,
রিনিঝিনি রিনিঝিনি শব্দে মুখর আচ্ছন্ন হৃদয়ে।

হে নারী-
আমি খুজের ফিরি ভ্রুণের সেই আমাকে
তিলেতিলে মাতৃজঠরে নবজন্মে সিক্তকরণে।

হে নারী-
আমি ছুটে বেড়াই নিষ্পাপ মায়ার বন্ধনে
এতোটুকুন সহোদরা ভগনীর ছোট্টছোট্ট বায়নাতে।

হে নারী-
তোমার মানবীয় যৌবনই কি যথেষ্ট?
তবে জননী- ভগনী কিরূপে মর্যাদা পায়?

হে নারী-
তুমি তো শুধূ ভোগ্য নও পিপাসিত আমার কামে
তুমি জননী ছায়ায়, ভগনীর নিষ্পাপী অববয়ে।

হে কামার্ত নারী-
তোমার উলঙ্গ উদ্ধত বুক ওড়নায় ডাকো,
কৌমদির বিবসনা হওয়া অবসম্ভাবী তবে তা প্রেমে।

হে কৌমারী  নারী-
তোমার নগ্ন সঞ্চিতা গিরিখাত পোষাকে জড়াও,
প্রিয়তমার নির্লজ্জ হওয়ার অধিকার চিরন্তন  তাও শুধূই প্রেমে।

হে শ্রদ্ধেয়া নারী-
তুমি মোটেও নগন্য নও, আমার আরাধনা তুমি।
যে নারী জাগতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকারী,
যে সৃষ্টিধর  নারী  মানব শিশুকে আনে  বসুন্ধরায়
সেই শ্বাশ্বত মানবকুলের জননী সর্ব সভ্যতায়।

হে প্রিয়তমা নারী-
হ্যা আমি পাগল তোমার রূপের মহিমায়
এই ধরনীর কসম তুমি একদমই সস্তা নয়।

হে ছলনাময়ী নারী-
মানব শিশু আমি, জননীর খোলা স্তন বহুদিন পান করেছি
তোমার তেকোনায় মাত্রই আদি কয়েকটি সর আছে বুঝেছি।

হে শ্বাশত নারী-
নারী আমি খুজি ফিরি আমায় তোমার অন্দরে! 
তোমার নারীত্ব আমি খুজে ফিরি আমার হৃদয়ে!

প্রত্যাশা

তবে ফিরে অাসুক সে প্রিতমার বাহুডোরে,
যেথায় সুখগুলো ঐ পরানে খেলা করে।
তবে ফিরে যাক কষ্টের যন্ত্রাণময় একাকীত্বের
বিরহের বিলীন হোক তবে পুনঃমিলনের!

তবে ফিরে যাক মিথ্যেরা সত্য হয়ে,
পোড়া হৃদয় নহে অনুতাপে,
ইস্ক প্রোজ্জ্বলে হোক অাহবান
ফিরে অাসুক সুখ গুলো সেই অতীতের নীড়ে!

পোড়া হৃদয়ের ক্ষত যাক মুছে,
ভালসার সখা বলুক তবে-
ভালবাসি অামার প্রিয়তমা বধূ
যাবোনা কোনদিন তোমাকে ছেড়ে!


তবে ছলছল হোক না সে অাখিদ্বয় অাবার
তবে হোক না অবগাহন কষ্টের অার একবার।
তবে ডুকরে উঠুক পুনরায় সেই স্মৃতির পাঁতা
তবু বলবো, এ দুঃখ শেষ হোক, মুক্তিপাক সুখগুলো।

শুরুহোক তবে নতুন দিগন্তে-
নতুন পথ পারাবার!

তবে অাজি পাড়ি দেওয়া হোক সাহারা প্রান্তর,
যেথায় সপ্ন নামের মরিচিকারা হয় ধুসর।
তাদের বাস্তবতায় অানতেই হোকনা এ যাত্রা!
তবু বলবো হে যাযাবর, ফিরে এসো সেথায়, 
যেথায় অপেক্ষামান তোমার ভালবাসা।

তবু বলবো ভালবাসা,
সে তো "ভালবাসা"!
মান অভমানের ছেদ হোক,
বহমান হোক ছন্দের সেই নিংড়ানো ভালোবাসায়।

সুখে সমাপ্তি শেষ বেলার!

সবুরের মেওয়া

হে রহস্যময়ী নারী
তোমার অন্দরে অামি অামায় অাবিস্কারে খুজে ফিরি
তোমার মমতায় অারধ্য নারীত্ব খুজে পাই হে লালনকারী।
হ্যা অামি তোমার মায়াময় মুখের প্রেমে হলাম অাচ্ছন্ন!
তোমার সুগঠিত বক্ষপট অামায়  করবে না অার পথভ্রষ্ট।

হে কামনাময়ী,
তোমার পেলবী বহমান কলকলিতে নব যৌবনের অাধার।
তোমার  খরোস্রতা উত্তাল হাসি এ জীর্ণ দেহের প্রাণের সঞ্চার।
তোমার শৈষ্ঠবের কপাট খুললে বের হয় সঞ্জীবনী  শীতল হাওয়া,
ঐ শিতলতা দিয়েই প্রেম  তৈরী, অাহা বেহেসত খুব দূরে না!

হে অারধ্যা,
যেখানে  চার নয়নের মিলন খেলা করে,
সেখানে ওষ্ঠের মিলনের কথা অবান্তর।
যেখানে চার বাহু একসাথে খেলা করে
সেখানে বক্ষের মিলনের কথা অবান্তর।
যেখানে দুই মন এক বিন্দু ছেদ করে
সেখানে অাদিম মিলনের কথা অবান্তর।

হে কুমারী,
হ্যা অামি অাজ হাসির দোলা দুলে যাই,
যে হাসি ঠোঁটে উচ্চারিত নয়, চোখে খেলা করে।
অাজ অামি হৃদয়ে ঝরনার প্রবাহে ছুটি
এর উৎস সুখ ডগমগ হৃদয়ের নিভৃত প্রদেশে।
অাজ অামি পূর্ণ মিলনের ঝংকার তুলি
এর পরিতৃপ্তি অন্তিম প্রান্তরেখায় সুখের কান্নাতে।

ওহে যৌবানারম্ভা,
তোমার নির্জন পাহাড়ের উৎসঙ্গ হতে বের হয়ে অাসে ঝরনা প্রবাহ
অামার  শূন্য চৌচির হৃদয়ের মাটিকে ভরিয়ে দাও ধারায়, সিক্ত করো! 
উপলবিনুনীর পাশ ঠেলে এই তৃষ্ণার্ত প্রেমিক সঙ্গীতে অামন্ত্রণ দিতে
তবে হোক অাবার, বারংবার অবগাহন করাও ঐ ঝরনার প্রবাহে!

হে প্রিয়তমা,
তোমায় সবুরে অামার চিরন্তন অপেক্ষা,
তুমি তো অামার সৌভাগ্যের মেওয়া,
এবার তবে পরিপক্ক ফলের অপেক্ষা!

নিঃসঙ্গতা

নিশুতির কালরাত্রী অনিদ্রায় অস্থির অামি
না! চোখে ঘুম নেই, সজাগ ঘুমের ঘোরে থাকি।
অামার শয্যাতলে অসীম শূন্য,
ঐ কন্টকশয্যা অামায় কি দিবে ?
সীমাহীন কল্লোলের ছায়াবিথীতে নিখোজ
অামার বিরচন কিসের তল্লাশে?

অাজ দেহ মনে পচনের দুর্গন্ধও স্বর্গীয় সৌরভ হয় মনে,
যদিও তুমি অার অাসবে না হৃদয়ের উত্তাপ বাড়াতে।
সত্যি জগতসংসার; অামি নির্বোধ, অামি অকাজের
সপ্মে পাওয়া ধন বাস্তবে পাওয়ার শোকে কেউ কাঁদে?

অামি নিঃস্ব, তাই অামার ভালবাসাও নির্মম অালাদা
সমস্ত অনুভূতি, ইচ্ছা অাজ অানন্দের ধূ ধূ  মরিচীকা। 
হ্যা, অাজ অামার পাঁজর রিক্ত, জরা, অামি বিকৃত,
অামি বাস্তুুহারা, তবু এ প্রেম অনন্ত ধ্রুবতারার মত।

অামার তৃষ্ণার্ত চোখে তোমায় দেখে নেই কল্পনায়
তবে অামি বিশ্বাস করি কল্পনাও তো মিথ্যা নয়।
বাস্তবাতার মতোই কল্পনার স্মৃতিটুকু মিলায় মহাকালে
বাস্তবতা কল্পনায় লুটোপুটি খায় এক হয়ে যায় অতীতে।
এই নির্জনতা ভেঙ্গে নাই বা এলে তুমি ক্ষতি কি তাতে,
পুরাঘটনে কল্পনায় ও বাস্তবতার মধ্যে কি বৈসাদৃশ্য অাছে?

তবু সীমাহীন এক অাকাশ সম দূরত্বে তোমার ফিরে অাসার পানে
মহাশূন্যের এক কোণে জ্বলে চলছি একাকী মৌন অবিচল ছায়াহীন প্রেমে।
অাজকের রাতটা বিশাল অাকাশ, তাইতো নক্ষত্র নিঃসঙ্গে
অামার হৃদয় অাকাশে শুধূ তুমি ‘শুকতারা’ টুকু জেগে থাকে।

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

-:অাহা কতোটা ভালবেসেছি!:-

সপ্নের কুঞ্জনে তোমায় পেয়েছি, ভালবাসায় কতোনা চেয়েছি
হৃদয়ের কুঠরে তোমায় রেখেছি, পাশাপাশি হাটাতে কতটা মজেছি।
নয়নের অাখঁরে তোমায় চেয়েছি, অশ্রুজলে না পাওয়া লিখেছি
অধরের হাসিতে তোমায় মেখেছি, ক্রন্দনরোলে দিবস কাটিয়েছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!


বাহুডোরের বৃত্তে কামনা এঁকেছি, শুন্যহাতের বিষে কতোটা হাতরেছি
নিঃশ্বাসের বায়ুতে তোমায় খুজেছি, দ্বীর্ঘনিঃশ্বাসে ভীড়ে একলা হারিয়েছি।
ভাবনার অাকাশে তোমাতে উড়েছি, নিরবদ্য যাতনায় গুমরে মরেছি
দৃষ্টিতে তোমার মুখটি দেখেছি, শূন্যদৃষ্টির অসীম কোণে কতটা দুঃখ এঁকেছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!

সুখের নীড়ের তোমায় সঙ্গী করেছি, একলা তক্তপোষে অবিরাম জ্বলেছি 
মিলনের অাশে তোমায় চুম্বন সেটেছি, ওষ্ঠের ব্যাকুলিতায় কাঙ্গালী রেখেছি।
হাতের স্পর্শেন্দ্রিয়ে ঝংকার তুলেছি, রূপের মোহতে অাবিষ্ট থেকেছি
পেলব অঙ্গের দোদুল্যমান করেছি, প্রেম সঞ্চালনে প্রশান্তি এঁকেছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!

শুভ্র পদতলে মোর জীবন সপেছি, নত মস্তকের নতযানুতে ক্ষমা মাঁঙেছি
অাদরে তোমায় রাঙ্গা বউ ডেঁকেছি, অমীত কল্প্যকষ্টে অঙ্গার হয়েছি।
মায়াময় বদনে খোয়াব দেখেছি, প্রিয়সখার সঙ্গপ্রিয়ে মধূর থেকেছি
নিষ্পাপ কথামালায় ছন্দ মেখেছি, হরিণী চাহনিতে পাগল হয়েছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!

সোহাগি ছলে ভৎসঁনা করেছি, ভালবাসার দুঃখে মোরা কুলুপ এঁটেছি
না চাওয়াতে কতোটা চেয়েছি, না পাওয়ার ছলনায় সুখী থেকেছি।
বাহানায় কতোটা অভিমান করেছি, দূরপরিগ্রহে বিচরনে কেঁদেছি
সুখের ফেরীতে সাম্পান তুলেছি,  একটুকরো সন্দেহে জলাঞ্জলি দিয়েছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!

সহাস্য মুখে প্রেমী সেঁজেছি,  অামাদের দন্দের অমিলনে ঘৃণা করেছি
সর্গসুখ তোমাতে খুজেছি, চাহিদার অপ্রাপ্তিতে কলহে মেতেছি।
মাথার দিব্যিতে মোরা সাঁতপাকে সপেছি, অাত্মজীবনে স্বার্থপর থেকেছি
জীবনকে মোরা একসুতোয় গেথেছি, বিশ্বাস ভঙ্গে অাজ অর্বাচীন হয়েছি।

অাহা কতোনা তোমায় ভালবেসেছি!
অাহা কতোটা তোমায় ঘৃণা করেছি!
অাহা কতোটা নামে তোমায় ডেঁকেছি!
অাহা কতোটা নামে তোমায় অভিশাপ দিয়েছি!
অাহা কতোবার তোমায় বউ বলেছি!
অাহা কতোবার তোমায় গালি দিয়েছি!

অাহা কতোটা ভালবেসেছি,  কতোটা ভালবেসেছি, কতোটা ভালবাসেছি!

(রঃ বঃ)

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

কৃতজ্ঞচিত্ত মিনতিমালা

অমানিশার নিকরে প্রোজ্জ্বলিত ইস্ক তুমি দিয়েছ
বিশাল হিমাদ্রীর অসীম ভালবাসায় ধন্য করেছ।
সীমাহীন মহাশূন্যে সীমারেখায় সপ্তমস্বর একেঁছ
হৃদয়ের কষ্টকে মুছে সুখের বসতি স্থাপন করেছ।

হে প্রিয়তমা!
তুমি অামায় বিনিদ্র করেছ এই অনন্ত রজনীতে!

হে প্রিয়তমা!
মুধূচন্দ্রীমায় মিলনের অাকুলতায় অাচ্ছন্ন করেছ!

তোমার পাগল করা প্রেমে অাজ অামি ধন্য।
বলতো, কি করে তোমায় করি ধন্য? অামিতো নিঃস্ব!
তাইতো অামার জীবন তোমার পায়ে সপিলাম প্রিয়।

অামার সকল ইবাদত, ভালবাসা তোমার নামে-
হে প্রিয়তমা! গ্রহণ করো ইচ্ছেকথা, কবুল করো দোয়া।
হে অামার ভালবাসা! হে অামার ভালবাসা!  হে অামার প্রিয়তমা!

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

অামার বাংলা

ওহে বাংলা তুমি মাতৃজঠরে স্নেহরূপী লালন
বাংলা তুমি ধমকি কণ্ঠে বাবার মায়ার শাসন।
ওহে বাংলা তুমি বোনের নিষ্পাপ হাসির ঝরনা
বাংলা তুমি ভাইয়ের বুকের অঝোর ভালবাসা।

ওহে বাংলা তুমি দাদী নানীর মজার মজার কিচ্ছা
বাংলা তুমি দাদা নানার সুহাস্যমুখের জ্ঞানদিক্ষা।
ওহে বাংলা তুমি চাচা মামাদের পোলাও কোরমার ঘ্রাণ
বাংলা তুমি খালা ফুফুদের পায়েশ পিঠার প্রাণ।

ওহে বাংলা তুমি ছেলেবেলার জামাই বউ সাজা
বাংলা তুমি শৈশবের চুড়ুইভাতি অার খুটিমুচির মায়া।
ওহে বাংলা তুমি কিশোরীর এক্কাদোক্কা অার বউ ছি খেলা,
বাংলা তুমি দুরন্ত বালকের ডাংগুলি ও হা ডু ডু-তে মাতা।

ওহে বাংলা তুমি শিক্ষকের মানুষ গড়ার প্রচেষ্টা
বাংলা তুমি জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নয়নের প্রতিজ্ঞা।
ওহে বাংলা তুমি হাড়ভাঙ্গা কৃষকের অারধ্য ধানের ডগা
বাংলা তুমি শ্রমিক মজুরের রক্তভেজা ঘামের বন্যা।

ওহে বাংলা তুমি অামার কিশোরী মেয়ের হাসি
বাংলা তুমি অামার যুবতি নববধূর লাজুক চাহনী।
ওহে বাংলা তুমি অামার জীবনের অসীম জয়গান
বাংলা তুমি অামার প্রিয়তমার ভালবাসা বুকের অাসন।

ওহে বাংলা তুমি অামার জ্বালাময়ী মুক্তিকামী  ভাষণ
বাংলা তুমি অামার কবি, শিল্পী, লেখকের সৃষ্টিশীল প্রাণ।
ওহে বাংলা তুমি অামার প্রিয় নেতার নির্ভীক রাজনীতি
বাংলা তুমি অামার নব দিগন্তে নবচেতনার দূতি।

ওহে বাংলা তুমি অামার চীরসবুজের যৌবনের রং
বাংলা তুমি অামার লাল পাহাড়ীর পরিশ্রবণের ঢং।
ওহে বাংলা তুমি অামার একরাশ নীল সুমুদ্রের ঝড়,
বাংলা তুমি অামার বহমান নদীর বুকচেরা কাদম্বরী স্বর।

ওহে বাংলা তুমি অামার প্রভাত রাঙ্গা রক্তিম সূর্য
বাংলা তুমি অামার শরৎ এ একফালি সর্গীয় চন্দ্র।
ওহে বাংলা তুমি অামার তপ্ত দুপুরের মায়াময় রোদ্দুর
বাংলা তুমি অামার মন জুরানো অপরাহ্নের প্রিয় সুর।

ওহে বাংলা তুমি অামার নরম কাশ ফুলের ছোয়া
বাংলা তুমি অামার একরাশ লাল কৃষ্ণচূড়ার  মায়া।
ওহে বাংলা তুমি অামার রক্ত জবার অবাধ ছন্দ
বাংলা তুমি অামার মুয়ূীর পেখমের অপলক নৃত্য।

ওহে বাংলা তুমি অামার সুন্দরবনে হিংস্র বাঘের গর্জন
বাংলা তুমি অামার ভোরের অালোয় পাখপাখালীর গুঞ্জন।
ওহে বাংলা তুমি অামার পথে ঘাটে বক শালিকের বাসা,
বাংলা তুমি অামার হরিণ, বানর অার প্রজাপতীর অরণ্যে ঠাসা।

ওহে বাংলা তুমি অামার পহেলা বৈশাখী বাংলা প্রাণের মেলা
বাংলা তুমি অামার শিতল দেহে অাম কাঠালের ছায়া।
ওহে বাংলা তুমি অামার ভাষা একুশের রহিম সালামের মেলা
বাংলা তুমি অামার দামাল ছেলের নির্ভীক অপরেজয় সেনা।

ওহে বাংলা তুমি অামার সুমধুর কোকিলের ডাক
বাংলা তুমি অামার মেঠো পথে দূ্র্বা ঘাসের বাঁক।
ওহে বাংলা তুমি অামার মাছে ভাতের বাঙ্গালী
বাংলা তুমি অামার খেজুরের রস অার পাটালীর ঝুড়ি।

ওহে বাংলা তুমি অামার বন্ধূর দলে দুরন্ত ছুটে চলা
বাংলা তুমি অামার কফি হাউজে ঝড় তোলা অাড্ডা।
ওহে বাংলা তুমি অামার নাঙ্গা দেহে প্রাণের ভাষা
অামি বাংলার বাংলা অামার এক সুঁতোতে গাথা।

ওহে বাংলা তুমি অামার বোনহারা ভাইয়ের বুকফাটা কান্না
বাংলা তুমি অামার ছেলেহারা মায়ের অামারন অপেক্ষা।
ওহে বাংলা তুমি অামার নববধুর সফেদ বিধবার চাদর
বাংলা তুমি অামার বিরহী প্রেমিকের নিষ্পলক অশ্রুবাসর।

ওহে বাংলা তুমি অামার দুঃখী বোনের নিরন্তর অাহাজারী
বাংলা তুমি অামার অস্থির বাবার হাহাকারের পায়চারী।
ওহে বাংলা তুমি অামার অসহায় মানুষের নিরব ক্রন্দন
বাংলা তুমি অামার মজলুম জনতার শহীদ প্রাণের স্পন্দন।

ওহে বাংলা তুমি অামার বিরাঙ্গনা মায়ের বুকফাটা কান্না
বাংলা তুমি অামার লুণ্ঠিত বোনের নিগৃহীত কুমারী অাত্মা।
ওহে বাংলা তুমি অামার লাখো শহীদের রক্তের অালপনা
বাংলা তুমি অামার এক সাগর রক্তের লাল সবুজের পতাকা।

ওহে বাংলা তুমি অামার স্বাধীনতার রবের বানী
বাংলা তুমি অামার মুক্তিযুদ্ধে অকুণ্ঠ জয়ের ধ্বনি।
ওহে বাংলা তুমি অামার রক্তাক্ত বিজয়ী মহাবীর
বাংলা তুমি অামার চীর গর্বিত অহংকারী উচ্চশির।

ওহে বাংলা তুমি অামার সবুজ ঘাসে সদ্য শিশুর বিচরন
বাংলা তুমি অামার প্রভাত ফেরীর শ্রুভ্র সপ্নের অাগমন
ওহে বাংলা তুমি অামার চীর উন্নয়ন, অঙ্গিকারের ধারা বয়
বাংলা তুমি অামার বিষ্ময়, বিশ্বময় অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে  রয়!!

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর তাৎপর্য

বাঙ্গালী জাতীর উন্নয়নের অন্তরায় ঘটাতে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হায়েনা ও বাংলার মিরজাফরের দল (রাজাকার, অালবদর, অাল সামস্, শান্তি কমিটি, নকশাল বাহিনী) এর সম্মিলিতে বেয়নেটের মাধমে কোটি বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ সন্তানদিগকে নির্মম ভাবে হত্যা করার প্রতীক হিসেবে শোকের বুদ্ধিজিবী দিবস কে হৃদয়ের  অন্তঃস্থল হতে ও সজ্জল নয়নে স্বরণ করছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের আগমুহূর্তে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে রাতে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আকাশে জ্যোতিষ্করাশির মতো চিরসমুজ্জ্বল কয়েকজন মানুষকে শোকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করার জন্য বছরে একটি দিন 'শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস'রূপে পালনের নজির বিশ্বের অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না। ভবিষ্যতের জন্য বাঙালি জাতিকে মেধা ও মননে পঙ্গু করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এই দানবীয় পাপাচার সংঘটিত হয় এবং তা অত্যন্ত পৈশাচিক বর্বরতার সঙ্গে।

সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি মরমী জহির রায়হান, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশেদুল হাসান, আনোয়ার পাশা, সিরাজুদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামউদ্দীন আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ফজলে রাব্বী, আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীন সহ প্রমুখ শহীদ বুদ্ধিজীবীকে যারা বেঁচে থাকলে অাজ হয়ত বাঙ্গালী জাতীর অন্য ইতিহাস লেখা হত। 

এ বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের বড় একটি তাৎপর্য হলো, চার দশক বিলম্ব হলেও মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারে দণ্ডিতদের মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত প্রধান ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে; আগে আবদুল কাদের মোল্লা ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের এবং গত মে মাসে মতিউর রহমান নিজামীর। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যপ্রবাসী চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আশরাফুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে, তাদের দেশে এনে তা কার্যকর করতে হবে। 


তবে এই দিবসে সবথেকে চমকপ্রদ ও অাশার কথা মনে হচ্ছে  তাবেদার বাহিনী জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা ও বুদ্ধিজীবী হত্যায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দলটি সম্প্রতি  বলেছে, ‘এই দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।’ প্রকারান্তরে তারা তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে, এখন তাদের উচিত মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি হতে স্ব স্ব অব্যহতি নেয়া নতুবা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তির সাথে সক্রিয় অংশগ্রহন করে এটাই অাদতে প্রমাণ করা যে তারা তাদের চরিত্রগত পরিবর্তন এনেছে।  অার সেটাই হতে পারে শহীদ বুদ্ধিজিবীগনের অাত্মার প্রতি যথাযথ সন্মান প্রদর্শ (অাপতদৃষ্টিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সন্তোষজনক ভাবেই সরকার বুদ্ধিজিবী হত্যার অপরাধীদের বিচারের অাওতায় দন্ড দেওয়া হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে যদিও তা এখনো সীমিত পরিসরে যেখানে অারো ব্যাপকতা প্রসারের প্রয়োজন অাছে বলে মনে হয়)।


তাছাড়া অামরা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অামাদের জ্ঞান, মেধা ও মননের চর্চা এবং উন্নত চেতনা ধারণা তথাপি তার প্রতিফলনের মাধ্যমেই কেবল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি যথার্থ সম্মান দেখাতে পারি। এদিনের প্রতিপাদ্য তথা প্রতিজ্ঞা হোক "জ্ঞান, মনন, বুদ্ধিবৃত্তি ও মুক্তচিন্তা চর্চার প্রতিরূপ "। সকল শহীদ বুদ্ধিজিবগণের অাত্মার মাগফেরাত কামনা ও তাঁর শোকসপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি (অামিন)।

শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬

রহস্যময়ী অনন্যা

অাহা কি রহস্য, অাহা কি মায়াজাল, কি জাদুময়ী তোমার রূপ
ঐ রহস্যময়ী রূপে খেয়ালে প্রেমিকুলের শ্বাশ্বত ভুল।
বাহারি সাজে উর্বশির দেহে বয় যৌবনের খেল
সুবাসিত অঙ্গেের ঘ্রাণে প্রেমিক হৃদয়ে মাতালী উদ্বেল।

কঁচি ডগার লতানো ঢং-য়ে যুবকের সপ্ন নির্ঘুম রয়
কুমারী যুবতীর যৌবনের বাঁকে প্রেমিককুল খেই হারায়।
তবু কন্যার নাই সুখ, সত্য প্রেমির ব্যাকুলতা কোন প্রেমিকের মনে পড়ে?
কুমারীব্রতে উপোস ভঙ্গে  এক ফোটা জলের লাগি গুমরে মরে।

তিলোত্তমার ভুবনময়ী অধর হাস্যে উর্মির দোল
রক্ত গোলাপ ওষ্ঠে প্রেমিক দল হলো পাগল।
পুষ্প কন্টকের বিষে ওষ্ঠের নিরব কম্পন কি প্রেমিকুলের চোখে ভাসে?
সখির ঠোটের কোণে কষ্ট কাঁদে বিরহী প্রেমের অাঁশে।

প্রিয় মোহিনীর মায়াবী লোচঁনে উপমায় কত প্রেমিক উপচে পড়ে।
গদ্যে পদ্যে ছন্দে গানে মন জয়ের কসরত করে।
নেশাপ্রবণ চাহনির 'রূপক' এ সপ্ন ভঙ্গের হাহাকার কোন প্রেমিকের হৃদয়ে জাগে?
সপ্নদৃষ্টির অসীম শূন্যতায় সখি অাহা ্কাঁরে যেন খুজে ফিরে!

প্রিয় সখির সুমিষ্ট বচনে কত শত যুবক প্রেমে পরে,
অাহা মরি মরি কোকিলা সুরে প্রেমিকের মূর্ছনা বয়ে চলে।
সপ্রসন্ন বাজ্ঞিতায় বিরহের কাঁন্না কয়জনের মনে ধরে?
কেহ বুঝেনা তাঁর মনের কথা, অাহা কাঁরে যেন  খুজে ফিরে!

প্রিয়ন্তীর সুখের অাকুতিতে ছোট্ট ছোট্ট ছলনা
কি তাঁর অমিয় বচন সুধা, কি তাঁর হাস্য মায়া!
ঐ নির্বোধ লাজুকতায় অমিত রহস্য খেলা করে
একমুঠো দিব্য প্রেম খুঁজে শত প্রেমিকের ভিড়ে।

জ্ঞানের অসীম পরিধীকে সিন্ধূকে রেখে রয় অঙ্গান সেঁজে
মনুষ্য বন্ধনের অাড়ালে অাত্মগোপন, একলা বসে কাঁদে।
 কান্নায় তাঁর দুঃখের অবিনাশ, কষ্ট অারো বাড়ে,
কেউ চিনলো না তারে, অামি চিনি তারে! অামি জেনেছি তোমাকে!

এই যেমন বার্তালীপিতে মিথ্যে প্রশ্নবোধকের বাহানা
প্রেমিক মন দুরুদুরু কাঁপে ঐ চকিতের সাংকেতিক হানা।
কি লিখেছে প্রিয়তমায় জানিতে অাকুল প্রার্থনা,
না জানি কত কথা তার মধ্যে লুকায়িত অাছে জমা!

সখীর ছলনায় ভাষায় গলদ, বার্তা হয় অারম্ভ গল্পের সুত্রপাত
এই গল্পে সেই গল্পে ট্রেন ছুটে যায় পাগল প্রেমিকের প্রলাপ।
কি ছিল তাতে, কি লিখে তুমি মোরে করেছ স্বরণ?
সখীর পায়ে পরি মরি জানতে হাজার মিনতির ভান।

প্রিয়দর্শিনীর হঠাৎ জুরুরী কাজে অতি ব্যস্ততার বাহানা
যেতে যেতে তোমার না যাওয়া অতঃপর অামাকে পাওয়া।
প্রিয় অারাধনা!  প্রতিনিয়ত এক গাদা প্রশ্নশূচক বার্তা চাই।
কপট ব্যস্ততায়ও এক দাবী, চাই চাই চাই, ভালবাসা চাই।

প্রিয় বিদূষী!
তোমার সবকিছুতে না বোঝার নির্ভেজাল ভান
অজ্ঞানের অন্তরালে বহিঃপ্রকাশ যবে অসীম জ্ঞান।
অাপনাকে বোকা করে জগৎকে করেছ ধন্যা
প্রিয়তমা! তুমি মহান, তুমি তোমার মহিমা, তুমি অনন্যা।

বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬

একটি অসমাপ্ত কবিতা

বিরহের দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে অাজ অামি ক্লান্ত, হে কবিতা
অলোকের যাতনায় একমুঠো সুখের জন্য অাজন্ম কান্না।

হে কবিতা! দিশাহীন কবিকে কেনই বা এক পৃথিবী দিশা দিতে গেলে?
যে কবি অাপন জীবন তরী ছন্দে বাধতে পারে না
সে কিভাবে তোমায় স্বপ্ন দেখাবে?

যে কবি যৌবনা দেহ কখনো ছুঁয়ে দেখিনি।
যে কবি কোন উত্তপ্ত ঠোটে চুমু অাঁকেনি।
যে কবি কোন সুডৌল মাংস পিন্ডে সাঁতার কাটেনি।
যে কবি কোন নারীর ভরা জোয়ারে  বৈঠা ডুবাইনি।

কি খেয়ালে কবিতা এমন অনভিজ্ঞ কবির হাতে দিশা দিলে?
যে কবি তার অাজন্ম একটি সুন্দর পংক্তির  জন্য দ্বারেদ্বারে ঘুরে,
যে কবি দেশান্তরি হয় হৃদয়ে লালিত অব্যক্ত ভালবাসা বিলিয়ে।

যে কবি ভালবাসা ফেরী করে
যেন সে পরপুরুষের সাথে শোয়া বাজারী বেশ্যা
তবু প্রতিদানরূপ ভালবাসাতো সোনার হরিণ,
পায়না একচিলতে সহমর্মিতা।

যেখানে এক প্রস্থ প্রেমি কবিতাও
তার থেকে মুখ ফিরে নেয়,
কিচ্ছু না পেলেও তার কিই বা  তার ক্ষতি,
অারে সে তো জন্মান্ত পরিত্যক্ত।

হ্যা অামি সেই পরিত্যাক্ত কবি বলছি-
অামি অাত্মচিৎকারে বুক ফাটাই,
চাই শুধূমাত্র বেঁচে থাকতে একটি পথের দিশা,
দিশা বিহনে অাজকাল কলমের ছোয়ায়
কবিতা অার জীবন্ত হয়ে ওঠে না।

একে একে সবাই যায় চলে জীবনের মায়া সাঙ্গ করে
রক্তের বন্ধন হতে, প্রিয় বন্ধু ও সাধের প্রিয়তমা পর্যন্ত।
অাষ্টেপৃষ্টে অাটকে রাখার কতো না বাহানা,
তবু কেহ তার হাতখানি ছোয় না
কানের কাছে একটিবারের জন্য বলে না ভালবাসার কথা।

হলো না তবে  দেখা শেষ বারের জন্য
হলো না বলা হৃদয় নিংড়ানো অনুভুতি মালা,
হয়ত অদৃষ্টের লিখনে তুমি এসেছিলে
চুপিসারে অামার মধ্যেই থাকবে বলে।

অদেখাই হয়ত ছিল অামাদের নিয়তি
কবিতা! তোমার মধ্যে কতো ছন্দ খুঁজেছি!
তোমাকে কল্পানায় কত ছবি একেঁছি!

কবিতা! জানি তোমার অাজ নব্য কবিকে মনে ধরেছে
তার কাছে প্রতিক্ষণে নির্মম ভাবে ব্যবচ্ছেদ হবে।
নিষ্ঠুর ছেনীর অাঘতে অাবার স্তনবৃন্ত কেপে উঠবে,
শুষ্ক ঠোটে এক ফোটা প্রেম সুধার জন্য হাঁসফাঁস করবে,
ছলছল চোখের চাহনি অার চাপা গোঙ্গানিতে
তখন অামার কথা মনে পড়বে।

তবু হয়ত একদিন অামার প্রতিটি কথামালা
হারিয়ে যাবে বিস্মৃতির অতলে
তোমার এই অপ্রেমিক কবি
প্রেমিকের অন্তরালে থেকে ভালবেসে যাবে।
যতই অস্বাীকার করো
সে রইবে ঠিক তোমার মনের মাঝে
জানতে পারবেনা কোনদিন
কতটুকু ভালবাসা জমেছিল তার মনে।

তবু এ নাছোড়বান্দা মনটি বারংবার তৃনয়নে সুধায় তোমায়
কবিতা অামার কথা কি একবারের জন্য কি মনে পড়বে?
ভাববে একবারও কত অর্থহিন কথার অন্তরালে কতটা কষ্ট ছিল?
শত উপমিত সম্মধোনে তোমাকে কতখানি ভালবাসতাম?

হায়! চাপা অাবেগের অন্তঃপুরে ভালবাসার ক্রন্ধন
বাঁচালের স্বভাবে তোমার মন জয় করা চেষ্টা অাপ্রাণ।

একটা নিগুঢ় কথা কবিতা!
অামি নিভৃতচারী, বাঁচাল নই বা কোনদিন ছিলামও না
তোমার ছন্দময় প্রেমের জোয়ার পেতে ফুটিয়েছি কথামালা।
তবে বলো হে কবিতা!
কেন মৃদুভাষী কবির অাজ এই হলো দশা!

কবিতা তুমি এখন অন্যের শয্যায় জাপিত
তোমায় ইচ্ছে মতো ভাঙ্গবে অাবার গড়বে,
অদৃশ্য কাঁচের মত টুকরো হয়ে ভেঙ্গে পড়বে,
তবু বাজারীর মতোই তার কাছে অাবার ফিরে যাবে।

তারপরও এইবুকে একটি প্রশ্ন বার বার ঘুরে-
অাচ্ছা, কবিতা তুমি এক মুহূর্তের জন্য হলেও কি অামার প্রেমে পরেছিলে?
এই হতভাগ্য কবির প্রেমকে একবারও কি ছন্দময় করতে ইচ্ছে হয়নি তোমার?
বেনারসির কথা বাদই দিলাম,
পূর্বপরিকল্পিত বিসর্জন দিবে বলে
বিধবা শাড়ি পড়তে মন চেয়েছিল কখনো?
নাকি এ অপদার্থ এতোটুকু সহানুভূতির যোগ্যতাও রাখেনি!

কবির দিশা!
এমন কি হয়নি কোন দিন যে
অামার কাছে একটু সময়ের জন্য অাসতে চেয়েছিলে?
অন্তত একটিবার হলেও
এই যুবকের মুখখানি দেখার সাধ জাগেনি মনে?
তবে না অাসাতে ভালই হলো,
হয়তো কবি অারো  বিভ্রান্ত হতো কবিতায় মজে!

কবিতা! কোন একদিন কি তুমি অামায় ডাকবে?
তুমি যদি একবার ডাকো তবে না এসে পারবো!
অার তুমি অাসতে চাইলেই মহাকালের খেয়া তোমায় অাসতে দিবে?
তুমি তো অাজন্ম তার অধিকারে,
এত শৃঙ্খল ভেঙ্গে অাসতে পারবে শুধু অামার কবিতা হতে?

সেটাও হয়তবা পারবে না তুমি,
তবে কয়েকফোটা জল ফেলতে পারবে-
অামার এই অসমাপ্ত কবিতার জন্য?

কবির দিশা!
তোমায় না পেলাম,
অন্তত তোমার ঐ চিবুক বেয়ে গড়ানো জলটুকু অামাকে দিবে?
তোমায় জলদিয়ে যে অামার এই দু চোখ ভেজাবো!

কথা দিচ্ছি-
অামার চোখে তোমার ঐ জলটুকু অাগলে রাখবো সারা জীবন!
পারলে অার একবার এসো সত্যিকারে, কবির দিশা হয়ে!
এ চোখের জলধারা মুছে দিতে!

মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬

ধিক: অলক্ষ্য!

অলক্ষ্যকে আয়ত্ব করার নিরন্তর চেষ্টায় লক্ষ্যকে ফেলেছি পায়ে, হয়েছি ফেরারী।
ইতমধ্যে ধরিত্রী দশমবারের মতো দিবাকরের পাঁকে আবদ্ধ হয়েছে।
অলক্ষ্যর দাস হয়ে ভুলেিছ আত্মজ্ঞান।
অজ্ঞান আমি, মূর্খ আমি, নির্বোধ আমি;
দিকভ্রান্ত পথিক ও যাযাবর।


খুব ইচ্ছে করে সেই 'ময়না পাখি', 'টিয়া পাখি'র ন্যায় আদরমাখা বুলি গায়ে মাখতে
অথবা 'মাথামোটা', 'বলদ' বলে ভৎসনা শুনতে।
মুক্তি পাবো তো? আমি লক্ষ্যে যেতে চাই।

লক্ষ্য হলো জন্মদাতার অবিরত প্রিয়দর্শনলাভ, সহোদরেরর সাথে খুনসুটি,
অকারনেই বারংবার 'মা' বলে ডাকা!

সময়তো খুবই অল্প; ধিক: অলক্ষ্য!

ভাবের বাঙ্গালী

৩৬১ দিন মদ পান করে ৪ দিন সুন্দর করে উন্নত সাবান শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে আকর্ষণীয় দামী পোশাক পরে আতর বা অন্য কোন অতি উন্নত মানের পারফিউম শরীরে মেখে সারা দিন নামাজ পড়ে যেমন সূফী হওয়া যায় না, তেমনি সারা বছর বিদেশী সংস্কৃতি নিয়ে মেতে থেকে, বছরের ৪টা দিন (১লা বৈশাখ, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর) আমি বাঙালী বাঙালী চিৎকার করলেই বাঙালী হওয়া যায় না ।
ফেসবুকের প্রোফাইলে জাতীয় পতাকা দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করে বাঙালিত্ব দেখাচ্ছি।
কোথায় থাকে আমাদের বাঙালিত্ব?
যখন স্বাধিনতার  ৪৩ বছর পরও ১১ হাজার নেতা কর্মী মুক্তিযোদ্ধা খেতাব পায়, তাদের সন্তানদের ভালো চাকরি দেওয়ার জন্য; তখন আমরা কেন চুপ থাকি ?
কোথায় থাকে আমাদের বাঙালিত্ব যখন ৯৭ কোটি টাকা খরচ করে সঙ্গিত গাওয়া হয় যখন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা এই দুর্বিষহ শীতে একটা ছেড়া লুঙ্গি গায়ে পেচিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে ব্যার্থ হচ্ছে ?
কোথায় থাকে আমাদের মনুষ্যত্ব, বাঙালিত্ব যখন একটা পথশিশু দাঁতের উপর দাঁত চেপে থরথর করে কাঁপছে ।
কোথায় থাকে আমাদের বিবেক যখন অনাহারী শিশুদের মুখে একমুঠো ভাত না দিয়ে আমরা বেনসন এন্ড হেইজেস সিগারেট খাই?
কথা গুলো অনেক কষ্টে বলছি ভাই আগে মানুষকে ভালবাসতে শিখি তারপর দেশ এর ভালবাসা এমনি চলে আসবে।
সারাবছর শুনি "ইংলিশ আর হিন্দি গান" আর এখন কয়েকটা দিন @ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে গান শুনেই আমরা বড় দেশপ্রমিক হয়ে গেলাম?
আবার দেখা যাবে ১৬ তারিখে আবার জাতীয় সংগীত গেয়ে রেকর্ড করছি, আর তখনো বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের এর ছেলে চায়ের দোকানে চা বিক্রি করে চলছে!
বিঃ দ্রঃ আমি বাঙ্গালীত্বের বিরোধী না, তবে মনে করি আমাদের ভাবের বাঙ্গালী থেকে কাজের বাঙ্গালী হওয়াটা বেশী প্রয়োজন।

মিনতিপূর্ণ অাহহ্বান

অতঃপর প্রিয়জনাতে বিচ্ছেদ!
নিকশ প্রেমান্ধ বিশ্বাসে শোচনীয় পরাজয়ে প্রেমি হৃদয়
অরিন্দমের অযোগ্যতা ও নিশ্চলা অার্তনাদে মস্তিষ্কের ক্ষয়।

অস্থির অববয়ে দূরারোগ্য ব্যাধি, বিচলিত চেতনার প্রতিফলন
ভোতা মগজের অপরিনামদর্শি সিন্ধান্ত, অাত্মপ্রকৃতির নিরব ক্রন্দন।

অতঃপর বিরহে অাত্মবিসর্জন!
ঐ অমানিশার অাধারে অচল দেহে কৃষ্ণাগ্নি শিখার অাভরন
ব্যাথাতুর অাত্মার নিরন্তর প্রজ্বলনে কষ্টসৃষ্টের পুনঃ পুনঃ অবগাহন।

সুখের ধ্বনি ভুলে তবে অাত্মলোকে মম ললাটের বিসর্জন,
পতিত ছিলেম অন্তলোকে, অাপনাকে সঙ্গ ত্যাগে করিতে সমর্পণ।

অতঃপর প্রেম উপবাসে!
অাহা কি ভুলে অাজি পড়ে রই কণ্টক বিস্তৃতির অতলে,
হৃদয় কষ্টের বদহজমে অপূর্ন স্বপ্নাদ্য একাকী গুমড়ে মরে।

নিয়তির বক্ররেখা শ্বাশ্বত মেনে যার পর নাই যাতনায় সুখ খুজে,
নিরাশালোকে ডুবে ছিলেম অাত্মশৃঙ্খখলের অায়নাবন্দী করে।

অতঃপর তুমি এলে!
কষ্টের বিনাশক ও কষ্টিপাথর হয়ে অামায় বাঁচাতে
সোনার কাঠি শিয়রে অার রূপোর কাঠি পদতলে,

অার ফিসফিসিয়ে প্রেম মন্ত্র পাঠে জাগিয়ে তুললে
সকল যন্ত্রণা ছেড়ে অারধ্য  মুক্তি মিলল অবশেষে।

অতঃপর তুমি সত্যি এলে!
এক সমুদ্র উত্তাল নীল কষ্টের মাঝে তুমি হলে কান্ডারী
অবিরাম স্বপ্ন ভঙ্গের মিছিলে তুমি নবদিগন্তের ফেরী।

হাজার অর্বাচিন জীবনের মাঝে তুমি একমাত্র পরিচিতা
নিযুত কোটি মেকীর স্রোতে তুমি, শুধূমাত্র তুমিই অনন্যা।

অতঃপর ভালবাসলে প্রিয় বন্ধু!
প্রিয়তা, তোমাতে মম সজ্জল মিনতিপূর্ণ অাকুল প্রার্থনা,
দাও মোরে এক পৃথিবীরূপ সপ্ন ও প্রাণেতে প্রেরণা।

লও যত ক্লেশিত দুঃস্বপ্ন অার নিদারুণ বিচ্ছেদের ডালি,
বাধো মোরে জীবনান্ত, প্রতিজ্ঞাপূর্ন মন বিনিময়ে একসাথে তবে চলি।

অতঃপর দুপ্রাণে ভালবাসার রথ হলো জারি!

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬

কথোপকথন

হ্যালো বন্ধু, শুনতে পাচ্ছিস? হ্যা অামি তোকেই বলছি।
কোন ভনিতা নয়, এইবার চট জলদি উত্তর দিবি।
কি বল্লি? সময় নাই! বিজি? চুপ পাজি কোথাকার! ফাইজালামি করিস!
না এখনই! অার কোন কথা নয়, উত্তর চাই সত্যি সত্যি।

তো প্রশ্ন শুরু করি? রেডি, ওয়ান, টু, থ্রী......

তোর অাত্মার কোন পাশে অামি বসত করি?
তোর কোন হাঁসির ঠোটে অামি মিশে থাকি?

তোর কোন চেতনায় ঘোরে অামায় ঘিরে রাখিস?
তোর কোন বুকে কেমন করে অামায় লালন করিস?

কি ঝিম মারছিস কেন? তারপর বল-
তোর কোন অাকাশের কোন কোণে অামার ছবি রাখিস?
তোর কোন সপ্তবর্ণার কোন রং অামার দেহে মাখিস?

তোর কোন অনুরাগে অামার অাবেগ মাখা অাছে?
তোর দুঃখের কোন স্তরে অামার কলঙ্ক লেখা অাছে?

অারে অস্থির হচ্ছিস কেন? ভেবে বল-
তোর কোন কান্নার রোলে অামি ঝরে পরি?
তোর চোখের কোন দৃষ্টিতে অামি ভেসে উঠি?

তোর প্রশ্বাসের কোন প্রবাহে অামি ছুটে চলি?
তোর স্মৃতির কোন অংশে অামি বিচরন করি?

অামার চোখের দিকে তাঁকিয়ে বল-
তোর কোন বাগানের ফুল হয়ে কোন সুবাসে ভাসি?
তোর কোন ঋতুর সঙ্গী হয়ে চারিধারে থাকি?

তোর কোন নক্ষত্রের তাঁরা হয়ে তোর হৃদয়ে জ্বলি?
তোর কোন পূর্ণমার অালো হয়ে নিশী জেগে থাকি?

একটু ধর্য্য ধর ঘুম কুমারী, এই তো হয়ে এলো!
তোর কোন সপ্নের কুমার হয়ে তোর হাত ধরি?
তোর কোন নিদ্রায় চুপিচুপি তোর দেহে অাসি?

তোর কোন নদীর বুকে অামি ব্যাকুল সাতার করি?
তোর জীবনের কোন ভূমিকায় অামি রোল করি?

শেষ দুইটি প্রশ্ন, জানতে খুবই ইচ্ছে-
তোর কাছে অামার অনুভুতির নাম বা মানে কি?
সেটা কি সত্যি ভালবাসা, নাকি নিছক সহমর্মিতা?

শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

তুই কি অামার বন্ধূ হবি?

তুই যদি একবার বলিস অাকাশ ভালবাসি
তোকে নিয়ে দিবো অামি এক নীলাকাশ পাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস বাঁচতে ভালবাসি,
তোকে নিয়ে দিবো অামি এক মহাকাল পাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস নদী ভালবাসি,
তোর জন্য নিরন্তর অামি বইবো নিরবধি।

তুই যদি একবার বলিস ঝড়না ভালবাসি,
তোর জন্য জলধারা হয়ে তোর পায়ে পড়ি।

তুই যদি একবার বলিস পাহাড় ভালবাসি,
তোর জন্য হিমালয় হয়ে সপ্ন দিবো পাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস সমুদ্র ভালবাসি,
তোর জন্য মহাসাগর হয়ে তোর বুকে ভাসি।

তুই যদি একবার বলিস চাঁদমামা ভালবাসি,
তোর জন্য ধরায় বানাবো জোঁসনা মাখা বাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস প্রভাত ভালবাসি
তোর জন্য প্রভাকর হয়ে থাকবো অামি ভারী।

তুই যদি একবার বলিস বৃষ্টি ভালবাসি,
তোর জন্য জলকণা হয়ে ভেজাবো তোর শাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস গোধূলী ভালবাসি,
তোর জন্য বানাবো অামি লাল পাহাড়ি শাড়ি।

তুই যদি একবার বলিা কাঁশফুল ভালবাসি,
তোর জন্য সারা মাসে শরৎ রবে জারি।

তুই যদি একবার বলিস বর্ষা ভালবাসি,
তোর জানালায় বারিপাত হয়ে শ্রাবণ হয়ে পড়ি।

তুই যদি একবার বলিস শীত ভালবাসি,
তোর কৃষ্ণ চুলে শীতলা বায়ু হয়ে আমি উড়ি।

তুই যদি একবার বলিস গল্প ভালবাসি,
তোর জন্য হয়ে যাবো হাজার গল্পের ঝুড়ি।

তুই যদি একবার বলিস কাব্য ভালবাসি,
তোর জন্য হয়ে যাবো বিশ্বসেরা কবি।

তুই যদি একবার বলিস গান ভালবাসি,
তোর জন্য হয়ে যাবো প্রেমের কন্ঠশিল্পী।

তুই যদি একবার বলিস যুদ্ধ ভালবাসি,
তোর জন্য হাজার যুদ্ধে লড়তে রাজি অাছি।

তুই যদি একবার বলিস বেড়াতে ভালবাসি,
তোকে নিয়ে যাবো অামি সৌরজগত ছাড়ি।

তুই যদি একবার বলিস ঝগড়া ভালবাসি,
তোর সাথে খেলবো অামি অাড়ির লুকোচুরি।

তুই যদি একবার বলিস কার্টুন ভালবাসি,
তোর জন্য কার্টুন হয়ে করবো তোকে খুসি।

তুই যদি একবার বলিস ক্লাউন ভালবাসি,
তোর জন্য জোকার হয়ে দাড়াবো অামি দিব্যি।

তুই যদি একবার বলিস বাঁচাল ভালবাসি,
তোর জন্য বকবকানিতে হবো অামি বাগ্মী।

তুই যদি একবার বলিস সুবাস ভালবাসি,
তোর জন্য ফুল হয়ে তোর উঠোনে অাসি।

তুই যদি বলিস একবার অামি তোর শান
শুধূ তোর জন্য অামি হয়ে যাবো সুপারম্যান।

বালিকা তুই যদি একবার দিস অামায় একটি হাঁসি,
দেখবি তোর পায়ে রাখবো হাজারো নীলকান্তমণি।

বালিকা তুই যদি একবার বলিস তোমাকে ভালবাসি,
তবে মহাবিশ্বের প্রতিটি কোণে লিখে দিব তোকে ভালবাসি।

প্রিয় বালিকা! যদি তুই একবার বলিস ফুসমন্তর,
অামার দূর হয়ে যায় সব শঙ্কা, যাদুটোনা, ভয়-ডর।

বালিকা তুই  লক্ষী বালিকা, তোর দেখানো পথে অামি হাটি,
তুই অামার অালোক অাধার, তুই তে বাঁচি  অাবার তুই তে মরি।

তুই অামার হাজার জনমের এক ভালবাসা, সৈভাগ্যের চাবি
বালিকা! এই বালিকা! সত্যি করে বলতো, তুই কি অামার বন্ধূ হবি?

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...