শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭

প্রশ্নবোধক

তুমি কি অামায় নিয়ে যাবে?
অরণ্যের নিশ্চুপ নিবিড় ছায়াতলে।
তুমি কি অামায় কথা দিবে?
হিমাদ্রী পার হয়ে নায়াগ্রায় ভাসতে।

তুমি কি অামায় প্রদীপ দিবে?
অাধার দূরে ঠেলে অালো জ্বালাতে।
তুমি কি অামায় জোছনা দিবে?
নরম চাদরে শীতল পরশ বিছাতে।

তুমি কি অামায় ভালবাসবে?
সাত পাহাড়ের সব সবুজের মতো।
তুমি কি অামায় প্রণয় দিবে?
সাত অাকাশের সব নীলের মতো।

তুমি কি অামায় অাসঙ্গ দিবে?
তপ্তকাঞ্চনে মিহি পরশ বুলাতে।
তুমি কি অামার লালসা হবে?
শুক্রাণু ডিম্বানু নিষিক্ত হতে।




বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭

পেয়েছি তোমায়

সপ্নের মহাপ্রাচীর ভেঙ্গে
বর্তমানে এসেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

হিমাঙ্কের শীতল ভেঙ্গে
উষ্ণতায় রেখেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মহাকর্ষের ত্বরণ ভেঙ্গে
অন্তঃশূন্যে বেধেছ তুমি।
অামি পেয়েছি তোমায়।

শতদলের অয়ন ভেঙ্গে
হৃদমাজারে ঠাই দিয়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

নিরেট অশ্মরী খন্ডনে
নির্ঝরে সিক্ত করেছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

বিয়োগ তকলিফ ছেদে
ইন্দ্রধনু রংয়ে রাঙ্গিয়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

সৌভাগ্যের অবতার হয়ে
অমরায় বসত গড়েছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মৃতে জীবন সঞ্জীবনী হয়ে
অমীয় সুধায় অমর করেছ।
অামি পেয়েছি তোমায়।

মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭

অন্যন্যা

গোলাপী ওষ্ঠের মায়াবী হাসিতে
প্রিয়া  লজ্জাবতী লাজুকলতা।
চিবুক ছড়ানো সুখের মিষ্টি দূতিতে
প্রিয়া ভরা পূর্ণিমায় মধূচন্দ্রিমা।

দিঘল ছড়ানো ঐ বাহারী কেশে
প্রিয়া  কালো মেঘের বসতভিটা।
হরিণ লোচনের ঐ তীব্র চাহনীতে
প্রিয়া  কোটি প্রেমির ঘুম কাড়া।

যৌবনের তানপুরায় নিতম্বিনী উর্মি
প্রিয়া  জলকেলির বাহারি দূতি।
সুডৌল বক্ষে ঐ পর্বতের হাতছানি
প্রিয়া তপ্তকাঞ্চনে রঙ্গিন বাড়ি।

কামনার এিভুজে প্রবাহ স্রোতস্বিনী
প্রিয়া বাসর শয্যায় কামরানী।
নত্তল যৌবন উদরে উর্বর বীজ বুনি
প্রিয়া নবীন প্রাণের গর্বধারিনী।

পেলব অঙ্গে লতানো লাউের ডগা
প্রিয়ার চলনে নাগিনীর ছটা।
মিহি কাপড়ের ফাঁকে যৌবনের তাড়া
প্রিয়ার শাঁখ শাড়িতে তুমি অন্যন্যা।

রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭

স্নেহের দাদী

সবুজ রংচং প্রকৃতির অলিন্দ
অাম কাঠালের ঘ্রাণে অাকণ্ঠ।
ঝুমঝুম বৃষ্টি বলে যায় কানে
অায় ফিরে অায় নারীর ডোরে।

দমকা হাওয়ায় বৃষ্টিজল লুটোপুটি
অাষাড়ে ধারার গুমোট ঝলকানি।
দেখ তোর কিচ্ছা কথক কি সুধায়
কি হেতু স্নেহ ক্ষুধায় ডানা ঝাপটায়।

দাদীর মুখের সুমধূর ডাক
ভুলে গেছি কোন খেয়ালে।
অাদুরে কণ্ঠে বিরহ ক্রন্ধন
গেথে রয় তার মনে মনে।

মিঞা ভাই, বড় ভাই, রাঙ্গা ভাই
বিধেছে দাদী অারো কতো ডাকে
শিশুতোষ মনে এঁকে যায় তার
নীল অন্তিম গোধূলীর পানে।

করেছে মহান উত্তর পরুষকে
দুহাতে জাপটে অাগলে রেখে।
জীবন সাহ্নয়ে বিষের বাশি
একলা শুয়ে কণ্টক শিয়ের।

কেউ দেয় না একমুঠো ভালবাসা
কেউ না শোনে অার তার কথা।
কেউ রয় না পাশে গল্প শোনার
কিচ্ছা গুলো  অাজ ভিষন একলা।

অার কতদিন ডাকবে তুমি
মান অভিমানের তোমার সুরে?
অার কতোদিন থাকবে তুমি
সকল পাষাণ হৃদয় মাঝে?

কতোকাল দেখবো তোমায়
কঠিন অসুখ সংসার মাঝে?
কতো সুখে থাকবে তুমি
ব্যাথ্যাহীন ওপার জনমে।

ফরিয়াদ তোমায় খোদা
ক্ষমা করো দাদীর গুনাহ।
মাফ করো সকল অনাচার
হোক বেহেস্তের ঠিকানা।

ভালবাসি বু তোমায়
ক্ষমা করো নাতি রে।
ভালবাসা রইল তোমার
রাখবো বুকের মাঝে।

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭

বিষাধ সিন্ধু

বদন পানে ঠায় নীলিম নয়ন
খুজে ফেরা ঐ পথের পবন।
অলস মনে অাধার জাপন
অাকাশ কুসুম রোদের মরণ।

অমাবশ্যায় রচে চন্দ্র স্নান
এবরো থেবরো ক্লেশ মন।
দ্বিধায় সময় গরল পুষণ
জীবন নাশে সুখের অাগুন।

ঠুনকো দেহে ব্যাথার প্রবহণ
অানমোনা রয় সকল স্বপন।
অাত্মা কলের নিষ্পাপ হরন
নিষেক রতির সলিল জারণ।

বিদূর রজনীর একলা চলন
প্রণয় তরীর নিরব অনশন।
ছায়াগুলি সব দুর পলায়ন
তাঁরা অালোর ক্ষীণ বিচ্ছুরণ।

নিকর মেঘের কালির ব্যাপন
অাশায় বসতির অকাল পতন।
জোনাক জ্বলা হৃদয় জ্বলন
সপ্ত সিন্ধুর বিষাদ ধারন।

মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭

কতদূর ভালবাসা

ঝুমুর ঝুমুর ছন্দে চলি
অাজি নাচে ময়ূর হিয়া।
স্বপন তরে রোদের বদন
ইস, কি চমকের খেলা!

ঝরঝরা ঐ মাদল সুরে
শ্যামের বাশি বাতায়নে
সখি কি শুনে যাই, কানে কানে
অাহা কি বলে যাই, মনে মনে।

সুধাই প্রিয় অাপন খেয়ালে
ভালবাসা রয় মোর অাখরে
শিয়র পাতি তোমার বুকে
জনম জনম বেধেছি মনে।

অারো ভালবাসো হে রানী
দাও গো সব দয়া তোমারি।
ভালবেসে পোড়া দেহ জ্বালি
তুমি হৃদয়ের অালোক বাতি।

সুধাই অামার মনের রানী
অার কতদূর সুখের পাখি?
বলো কতদূর স্বপন বাড়ি!
অার কতদূর পথের পাড়ি!

শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭

স্বপনের দুয়ারে

বারিধারায় ভিজেছি হিয়া
সখি তোমারে খুজে পাইতে।
অাহা কি সং এ সেজেছি গো
তোমারি স্বপনের দুয়ারে।

দীপ্তস্নান মেখেছি সর্বাঙ্গে
সখি তোমারি প্রেমে মজিতে
অাহা কি রং এ রাঙ্গিয়েছ
তোমার হৃদয়ের অন্দরে।

বাতায়নে ভেসেছি খেয়ালে
সখি তোমারি বাসনা মিলাতে
অাহা কি ঢং এ বাধিয়েছ
তোমার নাকের নোলকে।


মজেছি ভুবনে স্বপন তরি
ভাসাই কুলের নাইকো দাড়ি।



মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০১৭

বিরহের সাক্ষী

ঝুমঝুম বৃষ্টিজলে বিরহ পতন
ঝরঝর ধ্বণিতে অানমোনা মন।
চেয়েছিলেম তোমার হৃদয় ছুতে
মেঘের বৃষ্টি কণা তাই যাই ছুয়ে।

ভালবাসি বলেছিলেম কানে কানে
চিবুক ভিজিয়ে তোমার অাখিজলে।
দুহাতে রেখো এক অাজলা বৃষ্টি ধরে
সাক্ষী রবে তোমার অামার বিরহে!

সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭

কলঙ্গ বৃষ্টি

অাকাশ বাড়ির সপ্ততলে
মেঘ গুরগুরে বন্দীধারা।
মুক্তি গানে দুঃখ সাড়া

বাঁধ ভাঙ্গা ঐ মুষলধারা।

বক্ষপটে শিখা বহ্নিমান
বাক্য হারায় তিলে তিলে।
কষ্টজীবীর হিয়া নিখোজ 
পোড়া বুকে ঢেকুর তোলে।

বজ্র ঝিলিকে চিড় মণ্ডল
হাপরে অঙ্গার অবনী রানী
কৃষ্ণপক্ষের রোল পড়েছে
তাঁরায় তাঁরায় জনম অাড়ি।

শিখার খোজে ঝিঁ ঝিঁ পোকা
অনল ঝাপটানো অাত্মাহুতি
অপেক্ষার তরে বিষের বাশি
সুখ মরীচিকায় অমিল বাড়ি।

ব্যাপন সকল নীল বেদন
কৃষ্ণনীলে অাকাশ পবন।
প্রমোদ কপাট রুদ্ধদ্বারে
অনির্বাণ চিতা অবগাহন।

একালা বেদন গরল মরণ
সুখের নিখোজ বৃন্দাবন
গঙ্গাজলে ভাসিয়ে দুকুল
বধির ছলে মৌন জাপন

সপ্ন শালিকের নবজন্ম
দুলে ওঠে সুখ শতদল।
বৃষ্টি'নায়ে ভাসাই কলঙ্ক
বিন্দু বিন্দু অাখিজল।

শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭

হৃদয়ে হৃদয়

দিন শেষে তাঁর গোধূলী বেলা
মম হৃদয় তলে স্বপ্ম অাঁকা।
বিলি একমুঠো সুখের বাতাস
নিশীথে বিঁধে চন্দনী  সুবাস।

পলাশ রাঙ্গা রোদের ঝিলিক
ঘুম হৃদয়ে প্রেমের হিরিক।
ছায়াবিথী সবুজ অকাল মরণ
জলের বাঁকে ধায় উর্মি দোলন।

অাকাশে তার প্রেমের রবি
মন পবণে ঐ ডাকের চিঠি।
মেঘকালো দিঘল কেশবিথী
নিকর দেহে রূপের দূতি।

বিঁধেছি সুরে বিরহী বাশি
বিজনে সহৃদয় হাহাকারী।
হিয়ায় জ্বালি স্বপন বাতি
তুমি বিনে তবু নাহি বাঁচি।

দোলাচল বায়ু মন উরিউরি
অর্ঘ তবে প্রিয় পায়ে সপি।
ওষ্ঠ দোলে ঐ চিকন হাসি
অর্হনিশী ঠাঁয় চেয়ে থাকি।

অাখির কোণে চাই স্বপ্নবাড়ি
বাহুডোরে খুজি সুখের দাড়ি।
চুপিসারে অামি তাঁকে ডাকি
সপ্তরং-এ চলো হোলি খেলি।

সুধাই প্রিয় তবু নয়নজলে
এসো সকল পিছন ফেলে
শপথে হৃদয় হৃদয়ে রাখি
চল মোরা যাই স্বর্গ পাড়ি।

শুক্রবার, ১২ মে, ২০১৭

লাজুক লতা

লালসালু লহমায়
লোভার্ত লালসায়।
লাজুক লালাময়
লোচন লীলাময়।

লোকেশ লয়  ললনা 
লেগেছে লৌহ লেঠা।
লেশমাত্র লাগে লাভ
লোহিত লাল লজ্জা।

লুণ্ঠিত ললিতা
লবঙ্গ লতিকা
লানত লিপিকা
লৌকিক লুঠেরা।

লালসালু লাবণ্যময়ী
লিনেন লাস্যময়ী।
লাখসই লাজবাব
লা লা লা-
'লাজুক লতা'।

বুধবার, ৩ মে, ২০১৭

নতুন কুঁড়ি

বৃক্ষজাতে সুখের দোল
নতুন কুঁড়ির অাগমন।
খুশির বান বাঁকে বাঁকে
বায়ু কল্লোলের প্রবহণ।

প্রভাত রাঙ্গার নতুন দিবস
জাগে নতুন প্রাণ।
নীল অাকাশে রোদের ঝিলিক
পাখপাখালির গান!

তাঁরারা সকল নায়তে নামে
চাঁদ পূর্ণিমার রাতে।
জোনাকির দল মেলায় বসে
মিটমিটি বাতি জ্বেলে

কাঠবিড়ালী ছন্দে নাচে
নতুন কুঁড়ির উঠোনে।
বিড়াল ছানা বেজায় খুসি
নতুন খেলার সাথীতে।

নুতন দিনে ফিরে পাই
নতুন মায়ার ঠাঁই।
নতুন কুঁড়ির নাম দিব কি
ভেবে নাহি পাই।

কুঁড়ি তোমায় অাশীর্বাদ
সুখেরা দিক ধরা।
কুঁড়ি তোমার হাতে হোক
সপ্নের পথ চলা!

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

দলছুট হরিণ

বিচ্ছিন্নতায় অলোকসৃষ্টি 
বিসর্জনে হারায় দিব্যদৃষ্টি।
অাত্মত্যাগে অরণ্যবাসী
অভিমানে সে অচীনপুরী।

বন্ধনহীন সংসার বিমুখতা
অমবশ্যায় নির্বাসিত একলা।
অদৃশ্য জনপদে ভ্রান্ত চেতনা
নিসঙ্গ যাপনে নির্মম বেদনা।

ঝড়া পাতার শুকনো গদ্য
চৈতালীর চৈচিরে তপ্ত পদ্য।
বিনিদ্র রজনীর গুপ্ত অশ্রুধারা
একপেশে শিরয়ে বিষ যাতনা।

ফাল্গুনে তার মাঘের কষ্টদোল
একলা যাপনে চাপা বিরহানল।
অবহেলা পাহাড়ের নীল বেদন 
সূর্যগ্রহণে কালোর নিরব ব্যাপন।

দলছুট হরিণ চেনা পথ খোজে
অতীত স্মৃতিপট হাতরে ফেরে।
গোলক ধাঁধায় একুল-ওকুল  ছুটে 
 অাবার যদি ফিরে প্রিয়দের নীড়ে!

মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭

সত্যাস্বর্গ ভালবাসা

দেখ, অন্ত:লোকের প্রণয় দহন
ভাবো, দিব্যজ্ঞানের গরল মরণ।
এসো, ছায়াবীথিতে সরল জাপন
চল, সত্যলোকে অাকাশ পবণ।

গোধূলী যেথায় সূর্য ছড়ায়
অাধার যেথায় প্রভাত রাঙ্গায়।
কাঞ্চন যেথায় হোলি খেলে
বারি যেথায় ছন্দে নাচে!

কি অর্পন করেছি তোমায়-
দেখতে পাওনা?
কোন বীণা সেথায় বাজে-
শুনতে পাওনা?

পণ, তোমার সাথে থাকে সে
সর্বক্ষণ তার-ই মধ্যে বিরাজ করে।
সে রয় চিরসবুজ, অম্লানবদনে
ঐইতো ক্ষণে ক্ষণে হেসে উঠে!

হৃদয় ছুয়ে দেখো অাপনাকে
কার সে ধ্বনি উদিত হয় যে?
শিরার প্রতিটি পরতে পরতে।
কোন সে হাহাকার দহন উঠৈ?

প্রেমি সত্তার অাত্মাহুতি দিয়ে
প্রতিটি রক্তকণায় অাছি মিশে।
অন্তিম উপহার তোমার হৃদয়ে
মোর চির "সত্যাস্বর্গ ভালবাসা"!

বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৭

মৃত্যুনামায় অভিবাধন

কপর্দকের অন্তিম গরল পেয়ালায়
ছদ্মে মরণের বাণ তিক্ত সুধায়।
ওত পেতে যম, ছায়ার ওপারে
শাণানো ধাতুর ঐ অসুর নৃত্যে
নাসিকা রোধে বা শুন্যে ভাসিয়ে!

অাজ তার অগস্ত্য যাত্রা হয়তো
একটু ঠাঁয় সব ছেড়ে, মাথা ঠুকে
বাঁচার নেশায়, এক অাধলি ভালবাসা!
যাকে ততোধিক নিজ করেছে।
নিষ্ঠুর প্রাণ সংহার তার অাতাঁতে।

অাবার সে যখন উঠে বাধা ডিঙ্গিয়ে
একলা ছিনা টানটান ও উন্নত মস্ততে।
অাকাশ ফুড়ে মহাকাশে, সূর্যলোকে
পিছন হতে অাকড়ে ধরে কুপমন্ডুক
যেন কারো রশ্মি সে নিচ্ছে কেড়ে!

সে উদ্বাসিত হয় নতুন দিগন্তে
অালোর ছায়াতলে মানবলোকে।
বিলিয়ে সাম্য অার পরহিতব্রতে
না কারো অনিষ্ট, কারো নয় বিরুদ্ধে
নিষ্পাপ হরন, হিনচেষ্টা কেন তবে?

নিয়তির অন্তিম ওই কালেশ্বর হাতে
মাঘে বসন্ত অাবার বসন্তে মাঘ অানে।
বকধার্মিক বা অক্টোপাসি গদিওয়ালা
ললাটিকা তারা কি নিজেরা অাঁকে?

জিকিরে তোমায় প্রভু কৃতসঙ্কল্পে 
দয়া করো মহাময়ী অাপন হস্তে।
মুক্ত করো সকল মনের পঙ্কিলতা
হোক তবে এক দিশায় পথ চলা।

মানবকুল যেন পূত মানুষই রয়
অহিংস সাম্যবোধে কল্যাণ বয়।
শান্তিদূত সফেদ কপোত ওড়ে
ধ্বনিত সবকণ্ঠ মানবতার তরে।

বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭

ঘুম বিলাস

ঘুম বিলাসে  জাগে মোহ
ঘুম অায়েশে বিকার দেহ।
ঘুম কাতরে উলট ভাবনা
ঘুম চাদরে রথে চড়া।

ঘুম ঘোরে অলস মন।
ঘুম দেহে অচল যাপন।
ঘুম হাওয়ায় দিল প্রশান্ত
ঘুম প্রানে বহে অানন্দ।

ঘুম বহরে দাদীর কিচ্ছা
ঘুম অাবেশে মায়ের ছোয়া।
ঘুম জড়ানো সহোদরের গুতা
ঘুম তুলিতে প্রিয়ের মায়া।

ঘুম নিশ্বাসে নাকের বাদ্য
ঘুম চেহারায় পবিত্র অর্ঘ।
ঘুম বাহুতে স্বাধীন মূর্ত
ঘুম রাজ্যে পঙ্কিল মুক্ত।

ঘুম নয়নে পিটপিটানি
ঘুম কন্ঠে বিরবিরানি
ঘুম সপ্নে উুড়াউড়ি
ঘুম নেশায় অালসেমি।

ঘুম অামার প্রিয় ঘুম
তোমায় অনেক ভালবাসি!

মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭

দোলাচল

অাকাশ ভরা তাঁরা অামার
অালোর দেখা কই?
প্রেমের পালক মকুট অামার
সুখের খেয়া কই?

হিমাদ্রী ভরা নীল অামার
টেউের দোলা কই?
কানন ভরা ফুল অামার
সুবাসি ঘ্রাণ কই?

বুক ভরা রঙ্গিন সপ্ন
রং এর ছোয়া কই?
হৃদয় ভরা ভালবাসা
তোমার ছবি কই?

উঠোন ভরা বৃষ্টি অামার
জলের ধারা কই?
বারমাসি বসন্ত অামার
নতুন কুঁড়ি কই?

প্রিয় বুকে চক্ষু মুদি
ঘুমের পরশ কই?
সখার মনে মন মজেছি
অামার অামি কই?

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

ভালবাসা মারহাবা

প্রণয় তরী! প্রণয় সখি!
ভালবাসি ঐ মধূর হাসি!
প্রণয় দিশা, প্রণয় শিখা!
প্রেমে জ্বলি, প্রেমে মরি!

পুশি বিলাই "মিউ মিউ"
ডেকে বেজায় খুসি!
অাচঁল তলে বুকের মাঝে
লুকোতে অামি রাজি!

তোর লজ্জা অামার মুখে
এঁকে নিতে পারি!
তোর কথার সুরে অামি
নাচতে পারি ভারি!

এই তা-তা থৈ থৈ
তা-তা থৈ থৈ,
তা-তা ধিন ধিন
তা-তা ধিন ধিন!

তা-তা ধিন তা
তা-তা ধিন তা,
ধিন-তা নানা-না
ধিন-তা নানা-না!

অাহা! অানাড়ি প্রেমের অারাধনা-
ভালবাসা মারহাবা!

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭

অভিমানি সন্তান

অভিমানের কাটায় বিধেছি
এক জীবন বিবাগী হয়েছি।
মাগো! তোমার কণ্ঠের বাণী
এই হভাগা ভুলতে বসেছি।

স্নেহময়ী বুকের ভালবাসা
স্বর্গীয় ঐ হাতের ছোয়া।
তোমায় অাবার খুজে ফেরা
মা! মা!তোমার হাসির ছায়া।

নিঃশব্দে করি অাত্মচিৎকার
বয়ে যায় অশ্রুর জলধার।
নারীর বন্ধনের হাহাকার
বুক ভরা বেদনার বালুচর।

অচেনা পথ পাড়ি দিয়ে
একলা অামি দাড়িয়ে।
খুজে ফিরি এদিক ওদিক
তোমার অাচঁল পেতে।

অাবছা মায়াময় মুখ খানি
ঐতো বাবা ডাকে সুমধূর বানী।
ভেজা চোখে সোনামণির অাঁশে
অাজো ঠাঁয় বসে সেই পথ পানে।

মা! তোমার অভিমানি সন্তান
চললো নিরুদ্দেশর পথে।
দূরে মা! অামি অনেক দূরে
হারিয়ে ঐ না ফেরার দেশে।

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল
অামি সুউচ্চ অামি পতিত।
অামি নম্র অামি লৌহ
অামি হার অামি বিজিত।

অামি হাস্য অামি অশ্রু
অামি মিলন অামি বিরহ।
অামি স্থির অামি ঝঞ্জা
অামি সুখ অামি অসুখ।

অামি ঘৃণা অামি ভক্তি
অামি শিকার অামি শিকারী।
অামি সন্ধি অামি রণ
অামি শান্ত অামি ক্ষুব্ধ।

অামি অনুরাগ অামি রাগ
অামি ঘাত অামি অপঘাত।
অামি সুর অামি অসুর
অামি জাত অামি অজাত।

অামি দ্রাব্য অামি দ্রব্য
অামি শুক্র অামি ডিম্ব।
অামি প্রেম অামি ছিন্ন
অামি বাসর অামি বিদীর্ণ।

অামি বর্ণ অামি বিবর্ণ
অামি অাদি অামি অন্ত।
অামি বিদূর অামি অনন্ত
অামি শত্রু অামি মিত্র।

অামি ধর্ম অামি অধর্ম
অামি মৃত্যু অামি চিরঞ্জীব।
অামি নশ্বর অামি অবিনশ্বর
অামি সাকার অামি নিরাকার।

অামি অাত্মা অামি দেহ
অামি ভয় অামি নির্ভয়।
অামি অাদম অামি বিধাতা
অামি কাল অামি মহাকাল!

গল্প তবু অপূর্ণ

একলা পথিক, পথহারা পথিক
নতুন পথের অাবিস্কারে
দূর অাকাশকে সাক্ষী রাখে 
শপথ করে সূর্যের নামে।

সুখ ছড়ায় সে রোদের কণায়
দুঃখ বিলোয় বায়ু চাদরে।
ভর পূর্ণীমায় সে ভালবাসে 
নিকশ অমানীশায় বিচ্ছেদ রচে।

ধরাতলের স্বর্গ পেতে
হারায় অর্বাচীন প্রান্তে।
ভাসে নহর ঝংকারে
ডুবে সীমান্ত হিমাঙ্কে।

পথিক হাঁসে-
সান্ধ্য জোনাকির মিলন দেখে,
পথিক কাঁদে-
ঐ একলা চাঁদের বিরহী ডাকে।

অাশায় বসতি তার
বউ কথা কও এর অাহ্বানে।
স্বপ্নের ভঙ্গ তার
ঐ নির্ঘুম পাখির একলা বাসরে।

জীবনের গল্প লেখে সে-
শুধুই অাপনাকে ভালবেসে।
গল্প তবু অপূর্ণ রয়,
অাহা কাঁহারে যেন খুঁজে ফিরে!

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ইচ্ছে সপ্ন ৫

হাতে হাত ছুয়ে,
নয়নে নয়ন রেখে
প্রতিজ্ঞা করতে।

শিশুর ন্যায় ঠোট ফুলিয়ে 

তোমার বুকে মাথা রেখে

ওড়নায় চক্ষু মুদে, অার

ব্যাকুলভাবে কর্নকুহরে বলতে-

রাঙ্গা বউ!

ভালবাসায় মাথায় হাত বুলাও।
ঘুম পাড়াও অামায়-
তোমাকে সপ্নে একটু ছুয়ে দেখি।"

ইচ্ছে সপ্ন ৪

অকারনে অভিমান
ঝগড়া করতে
রাগ অার খুনসূটিতে

বিরক্ত করতে

প্রফুল্ল বদনের নথ নাড়া
হাসি দেখতে
গোলাপি ঠোটের

লাল লিপিস্টিক হতে

নোলক হয়ে প্রশ্বাসে

মিশে যেতে
দুল হয়ে চলনে

ঝংকার তুলতে

হার হয়ে হৃদয়খানি

ছুয়ে দিতে
চুড়ি হয়ে দুহাত

বেধে রাখতে

নুপুর হতে পেলব

পায়ে ধ্রুপদি সৃষ্টিতে
চাদর হয়ে অঙ্গে

জরিয়ে থাকতে।

ইচ্ছে সপ্ন ৩

বিষাধের নীল ভেঙ্গে
নীল অাকাশ হতে
তব হাতেরর নাটাই সুতা অার

পতং হয়ে উড়তে

অবসাদের যাতনা ভেদে

ছন্দময়ী স্পদন্দন হতে
গরল ছিন্ন করে

অমিয়ের পেয়ালা হতে

অব্যক্ত কথামালার

উপন্যাস সৃষ্টিতে।
তোমার দৃষ্টিতে

অামার প্রতিফলন দেখতে

বাতায়ন বৃষ্টিতে প্রিয়ার 

অঞ্চল উড়াতে
নিশীতে দুজনাতে

 তারাগুলো গুনতে

ময়ূর পালঙ্কের

মধূচন্দ্রিমা সাজাতে।

ইচ্ছে সপ্ন ২


ছোট্ট গল্পের পার্শ্ব চরিত্র থেকে
কেন্দ্রিয় চরিত্র হতে
হুমায়নের হিমু হয়ে

রবিন্দ্রনাথের লাবণ্যকে ভালবাসতে

সুহাস্য বদনে মোটা চশমার

অাড়ালে শাহারূখ হতে
বীরবেশে মেদযুক্ত অববয়ে

সালমান হতে

অসম্ভবকে সম্ভব করতে

অনন্ত জলিল হতে
টেকো মাথায় মাথা দুলিয়ে
অনীলের ঝাকাস হতে

খর্ব দেহে সিনাটান করে

ব্রাড পিট হতে।
সাধারন মানব বেশে

অতিমানব হৃতিক হতে।

ইচ্ছে সপ্ন ১

কালাত্তীর্ণ অতিক্রান্তে
তোমাতে চিরঞ্জীব হতে।
শ্রাবণের মেঘমালায়
প্রিয়দিবাকর হতে

অমাবশ্যায় শিখা
অর্নিবান হতে
চৌত্রের তপ্তে কৃষ্ণচূড়ার
লাল ছায়া হতে

পৌষের কনকনেতে
জোষ্ঠের উষ্ণ হতে
কার্তিকের অনিশ্চয়তায়
শরতের কাশফুল হতে

অাষাড়ের বন্যায়
ফাল্গুনি ফুল হতে
বর্ষার ঘনঘটায়
অগ্রহায়নের নবান্ন হতে

ভাদ্রের কালভেদ্রে
বৈশাখী মেলা হতে,
মাঘের শুষ্কতায়
অাশ্বিনের রক্তজবা হতে

ষরঋতুর বারমাসে
তেরো পার্বণ হতে।

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বসন্ত

পলাশ ফুলের রক্তিম মেলা
প্রভাত অাজ অাপন রাঙ্গা।
অাম্র কাননে মুকুলের দোলা।
অাজ অাকাশে হলদে ছোয়া!

গাঁদা কুড়ির অন্তিম বরণ।
অলির মুহু ঘ্রাণের ব্যাপন।
জারুলে হলদে পাখির নাচন
দঃক্ষিণ প্রবাহে প্রাণ সঞ্জিবন।

কোকিলের অাজ প্রাণের সুর
সবুজের ঐকতান কি সুমধুর।
দিবস বাঁকে দিবাকরের যৌবন
রাত নিশিতে তাঁরার অালোরন।

দিঘলীর কেশে গাঁদার খোপা
পলাশ রাঙ্গা পায়ে অালতা।
বাসন্তী শাড়িতে অঙ্গ ঢাকা
পেলব হাতে চুড়ির মায়া।

রমনীর গলে বেলীর গন্ধ
পায়ে বাজে নুপুরের ছন্দ।
রক্তের হোলি গোলাপী ঠোটে
ভাগ্য টিকায় তিলক অাঁকে।

প্রিয়তায় বুকে মাথা গুজি
রেখ করে চির বসন্তসখী।
অাজ যে ফাল্গুন প্রিয়তম!
হলুদ প্রেমে জাগে অানন্দ।

প্রোজ্জ্বল ইস্ক সপি নত শিরে
এক জীবন বিসর্জন ঐ বুকে।
অর্ঘ পদ্মমুখে অর্পন বসন্তী ভালবাসা
হৃদয় সপে ঠাঁয় হলুদ পাঞ্জাবীওয়ালা।

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সৌভাগ্যের অবতার


অালেয়ার বেশে তুমি নয় সত্য  

ধারন করতে হৃদে সবকিছু মন্দ।
তবু সঞ্জীবনী মৃতে, অকট্য শাশ্বত 
অবতার তুমি অামার সৌভাগ্য।

তোমার  অামার যুদ্ধ রহে নিরব

ধ্বনিত হয় না প্রাণ পৃথিবীতে।
অাবার অামাদের মিলন বাসর
বহিঃগমন হয় না সংসারকুলে।

তোমার অামার দন্দ ঠান্ডা

ব্যাপন হয় না বায়ুমন্ডলে।
অাবার অামাদের সন্ধিমালা
দৃশ্যমান রয় না ধরনীতলে।

খেলাচ্চলেই হও নিষ্ঠুর ও অমঙ্গল

নিছকই তুমি নমনীয় অথবা ভঙ্গুর।
বেহুদাই খেলো মরণ বাজি ও জুয়া
অকারনে অঙ্গার অথবা ব্যর্থ কান্না।

পঙ্কিল ভালবাসায় তো মধুর বানী

পূত মহব্বতে তো কুৎসিত গালি।
বিচ্ছিন্নতায় তো একত্রের প্রেষণা
বন্ধনে অাবার ছিন্নতার কুমন্ত্রণা।

তবে ফিরিয়ে দাও সজিবতা

যেখানে কেবল তোমারি গান।
সাগরে বাড়িয়ে দাও সুনীল
যা শুধুমাত্র তোমারি দান।

তুমি অাবার অামাকে পাবে

ঐ  সুখী অাত্মার মাঝে।
তুমি অাবার ঢেউ এ মিলাবে
ঐ প্রশস্ত বাহুর ডোরে।

চেয়ে দেখো বিস্তর জলরাশি

ছুয়ে দেখ রোদের ফুলকি।
দেহে মাখো শীতল প্রবাহ
ভেসে অাসো বিসৃত মহাশুন্য।

ঐ প্রশ্বাসে অামি পাল তুলি

অব্যক্ত কহুতে অামি ফিরে অাসি।
অদৃশ্য দৃষ্টিতে অামি ভেসে উঠি
বেহুশ মনে অামি উদ্রেক করি।

ঐ বক্ষভাগে শিয়র ঠেঁকি

সাজাই ভালোবাসা, ছন্দ।
হম এখন সময় সদাই করা
শুধু সুখ, অার শুধূই অানন্দ!

বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সাদার_মাঝে_কালো

নতুন ভোরের নবদিগন্তে
রাঙ্গা প্রভাত সুবাস খোজে।
শীতেরা এসে জাপটে ধরে
বসন্তরা সব লুকিয়ে থাকে।

সপ্তবর্নার এই মায়ার জালে
অাকাশ গোধূলীর রং খোজে।
কালো মেঘ এসে ডেকে ফেলে
দিবাকর শুধু ঝিমিয়ে পরে।

অাসমানী সুবজে এই জীবন্তে
প্রাণরা বাঁচার অাকুতি করে।
ছলনারা এসে গ্রাস করে
অনুভূতি গুলো নিথর থাকে।

হলুদ বেগুনির এই সময়পথে
হৃদয়েরা অাত্মার খোরাক খুজে।
ভুলেরা নিরবে গরল ঢালে
ভালবাসা সকল ডুকরে ওঠে।

সাদা কালোর এই সংসারে
ছায়ারা অালোর প্রহর গুনে।
মরীচিকা এসে ভুলে রাখে
অালোরা শুধু নিশ্চুপ থাকে।

লাল নীল এই  শহরে
দুঃখীরা স্বপ্ন বুনে চলে।
মিথ্যেরা সব নেয় কিনে
পতিতরা শুধু চেয়ে দেখে।

সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

জীবন্ত স্বপ্ন (মাত্রাবৃত্ত)

যখন নামে অাকাশ ধরা তলে
যেথায় পাখি ডাকে সুরের তালে।
যখন রাতের নিকশ মুছে দিনে
যেথায় ফুলেল সুবাস মেলে ভোরে।

যখন চাদের অালোর গল্প চলে
যেথায় জোনাকি সাঁঝে জ্বলে নিভে।
যখন নিরব গোধূলীর রং সাজে
যেথায় পাখিরা ফিরে অাপন নিড়ে।

যখন অমিলরা সব সামনে অাসে
যেথায় বিরহের অাভাস ঘুরে ফিরে।
যখন কল্পনা সকল অাড়ি বাধে
যেথায় গল্প নিজেরা হারিয়ে স্মৃতিতে ।

যখন হৃদয় মাঝে বাঁশি বাজে
যেথায় ঠোটের কোণে দুঃখ হাসে।
যখন সপ্ন ছায়ায় প্রিয় খোজে
যেথায় সখির মায়ায় অশ্রু ঝড়ে।

যখন সুখেরা সবাই খুসি হয়
যেথায় প্রেমী প্রেম ফিরে পায়।
যখন সপ্ন অাবার জীবন্ত হয়
যেথায় অাবার তাদের মিলন হয়।

বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

উদ্বেল বসন্ত

বসন্ত দুয়ারে অাগমনী হেঁকেছে
দক্ষিণ পবনের স্বপ্নছোয়ায়।
কোকিল অাজি গাইতে নেঁমেছে
বাঘ কাপুনির রূপকথায়।

শিশির ডগায় রামধনু সেঁজেছে
কুয়াশা বিলীনের ঋতুকলায়।
লেপের তলে অাগুন বিঁধেছে
শীত মামার অন্তিমসময়।

ফুল কাননে উল্লাস মেঁতেছে
প্রজাপতি নৃত্যের ছন্দমায়ায়।
ওলিতে ভ্রমর নায়তে ডুঁবেছে
পরাগ রেনুর কর্মলীলায়।

মাঘের অাকাশে বান ডেঁকেছে
সবুজ কুচির কথামালায়।
ফাল্গুনী তার খোপায় গেঁথেছে
পলাশ রাঙ্গার রক্তছায়ায়।

বালিকা পায়ে অালতা মেঁখেছে
নুপুর কিঙ্কণের ভালবাসায়।
রাঙাবউ চোখে কাজল দিঁয়েছে
হৃদয় হরণের ভালবাসায়।

বাসন্তী কপালে টিপ সেঁঠেছে
হলুদ শাড়ীর জড়ানো মায়ায়।
সকল হিমু নিরুদ্দেশ হঁয়েছে
রূপাদের সেই উঠোনতলায়।

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৭

বিভ্রান্ত মাঘ

উলের চাদরে অারাম কেদারায়-
'এক কাপ চা'
শীতোষ্ণমন্ডলেই বেশ অাছি।

নাতিশীতোষ্ণমণ্ডল ভুলে গেছি
বসন্তীরঙ শিকেয় তুলেছি।
বসন্তদূত দুয়ারে অসময়ে
কড়া নাড়ো!

শীতের প্রভাতে নরম রোদে-
'এক গ্লাস রস'
মাঘের কাঁপুনিতেই বেশ অাছি।

শরৎ পূর্ণিমা ভুলে গেছি
রক্তজবা বিকিয়ে দিয়েছি।
দক্ষিণ পবন  অসময়ে-
মৃদু হাঁকো!

নিশি রাতে লেপের তলে-
'ঠান্ডা অায়েশী ঘুম'
শৈতপ্রবাহে বেশ অাছি।

অাষাঢ় বাদল ভুলে গেছি
বর্ষাজল দাদন দিয়েছি।
বসন্ত কোকিল অসময়ে-
সুর তোলো!

ভয়কে নিকুচি।

সমুদ্রে পেতেছি শয্যা,
শিশিরে ভয় কি?
অনলে গড়েছি বাসর,
শিখায় ভয় কি?

নির্বাসনে সপেছি জীবন
বিচ্ছেদে ভয় কি?
নিরুদ্দেশে বেছেছি লক্ষ্য,
হারাতে ভয় কি?

পাথরে বেধেছি বুক,
দুঃখে ভয় কি?
নদীতে ডুবিয়েছি অাখি,
কান্নায় ভয় কি?

অাকাশে ছড়িয়েছি সপ্ন
কালোমেঘে ভয় কি?
রাতে হয়েছি নিশাচর
অন্ধকারে ভয় কি?

দূর্গমে করেছি যাত্রা,
অনিষ্টে ভয় কি?
জীবনকে করেছি বলি,
মরণে ভয় কি?

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রতিজ্ঞাময় প্রেমী

একটা ফুল লাল, কলি হলুদ
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে অবোধ।
এটা অাকাশ নীল, মেঘ সাদা
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে বোকা।

একটা সাগর হীম, জল নীলক,
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে নির্বাক।
একটা কানন  লাল, পাতা সবুজ
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে অবুঝ।

একটা কয়লা কালো, হিরে সাদা
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে ভেদা।
একটা বৃক্ষ সবুজ, কাণ্ড কালা,
মধ্যে কেন অমিল, বুঝতে পারে গাঁধা।

তবুও-
অমন যে সে মহাময়ী সেও বুঝেছে ভুল,
ভুল করে তাই বিষ ঠেলেছি
নীল ভ্রমরের  হুল।

অমন যে সে বর্ণচোরা সেও বুঝেছে ভুল
ভুল করে তাই কষ্ট দিয়েছি
অশ্রু জলের রোল।

অমন যে সে প্রজ্ঞাময়ী সেও কষেছে ভুল
ভুল করে তাই নিকেশ  করেছি
বিরহ অনলের দোল।

হে-
অবনী, তোমায় ঐ স্পর্শহীন বাহু
অামায় অার উত্তেজিত করে না।
পুষ্প, তোমায় ঐ উত্তাপহীন সৌরভ
অামায় অার কামনায় ভাসায় না।

শশী, তোমার ঐ শীতলা জোছনা
অামার অার উদ্বেলিত করে না।
পুষণ, তোমার ঐ জ্যোতিহীন অালো
অামায় অার অাকর্ষণ করে না।

এখন-
অামার চাই জীবন্ত মাংসপিন্ডের দলা
অামার চাই রক্তে মাংসে গড়া প্রতিমা।
অামার চাই কামনার ছাঁচে উত্তাপ দেহ
অামার চাই যৌবনের শিহরিত স্পর্শ।

অতঃপর-
অামার অাগুন বন্ধক রেখেছি
অন্য কোন পদ্ম বনে,
পদ্ম কন্টক সঙ্গে নিয়েছি
হারিয়ে গহিন তিমির কুঞ্জে।

অামার অনুভূতি বিক্রি করেছি
অন্য কোন রঙ্গ বাজারে,
রঙ্গ বিষ সঙ্গে নিয়েছি
হারিয়ে সীমাহীন অচিনপুরে।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রতিজ্ঞাময়ী প্রেমী

কি দেখিয়েছ অামায়?
ভয়ংকরী ভঙ্গিমায়।
কি  দিয়েছ অামায়?
অমানীশার গহীনতায়।
কি বলেছ অামায়?
কুৎসিত শব্দমালায়।
কি শুনিয়েছ অামায়?
তিরস্কারের পরছায়ায়।

তুমি কৌমার্যচারী
প্রকৃতই  ধর্ষণকারী।
তুমি  নারীবাজি
প্রকৃতই হত্যাকারী।
তুমি নগ্নতাচারী।
প্রকৃতই ফুর্তিবাদী।
তুমি ভন্ডতপ্বসী
প্রকৃতই ছলনাকারী।
তুমি শরীর পুজারী
প্রকৃতই যৌনকারী।
তুমি বসকারী  
প্রকৃতই  অন্ধকারী।
তুমি ধ্বংসকারী
প্রকৃতই কুঅশরীরী।

অার পানে চাইবো না 
অার স্বপ্ন দেখবো না।
অার তোমায় শুনবো না
অার মায়ায় রইবো না।
অার কথা বলবো না
অার অাগুনে পুরবো না।
অার অাশায় থাকবো না
অার বিশ্বাস করবো না।
অার দীপ জ্বালাবো না
অার অপেক্ষা করবো না।

অামি ফিরে অাসবো না
অাবার ভালবাসবো না
অাবার ক্ষমা করবো না
অাবার প্রেমে বাধবো না।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭

পদ্মাবতীর মধূঘাটী

পদ্মাবতী পদ্মমুখী
কোথায় তোমার বসতবাড়ী?
পদ্মাবতী পদ্মনারী
কোথায় তোমার মধূঘাটী?

যৌবনের উঠোন কোণায়
উঁকি দেয় ঐ গোপন গর্ত।
ভ্রমর হয়ে তুলবো মধূ
এটাই অামার প্রথম শর্ত।

ভ্রমর এসে উড়বো উঁঠোনে
পুড়বো হুল গর্তে কোঁণে।
মসনদ গেড়ে রইব ঠাঁয়
পদ্মাসনের স্বপ্ন ছোয়ায়।

পদ্মবতীর পদ্মঘাটি
পদ্মনারীর পদ্মনাভী।
খাবো সব পদ্ম ঘাটি
বানবো এক বসত পাটি।

পদ্মাবতী পদ্মানারী
গর্ত খুড়ি, ঘর গড়ি।
পদ্মাবতী পদ্মমণি
স্বপ্ন গড়ি, ভালবাসি।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৭

স্তবক প্রিয়তমায়

তুমি নিদ্রাচ্ছন্ন-
তুমি অামাতে মগ্ন জানতে পারায়,
অামি নিশ্চিত হয়েছি-
তোমার বেষ্টিত  নিরাপত্তায়।

ভালবাসার ঐ অসীম-
বিশ্বস্ত ধারাবাহিকতায়,
অবলাল বিশুদ্ধ সূত্রে-
দুবাহুতে অাকড়েছ অামায়।

এ দাশ অাজি-
তোমার বুকে মাথা ঠাঁয়,
মম শৃঙ্খলাবদ্ধ হাত-
দুটি সঁপে তোমায়।

অঞ্জলী দিয়েছি-
তোমার ঐ অাবক্ষ হৃদে,
প্রাণ সপেছি গোঁ তবে-
ওই অাচঁলের ছায়ায়।

ভালবাসি বলেছি হে-
প্রিয়তমা ঐ কানে কানে,
হেলেছি দুলেছি হৃদয়ে-
হৃদয়ের অাদিম অাকর্ষণে।

কৃতজ্ঞময়ীর অার্শ্বীবাদে-
অাজি ভালবাসার তীরে।
ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়-
হে প্রিয়, জনমে জনমে।

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রিয়মুখ

অাহা জীবন কত সুন্দর
সুখের অন্তে দুখ
দুখের অন্তে সুখ।

ক্লান্তি শেষে নিড়ে ফিরি
দেখতে  তোমার প্রিয়মুখ।

জীর্ণতা অামার ঝরে যায় তবে
এই সুন্দর সংসারের মায়ায়।

এই স্বর্গ এইতো অানন্দ
খুজে পাই ঐ ভালবাসায়।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭

-:অভিশপ্ত অাত্মা:-


অাত্মাঃ হে জীর্ণ দেহ, অামি তোমার জীবনে দুষ্টগ্রহ, মুক্তি দাও অামায়। তোমার ঐ মরণব্যাধির জন্য তুমিই দায়ী। হে দেহ তোমার পাপাচারের শাস্তি কেন অামায় পোহাতে হচ্ছে? অার পারি না, দয়া করে এবার ছাড়ো, বিসর্জন দাও অামায়।

দেহঃ (অাত্মার মিনতিতে সায় দিয়ে) এ বুকে একটি মাত্র ক্ষীণ অাশা অবশিষ্ট অাছে। তা মৃত্যুর অাশা। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত সে অাশা বেঁচে থাকবে। অামি মৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে যাব; অামার বুক ভেঙ্গে যাবে। তখন সব দুঃখের অবসান হবে।


অাত্মাঃ (দেহের সাথে সুর মিলিয়ে) প্রতি ক্ষনে একটি অাকুতি, হে প্রভু অামাদের মরতে দাও।
প্রভুঃ (অাত্মায় সুধায়), হে অাত্মা হে দেহ, তবে তোমাদের ইচ্ছাটা পূর্ণ হোক। অতঃপর অাত্মা মুক্তি পায় দেহ নামক কারাগার হতে। বিদায়বেলা বিষাদের পরিবর্তে সকলের মাঝে বরং অানন্দময় হয়ে ওঠে। হয়ত প্রভুও তাদের মুক্তি দিয়ে হালকাবোধ ও নিস্তার লাভ করে

অাত্মাঃ (অাত্মা সাগ্রহে ও অপার অানন্দে বলে ওঠে), অাহ্ অবশেষে মুক্তি পেয়েছি। হে নিষ্প্রাণ দেহ, অামি এখানেই অাছি, পাশাপাশি।

দেহঃ অাত্মা তোমায় মুক্তি দিয়ে অানন্দ হচ্ছে খুব। অামিও বেশ মজাতেই অাছি, কোন ব্যাথা অার নেই, এইচঅাইভি ভাইরাস অার ব্যাক্টেরিয়া অনুজীব সমূহ অার অামায় অস্থির করছে না। যদিও ওরাও খুবই খুসি জয়ী হয়ে, কিছুকাল মুহুর্তের মধ্যেই ওরা অামায় নিঃশেষ করে নিজেরাও অাত্মাহুতি দিবে। এইতো গাপুসগুপুস করে খাচ্ছে অামায়! পচনের অারম্ভ! অবশেষে অামি সুখি, অাত্মা সুখি, এইচঅাইভি সুখী, সবাই সুখী।

অাত্মাঃ অামি নিরোগ মুক্ত অাত্মা, অামি অবিনশ্বর, বন্ধনমুক্ত। তবুও হঠাৎ সুখের দোলাচলে হেলছি অার দুলছি। কিসের অজানা মায়ায়, তোমায় খুজে ফিরছি!

অবশেষে প্রিয়য়মুখ! অদৃশ্য তলে তোমাকে খুজে পাই। এখন অার তোমার সামনে বিরজমান হতে অার কোন ভয় নাই। মুখোমুখি মাথা উচু করে অজস্র না বলা কথা বলতে অার বাধা নাই। অামাকে অার ভর্সনা শুনতে হবে না। যদিও অামার এই অধঃপতনের একমাত্র কারন, অামার প্রতি তোমার চিরন্তন বিমুখতা।

তোমার অন্তরাল হতে, অগনিত বিভ্রান্ত অাত্মার মাঝখানে অাবার তোমার অপার্থিবে ফিরে অাসার অাশায়-

অামি অাত্মা নিষ্পলক চোখে তোমার মাঝে অাটকে থাকবো একই ভাবে, একদৃষ্টিতে, অনন্তকাল ধরে। বলে যাই শুধূ ভালবাসি!

#কল্পকথন

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭

হনুজ দিল্লী দূরঅস্ত

সত্যিকারের সবল চিত্ত মানুষ কখনো দিব্যি করে তা ভঙ্গ করে না। অার যদি করেও থাকে তারা তা ভঙ্গ করার মাসুলও দিতে প্রস্তুুত থাকে। বর্তমানকালের অযোগ্যতার মাফকাঠিসমূহ তোমার ভবিষ্যতের দিকনির্দেশকের অনুঘটক হতে পারে। তোমার জীবনে এখনো অনেক পথ বাকী।

অামি নিশ্চিত, এই সাতাশ বছরে অনেক শপথই রাখতে পারি নাই বা সত্যিকারের সবল চিত্ত মানুষ হতে পারি নাই। তাই প্রকান্তরে এর মাসুল দিতে সদা প্রস্তুুত অাছি বা দিচ্ছি। দুঃখ, ব্যর্থতা ও ভুল সিন্ধান্ত অামায় বিচলিত করতে পারে সত্যি তবে পথভ্রষ্ট নই মোটেও।
হনুজ দিল্লী দূরঅস্ত (দিল্লী এখনো অনেক দূর)!

Fact: Go ahead just alone if nobody accepts your invitation.

রঙ্গকাল

অামি মহাকাল

অামি অাকাশ অামি পাতাল অামি সুউচ্চ অামি পতিত। অামি নম্র অামি লৌহ অামি হার অামি বিজিত। অামি হাস্য অামি অশ্রু অামি মিলন অামি বিরহ। অাম...